শরীয়তপুরে আইনজীবী সমিতির ভবনে ককটেল বিস্ফোরণের প্রতিবাদে মানববন্ধন
Published: 11th, November 2025 GMT
ছবি: Shariatpur
ক্যাপশন: জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে শরীয়তপুর আইনজীবী সমিতি মানববন্ধন করেছে। আজ মঙ্গলবার। ছবি: প্রথম আলো
শরীয়তপুরের চিকন্দী আইনজীবী সমিতির ভবনের দেয়ালে ও আইনজীবী রুবায়েত আনোয়ারের চেম্বারের দরজায় ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে শরীয়তপুর আইনজীবী সমিতি এই মানববন্ধন করে।
জেলা আইনজীবী সমিতি সূত্র জানায়, সদর উপজেলার চিকন্দী এলাকায় সদর ও জাজিরা সহকারী জজ আদালত। চিকন্দী এলাকার আদালতটি চৌকি কোর্ট হিসেবে পরিচিত। ব্রিটিশ আমল থেকে চিকন্দীতে আদালতটি পরিচালিত হয়ে আসছে। গত রোববার রাত দুইটার দিকে দুর্বৃত্তরা চিকন্দী আইনজীবী সমিতির ভবনের দেয়ালে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। ওই সময় দুর্বৃত্তরা চিকন্দী বাজার সড়কের পাশে থাকা আইনজীবী রুবায়েত আনোয়ারের চেম্বারের দরজায় একটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। রুবায়েত আনোয়ার বিএনপির চিকন্দী ইউনিয়ন কমিটির সভাপতি।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান, জজকোর্টের পিপি মনিরুজ্জামান দিপু, জজকোর্টের জিপি সাহাদাৎ হোসেন প্রমুখ।
রুবায়েত আনোয়ার প্রথম আলোকে বলেন, ‘চিকন্দী কোর্ট ও বাজার সড়কের পাশে আমার চেম্বার। চেম্বারে রাতে কোনো মানুষ থাকেন না। রাতের আঁধারে দুর্বৃত্তরা একটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। আমার সঙ্গে কারও কোনো বিরোধ নেই। কী উদ্দেশ্যে কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে, তা বুঝতে পারছি না। তবে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ এ ঘটনা ঘটাতে পারে।’
চিকন্দী আইনজীবী সমিতির সভাপতি আবদুল মান্নান তালুকদার প্রথম আলোকে বলেন, ‘দুর্বৃত্তরা হঠাৎ কেন আইনজীবী সমিতি টার্গেট করেছে, তা বুঝতে পারছি না। ঘটনাটি অত্যন্ত উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। ওই ঘটনার প্রতিবাদে চিকন্দী ও শরীয়তপুর আইনজীবী সমিতি মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে। দ্রুততম সময়ে অপরাধীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছি। দুই আইনজীবী সমিতি বসে পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেব।’
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: দ র ব ত তর আইনজ ব
এছাড়াও পড়ুন:
চাঁপাইনবাবগঞ্জে ভাগনের চাঁদাবাজির মামলায় মামা গ্রেপ্তার
ভাগনেকে সাত লাখ টাকার বিনিময়ে চাকরি জোগাড় করে দিয়েছেন—এমন দাবি করেন মামা। তিনি ভাগনের পরিবারের কাছে ওই টাকা চান। এ অভিযোগে ভাগনে তাঁর মামার বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন। সেই মামলায় সোমবার ভোরে মামাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
ঘটনাটি ঘটেছে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলায়। কারাবন্দী মামা হলেন শিবগঞ্জ উপজেলার মনাকষা ইউনিয়নের হাউসনগর গ্রামের আজিজুর রহমানের ছেলে মাসুম রানা (৪০)। মামলার বাদী তাঁর ভাগনে শাহেদ আলী।
শাহেদ আলী বলেন, গত ১৯ সেপ্টেম্বর তাঁর ছোট ভাইয়ের চাকরি হয়েছে বিজিবিতে। চাকরির নিয়োগপত্র আসার কথা জানতে পেরে তাঁর মামা মাসুম রানা দাবি করেন, তাঁর টাকাতেই চাকরি হয়েছে। তিনি সাত লাখ টাকা দাবি করেন এবং হুমকি দেন টাকা না দিলে তিনি চাকরি বাদ করে দেবেন। এ নিয়ে সালিসও হয়েছে। তাঁরা টাকা দিতে রাজি হননি। এর জেরে গত ১৩ অক্টোবর মাসুম রানা ৪–৫ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে নিয়ে তাঁদের বাড়িতে ঢুকে টাকা দাবি করেন। টাকা দিতে অস্বীকার করলে তাঁরা প্রাণনাশের হুমকি দেন। এ ছাড়া তিনি একাধিকবার বিভিন্ন লোককে গোয়েন্দা পরিচয় দিয়ে মুঠোফোনে ভয় দেখিয়েছেন।
শাহেদ আলী আরও বলেন, ‘ভয় দেখিয়ে কাজ না হওয়ায় মাসুম রানা ৯ অক্টোবর আমাদের দুই ভাই ও বাবার কাছে আইনজীবীর মাধ্যমে নোটিশ পাঠান। নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে, আমরা তিনজন পারিবারিক ও ব্যবসার কথা বলে তাঁর কাছ থেকে ১২ লাখ টাকা তিন মাসের জন্য ধার নিয়েছি। সেই টাকা পরিশোধের জন্য অঙ্গীকার করেছি। সেই টাকা পরিশোধ করছি না, টাকা পরিশোধে সময়ক্ষেপণ করছি। সেই টাকা পরিশোধের জন্য এ লিগ্যাল নোটিশ দেওয়া হয়েছে। নোটিশটি পাওয়ার পর আমারা আইনজীবীর মাধ্যমে ২৮ অক্টোবর নোটিশের জবাব দিয়েছি। বিষয়টি নিয়ে আমরা ৩১ অক্টোবর শিবগঞ্জ থানায় জিডি করি। যা পরে (৮ নভেম্বর) মামলায় পরিণত হয়।’
আসামি মাসুম রানাকে গ্রেপ্তার ও আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (আইও) শিবগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) দেলোয়ার হোসেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামি মাসুম রানা ভাগনের পরিবারের কাছে টাকা দাবির কথা স্বীকার করেছেন। তবে সেই টাকার উৎস সম্পর্কে তিনি উত্তর দিতে পারেননি।