চট্টগ্রাম শহরকে ব্যানার-পোস্টারমুক্ত করতে সাঁড়াশি অভিযান
Published: 6th, October 2025 GMT
অনুমোদনহীন পোস্টার, ব্যানার, ফেস্টুন ও সাইনবোর্ডের মাধ্যমে শহরের সৌন্দর্য নষ্ট করার বিরুদ্ধে মাঠে নেমেছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। চট্টগ্রাম মহানগরীর বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে গিয়ে মেয়রকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে টাঙানো পোস্টার, ব্যানার ও ফেস্টুন উচ্ছেদ করছেন তিনি। গতকাল রবিবার (৫ অক্টোবর) থেকে চট্টগ্রাম মহানগরীজুড়ে এ সাঁড়াশি অভিযান শুরু হয়েছে।
চসিক মেয়র ডা.
তিনি বলেন, “চট্টগ্রাম শহরের সৌন্দর্য রক্ষা করতে হলে নিয়ম-কানুন মেনে চলতে হবে। সিটি কর্পোরেশন থেকে অনুমতি না নিয়ে কেউ যেন ব্যানার-পোস্টার না লাগায়। যদি কেউ বিজ্ঞাপন দিতে চায়, তাহলে সেটা অনুমতি নিয়ে করবে। আমরা চাই, প্রতিটি প্রতিষ্ঠান, কোচিং সেন্টার কিংবা ব্যক্তিগত ব্যবসা সবকিছুই আইনের আওতায় আসুক।”
মেয়র আরো বলেন, “আমি নিজেই প্রতি মাসে অন্তত একবার মাঠে নামি এই ধরনের অভিযান পরিচালনার জন্য। কারণ, এই শহর আমাদের নিজের শহর। যদি আমরা নিজের শহরের প্রতি দায়িত্বশীল হই, তাহলে কেউই শহরকে নোংরা রাখতে পারবে না। ব্যানারের কারণে কত সুন্দর দৃশ্য ঢেকে গেছে—সবুজ গাছপালা, রাস্তার সৌন্দর্য। এসব সরানোর পরই বোঝা যায়, শহর কত সুন্দর হতে পারে।”
উদাহরণ তুলে ধরে চসিক মেয়র বলেন, “অনেক প্রতিষ্ঠান কোনো অনুমতি ছাড়াই অসংখ্য ব্যানার টাঙিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠান অন্যদেরও উৎসাহিত করছে অবৈধভাবে ব্যানার টানাতে। আমরা চাই, তারা যেন দ্রুত সিটি কর্পোরেশনের অনুমতি নিয়ে আইন মেনে চলেন।”
“পূজার সময় অনেকেই শুভেচ্ছা ব্যানার দিয়েছেন। সেগুলোর জন্য নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত ছাড় দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু পূজার পর এসব ব্যানার সরিয়ে ফেলতে হবে। আমরা প্রতিটি উৎসবকে সম্মান করি, তবে শহরের সৌন্দর্যের প্রশ্নে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।”
মেয়র বলেন, “আমরা চাই, চকবাজার জোনটিকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমৃদ্ধ ক্লিন, গ্রিন ও হেলদি জোনে পরিণত করতে। এজন্য যত্রতত্র ব্যানার-পোস্টার বন্ধ করতে হবে। এর পরিবর্তে ডিজিটাল বোর্ড বা এলইডি স্ক্রিনের মাধ্যমে বিজ্ঞাপন প্রচারের ব্যবস্থা করা হবে, যাতে সৌন্দর্য নষ্ট না হয় এবং ব্যবসায়ীরাও নিয়ম মেনে প্রচার করতে পারেন।”
“সিটি কর্পোরেশন একা কিছু করতে পারবে না। নাগরিকদের সহযোগিতা ছাড়া নগরকে পরিচ্ছন্ন রাখা সম্ভব নয়। আমরা নিজেদের রাজস্ব দিয়ে রাস্তা, নালা, খাল পরিষ্কার ও জলাবদ্ধতা নিরসনের কাজ করছি। সবাইকে দায়িত্বশীল হতে হবে, ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন করতে হবে, রাজস্ব দিতে হবে। তাহলেই শহর এগিয়ে যাবে।”
মেয়র দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, “চট্টগ্রামে ৮০ শতাংশ কোচিং সেন্টার কোনো অনুমতি ছাড়াই পোস্টার-ব্যানার লাগায়। মাত্র ২০ শতাংশ প্রতিষ্ঠান নিয়ম মেনে সিটি কর্পোরেশনের অনুমোদন নেয়। এতে সিটি কর্পোরেশন বিপুল রাজস্ব হারাচ্ছে। অথচ, একটি ব্যানারের জন্য মাত্র এক-দুই হাজার টাকা কর দিলেই যথেষ্ট। সেই অর্থ দিয়েই সিটি কর্পোরেশন শহরকে পরিষ্কার ও সবুজ রাখতে কাজ করে।”
অভিযানে মেয়রের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন প্রধান পরিচ্ছন্নতা কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন ইখতিয়ার উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, উপ-প্রধান পরিচ্ছন্নতা কর্মকর্তা প্রণব কুমার শর্মা, ম্যালেরিয়া ও মশক নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা মো. শরফুল ইসলাম মাহি, মেয়রের একান্ত সহকারী মারুফুল হক চৌধুরী (মারুফ) এবং চসিকের পরিচ্ছন্নতা বিভাগের কর্মীরা।
ঢাকা/রেজাউল/রফিক
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র স ন দর য ব যবস শহর র
এছাড়াও পড়ুন:
চট্টগ্রাম শহরকে ব্যানার-পোস্টারমুক্ত করতে সাঁড়াশি অভিযান
অনুমোদনহীন পোস্টার, ব্যানার, ফেস্টুন ও সাইনবোর্ডের মাধ্যমে শহরের সৌন্দর্য নষ্ট করার বিরুদ্ধে মাঠে নেমেছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। চট্টগ্রাম মহানগরীর বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে গিয়ে মেয়রকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে টাঙানো পোস্টার, ব্যানার ও ফেস্টুন উচ্ছেদ করছেন তিনি। গতকাল রবিবার (৫ অক্টোবর) থেকে চট্টগ্রাম মহানগরীজুড়ে এ সাঁড়াশি অভিযান শুরু হয়েছে।
চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, “ক্লিন সিটি গড়তে আমরা বদ্ধপরিকর। আমরা চাই, চট্টগ্রাম শহরকে সুন্দর রাখতে সবাই যেন সচেতন হয়। যারা অনুমতি ছাড়া ব্যানার-পোস্টার টাঙাচ্ছেন, তারা যেন নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সেগুলো সরিয়ে ফেলেন। ভবিষ্যতে অনুমতি ছাড়া কোনো ধরনের পোস্টার, ব্যানার বা সাইনবোর্ড টাঙানো হলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
তিনি বলেন, “চট্টগ্রাম শহরের সৌন্দর্য রক্ষা করতে হলে নিয়ম-কানুন মেনে চলতে হবে। সিটি কর্পোরেশন থেকে অনুমতি না নিয়ে কেউ যেন ব্যানার-পোস্টার না লাগায়। যদি কেউ বিজ্ঞাপন দিতে চায়, তাহলে সেটা অনুমতি নিয়ে করবে। আমরা চাই, প্রতিটি প্রতিষ্ঠান, কোচিং সেন্টার কিংবা ব্যক্তিগত ব্যবসা সবকিছুই আইনের আওতায় আসুক।”
মেয়র আরো বলেন, “আমি নিজেই প্রতি মাসে অন্তত একবার মাঠে নামি এই ধরনের অভিযান পরিচালনার জন্য। কারণ, এই শহর আমাদের নিজের শহর। যদি আমরা নিজের শহরের প্রতি দায়িত্বশীল হই, তাহলে কেউই শহরকে নোংরা রাখতে পারবে না। ব্যানারের কারণে কত সুন্দর দৃশ্য ঢেকে গেছে—সবুজ গাছপালা, রাস্তার সৌন্দর্য। এসব সরানোর পরই বোঝা যায়, শহর কত সুন্দর হতে পারে।”
উদাহরণ তুলে ধরে চসিক মেয়র বলেন, “অনেক প্রতিষ্ঠান কোনো অনুমতি ছাড়াই অসংখ্য ব্যানার টাঙিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠান অন্যদেরও উৎসাহিত করছে অবৈধভাবে ব্যানার টানাতে। আমরা চাই, তারা যেন দ্রুত সিটি কর্পোরেশনের অনুমতি নিয়ে আইন মেনে চলেন।”
“পূজার সময় অনেকেই শুভেচ্ছা ব্যানার দিয়েছেন। সেগুলোর জন্য নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত ছাড় দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু পূজার পর এসব ব্যানার সরিয়ে ফেলতে হবে। আমরা প্রতিটি উৎসবকে সম্মান করি, তবে শহরের সৌন্দর্যের প্রশ্নে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।”
মেয়র বলেন, “আমরা চাই, চকবাজার জোনটিকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমৃদ্ধ ক্লিন, গ্রিন ও হেলদি জোনে পরিণত করতে। এজন্য যত্রতত্র ব্যানার-পোস্টার বন্ধ করতে হবে। এর পরিবর্তে ডিজিটাল বোর্ড বা এলইডি স্ক্রিনের মাধ্যমে বিজ্ঞাপন প্রচারের ব্যবস্থা করা হবে, যাতে সৌন্দর্য নষ্ট না হয় এবং ব্যবসায়ীরাও নিয়ম মেনে প্রচার করতে পারেন।”
“সিটি কর্পোরেশন একা কিছু করতে পারবে না। নাগরিকদের সহযোগিতা ছাড়া নগরকে পরিচ্ছন্ন রাখা সম্ভব নয়। আমরা নিজেদের রাজস্ব দিয়ে রাস্তা, নালা, খাল পরিষ্কার ও জলাবদ্ধতা নিরসনের কাজ করছি। সবাইকে দায়িত্বশীল হতে হবে, ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন করতে হবে, রাজস্ব দিতে হবে। তাহলেই শহর এগিয়ে যাবে।”
মেয়র দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, “চট্টগ্রামে ৮০ শতাংশ কোচিং সেন্টার কোনো অনুমতি ছাড়াই পোস্টার-ব্যানার লাগায়। মাত্র ২০ শতাংশ প্রতিষ্ঠান নিয়ম মেনে সিটি কর্পোরেশনের অনুমোদন নেয়। এতে সিটি কর্পোরেশন বিপুল রাজস্ব হারাচ্ছে। অথচ, একটি ব্যানারের জন্য মাত্র এক-দুই হাজার টাকা কর দিলেই যথেষ্ট। সেই অর্থ দিয়েই সিটি কর্পোরেশন শহরকে পরিষ্কার ও সবুজ রাখতে কাজ করে।”
অভিযানে মেয়রের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন প্রধান পরিচ্ছন্নতা কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন ইখতিয়ার উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, উপ-প্রধান পরিচ্ছন্নতা কর্মকর্তা প্রণব কুমার শর্মা, ম্যালেরিয়া ও মশক নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা মো. শরফুল ইসলাম মাহি, মেয়রের একান্ত সহকারী মারুফুল হক চৌধুরী (মারুফ) এবং চসিকের পরিচ্ছন্নতা বিভাগের কর্মীরা।
ঢাকা/রেজাউল/রফিক