দক্ষিণ ভারতের তারকা রজনীকান্ত যেন আবারও প্রমাণ করলেন—সরল জীবনযাপনই তাঁর সবচেয়ে বড় পরিচয়। পর্দার বাইরে একেবারে সাধারণ, বিনয়ী এই মানুষটি সম্প্রতি গিয়েছিলেন হিমালয়ে, একান্ত আধ্যাত্মিক যাত্রায়। ব্যস্ত কাজের ফাঁকে নিজেকে একটু শান্তিতে খুঁজে নিতে বেরিয়ে পড়েন গঙ্গাতীরের ঋষিকেশে।

শালপাতার থালায় খাবার
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া এক ছবিতে দেখা গেছে, সাদা পোশাক পরিহিত রজনীকান্ত বসে আছেন পাহাড়ি এক রাস্তার ধারে। সামনে রাখা পাথরের ওপর পাতালের (শালপাতার তৈরি একবার ব্যবহার উপযোগী থালা) মধ্যে পরিবেশিত খাবার খাচ্ছেন। পাশে পার্ক করা আছে একটি গাড়ি, পেছনে পাহাড়ের মনোরম দৃশ্য। সহজ-সরল ছবিটিই যেন এই দক্ষিণি তারকার জীবনের দর্শন প্রকাশ করে—খ্যাতির শিখরে থেকেও মাটির মানুষ রজনীকান্ত।

আধ্যাত্মিক শান্তির খোঁজে
জানা গেছে, এই সফরে তিনি গিয়েছিলেন স্বামী দয়ানন্দ আশ্রমে। সেখানে তিনি স্বামী দয়ানন্দকে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং গঙ্গাতীরে বসে ধ্যানও করেন। সন্ধ্যায় গঙ্গা আরতিতে অংশ নেন তিনি, আর এই মুহূর্তগুলোর কয়েকটি ছবি ছড়িয়ে পড়েছে অনলাইনে।

রজনীকান্ত পাথরের ওপর শালপাতার তৈরি থালায়পরিবেশিত খাবার খাচ্ছেন।.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: রজন ক ন ত

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান নাম নিয়ে যারা ইসলামের বিরুদ্ধে কাজ করে, তাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে

হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী বলেছেন, বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে বদদ্বীনি, কুফরি ও ভ্রান্ততার বিরুদ্ধে উলামায়ে কেরামকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। বিশেষ করে যারা মুসলমান নাম নিয়ে ইসলামের বিরুদ্ধে কাজ করে, তাদের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে হেফাজত আমির এ কথা বলেন। জাতীয় উলামা কাউন্সিল বাংলাদেশের আত্মপ্রকাশ উপলক্ষে ‘জাতীয় উলামা সম্মেলন-২০২৫’ শীর্ষক এই অনুষ্ঠানে তিনি প্রধান অতিথি ছিলেন।

জাতীয় উলামা কাউন্সিলের সভাপতি ও বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়ার মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন। তিনি বলেন, ‘অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, আগামী জাতীয় নির্বাচনে অনেক আলেম-উলামা অংশ নেবেন। আমরা পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, আগামী জাতীয় নির্বাচনে উলামায়ে কেরামের পরস্পরে প্রতিদ্বন্দ্বিতা কাম্য নয়।’

সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক বলেন, ‘ইসলামি রাজনীতিতে সব সময় প্রতিপক্ষের মুখোমুখি দাঁড়ানো যায় না। সঠিক সময়ের অপেক্ষা করে লক্ষ্য অর্জনের জন্য ভূমিকা রাখতে হয়। আজ ইসলামি রাজনীতির সোনালি সময় চলছে। আমরা যদি সুযোগ কাজে না লাগাই, তাহলে সামনে বড় ধরনের ভোগান্তি তৈরি হবে।’

মুন্সিগঞ্জের জামি’আ ইসলামিয়া হালীমিয়া মাদ্রাসার প্রধান ও মধুপুরের পীর মাওলানা আবদুল হামিদ বলেন, ‘আমরা প্রয়োজনে বাতিলের বিরুদ্ধে একসঙ্গে লড়তে লড়তে মরব, কিন্তু বিভক্ত হব না ইনশা আল্লাহ।’ তিনি বলেন, ১৬ নভেম্বরের কাদিয়ানিবিরোধী আন্দোলন শেষ হয়নি, শুরু হয়েছে মাত্র। সরকারকে সুযোগ দেওয়া হয়েছে, পরেরবার আর সুযোগ দেওয়া হবে না।

হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব মাওলানা সাজিদুর রহমান বলেন, ‘আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকব। যারা কাজ করতে চায়, তাদের বাধা দেব না। আমরা নিজেরা নিজেদের শত্রু হব না, ইনশা আল্লাহ।’

সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমাদ, জাতীয় উলামা কাউন্সিলের মহাসচিব মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ আইয়ুবী, মাওলানা নূরুল ইসলাম ওলিপুরী, মাওলানা সালাহুদ্দীন নানুপুরী, মাওলানা মুশতাক আহমদ প্রমুখ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ