পাচার হওয়া অর্থ উদ্ধারে ১২ আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ব্যাংকগুলোকে চুক্তির নির্দেশ বাংলাদেশ
Published: 6th, October 2025 GMT
পাচার হওয়া অর্থ দেশে ফেরাতে ১২টি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ব্যাংকগুলোকে চুক্তি করতে নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আইনি সহায়তার জন্য বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে এসব আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করতে বলা হয়েছে।
সোমবার (৬ অক্টোবর) বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুরের সঙ্গে দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং শীর্ষ কর্মকর্তাদের বৈঠকের এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
আরো পড়ুন:
ইসলামী ব্যাংকে ‘অবৈধ’ নিয়োগ বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন
ইসলামী ব্যাংকের ফেসবুক পেজ উদ্ধার
বৈঠক শেষে ইসলামী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী ওমর ফারুক খান সাংবাদিকদের জানান, বিদেশে পাচার হওয়া টাকা দেশে ফেরাতে ১২টি আন্তর্জাতিক আইন ও সম্পদ পুনরুদ্ধার প্রতিষ্ঠানকে সম্পৃক্ত করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে দেশের ব্যাংকগুলোর চুক্তি করতে হবে। কিছু ব্যাংক লিড ব্যাংক হিসেবে কাজ করবে এবং অন্যদের নিয়ে কনসোর্টিয়াম গঠন করে এসব ফার্মের সঙ্গে চুক্তি করবে। পাচারের অর্থ ফেরত আসলে সেটা কোথায় জমা হবে, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এবি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিজানুর রহমান বলেন, “এই উদ্যোগে কোনো নির্দিষ্ট ব্যাংক নয়, বরং সব ব্যাংক মিলেই যৌথভাবে কাজ করবে। বৈঠকে প্রায় ৩০টি ব্যাংকের প্রতিনিধি অংশ নিয়েছেন।”
পূবালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আলী বলেন, “মানি লন্ডারিং প্রতিরোধে বাংলাদেশ ব্যাংক ১২টি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের নাম দিয়েছে। যারা অর্থ পাচার রোধে সহায়তা করবে। চুক্তি অনুযায়ী আইনি সহায়তা দেবে। তাদের সঙ্গে চুক্তি করে বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ ফেরানোর কাজ শুরু করার বিষয়ে বৈঠকের আলোচনা হয়েছে।”
এর আগে বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ উদ্ধারে বাংলাদেশ ব্যাংক চারটি আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে কাজ করছে। প্রতিষ্ঠানগুলো হলো-স্টোলেন অ্যাসেট রিকভারি, আন্তর্জাতিক দুর্নীতি সমন্বয় কেন্দ্র, যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ ও আন্তর্জাতিক সম্পদ পুনরুদ্ধার কেন্দ্র। এসব সংস্থা তথ্য সংগ্রহে অগ্রগতি অর্জন করেছে এবং এখন আইনি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে জানা গেছে।
ঢাকা/নাজমুল/সাইফ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প চ র হওয়
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান নাম নিয়ে যারা ইসলামের বিরুদ্ধে কাজ করে, তাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে
হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী বলেছেন, বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে বদদ্বীনি, কুফরি ও ভ্রান্ততার বিরুদ্ধে উলামায়ে কেরামকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। বিশেষ করে যারা মুসলমান নাম নিয়ে ইসলামের বিরুদ্ধে কাজ করে, তাদের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে হেফাজত আমির এ কথা বলেন। জাতীয় উলামা কাউন্সিল বাংলাদেশের আত্মপ্রকাশ উপলক্ষে ‘জাতীয় উলামা সম্মেলন-২০২৫’ শীর্ষক এই অনুষ্ঠানে তিনি প্রধান অতিথি ছিলেন।
জাতীয় উলামা কাউন্সিলের সভাপতি ও বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়ার মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন। তিনি বলেন, ‘অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, আগামী জাতীয় নির্বাচনে অনেক আলেম-উলামা অংশ নেবেন। আমরা পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, আগামী জাতীয় নির্বাচনে উলামায়ে কেরামের পরস্পরে প্রতিদ্বন্দ্বিতা কাম্য নয়।’
সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক বলেন, ‘ইসলামি রাজনীতিতে সব সময় প্রতিপক্ষের মুখোমুখি দাঁড়ানো যায় না। সঠিক সময়ের অপেক্ষা করে লক্ষ্য অর্জনের জন্য ভূমিকা রাখতে হয়। আজ ইসলামি রাজনীতির সোনালি সময় চলছে। আমরা যদি সুযোগ কাজে না লাগাই, তাহলে সামনে বড় ধরনের ভোগান্তি তৈরি হবে।’
মুন্সিগঞ্জের জামি’আ ইসলামিয়া হালীমিয়া মাদ্রাসার প্রধান ও মধুপুরের পীর মাওলানা আবদুল হামিদ বলেন, ‘আমরা প্রয়োজনে বাতিলের বিরুদ্ধে একসঙ্গে লড়তে লড়তে মরব, কিন্তু বিভক্ত হব না ইনশা আল্লাহ।’ তিনি বলেন, ১৬ নভেম্বরের কাদিয়ানিবিরোধী আন্দোলন শেষ হয়নি, শুরু হয়েছে মাত্র। সরকারকে সুযোগ দেওয়া হয়েছে, পরেরবার আর সুযোগ দেওয়া হবে না।
হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব মাওলানা সাজিদুর রহমান বলেন, ‘আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকব। যারা কাজ করতে চায়, তাদের বাধা দেব না। আমরা নিজেরা নিজেদের শত্রু হব না, ইনশা আল্লাহ।’
সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমাদ, জাতীয় উলামা কাউন্সিলের মহাসচিব মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ আইয়ুবী, মাওলানা নূরুল ইসলাম ওলিপুরী, মাওলানা সালাহুদ্দীন নানুপুরী, মাওলানা মুশতাক আহমদ প্রমুখ।