বার্সেলোনা হারার পর ইউরোপে এখন অপরাজিত দল কারা
Published: 6th, October 2025 GMT
তিন দিন আগেও ইউরোপিয়ান শীর্ষ ৫ লিগে অপরাজিত দল ছিল ৮টি। এই তালিকায় বার্সেলোনা–বায়ার্ন মিউনিখের মতো পরাশক্তির পাশপাশি এলচে–ক্রিমোনেসের মতো পুঁচকে দলও ছিল। কিন্তু এই সপ্তাহের ম্যাচগুলোয় ওলট–পালট হয়ে গেছে দৃশ্যপট। ৮ থেকে সংখ্যাটি এখন নেমে এসেছে চারে। যেখানে তালিকা থেকে ছিটকে গেছে বার্সেলোনাও।
সপ্তাহের শুরুতে অপরাজিত থাকা দলগুলো ছিল বার্সেলোনা, বায়ার্ন মিউনিখ, বরুসিয়া ডর্টমুন্ড, ক্রিস্টাল প্যালেস, এইচে, জুভেন্টাস, ক্রিমোনেসে ও আতালান্তা। কিন্তু এখন এসে সেই তালিকা থেকে বাদ পড়েছে বার্সা, প্যালেস, এলচে ও ক্রিমোনেসে। এই সপ্তাহে নিজেদের ম্যাচগুলোয় হেরে গেছে প্রত্যেকেই। তবে এখনো চারটি দল আছে, যারা লিগ ম্যাচে হারের স্বাদ পায়নি। এই চার দলের দুটি জার্মানির এবং দুটি ইতালির।
এই সপ্তাহে হেরেছে যারাবার্সেলোনা, লা লিগা
লা লিগায় বার্সা মৌসুমটা শুরু করেছিল স্বপ্নের মতো। গত মৌসুমের শিরোপা জেতা পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতা। এর মধ্যে আতলেতিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদের হারে সুবিধাজনক অবস্থানেই ছিল হ্যান্সি ফ্লিকের দল। সুযোগ ছিল পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে ওঠারও। তবে ৭ ম্যাচ অপরাজিত থাকার পর অষ্টম ম্যাচে আটকে গেছে বার্সা। গতকাল রাতে সেভিয়ার কাছে বার্সা হেরেছে ৪–১ গোলের বড় ব্যবধানে। এই হারে রিয়ালের কাছ থেকে শীর্ষস্থানও পুনরুদ্ধার করতে ব্যর্থ হয়েছে তারা।
আরও পড়ুনবার্সেলোনার জালে ৪ গোল দিয়ে সেভিয়ার দুর্দান্ত জয়১২ ঘণ্টা আগেক্রিস্টাল প্যালেস, প্রিমিয়ার লিগ
ক্রিস্টাল প্যালেস নিজেদের ফুটবল ইতিহাসে অন্যতম সেরা সময় পার করছে এখন। গত মৌসুমে এফএ কাপ জেতার পর জিতেছে কমিউনিটি শিল্ডও। এমনকি চলতি মৌসুমে লিগেও প্রথম ছয় ম্যাচে অপরাজিত ছিল তারা (৩ জয় ও ৩ ড্র)। যেখানে ঘরের মাঠে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন লিভারপুলকেও তারা হারিয়ে দিয়েছে। কিন্তু অপরাজিত থাকার সেই ধারা থেমে গেছে গতকাল রাতে। এভারটনের কাছে ২–১ গোলে হেরেছে প্যালেস। শেষ মুহূর্তের গোলের এভারটনকে দুর্দান্ত জয় এনে দেন জ্যাক গ্রিলিশ। এর মধ্য দিয়ে প্যালেসের ১৯ ম্যাচ অপরাজিত থাকার ধারাও থামল।
বার্সেলোনার হারা ম্যাচে এভাবেই হতাশ হতে হয়ে পড়েন পেনাল্টি মিস করা রবার্ট লেভানডফস্কি.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: অপর জ ত থ ক
এছাড়াও পড়ুন:
কোনো সরকার শিক্ষা নিয়ে তেমন কিছু করেনি, বর্তমান সরকারও না
বিদ্যালয়ে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান ভালোভাবে হয় না। সমস্যাটি নতুন নয়, অনেক আগে থেকেই এমন হয়ে আসছে। এটা কাঠামোগত সমস্যা। খণ্ডিতভাবে দেখে, খণ্ডিত উদ্যোগ নিয়ে সমস্যাটির সমাধান হবে না। শিক্ষার মানোন্নয়ন ও বৈষম্য কমানো দরকার।
ধনী ও সচ্ছল পরিবারের সন্তানেরা ভালো শিক্ষা পাবে, নিম্নবিত্তের সন্তানেরা পাবে না, সেটা হতে পারে না। শিক্ষার জন্য সম্পদের সংস্থান কোথা থেকে হবে, সেটার পথ খোঁজা দরকার। সব মিলিয়ে খাত ধরে একটি বড় ধরনের পর্যালোচনা হতে হবে। সেটা কয়েক দিন বা মাসের বিষয় নয়। পর্যালোচনাটি দরকার গভীর ও বিস্তৃত।
আরও পড়ুনবিদ্যালয়ে যেনতেন পড়াশোনা, ভরসা কোচিং ও গৃহশিক্ষক২ ঘণ্টা আগেবর্তমান সরকার ১১টি বিষয়ে সংস্কার কমিশন করেছে। শিক্ষা খাত নিয়ে কোনো সংস্কার কমিশন করা হয়নি। প্রাথমিক ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষার মানোন্নয়নে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় একটি কমিটি করেছিল। সেই কমিটির প্রধান ছিলাম আমি। আমরা প্রতিবেদন সরকারের কাছে দিয়েছি। সেখানে বিভিন্ন সুপারিশ রয়েছে। কিন্তু সেটা নিয়ে তেমন কোনো কাজ হয়নি। খণ্ডিতভাবে দু-একটি সুপারিশ হয়তো বাস্তবায়ন হয়ে থাকতে পারে।
২০১০ সালে শিক্ষানীতি হয়েছে। তবে তা অনেকাংশে বাস্তবায়ন হয়নি। কারণ, সরকারগুলো কর্তৃত্ব ধরে রাখতে চায়। বিগত ৫৪ বছরে কোনো সরকারই শিক্ষা নিয়ে তেমন কিছু করেনি। বর্তমান সরকার অন্তত একটা সূচনা করতে পারত। সেটাও করেনি।
শিক্ষা খাত আমাদের রাজনৈতিক ব্যর্থতার একটি উদাহরণ। এ খাতের বড় ধরনের সংস্কার দরকার। অতীতের সরকারগুলো যেমন এ খাত নিয়ে কাজ করেনি, তেমনি ভবিষ্যতের সরকার সংস্কার করবে, সে আশাও করতে পারছি না। তবু আশা নিয়ে থাকতে হবে।
মনজুর আহমদ: শিক্ষাবিদ ও ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির ইমেরিটাস অধ্যাপক।
[মতামত লেখকের নিজস্ব]