সিদ্ধিরগঞ্জে র‌্যাবের ওপর হামলার ঘটনায় শীর্ষ সন্ত্রাসী সাহেব আলীর ছয়জন ঘনিষ্ঠ সহযোগীকে গাজীপুর থেকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। সোমবার (৬ অক্টোবর) সকাল ১০টায় গাজীপুর মহানগর থানাধীন চান্দুরা বড়বাড়ি এলাকায় র‌্যাব-১১ ও র‌্যাব-১ এর যৌথ অভিযানে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

সোমবার (৬ অক্টোবর) দুপুরে র‌্যাব-১১'র কোম্পানি কমান্ডার মো.

নাঈম উল হক স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

র‌্যাব জানায়, গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন— সজীব (১৯), হাফিজ শেখ (২৩), কল্পনা বেগম (২৯), আমিনুল ইসলাম (৩৪), আকবর (২০) ও শামীম মিয়া (২৬)। এরা সকলেই সিদ্ধিরগঞ্জের আটি ও হাউজিং ওয়াপদা কলোনি এলাকার বাসিন্দা এবং সাহেব আলীর ঘনিষ্ঠ সহযোগী।

অভিযানকালে তাদের কাছ থেকে ১৫টি স্মার্টফোন, কয়েকটি বাটন ফোন, একটি খেলনা পিস্তল, দুটি ড্রাইভিং লাইসেন্স ও চারটি সাবল উদ্ধার করা হয়।

র‌্যাবের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সিদ্ধিরগঞ্জের শীর্ষ সন্ত্রাসী সাহেব আলী দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও মাদক ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিল। তার বিরুদ্ধে হত্যা, ডাকাতি ও অস্ত্রসহ অন্তত এক ডজন মামলা রয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশের কাছ থেকে সাহেব আলীকে গ্রেপ্তারের জন্য র‌্যাব-১১র কাছে অধিযাচন পত্র পাঠায়। এরই প্রেক্ষিতে র‌্যাব-১১ সাহেব আলীকে গ্রেপ্তারে অভিযান চালালে সে ও তার সহযোগীরা র‌্যাব সদস্যদের ওপর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়।

তারা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে র‌্যাবের কয়েকজন সদস্যকে গুরুতর আহত করে। আহত সদস্যদের পরবর্তীতে খানপুর ৩০০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শীর্ষ সন্ত্রাসী সাহেব আলীকে ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছে র‌্যাব। 

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ শ র ষ সন ত র স স দ ধ রগঞ জ স হ ব আল সহয গ

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান নাম নিয়ে যারা ইসলামের বিরুদ্ধে কাজ করে, তাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে

হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী বলেছেন, বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে বদদ্বীনি, কুফরি ও ভ্রান্ততার বিরুদ্ধে উলামায়ে কেরামকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। বিশেষ করে যারা মুসলমান নাম নিয়ে ইসলামের বিরুদ্ধে কাজ করে, তাদের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে হেফাজত আমির এ কথা বলেন। জাতীয় উলামা কাউন্সিল বাংলাদেশের আত্মপ্রকাশ উপলক্ষে ‘জাতীয় উলামা সম্মেলন-২০২৫’ শীর্ষক এই অনুষ্ঠানে তিনি প্রধান অতিথি ছিলেন।

জাতীয় উলামা কাউন্সিলের সভাপতি ও বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়ার মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন। তিনি বলেন, ‘অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, আগামী জাতীয় নির্বাচনে অনেক আলেম-উলামা অংশ নেবেন। আমরা পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, আগামী জাতীয় নির্বাচনে উলামায়ে কেরামের পরস্পরে প্রতিদ্বন্দ্বিতা কাম্য নয়।’

সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক বলেন, ‘ইসলামি রাজনীতিতে সব সময় প্রতিপক্ষের মুখোমুখি দাঁড়ানো যায় না। সঠিক সময়ের অপেক্ষা করে লক্ষ্য অর্জনের জন্য ভূমিকা রাখতে হয়। আজ ইসলামি রাজনীতির সোনালি সময় চলছে। আমরা যদি সুযোগ কাজে না লাগাই, তাহলে সামনে বড় ধরনের ভোগান্তি তৈরি হবে।’

মুন্সিগঞ্জের জামি’আ ইসলামিয়া হালীমিয়া মাদ্রাসার প্রধান ও মধুপুরের পীর মাওলানা আবদুল হামিদ বলেন, ‘আমরা প্রয়োজনে বাতিলের বিরুদ্ধে একসঙ্গে লড়তে লড়তে মরব, কিন্তু বিভক্ত হব না ইনশা আল্লাহ।’ তিনি বলেন, ১৬ নভেম্বরের কাদিয়ানিবিরোধী আন্দোলন শেষ হয়নি, শুরু হয়েছে মাত্র। সরকারকে সুযোগ দেওয়া হয়েছে, পরেরবার আর সুযোগ দেওয়া হবে না।

হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব মাওলানা সাজিদুর রহমান বলেন, ‘আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকব। যারা কাজ করতে চায়, তাদের বাধা দেব না। আমরা নিজেরা নিজেদের শত্রু হব না, ইনশা আল্লাহ।’

সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমাদ, জাতীয় উলামা কাউন্সিলের মহাসচিব মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ আইয়ুবী, মাওলানা নূরুল ইসলাম ওলিপুরী, মাওলানা সালাহুদ্দীন নানুপুরী, মাওলানা মুশতাক আহমদ প্রমুখ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ