গান ছাড়ার পেছনের কারণ জানালেন তাহসান
Published: 6th, October 2025 GMT
শ্রোতাপ্রিয় সংগীতশিল্পী তাহসান খান। দীর্ঘ দুই যুগের বেশি সময় ধরে সুরের জাদুতে সংগীতপ্রেমীদের মুগ্ধ করে আসছেন। কিছুদিন আগে সংগীত জীবনের ইতি টানার ইঙ্গিত দেন এই শিল্পী। অস্ট্রেলিয়ায় একটি লাইভ কনসার্টে তাহসান জানান, ধীরে ধীরে সংগীত ক্যারিয়ার গুটিয়ে নিচ্ছেন।
রবিবার (৫ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি প্রযুক্তিভিত্তিক ইভেন্টে যোগ দেন তাহসান। এসময় তার কাছে জানতে চাওয়া হয়, আপনি বর্তমানে আলোচনার কেন্দ্রে আছেন। আমরা সবাই জানি, গান থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। আমি নিশ্চিত, আপনার ভক্তদের হৃদয় ভেঙে গেছে। আপনি কি এ বিষয়ে কিছু বলতে চান? এটাই কী আপনার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত?
আরো পড়ুন:
ঢাকায় দুই-একটা ইভেন্ট করেই সংগীতজীবনের ইতি টানবেন তাহসান
সংগীতকে বিদায় জানাচ্ছেন তাহসান, তসলিমা নাসরিনের প্রশ্ন
এ প্রশ্নের জবাবে তাহসান খান বলেন, “আমি নিশ্চিত নই যে, এই বিষয়ে কথা বলার জন্য এটি সঠিক মঞ্চ। কারণ মানুষ মঞ্চে আমার বলা কথার কেবল অংশবিশেষ নেয় এবং তা দিয়ে আরেকটি খবর তৈরি করে ফেলে। তাই আমাকে খুব সতর্ক থাকতে হয়—আমি কী বলছি। তবে একটি বড় বিষয় বলব, অনেক বছর আগে আমার ভাই আমাকে বলেছিলেন, ‘সংগীতশিল্পীদের জন্য মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিতে সময়কাল খুব সীমিত। কেন তুমি ঝুঁকি নিচ্ছ?’ আমি তখন লিভার ব্রাদার্সের চাকরি ছেড়ে প্রথম অ্যালবামের কাজ ধরেছি।”
খানিকটা ব্যাখ্যা করে তাহসান খান বলেন, “আমার ভাইয়ের কথা ছিল, ‘যেকোনো শিল্পীর মেয়াদকাল খুব কম। তুমি এই এরিয়াতে গেলে আবার তো ফেরত আসতে পারবে।’ সো আমি এটিকে অনুপ্রেরণা হিসেবে নিয়েছিলাম। আর্টিস্টের মেয়াদকাল কমও হতে পারে। কিন্তু আর্টিস্টকে তৈরি করা ‘আর্ট’ এর মেয়াদ তার বিদায়ের পরও থাকতে পারে।”
ভুলে যাওয়ার ক্ষতর চেয়ে মানুষের ভালোবাসা নিয়ে বিদায় নেওয়া শ্রেয় বলে মনে করেন তাহসান। তার ভাষায়, “আমার মনে হয়েছে, আমি ততটুকু সময়ই কাজ করব, যতক্ষণ পর্যন্ত মানুষের ভালোবাসার শিখরে থাকব, মানুষের ভালোবাসাটা পাব। কারণ আমি দেখেছি, অন্য ক্যারিয়ারে রিটায়ারমেন্ট আসে। কিন্তু এই ক্যারিয়ারটায় যেটা হয়, একটা সময় মানুষ ভুলে যায়। সুতরাং ভুলে যাওয়ার ক্ষতটার চেয়ে মানুষের ভালোবাসা নিয়ে বিদায় নেওয়াই ভালো।”
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান নাম নিয়ে যারা ইসলামের বিরুদ্ধে কাজ করে, তাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে
হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী বলেছেন, বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে বদদ্বীনি, কুফরি ও ভ্রান্ততার বিরুদ্ধে উলামায়ে কেরামকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। বিশেষ করে যারা মুসলমান নাম নিয়ে ইসলামের বিরুদ্ধে কাজ করে, তাদের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে হেফাজত আমির এ কথা বলেন। জাতীয় উলামা কাউন্সিল বাংলাদেশের আত্মপ্রকাশ উপলক্ষে ‘জাতীয় উলামা সম্মেলন-২০২৫’ শীর্ষক এই অনুষ্ঠানে তিনি প্রধান অতিথি ছিলেন।
জাতীয় উলামা কাউন্সিলের সভাপতি ও বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়ার মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন। তিনি বলেন, ‘অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, আগামী জাতীয় নির্বাচনে অনেক আলেম-উলামা অংশ নেবেন। আমরা পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, আগামী জাতীয় নির্বাচনে উলামায়ে কেরামের পরস্পরে প্রতিদ্বন্দ্বিতা কাম্য নয়।’
সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক বলেন, ‘ইসলামি রাজনীতিতে সব সময় প্রতিপক্ষের মুখোমুখি দাঁড়ানো যায় না। সঠিক সময়ের অপেক্ষা করে লক্ষ্য অর্জনের জন্য ভূমিকা রাখতে হয়। আজ ইসলামি রাজনীতির সোনালি সময় চলছে। আমরা যদি সুযোগ কাজে না লাগাই, তাহলে সামনে বড় ধরনের ভোগান্তি তৈরি হবে।’
মুন্সিগঞ্জের জামি’আ ইসলামিয়া হালীমিয়া মাদ্রাসার প্রধান ও মধুপুরের পীর মাওলানা আবদুল হামিদ বলেন, ‘আমরা প্রয়োজনে বাতিলের বিরুদ্ধে একসঙ্গে লড়তে লড়তে মরব, কিন্তু বিভক্ত হব না ইনশা আল্লাহ।’ তিনি বলেন, ১৬ নভেম্বরের কাদিয়ানিবিরোধী আন্দোলন শেষ হয়নি, শুরু হয়েছে মাত্র। সরকারকে সুযোগ দেওয়া হয়েছে, পরেরবার আর সুযোগ দেওয়া হবে না।
হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব মাওলানা সাজিদুর রহমান বলেন, ‘আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকব। যারা কাজ করতে চায়, তাদের বাধা দেব না। আমরা নিজেরা নিজেদের শত্রু হব না, ইনশা আল্লাহ।’
সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমাদ, জাতীয় উলামা কাউন্সিলের মহাসচিব মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ আইয়ুবী, মাওলানা নূরুল ইসলাম ওলিপুরী, মাওলানা সালাহুদ্দীন নানুপুরী, মাওলানা মুশতাক আহমদ প্রমুখ।