সহকারী সচিব (ক্যাডার বহির্ভুত, ৯ম গ্রেড) পদে ৫৯ কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। এসব কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দিয়ে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা করা হয়েছে। 

মঙ্গলবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

উপসচিব তাসলিমা আলীর স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, জনস্বার্থে এই আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

ঝিনাইদহে ভ্যানচালককে হত্যায় ৪ জনের যাবজ্জীবন

ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বিষয়খালী গ্রামের ভ্যানচালক রবিউল ইসলাম ওরফে রবে হত্যা মামলায় চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। খালাস পেয়েছেন সদর উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান খুরশীদ আলম মিয়াসহ ১১ জন।

সোমবার (২৩ জুন) বিকেলে ঝিনাইদহের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-২ এর বিচারক উৎপল কুমার ভট্টাচার্য এই রায় ঘোষণা করেন। এ সময় সব আসামি আদালতের এজলাসে উপস্থিত ছিলেন।

নিহত রবিউল ইসলাম ওরফে রবে বিষয়খালী গ্রামের মৃত ইনছার আলী শেখের ছেলে। 

আরো পড়ুন:

সিরাজগঞ্জে হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড, চারজনের যাবজ্জীবন

ভিক্ষা না ছাড়ায় বাবাকে হত্যা, ছেলে আটক

সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- বিষয়খালী গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে মাজেদুল ইসলাম ওরফে মাজু, আশরাফের ছেলে রসুল, মৃত আফজাল হোসেনের ছেলে আজিজুল এবং মৃত শামসুদ্দিনের ছেলে গোলাম রসুল। 

আদালত সূত্রে জানা গেছে, রবিউল ইসলাম ওরফে রবে হত্যার ঘটনায় ২০০৬ সালের এপ্রিল মাসের ৪ তারিখে সদর থানায় মামলা করেন নিহতের ভাই আনোয়ার হোসেন। দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে ২০২৪ সালে আগস্ট মাসের ৩ তারিখে এই মামলার রায় ঘোষণার দিন ধার্য হয়। তবে, সেদিন রায় ঘোষণা করা হয়নি। পরবর্তীতে অন্তত চারটি নির্ধারিত দিনেও রায় ঘোষণা হয়নি। আজ সোমবার বিকেলে রায় ঘোষণা করেন বিচারক।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, নিহত রবিউল ইসলাম ওরফে রবের স্ত্রীর সঙ্গে আসামি গোলাম রসুলের অনৈতিক সম্পর্কের কথা জানাজানি হয়। পরে গ্রাম্য সালিশে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় গোলাম রসুলকে। গোলাম রসুল ও মামলার অন্যান্য আসামিরা তৎকালীন ইউপি মেম্বার খুরশীদ আলমের পক্ষের লোক ছিলেন। সালিশের জেরে ২০০৬ সালের ১০ জানুয়ারি রাত ৮টার দিকে রবিউল ইসলাম ওরফে রবেকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় আসামি আজিজুলসহ অন্যরা। 

সেদিন থেকেই তিনি নিখোঁজ ছিলেন। প্রায় তিন মাস পর ওই বছরের এপ্রিল মাসের ৪ তারিখে পার্শ্ববর্তী হুমোদার বিলের একটি খালের দক্ষিণ পাড় থেকে মাটিতে পুঁতে রাখা অবস্থায় উদ্ধার করা হয় রবিউল ইসলাম ওরফে রবের মরদেহ। পরে নিহতের ভাই আনোয়ার হোসেন তার লাশ শনাক্ত করেন। সেদিন ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় হত্যা মামলা করেন তিনি।

ঢাকা/শাহরিয়ার/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ