তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তৃতীয় বর্ষে পড়ি। প্রথম আলোর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক হিসেবে কাজ করছি বছরখানেক হয়েছে। নিয়মিত রুটিন ছিল নীলক্ষেত, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে, মাঝেমধ্যে হাইকোর্টের মোড়ের চায়ের দোকানে রাতভর আড্ডা দেওয়া। রাত জেগে আড্ডা আর ঢাকার অলিগলি ঘুরে বেড়ানোটা নেশার মতো হয়ে গিয়েছিল।

২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতটিও এর ব্যতিক্রম ছিল না। সেই রাতে বাইরে আড্ডা ও ঘোরাঘুরি শেষে স্যার এ এফ রহমান হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সিনিয়রের কক্ষে বসে আড্ডা দিচ্ছিলাম। সম্ভবত রাত সাড়ে তিনটার দিকে আমার বিশ্ববিদ্যালয় ও হলের এক সহপাঠী ছাত্রলীগের (বর্তমানে নিষিদ্ধ) নেতা ফোন করে জানান, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) এক ব্যাচমেট তাঁর সঙ্গে কিছুক্ষণ আগে যোগাযোগ করে বলেছেন, তাঁদের হলে (বুয়েটের শেরেবাংলা হল) এক শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তিনি জড়িত না থাকলেও ভয় পাচ্ছেন। তাঁর এখন কী করা উচিত, সে বিষয়ে পরামর্শ চান।

বুয়েটে মূলধারার গণমাধ্যমগুলোর প্রতিনিধি নেই। ফলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদকেরাই বুয়েটের বিভিন্ন সংবাদ সংগ্রহের কাজটি করে থাকেন। আমার সহপাঠীকে ফোন করা ওই ব্যাচমেট বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের নেতা ছিলেন এবং তাঁর সঙ্গে আমারও পূর্বপরিচয় ছিল। হত্যার ঘটনা শুনে আমি আঁতকে উঠলাম। সহপাঠীর সঙ্গে কথা শেষ করে এফ রহমান হল থেকে বেরিয়ে অল্প দূরত্বে থাকা বুয়েটের শেরেবাংলা হলের উদ্দেশে রওনা হলাম।

বুয়েটের শেরেবাংলা হলের সামনে পৌঁছে কাউকে দেখতে পেলাম না। আমিই সম্ভবত সেখানে পৌঁছানো বুয়েটের বাইরের প্রথম ব্যক্তি, গণমাধ্যমকর্মী তো অবশ্যই। হলের প্রবেশফটক ভেতর থেকে আটকানো ছিল। ভেতর থেকে শিক্ষার্থীদের কথাবার্তার শব্দ শুনছিলাম। হলে ঢোকার চেষ্টা করব কি করব না, এ নিয়ে দ্বিধা কাজ করছিল। হলের বাইরে দাঁড়িয়েই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদকদের কয়েকজনকে ফোন করলাম। কিন্তু ততক্ষণে তাঁদের বেশির ভাগই ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। দু-একজনকে ফোনে পেলাম। ঘটনা শুনে কিছুক্ষণ পরই তাঁরা শেরেবাংলার হলের সামনে এলেন। এরই মধ্যে বুয়েট শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করে ঘটনা সম্পর্কে একটা ধারণা পেয়ে গিয়েছিলাম। একে একে পুলিশের সদস্যসহ আরও অনেকে খবর পেয়ে শেরেবাংলা হলের সামনে এলেন।

আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ড নিয়ে প্রথম আলোয় প্রকাশিত প্রতিবেদন.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ল র স মন

এছাড়াও পড়ুন:

ভারতের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ার ওয়ানডে দলে ফিরলেন স্টার্ক

ভারতের বিপক্ষে ঘরের মাঠে ওয়ানডে সিরিজের স্কোয়াড ঘোষণা করেছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ)। ৩৫ বছর বয়সী তারকা পেসার মিচেল স্টার্ক ফিরেছেন অস্ট্রেলিয়ার ওয়ানডে দলে। গত বছর নভেম্বরে সর্বশেষ ওয়ানডে খেলেন এই বাঁহাতি পেসার। বাদ পড়েছেন ব্যাটসম্যান মারনাস লাবুশেন। এ সিরিজ দিয়ে ওয়ানডেতে অভিষেক হতে পারে স্কোয়াডে ডাক পাওয়া ২৯ বছর বয়সী ব্যাটসম্যান ম্যাট রেনশর। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে ১৯ অক্টোবর পার্থে।

ওয়ানডে সিরিজের পর ভারতের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজও খেলবে অস্ট্রেলিয়া। এ সিরিজে প্রথম দুই ম্যাচের স্কোয়াডও ঘোষণা করেছে সিএ। চোট থেকে সেরে না ওঠায় গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকে টি-টোয়েন্টি স্কোয়াডের বাইরে রাখা হয়েছে। ৩১ বছর বয়সী নাথান এলিসকে ফেরানো হয়েছে এই সংস্করণে। ২৯ অক্টোবর ক্যানবেরায় অনুষ্ঠিত হবে টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচ।

অস্ট্রেলিয়ার ওয়ানডে স্কোয়াড:মিচেল মার্শ (অধিনায়ক), হ্যাভিয়ের বার্টলেট, অ্যালেক্স ক্যারি (উইকেটকিপার), কুপার কনোলি, বেন ডওয়ারশুইস, নাথান এলিস, ক্যামেরন গ্রিন, জশ হ্যাজলউড, ট্র্যাভিস হেড, জশ ইংলিশ (উইকেটকিপার), মিচেল ওয়েন, ম্যাট রেনশ, ম্যাথু শর্ট, মিচেল স্টার্ক ও অ্যাডাম জ্যাম্পা।

লাবুশেনের ওয়ানডে স্কোয়াড থেকে বাদ পড়াটা প্রত্যাশিতই ছিল। এই সংস্করণে সর্বশেষ ১০ ইনিংসে তাঁর সর্বোচ্চ স্কোর ৪৭। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে রান পাওয়ায় ওয়ানডে স্কোয়াডে ডাক পেয়েছেন রেনশ। এর আগে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়া ‘এ’ দলের হয়ে সেঞ্চুরি করেন রেনশ। ২০২২ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে স্কোয়াডে ডাক পেলেও সেবার অভিষেকের সুযোগ পাননি তিনি।

আরও পড়ুনটি–টোয়েন্টিতে ছক্কাবাজি: পাকিস্তানের পরেই বাংলাদেশ২ ঘণ্টা আগে

সাউথ অস্ট্রেলিয়ার হয়ে শেফিল্ড শিল্ডে ম্যাচ থাকায় পার্থে প্রথম ওয়ানডেটি খেলতে পারবেন না উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান অ্যালেক্স ক্যারি। অ্যাশেজ সামনে রেখে লাবুশেনেরও শেফিল্ড শিল্ডে রান করে টেস্ট দলে ফেরার সুযোগ আছে। তাসমানিয়ার বিপক্ষে ১৬০ রানের ইনিংসে মৌসুমে শুরুটা দারুণ করেছেন লাবুশেন।

ওয়ানডে স্কোয়াড থেকে বাদ পড়েছেন লাবুশেন

সম্পর্কিত নিবন্ধ