শ্রোতাপ্রিয় সংগীতশিল্পী তাহসান খান। দীর্ঘ দুই যুগের বেশি সময় ধরে সুরের জাদুতে সংগীতপ্রেমীদের মুগ্ধ করে আসছেন। কিছুদিন আগে সংগীত জীবনের ইতি টানার ইঙ্গিত দেন এই শিল্পী। অস্ট্রেলিয়ায় একটি লাইভ কনসার্টে তাহসান জানান, ধীরে ধীরে সংগীত ক্যারিয়ার গুটিয়ে নিচ্ছেন।  

রবিবার (৫ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি প্রযুক্তিভিত্তিক ইভেন্টে যোগ দেন তাহসান। এসময় তার কাছে জানতে চাওয়া হয়, আপনি বর্তমানে আলোচনার কেন্দ্রে আছেন। আমরা সবাই জানি, গান থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। আমি নিশ্চিত, আপনার ভক্তদের হৃদয় ভেঙে গেছে। আপনি কি এ বিষয়ে কিছু বলতে চান? এটাই কী আপনার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত?  

আরো পড়ুন:

ঢাকায় দুই-একটা ইভেন্ট করেই সংগীতজীবনের ইতি টানবেন তাহসান

সংগীতকে বিদায় জানাচ্ছেন তাহসান, তসলিমা নাসরিনের প্রশ্ন

এ প্রশ্নের জবাবে তাহসান খান বলেন, “আমি নিশ্চিত নই যে, এই বিষয়ে কথা বলার জন্য এটি সঠিক মঞ্চ। কারণ মানুষ মঞ্চে আমার বলা কথার কেবল অংশবিশেষ নেয় এবং তা দিয়ে আরেকটি খবর তৈরি করে ফেলে। তাই আমাকে খুব সতর্ক থাকতে হয়—আমি কী বলছি। তবে একটি বড় বিষয় বলব, অনেক বছর আগে আমার ভাই আমাকে বলেছিলেন, ‘সংগীতশিল্পীদের জন্য মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিতে সময়কাল খুব সীমিত। কেন তুমি ঝুঁকি নিচ্ছ?’ আমি তখন লিভার ব্রাদার্সের চাকরি ছেড়ে প্রথম অ্যালবামের কাজ ধরেছি।” 

খানিকটা ব্যাখ্যা করে তাহসান খান বলেন, “আমার ভাইয়ের কথা ছিল, ‘যেকোনো শিল্পীর মেয়াদকাল খুব কম। তুমি এই এরিয়াতে গেলে আবার তো ফেরত আসতে পারবে।’ সো আমি এটিকে অনুপ্রেরণা হিসেবে নিয়েছিলাম। আর্টিস্টের মেয়াদকাল কমও হতে পারে। কিন্তু আর্টিস্টকে তৈরি করা ‘আর্ট’ এর মেয়াদ তার বিদায়ের পরও থাকতে পারে।” 

ভুলে যাওয়ার ক্ষতর চেয়ে মানুষের ভালোবাসা নিয়ে বিদায় নেওয়া শ্রেয় বলে মনে করেন তাহসান। তার ভাষায়, “আমার মনে হয়েছে, আমি ততটুকু সময়ই কাজ করব, যতক্ষণ পর্যন্ত মানুষের ভালোবাসার শিখরে থাকব, মানুষের ভালোবাসাটা পাব। কারণ আমি দেখেছি, অন্য ক্যারিয়ারে রিটায়ারমেন্ট আসে। কিন্তু এই ক্যারিয়ারটায় যেটা হয়, একটা সময় মানুষ ভুলে যায়। সুতরাং ভুলে যাওয়ার ক্ষতটার চেয়ে মানুষের ভালোবাসা নিয়ে বিদায় নেওয়াই ভালো।”

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

মার্কস অলরাউন্ডার: সিলেট, নাটোর ও পাবনা অঞ্চলে কবে কোথায় প্রতিযোগিতা

বাংলাদেশের প্রতিভাবান শিশু-কিশোরদের খোঁজে দেশব্যাপী চলছে দেশের অন্যতম বড় প্ল্যাটফর্ম ‘মার্কস অলরাউন্ডার’ প্রতিযোগিতা। বরাবরের মতো এবারও সাড়া ফেলেছে আয়োজনটি। যা আঞ্চলিক, বিভাগীয় এবং জাতীয় পর্যায়—এ তিন ধাপে অনুষ্ঠিত হবে। বর্তমানে এর আঞ্চলিক পর্ব অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বাংলাদেশের সব স্কুল-কলেজ (প্লে গ্রুপ থেকে দ্বাদশ শ্রেণি) এবং সমমানের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীরা এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারবে।

ইতিমধ্যে চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, যশোর, মাগুরা, নোয়াখালী ও ফেনীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় প্রতিযোগিতা সম্পন্ন হয়েছে। পর্যায়ক্রমে দেশের ১০০টি স্থানে আঞ্চলিক পর্ব অনুষ্ঠিত হবে।

প্রতিযোগিতার গ্রুপ ও বিষয়  

প্লে থেকে চতুর্থ শ্রেণি—জুনিয়র স্কুল (গান, নাচ, অভিনয়, চিত্রাঙ্কন, আবৃত্তি, গল্প বলা); পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণি—মিডল স্কুল (গান, নাচ, অভিনয়, চিত্রাঙ্কন, আবৃত্তি, উপস্থিত বক্তৃতা) এবং নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি—হাই স্কুল ও কলেজ (গান, নাচ, অভিনয়, চিত্রাঙ্কন, আবৃত্তি, উপস্থিত বক্তৃতা।)

সিলেট, নাটোর ও পাবনা অঞ্চলের প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে শুক্রবার ও শনিবার (১০ ও ১১ অক্টোবর)। নিম্নলিখিত প্রতিটি ভেন্যুতে সকাল আটটা থেকে শুরু হবে প্রতিযোগিতা।
তারিখ: ১০ অক্টোবর, শুক্রবার
ভেন্যু: পাঠানটুলা দ্বিপাক্ষিক উচ্চবিদ্যালয়, সিলেট।

যে এলাকার শিক্ষার্থীরা অংশ নেবে: সিলেট জেলা সদরের একাংশ (মিরের ময়দান, বাগবাড়ি, মদিনা মার্কেট, আখালিয়া, নেহারিপাড়া, টুকেরবাজার, বাধাঘাট), জালালাবাদ থানা, বিমানবন্দর থানা, গোয়াইনঘাট থানা ও কোম্পানীগঞ্জ থানা।
ভেন্যু: কিশোরী মোহন বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, নয়াসড়ক, সিলেট।
যে এলাকার শিক্ষার্থীরা অংশ নেবে: সিলেটের শাহপরান থানা, জৈন্তাপুর থানা ও সদরের একাংশ (নয়াসড়ক, জেল রোড, মিরাবাজার, চৌহাট্টা, শাহি ঈদগাহ, বালুচর, শিবগঞ্জ, বন্দরবাজার)।
ভেন্যু: নবাব সিরাজ-উদ্-দৌলা সরকারি কলেজ, সদর উপজেলা, নাটোর।
যে এলাকার শিক্ষার্থীরা অংশ নেবে: নাটোর জেলার শিক্ষার্থীরা।
তারিখ: ১১ অক্টোবর, শনিবার
ভেন্যু: দ্য এইডেড হাই স্কুল, তাঁতিপাড়া, জিন্দাবাজার, সিলেট।

যে এলাকার শিক্ষার্থীরা অংশ নেবে: সিলেট সদরের একাংশ (মেডিকেল রোড, কাজলশাহ, রিকাবীবাজার, নবাব রোড, শেখঘাট, লামাবাজার, জিন্দাবাজার, ভাতালিয়া, ঘাসিটুলা, শামিমাবাদ), কানাইঘাট ও জকিগঞ্জ থানা।
ভেন্যু: লালাবাজার দ্বিপাক্ষিক উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজ, দক্ষিণ সুরমা, সিলেট।

যে এলাকার শিক্ষার্থীরা অংশ নেবে: দক্ষিণ সুরমা, বিশ্বনাথ, বালাগঞ্জ, বিয়ানীবাজার, গোয়ালাবাজার, শেরপুর, জগন্নাথপুর, গোলাপগঞ্জ, ওসমানীনগর ও ফেঞ্চুগঞ্জ থানা।
ভেন্যু: রাধানগর মজুমদার একাডেমি স্কুল অ্যান্ড কলেজ (আর এম স্কুল), লম্বাপাড়া রোড, পাবনা।

যে এলাকার শিক্ষার্থীরা অংশ নেবে: পাবনা জেলা।

পুরস্কার

মার্কস অলরাউন্ডারে তিনটি গ্রুপ থেকে সেরা তিন অলরাউন্ডারের প্রত্যেকে পাবে ১৫ লাখ টাকার শিক্ষাবৃত্তি। আর বিভিন্ন পর্যায়ের বিজয়ীরা পাবে মোট ১ কোটি টাকার বেশি উপহার ও শিক্ষাবৃত্তি।

গ্র্যান্ড ফিনালেতে তিনটি গ্রুপের ফার্স্ট রানার্সআপ এবং সেকেন্ড রানার্সআপের প্রত্যেকে পাবে ৫ লাখ এবং ৩ লাখ টাকার শিক্ষাবৃত্তি। তিনটি গ্রুপের ছয়টি বিষয়ের প্রতিটিতে সেরা ৩ জন করে মোট ৫৪ জন সেরা পারফরমারের প্রত্যেকে পাবে যথাক্রমে স্বর্ণ, রৌপ্য ও ব্রোঞ্জপদক। জাতীয় পর্যায়ে তিনটি গ্রুপের চ্যাম্পিয়নদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পাবে একটি করে কম্পিউটার।

আয়োজকেরা জানান, ‘মার্কস অলরাউন্ডার’ কেবল একটি প্রতিযোগিতা নয়। এটি বাংলাদেশের শিশু-কিশোরদের প্রতিভা মেধা, সংস্কৃতি ও আত্মবিশ্বাস যাচাইয়ের দেশের অন্যতম বড় প্ল্যাটফর্ম। আঞ্চলিক থেকে জাতীয় পর্যায়ে এই প্রতিযোগিতা প্রতে৵ক অংশগ্রহণকারীর জন্য নতুনভাবে শেখার ও বেড়ে ওঠার সুযোগ তৈরি করছে।
বিস্তারিত জানতে এবং রেজিস্ট্রেশন করতে ভিজিট করতে হবে। ফোন করা যাবে (সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা) ০৯৬১৪৫১৬১৭১ নম্বরে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ