পবিত্র কুরআন অবমাননাকারীর শাস্তির দাবিতে কুয়েটে বিক্ষোভ
Published: 6th, October 2025 GMT
নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে পবিত্র কুরআন অবমাননার প্রতিবাদে এবং অবমাননাকারীর শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ করেছে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) শিক্ষার্থীরা।
রবিবার (৫ আগস্ট) রাত ১০টার সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার সেন্টার থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন বিক্ষুব্ধ ধর্মপ্রাণ শিক্ষার্থীরা। কুরআন অবমাননার প্রতিবাদে পবিত্র কুরআন থেকে তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে তারা বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচি শুরু করেন।
আরো পড়ুন:
খুবিতে পূজার ছুটি বাড়ানোর দাবিতে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন
খুবির অধীনে মৎস্য বীজ খামার অন্তর্ভুক্তির দাবি
মিছিলটি স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার সেন্টার থেকে ফুলবাড়ি গেট হয়ে কুয়েট উডে এসে সমাপ্ত হয়। মিছিলে শিক্ষার্থীরা- ‘শাহজালালের বাংলায়, ইসলাম বিদ্বেষের ঠাঁই নাই’, ‘মানসিক ভারসাম্যের কথা বলে, ইসলামে বিষ ঢালে’, ‘ইসলামের অপমান, সইবে নারে মুসলমান’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।
বিক্ষোভ মিছিল শেষে শিক্ষার্থীরা বলেন, বর্তমান আইন অনুযায়ী ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করলেও খুব একটা শাস্তি নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। এই আইনের ফাঁক দিয়ে তসলিমা নাসরিন, আসাদ নুরসহ অসংখ্য ধর্ম অবমাননাকারীর যথাযথ শাস্তি নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি। তারা এখনো ধর্ম নিয়ে কুৎসা রটিয়ে চলেছে। সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানের দেশে মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার পরেও যথাযথ শাস্তি নিশ্চিত না করা গেলে সেটা বড় কোনো অঘটন সৃষ্টির কারণ হতে পারে।”
শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে আইনের সংশোধন করে ধর্ম অবমাননাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির বিধান বাস্তবায়নের দাবি জানানো হয়।
শনিবার (৪ অক্টোবর) দিবাগত রাতে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অপূর্ব পাল কর্তৃক কুরআন অবমাননার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই শিক্ষার্থীদের মাঝে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাকে পুলিশে সোপর্দ করে এবং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করে।
ঢাকা/সাকিব/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান নাম নিয়ে যারা ইসলামের বিরুদ্ধে কাজ করে, তাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে
হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী বলেছেন, বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে বদদ্বীনি, কুফরি ও ভ্রান্ততার বিরুদ্ধে উলামায়ে কেরামকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। বিশেষ করে যারা মুসলমান নাম নিয়ে ইসলামের বিরুদ্ধে কাজ করে, তাদের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে হেফাজত আমির এ কথা বলেন। জাতীয় উলামা কাউন্সিল বাংলাদেশের আত্মপ্রকাশ উপলক্ষে ‘জাতীয় উলামা সম্মেলন-২০২৫’ শীর্ষক এই অনুষ্ঠানে তিনি প্রধান অতিথি ছিলেন।
জাতীয় উলামা কাউন্সিলের সভাপতি ও বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়ার মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন। তিনি বলেন, ‘অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, আগামী জাতীয় নির্বাচনে অনেক আলেম-উলামা অংশ নেবেন। আমরা পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, আগামী জাতীয় নির্বাচনে উলামায়ে কেরামের পরস্পরে প্রতিদ্বন্দ্বিতা কাম্য নয়।’
সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক বলেন, ‘ইসলামি রাজনীতিতে সব সময় প্রতিপক্ষের মুখোমুখি দাঁড়ানো যায় না। সঠিক সময়ের অপেক্ষা করে লক্ষ্য অর্জনের জন্য ভূমিকা রাখতে হয়। আজ ইসলামি রাজনীতির সোনালি সময় চলছে। আমরা যদি সুযোগ কাজে না লাগাই, তাহলে সামনে বড় ধরনের ভোগান্তি তৈরি হবে।’
মুন্সিগঞ্জের জামি’আ ইসলামিয়া হালীমিয়া মাদ্রাসার প্রধান ও মধুপুরের পীর মাওলানা আবদুল হামিদ বলেন, ‘আমরা প্রয়োজনে বাতিলের বিরুদ্ধে একসঙ্গে লড়তে লড়তে মরব, কিন্তু বিভক্ত হব না ইনশা আল্লাহ।’ তিনি বলেন, ১৬ নভেম্বরের কাদিয়ানিবিরোধী আন্দোলন শেষ হয়নি, শুরু হয়েছে মাত্র। সরকারকে সুযোগ দেওয়া হয়েছে, পরেরবার আর সুযোগ দেওয়া হবে না।
হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব মাওলানা সাজিদুর রহমান বলেন, ‘আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকব। যারা কাজ করতে চায়, তাদের বাধা দেব না। আমরা নিজেরা নিজেদের শত্রু হব না, ইনশা আল্লাহ।’
সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমাদ, জাতীয় উলামা কাউন্সিলের মহাসচিব মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ আইয়ুবী, মাওলানা নূরুল ইসলাম ওলিপুরী, মাওলানা সালাহুদ্দীন নানুপুরী, মাওলানা মুশতাক আহমদ প্রমুখ।