রাকসু: অভিনব সাজে নির্বাচনী প্রচারে এক প্রার্থী
Published: 6th, October 2025 GMT
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনের মাঠে বিভিন্ন পদের প্রার্থীরা পোস্টার, লিফলেট দিয়ে প্রচার চালাচ্ছে। এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম ছাত্রদল মনোনিত ‘ঐক্যবদ্ধ নতুন প্রজন্ম' প্যানেলের সংসস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক পদপ্রার্থী আব্দুল্লাহ আল কাফী। তিনি নবাব সিরাজউদ্দৌলার সাজে নির্বাচনী প্রচার করে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।
সোমবার (৬ অক্টোবর) ক্যাম্পাসের বিভিন্ন পয়েন্টে নবাব সিরাজউদ্দৌলার সাজে প্রচার চালাতে দেখা যায় তাকে।
আরো পড়ুন:
রাবির ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার তারিখ চূড়ান্ত
ফ্লোটিলায় ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদে রাবিতে মানববন্ধন
এ অভিনব সাজে প্রচার চালানোর কারণ জানতে চাইলে কাফী বলেন, “নবাব সিরাজউদ্দৌলা ছিলেন বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব। তিনি সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছিলেন বাংলার স্বাধীনতা রক্ষা করতে। কিন্তু নানা ষড়যন্ত্রের কারণে পরাজিত হন। আজ আমি তার সাজে শুধুই প্রচার চালাতে আসিনি, এসেছি এক ধরনের প্রতিবাদের জায়গা থেকে।”
তিনি বলেন, “মনে হচ্ছে, আমাদের বর্তমান সংস্কৃতির ওপর আবারো কোনো লর্ড ক্লাইভের আক্রমণ নেমে এসেছে। সেই প্রতিরোধের প্রতীক হিসেবেই আমি ভোটারদের কাছে এসেছি। যেন পলাশীর যুদ্ধে নবাব হেরে গেলেও, এই নির্বাচনে আমায় যেন তারা হারতে না দেন। নির্বাচিত হতে পারলে আমি ক্যাম্পাসে মুক্ত ও প্রগতিশীল সংস্কৃতির চর্চা আবারো জোরদার করতে চাই।”
প্রায় ৩ যুগ পর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া রাকসু নির্বাচনের তারিখ চারবার পরিবর্তনের পর আগামী ১৬ অক্টোবর নির্ধারণ করা হয়েছে। দুর্গাপূজার ছুটি শেষে এ নির্বাচনকে সামনে জোরেশোরেই নির্বাচনী প্রচার চালাচ্ছেন বিভিন্ন পদের প্রার্থীরা।
ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
খুলনায় ব্যবসায়ীকে গুলি করে হত্যা, পুলিশ বলছে তিনি ‘গ্রেনেড বাবু’র সহযোগী
খুলনা নগরে ইমরান মুন্সি (৩৫) নামের এক ব্যবসায়ীকে মাথায় গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। পুলিশ বলছে, তিনি খুলনার শীর্ষ সন্ত্রাসী ‘গ্রেনেড বাবু’ গ্রুপের সক্রিয় সদস্য ছিলেন। প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসীরা তাঁর মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে গুলি করে হত্যা করে।
আজ সোমবার রাত পৌনে ৮টার দিকে নগরের ২ নম্বর কাস্টমঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত ইমরান মাদারীপুরের মুন্সীবাড়ির বাবুল মুন্সীর ছেলে। তিনি খুলনা নগরের মুন্সীপাড়ার দ্বিতীয় গলিতে ভাড়ায় থাকতেন এবং ইট–বালুর ব্যবসা করতেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রাত পৌনে ৮টার দিকে ইমরান নতুনবাজার এলাকার দিকে যাচ্ছিলেন। পথে মোটরসাইকেলে আসা তিন যুবক তাঁর গতি রোধ করে এবং পিস্তল ঠেকিয়ে মাথায় গুলি করে। স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। তবে পৌঁছানোর আগেই তাঁর মৃত্যু হয়।
হত্যাকাণ্ডের খবর পেয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। খুলনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ইমরান মুন্সি খুলনার শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রেনেড বাবু গ্রুপের সক্রিয় সদস্য ছিলেন। গ্রেনেড বাবুর অন্যতম সহযোগী ‘কাউয়া মিরাজের’ সঙ্গে তাঁর ওঠাবসা ছিল। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, প্রতিপক্ষ গ্রুপের সদস্যরাই তাঁকে হত্যা করেছে।
ওসি আরও জানান, হামলাকারী ব্যক্তিরা গুলি করে মোটরসাইকেল চালিয়ে পুলিশ লাইনসের দিকে চলে যায়। ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্তে আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহের কাজ চলছে।