চলতি বছরের আগস্টের তুলনায় সেপ্টেম্বরে দেশে খুন, ডাকাতি ও মাদক আইনের মামলাসহ বেশ কিছু অপরাধের মামলার সংখ্যা কমেছে। তবে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, দ্রুত বিচার ও অন্যান্য কারণে হওয়া মামলার সংখ্যা কিছুটা বেড়েছে।

পুলিশ সদর দপ্তরের তুলনামূলক অপরাধ সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সেপ্টেম্বর মাসে দেশে মোট মামলা হয়েছে ১৫ হাজার ৪৩১টি, যা আগস্ট মাসের চেয়ে ২২৫টি কম।

তথ্য অনুযায়ী, সেপ্টেম্বর মাসে খুনের ঘটনা ঘটেছে ২৯৭টি, যা আগস্টের তুলনায় ২৪টি কম। ডাকাতির মামলা কমেছে ১২টি, আগস্টে ৬২টি থেকে সেপ্টেম্বর মাসে এ সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫০। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা কমেছে ২৭৫টি—আগস্টে ছিল ৪ হাজার ৮৬৩টি, সেপ্টেম্বর মাসে ৪ হাজার ৫৮৮টি। চুরি, সিঁধেল চুরি ও পুলিশের ওপর আক্রমণের অভিযোগে মামলার সংখ্যাও কিছুটা কমেছে। সেপ্টেম্বরে চুরির মামলা হয়েছে ৮৮৮টি, যা আগের মাসের চেয়ে ৮৮টি কম। সিঁধেল চুরির ঘটনায় মামলা ১৬টি কমে হয়েছে ২৯৫ এবং পুলিশের ওপর আক্রমণের অভিযোগে মামলার সংখ্যা আগস্ট মাসের তুলনায় গত মাসে ৮টি কমেছে। সেপ্টেম্বরে এ সংখ্যা হয়েছে ৪৩।

অন্যদিকে নারী ও শিশু নির্যাতনের অভিযোগে মামলা আগস্টে ছিল ১ হাজার ৯০৪টি, সেপ্টেম্বর মাসে বেড়ে হয়েছে ১ হাজার ৯২৮টি। দ্রুত বিচার আইনে মামলা আগস্ট মাসের চেয়ে ২৬টি বেড়ে হয়েছে গত মাসে হয়েছে ৯২। এবং দাঙ্গাসংক্রান্ত মামলা ১টি বেড়ে হয়েছে ৩টি। আর অপহরণের মামলা গত মাসে আগের মাসের চেয়ে ৬টি বেড়ে হয়েছে ৯৬টি।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: স প ট ম বর ম স আগস ট

এছাড়াও পড়ুন:

দুদকের মামলায় বরগুনা জেলা প্রশাসনের সাবেক নাজির কারাগারে

অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় বরগুনা জেলা প্রশাসনের সাবেক নাজির মোহাম্মদ আল মাসুদ করিমকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

তবে সাবেক নাজির মোহাম্মদ আল মাসুদ করিমের স্ত্রী খাদিজা আক্তারকে জামিন প্রদান করেন আদালত। 

আরো পড়ুন:

বাগেরহাটে সাংবাদিক হায়াত উদ্দিন হত্যা: মামলা দায়ের

রামগঞ্জে সংঘর্ষ ও গুলিবর্ষণের ঘটনায় মামলা

সোমবার (৬ অক্টোবর) দুপুরে বরগুনার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. সাইফুর রহমান এ আদেশ দেন।

এর আগে, গত ১১ সেপ্টেম্বর অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মোহাম্মদ আল মাসুদ করিম ও তার স্ত্রী খাদিজা আক্তারের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। আদালত অভিযোগপত্র গ্রহণ করে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। 

পরে সোমবার আদালতে হাজির হয়ে তারা জামিন আবেদন করলে আদালত মোহাম্মদ আল মাসুদ করীমকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, দুদক পটুয়াখালীর সমন্বিত কার্যালয়ের অনুসন্ধানে মাসুদের গ্রহণযোগ্য আয় পাওয়া যায় ৫৪ লাখ ৭৪ হাজার ৬০২ টাকা। যেখানে তার নিজের নামে ২ কোটি ২ লাখ ৬১ হাজার ২০২ টাকার সম্পদ ও স্ত্রী খাদিজা আক্তারের নামে ২২ লাখ ৭ হাজার ১৫৫ টাকার সম্পদের তথ্য পাওয়া যায়।

এছাড়া ৩২ লাখ ৫৯ হাজার ৯৯৩ টাকা ঋণ বাদে তার নিজ নামে ও স্ত্রীর নামে অর্জিত নিট সম্পদ পাওয়া গেছে ১ কোটি ৯২ লাখ ৮ হাজার ৩৬৪ টাকা। তিনি পারিবারিক ব্যয় দেখিয়েছেন ২৫ লাখ ৫৪ হাজার ১৪৩ টাকা। 

তদন্তে মাসুদের ও স্ত্রীর নামে অর্জিত মোট সম্পদের মূল্য ২ কোটি ১৭ লাখ ৬২ হাজার ৫০৭ টাকা পাওয়া গেছে। এছাড়া ৫৪ লাখ ৭৪ হাজার ৬০২ টাকা আয় ব্যতীত তার নিজ ও স্ত্রীর নামে অর্জিত জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদের মূল্য ১ কোটি ৬২ লাখ ৮৭ হাজার ৯০৫ টাকা পাওয়া গেছে। 

অন্যদিকে, আসামি মোহাম্মদ আল মাসুদ করিমের দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে তিনি ৪১ লাখ ৬৭ হাজার ৮৩২ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্য দিয়েছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে বরগুনার জেলা পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট মো. নুরুল আমিন জানান, এ মামলায় অভিযোগপত্র গ্রহণের সময় আদালত মোহাম্মদ আল মাসুদ করিম ও তার স্ত্রী খাদিজা আক্তারের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। আজ তারা উভয়ে আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন।”

তিনি বলেন, “শুনানি শেষে আদালত মোহাম্মদ আল মাসুদ করিমের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। তবে তার স্ত্রী খাদিজা আক্তারের জামিন মঞ্জুর করেন।”

ঢাকা/ইমরান/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ