ধর্ম অবমাননার বিচারে নতুন আইন দাবি জবি শিক্ষার্থীদের
Published: 6th, October 2025 GMT
নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রের বিরুদ্ধে পবিত্র কুরআন শরীফ অবমাননার বিচার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা। তারা দায়ীদের দ্রুত ও সুষ্ঠু বিচারের পাশাপাশি ধর্ম অবমাননার জন্য সরকারের নিকট একটি পৃথক ও কঠোর আইন বাস্তবায়নের দাবি জানান।
সোমবার (৬ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের মসজিদের প্রাঙ্গণ থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। মিছিলে শিক্ষার্থীরা প্ল্যাকার্ড, স্লোগান ও প্রাণবন্ত বাণী উপস্থাপন করেন।
আরো পড়ুন:
চার বছর ধরে বন্ধ দৃষ্টিহীনদের শিক্ষালয়
ছুটি শেষে জাবি শিক্ষার্থীদের নির্বিঘ্নে ফেরা নিশ্চিতে কন্ট্রোল রুম চালু
তারা ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাস্কর্য চত্বরের সামনে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হন।
সমাবেশে পরিসংখ্যান বিভাগের ছাত্র বায়তুল হক বলেন, “ইসলাম আমাদের আবেগের জায়গা। এখানে কেউ আঘাত করলে আমরা চুপ করে থাকব না। কুরআন শরীফ ও নবীর অবমাননা আমরা মেনে নেব না। সেই অপমানের যথোচিত জবাব দেবেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা।”
শাখা ইসলামি ছাত্রশিবিরের সাংগঠনিক সম্পাদক মো.
শিবিরের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলিম আরিফ বলেন, “শেখ হাসিনা তার বাবার হত্যাকারীদের আজীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন, কিন্তু নবী (সা.)-কে অপমান করার শাস্তি সংক্রান্ত কোনো স্বতন্ত্র আইন নেই। ইন্টারিম সরকার যদি ৯০ শতাংশ মুসলমানের আকাঙ্ক্ষা বিবেচনা করে ব্লাসফেমি আইন প্রণয়ন করে, তাতে এই ধরনের অপমানের বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিরোধ গড়ে উঠবে।”
তিনি বলেন, “নতুন আইনে ধর্ম অবমাননার শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ডের বিধান রাখায় নজীর স্থাপিত হলে কেউ আর এ ধরনের দুঃসাহস করবে না।
সামাজিক মাধ্যমে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রের নামে কুরআন শরীফ অবমাননার একটি ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর দেশব্যাপী ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। উল্লেখিত ঘটনার পর পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে।
ঢাকা/লিমন/মেহেদী
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান নাম নিয়ে যারা ইসলামের বিরুদ্ধে কাজ করে, তাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে
হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী বলেছেন, বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে বদদ্বীনি, কুফরি ও ভ্রান্ততার বিরুদ্ধে উলামায়ে কেরামকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। বিশেষ করে যারা মুসলমান নাম নিয়ে ইসলামের বিরুদ্ধে কাজ করে, তাদের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে হেফাজত আমির এ কথা বলেন। জাতীয় উলামা কাউন্সিল বাংলাদেশের আত্মপ্রকাশ উপলক্ষে ‘জাতীয় উলামা সম্মেলন-২০২৫’ শীর্ষক এই অনুষ্ঠানে তিনি প্রধান অতিথি ছিলেন।
জাতীয় উলামা কাউন্সিলের সভাপতি ও বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়ার মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন। তিনি বলেন, ‘অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, আগামী জাতীয় নির্বাচনে অনেক আলেম-উলামা অংশ নেবেন। আমরা পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, আগামী জাতীয় নির্বাচনে উলামায়ে কেরামের পরস্পরে প্রতিদ্বন্দ্বিতা কাম্য নয়।’
সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক বলেন, ‘ইসলামি রাজনীতিতে সব সময় প্রতিপক্ষের মুখোমুখি দাঁড়ানো যায় না। সঠিক সময়ের অপেক্ষা করে লক্ষ্য অর্জনের জন্য ভূমিকা রাখতে হয়। আজ ইসলামি রাজনীতির সোনালি সময় চলছে। আমরা যদি সুযোগ কাজে না লাগাই, তাহলে সামনে বড় ধরনের ভোগান্তি তৈরি হবে।’
মুন্সিগঞ্জের জামি’আ ইসলামিয়া হালীমিয়া মাদ্রাসার প্রধান ও মধুপুরের পীর মাওলানা আবদুল হামিদ বলেন, ‘আমরা প্রয়োজনে বাতিলের বিরুদ্ধে একসঙ্গে লড়তে লড়তে মরব, কিন্তু বিভক্ত হব না ইনশা আল্লাহ।’ তিনি বলেন, ১৬ নভেম্বরের কাদিয়ানিবিরোধী আন্দোলন শেষ হয়নি, শুরু হয়েছে মাত্র। সরকারকে সুযোগ দেওয়া হয়েছে, পরেরবার আর সুযোগ দেওয়া হবে না।
হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব মাওলানা সাজিদুর রহমান বলেন, ‘আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকব। যারা কাজ করতে চায়, তাদের বাধা দেব না। আমরা নিজেরা নিজেদের শত্রু হব না, ইনশা আল্লাহ।’
সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমাদ, জাতীয় উলামা কাউন্সিলের মহাসচিব মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ আইয়ুবী, মাওলানা নূরুল ইসলাম ওলিপুরী, মাওলানা সালাহুদ্দীন নানুপুরী, মাওলানা মুশতাক আহমদ প্রমুখ।