দক্ষিণ ভারতের তারকা রজনীকান্ত যেন আবারও প্রমাণ করলেন—সরল জীবনযাপনই তাঁর সবচেয়ে বড় পরিচয়। পর্দার বাইরে একেবারে সাধারণ, বিনয়ী এই মানুষটি সম্প্রতি গিয়েছিলেন হিমালয়ে, একান্ত আধ্যাত্মিক যাত্রায়। ব্যস্ত কাজের ফাঁকে নিজেকে একটু শান্তিতে খুঁজে নিতে বেরিয়ে পড়েন গঙ্গাতীরের ঋষিকেশে।

শালপাতার থালায় খাবার
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া এক ছবিতে দেখা গেছে, সাদা পোশাক পরিহিত রজনীকান্ত বসে আছেন পাহাড়ি এক রাস্তার ধারে। সামনে রাখা পাথরের ওপর পাতালের (শালপাতার তৈরি একবার ব্যবহার উপযোগী থালা) মধ্যে পরিবেশিত খাবার খাচ্ছেন। পাশে পার্ক করা আছে একটি গাড়ি, পেছনে পাহাড়ের মনোরম দৃশ্য। সহজ-সরল ছবিটিই যেন এই দক্ষিণি তারকার জীবনের দর্শন প্রকাশ করে—খ্যাতির শিখরে থেকেও মাটির মানুষ রজনীকান্ত।

আধ্যাত্মিক শান্তির খোঁজে
জানা গেছে, এই সফরে তিনি গিয়েছিলেন স্বামী দয়ানন্দ আশ্রমে। সেখানে তিনি স্বামী দয়ানন্দকে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং গঙ্গাতীরে বসে ধ্যানও করেন। সন্ধ্যায় গঙ্গা আরতিতে অংশ নেন তিনি, আর এই মুহূর্তগুলোর কয়েকটি ছবি ছড়িয়ে পড়েছে অনলাইনে।

রজনীকান্ত পাথরের ওপর শালপাতার তৈরি থালায়পরিবেশিত খাবার খাচ্ছেন।.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: রজন ক ন ত

এছাড়াও পড়ুন:

মার্কস অলরাউন্ডার: সিলেট, নাটোর ও পাবনা অঞ্চলে কবে কোথায় প্রতিযোগিতা

বাংলাদেশের প্রতিভাবান শিশু-কিশোরদের খোঁজে দেশব্যাপী চলছে দেশের অন্যতম বড় প্ল্যাটফর্ম ‘মার্কস অলরাউন্ডার’ প্রতিযোগিতা। বরাবরের মতো এবারও সাড়া ফেলেছে আয়োজনটি। যা আঞ্চলিক, বিভাগীয় এবং জাতীয় পর্যায়—এ তিন ধাপে অনুষ্ঠিত হবে। বর্তমানে এর আঞ্চলিক পর্ব অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বাংলাদেশের সব স্কুল-কলেজ (প্লে গ্রুপ থেকে দ্বাদশ শ্রেণি) এবং সমমানের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীরা এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারবে।

ইতিমধ্যে চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, যশোর, মাগুরা, নোয়াখালী ও ফেনীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় প্রতিযোগিতা সম্পন্ন হয়েছে। পর্যায়ক্রমে দেশের ১০০টি স্থানে আঞ্চলিক পর্ব অনুষ্ঠিত হবে।

প্রতিযোগিতার গ্রুপ ও বিষয়  

প্লে থেকে চতুর্থ শ্রেণি—জুনিয়র স্কুল (গান, নাচ, অভিনয়, চিত্রাঙ্কন, আবৃত্তি, গল্প বলা); পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণি—মিডল স্কুল (গান, নাচ, অভিনয়, চিত্রাঙ্কন, আবৃত্তি, উপস্থিত বক্তৃতা) এবং নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি—হাই স্কুল ও কলেজ (গান, নাচ, অভিনয়, চিত্রাঙ্কন, আবৃত্তি, উপস্থিত বক্তৃতা।)

সিলেট, নাটোর ও পাবনা অঞ্চলের প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে শুক্রবার ও শনিবার (১০ ও ১১ অক্টোবর)। নিম্নলিখিত প্রতিটি ভেন্যুতে সকাল আটটা থেকে শুরু হবে প্রতিযোগিতা।
তারিখ: ১০ অক্টোবর, শুক্রবার
ভেন্যু: পাঠানটুলা দ্বিপাক্ষিক উচ্চবিদ্যালয়, সিলেট।

যে এলাকার শিক্ষার্থীরা অংশ নেবে: সিলেট জেলা সদরের একাংশ (মিরের ময়দান, বাগবাড়ি, মদিনা মার্কেট, আখালিয়া, নেহারিপাড়া, টুকেরবাজার, বাধাঘাট), জালালাবাদ থানা, বিমানবন্দর থানা, গোয়াইনঘাট থানা ও কোম্পানীগঞ্জ থানা।
ভেন্যু: কিশোরী মোহন বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, নয়াসড়ক, সিলেট।
যে এলাকার শিক্ষার্থীরা অংশ নেবে: সিলেটের শাহপরান থানা, জৈন্তাপুর থানা ও সদরের একাংশ (নয়াসড়ক, জেল রোড, মিরাবাজার, চৌহাট্টা, শাহি ঈদগাহ, বালুচর, শিবগঞ্জ, বন্দরবাজার)।
ভেন্যু: নবাব সিরাজ-উদ্-দৌলা সরকারি কলেজ, সদর উপজেলা, নাটোর।
যে এলাকার শিক্ষার্থীরা অংশ নেবে: নাটোর জেলার শিক্ষার্থীরা।
তারিখ: ১১ অক্টোবর, শনিবার
ভেন্যু: দ্য এইডেড হাই স্কুল, তাঁতিপাড়া, জিন্দাবাজার, সিলেট।

যে এলাকার শিক্ষার্থীরা অংশ নেবে: সিলেট সদরের একাংশ (মেডিকেল রোড, কাজলশাহ, রিকাবীবাজার, নবাব রোড, শেখঘাট, লামাবাজার, জিন্দাবাজার, ভাতালিয়া, ঘাসিটুলা, শামিমাবাদ), কানাইঘাট ও জকিগঞ্জ থানা।
ভেন্যু: লালাবাজার দ্বিপাক্ষিক উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজ, দক্ষিণ সুরমা, সিলেট।

যে এলাকার শিক্ষার্থীরা অংশ নেবে: দক্ষিণ সুরমা, বিশ্বনাথ, বালাগঞ্জ, বিয়ানীবাজার, গোয়ালাবাজার, শেরপুর, জগন্নাথপুর, গোলাপগঞ্জ, ওসমানীনগর ও ফেঞ্চুগঞ্জ থানা।
ভেন্যু: রাধানগর মজুমদার একাডেমি স্কুল অ্যান্ড কলেজ (আর এম স্কুল), লম্বাপাড়া রোড, পাবনা।

যে এলাকার শিক্ষার্থীরা অংশ নেবে: পাবনা জেলা।

পুরস্কার

মার্কস অলরাউন্ডারে তিনটি গ্রুপ থেকে সেরা তিন অলরাউন্ডারের প্রত্যেকে পাবে ১৫ লাখ টাকার শিক্ষাবৃত্তি। আর বিভিন্ন পর্যায়ের বিজয়ীরা পাবে মোট ১ কোটি টাকার বেশি উপহার ও শিক্ষাবৃত্তি।

গ্র্যান্ড ফিনালেতে তিনটি গ্রুপের ফার্স্ট রানার্সআপ এবং সেকেন্ড রানার্সআপের প্রত্যেকে পাবে ৫ লাখ এবং ৩ লাখ টাকার শিক্ষাবৃত্তি। তিনটি গ্রুপের ছয়টি বিষয়ের প্রতিটিতে সেরা ৩ জন করে মোট ৫৪ জন সেরা পারফরমারের প্রত্যেকে পাবে যথাক্রমে স্বর্ণ, রৌপ্য ও ব্রোঞ্জপদক। জাতীয় পর্যায়ে তিনটি গ্রুপের চ্যাম্পিয়নদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পাবে একটি করে কম্পিউটার।

আয়োজকেরা জানান, ‘মার্কস অলরাউন্ডার’ কেবল একটি প্রতিযোগিতা নয়। এটি বাংলাদেশের শিশু-কিশোরদের প্রতিভা মেধা, সংস্কৃতি ও আত্মবিশ্বাস যাচাইয়ের দেশের অন্যতম বড় প্ল্যাটফর্ম। আঞ্চলিক থেকে জাতীয় পর্যায়ে এই প্রতিযোগিতা প্রতে৵ক অংশগ্রহণকারীর জন্য নতুনভাবে শেখার ও বেড়ে ওঠার সুযোগ তৈরি করছে।
বিস্তারিত জানতে এবং রেজিস্ট্রেশন করতে ভিজিট করতে হবে। ফোন করা যাবে (সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা) ০৯৬১৪৫১৬১৭১ নম্বরে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ