ক্যানটিনে ঢুকে আবরার ফাহাদের লাশ দেখে আঁতকে উঠলাম
Published: 7th, October 2025 GMT
তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তৃতীয় বর্ষে পড়ি। প্রথম আলোর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক হিসেবে কাজ করছি বছরখানেক হয়েছে। নিয়মিত রুটিন ছিল নীলক্ষেত, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে, মাঝেমধ্যে হাইকোর্টের মোড়ের চায়ের দোকানে রাতভর আড্ডা দেওয়া। রাত জেগে আড্ডা আর ঢাকার অলিগলি ঘুরে বেড়ানোটা নেশার মতো হয়ে গিয়েছিল।
২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতটিও এর ব্যতিক্রম ছিল না। সেই রাতে বাইরে আড্ডা ও ঘোরাঘুরি শেষে স্যার এ এফ রহমান হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সিনিয়রের কক্ষে বসে আড্ডা দিচ্ছিলাম। সম্ভবত রাত সাড়ে তিনটার দিকে আমার বিশ্ববিদ্যালয় ও হলের এক সহপাঠী ছাত্রলীগের (বর্তমানে নিষিদ্ধ) নেতা ফোন করে জানান, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) এক ব্যাচমেট তাঁর সঙ্গে কিছুক্ষণ আগে যোগাযোগ করে বলেছেন, তাঁদের হলে (বুয়েটের শেরেবাংলা হল) এক শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তিনি জড়িত না থাকলেও ভয় পাচ্ছেন। তাঁর এখন কী করা উচিত, সে বিষয়ে পরামর্শ চান।
বুয়েটে মূলধারার গণমাধ্যমগুলোর প্রতিনিধি নেই। ফলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদকেরাই বুয়েটের বিভিন্ন সংবাদ সংগ্রহের কাজটি করে থাকেন। আমার সহপাঠীকে ফোন করা ওই ব্যাচমেট বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের নেতা ছিলেন এবং তাঁর সঙ্গে আমারও পূর্বপরিচয় ছিল। হত্যার ঘটনা শুনে আমি আঁতকে উঠলাম। সহপাঠীর সঙ্গে কথা শেষ করে এফ রহমান হল থেকে বেরিয়ে অল্প দূরত্বে থাকা বুয়েটের শেরেবাংলা হলের উদ্দেশে রওনা হলাম।
বুয়েটের শেরেবাংলা হলের সামনে পৌঁছে কাউকে দেখতে পেলাম না। আমিই সম্ভবত সেখানে পৌঁছানো বুয়েটের বাইরের প্রথম ব্যক্তি, গণমাধ্যমকর্মী তো অবশ্যই। হলের প্রবেশফটক ভেতর থেকে আটকানো ছিল। ভেতর থেকে শিক্ষার্থীদের কথাবার্তার শব্দ শুনছিলাম। হলে ঢোকার চেষ্টা করব কি করব না, এ নিয়ে দ্বিধা কাজ করছিল। হলের বাইরে দাঁড়িয়েই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদকদের কয়েকজনকে ফোন করলাম। কিন্তু ততক্ষণে তাঁদের বেশির ভাগই ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। দু-একজনকে ফোনে পেলাম। ঘটনা শুনে কিছুক্ষণ পরই তাঁরা শেরেবাংলার হলের সামনে এলেন। এরই মধ্যে বুয়েট শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করে ঘটনা সম্পর্কে একটা ধারণা পেয়ে গিয়েছিলাম। একে একে পুলিশের সদস্যসহ আরও অনেকে খবর পেয়ে শেরেবাংলা হলের সামনে এলেন।
আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ড নিয়ে প্রথম আলোয় প্রকাশিত প্রতিবেদন.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ল র স মন
এছাড়াও পড়ুন:
ওয়েস্টিনে ‘টেস্ট অব অ্যারাবিয়া’ উৎসব শুরু
সিটি ব্যাংক পিএলসির সহযোগিতায় দ্য ওয়েস্টিন ঢাকা আয়োজন করেছে অ্যারাবিয়ান ফুড ফেস্টিভ্যাল ‘টেস্ট অব অ্যারাবিয়া’। ২০ থেকে ৩০ নভেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত গুলশান-২-এ লেভেল-২–এ অবস্থিত হোটেলের সারা দিনের ডাইনিং রেস্টুরেন্ট ‘সিজনাল টেস্টস’-এ অতিথিরা উপভোগ করতে পারবেন আরব ও মধ্যপ্রাচ্যের আসল স্বাদ, ঐতিহ্য এবং বৈচিত্র্যময় রন্ধনশৈলী।
ফেস্টিভ্যালটির উদ্বোধন হয় ১৯ নভেম্বর দ্য ওয়েস্টিন ঢাকায়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ওমানের রাষ্ট্রদূত জামিল হাজি আল-বালুশি, সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত আবদুল্লা আলী আলহামুদি এবং ইউনিক হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টস পিএলসির সিইও মো. শাখাওয়াত হোসেন। উপস্থিত ছিলেন সিটি ব্যাংকের হেড অব প্রোডাক্ট ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড বিজনেস ইনিশিয়েটিভস নাফিস রাইহান এবং দ্য ওয়েস্টিন ঢাকার জেনারেল ম্যানেজার স্তেফান ম্যাসে। ফেস্টিভ্যালের রিবন কাটিংয়ে অংশ নেন অতিথিবৃন্দ, প্রবাসী শেফ এবং হোটেলের সিনিয়র লিডারশিপ টিমের সদস্যরা। পরে অতিথিদের জন্য স্বাক্ষর খাবারের বিশেষ টেস্টিং সেশন অনুষ্ঠিত হয়।
ইন্টারন্যাশনাল শেফ রিমুন ওবাইদ, শেফ সাঈত দুরসুন, শেফ স্বপন রোজারিও এবং তাঁদের টিমের তত্ত্বাবধানে আয়োজন করা হয়েছে আরব বিশ্বের নানা অঞ্চলের স্বাদে ভরপুর মেনু। ঢাকায় প্রথমবারের মতো অতিথিরা বিশেষ শেফদের প্রস্তুতকৃত উটের মাংসের পদ—হোল লেগ অব ক্যামেল কুজি, ক্যামেল স্ট্যু, নিহারি, পোলাও, তাজিন, সুলতান’স ক্যামেল মাজবুস এবং ক্যামেল মিল্ক উম আলি উপভোগ করার সুযোগ পাবেন। আরও থাকছে ল্যাম্ব কাবসা, চিকেন মান্দি, হোল ফিশ তাজিন, কোফতা কাবাব, মেজেজ প্ল্যাটার, দোনার কাবাব, শাওয়ারমা, বকলাভা, উম আলি ও কুনাফাসহ জনপ্রিয় আরবীয় খাবার ও মিষ্টান্ন। পরিবেশ সাজানো হয়েছে আরবীয় আবহে, সঙ্গে থাকবে লাইভ কুকিং স্টেশন এবং অতিথি আগমনে কমপ্লিমেন্টারি কাহওয়া ও বিশেষ ওয়েলকাম ড্রিংকস।
‘টেস্ট অব অ্যারাবিয়া’ উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান