শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত অ্যাপেক্স ফুডসের মুনাফা এক বছরের ব্যবধানে ১৩ শতাংশ বেড়েছে। তবে মুনাফা বাড়লেও কোম্পানিটির লভ্যাংশ বাড়েনি। গত কয়েক বছরের ধারাবাহিকতায় গত ২০২৪–২৫ অর্থবছরেও কোম্পানিটি শেয়ারধারীদের জন্য ২০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।

কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ গত অর্থবছরের আয়–ব্যয় পর্যালোচনা করে লভ্যাংশের এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গত বুধবার এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। আর নিয়ম অনুযায়ী, গতকাল বৃহস্পতিবার স্টক এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে এসব সিদ্ধান্তের কথা বিনিয়োগকারীদের জানানো হয়। প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ওয়েবসাইট থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

গত অর্থবছর শেষে কোম্পানিটির মুনাফার পরিমাণ ছিল ৩ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। তার আগের বছর যার পরিমাণ ছিল ৩ কোটি ২৩ লাখ টাকা। সেই হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির মুনাফা ৪৩ লাখ টাকা বা প্রায় ১৩ শতাংশ বেড়েছে।

১৯৭৯ সালে প্রতিষ্ঠিত অ্যাপেক্স ফুডস শতভাগ হিমায়িত মৎস্য রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান। এটি শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয় ১৯৮১ সালে। এটি স্বল্প মূলধনি একটি কোম্পানি। কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন ৫ কোটি ৭০ লাখ টাকা, যা ১০ টাকা অভিহিত মূল্য বা ফেস ভ্যালুর ৫৭ লাখ শেয়ারে বিভক্ত।

ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সাল থেকে কোম্পানিটি শেয়ারধারীদের একটানা ২০ শতাংশ করে নগদ লভ্যাংশ দিয়ে আসছে। তাতে শেয়ারের বাজারমূল্য যাই থাকুক না কেন প্রতি শেয়ারের বিপরীতে শেয়ারধারীরা বছর শেষে ২ টাকা করে লভ্যাংশ পাচ্ছেন। সর্বশেষ ২০২৪–২৫ অর্থবছরে অর্থাৎ ২০২৫ সালেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। ঢাকার বাজারে গতকাল বৃহস্পতিবার কোম্পানিটির শেয়ারের বাজারমূল্য ছিল ২৩২ টাকা।

কোম্পানিটি শেয়ারধারীদের জন্য যে লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে তাতে লভ্যাংশ বাবদ কোম্পানিটির খরচ হবে ১ কোটি ১৪ লাখ টাকা। যার মধ্যে সিংহভাগই পাবেন কোম্পানিটির উদ্যোক্তা–পরিচালকেরা। কারণ, কোম্পানিটির মোট শেয়ারের মধ্যে ৫৩ দশমিক ৩৯ শতাংশই রয়েছে উদ্যোক্তা–পরিচালকদের হাতে। সেই হিসাবে কোম্পানিটির উদ্যোক্তা–পরিচালকেরা ঘোষিত লভ্যাংশ বাবদ পাবেন প্রায় ৬১ লাখ টাকা। ব্যক্তিশ্রেণির সাধারণ বিনিয়োগকারীরা পাবেন প্রায় ৪৫ লাখ টাকা। কারণ, কোম্পানিটির ৩৯ দশমিক ৪০ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে। আর বাকি ৭ দশমিক ২১ শতাংশ শেয়ার রয়েছে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে। সেই হিসাবে লভ্যাংশ বাবদ কোম্পানিটির শেয়ারের প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা পাবেন প্রায় ৮ লাখ টাকা।

এদিকে মুনাফা ও লভ্যাংশ ঘোষণার খবরেও গতকাল শেয়ারবাজারে কোম্পানিটির শেয়ারের দরপতন হয়েছে। এদিন ঢাকার বাজারে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম ১৩ টাকা বা সোয়া ৫ শতাংশ কমে দাঁড়ায় ২৩২ টাকায়। কোম্পানিটি শেয়ারবাজারে ভালো মৌলভিত্তি এ শ্রেণিভুক্ত কোম্পানি।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: শ য় রব জ র বছর র

এছাড়াও পড়ুন:

চ্যালেঞ্জ নিয়েই দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছি: খাদ্য উপদেষ্টা

খাদ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তা–কর্মচারীরা দেশের খাদ্য নিরাপত্তা রক্ষায় প্রতিনিয়ত কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছেন উল্লেখ করে খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার বলেছেন, “দেশের মানুষের খাদ্যের নিশ্চয়তা দিতে হলে মাঠেই লড়াই করতে হয়। কাজটি নিষ্ঠার সঙ্গে করে যাচ্ছে আমাদের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।”

রবিবার খাদ্য অধিদপ্তরের সভাকক্ষে ‘আমন ২০২৪-২৫ ও বোরো ২০২৫ সংগ্রহ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন এবং খাদ্য নিরাপত্তায় বিশেষ অবদান’ রাখায় ৩১ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে ক্রেস্ট ও সনদ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

গত আমন ও বোরো মৌসুমে সংগ্রহের পরিমাণ, চুক্তির বাস্তবায়ন, ব্যবস্থাপনা দক্ষতা, সততা ও সমন্বয়সহ বিভিন্ন সূচকে মূল্যায়ন করে আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক পর্যায়ে একজন, জেলা পর্যায়ে পাঁচজন, উপজেলা পর্যায়ে দশজন এবং ব্যবস্থাপক/চলাচল ও সংরক্ষণ/ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পর্যায়ের ১৫ জনসহ মোট ৩১ জনকে এ সম্মাননা দেওয়া হয়েছে।

খাদ্য উপদেষ্টা বলেন, “২০২৪ সালে সরকার পরিবর্তনের পর দেশের বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান দুর্বল হয়ে পড়ে। কিন্তু খাদ্য অধিদপ্তর ছিল ব্যতিক্রম। এখানকার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সংকট বা চাপে ভেঙে না পড়ে বরং চ্যালেঞ্জ নিয়ে জনগণের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে।’’ 

আমন সংগ্রহ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “লক্ষ্যমাত্রা ন্যূনতম জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, কিন্তু অর্জন করতে হবে সর্বোচ্চ। ধান-চালের সংগ্রহ মূল্য যৌক্তিকভাবে নির্ধারণ করা হয়েছে; এতে কারো ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সুযোগ নেই।”

তিনি আরও বলেন, ‘‘আগামী বছর জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ সময় জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাদের দায়িত্ব বাড়বে। তাই মধ্য ফেব্রুয়ারির আগেই লক্ষ্যমাত্রা পূরণে সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে।’’

তিনি এ সময় পুরস্কারপ্রাপ্তদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, ‘‘দেশের জন্য কাজ করাই গৌরব। কোনো কৃষক ধান নিয়ে এলে তাকে ফেরত দেওয়া যাবে না। শুধু আদ্রতার বিষয়টি দেখা হবে। কোনো গুদামে বস্তাবন্দি পচা চাল পাওয়া গেলে তা সহ্য করা হবে না।”

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি খাদ্য সচিব মো. মাসুদুল হাসান বলেন, ‘‘বিগত বোরো মৌসুমে দেশের ইতিহাসে রেকর্ড পরিমাণ ধান-চাল সংগ্রহ করা সম্ভব হয়েছে সকল পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্তরিক প্রচেষ্টায়।’’

চলমান আমন মৌসুমেও একইভাবে সাফল্য অর্জনের আহ্বান জানান তিনি।

সভাপতির বক্তব্যে খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আবুল হাছানাত হুমায়ুন কবীর পুরস্কারপ্রাপ্তদের অভিনন্দন জানিয়ে চলমান সংগ্রহ অভিযান সফল করতে মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেন।

ঢাকা/এএএম//

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • দুই কোম্পানির ক্রেডিট রেটিং নির্ণয়
  • ১০ মাসে সাড়ে ২৮ লাখ কন্টেইনার হ্যান্ডলিং করেছে চট্টগ্রাম বন্দর
  • বেতন-ভাতায় সরকারের খরচ বেড়েছে, উন্নয়নে কমেছে
  • জাবিতে একাডেমিক নিপীড়ন প্রতিরোধে নতুন প্ল্যাটফর্ম
  • প্রিমিয়ার ব্যাংকের এমডির দায়িত্ব পেয়েছেন ডিএমডি নিয়ামত উদ্দিন আহমেদ
  • নির্বাচনের খরচের ব্যাপারে চিন্তার কিছু নেই: অর্থ উপদেষ্টা
  • সাবেক নেত্রীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর চায় বাংলাদেশ, এই পথে বড় বাধা ভারত
  • চ্যালেঞ্জ নিয়েই দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছি: খাদ্য উপদেষ্টা
  • ৪ মাসে প্রকল্পের ১% টাকা খরচ করতে পারেনি ৫ মন্ত্রণালয় ও বিভাগ
  • যুক্তরাষ্ট্রে ভারতের রপ্তানি কমলেও চীনে বেড়েছে, ট্রাম্পের শুল্কের প্রভাব