Samakal:
2025-05-01@03:28:40 GMT

মিউজিক ইকো রিসোর্ট

Published: 14th, January 2025 GMT

মিউজিক ইকো রিসোর্ট

‘মিউজিক ইকো রিসোর্ট’ সেন্টমার্টিন দ্বীপের দক্ষিণ-পশ্চিম কর্নারে ছেঁড়াদ্বীপ-সংলগ্ন শেষ রিসোর্ট। পরিবেশবান্ধব এ রিসোর্ট সেন্টমার্টিনের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে অক্ষত রেখেছে। একেবারেই নিরিবিলি। অবারিত ঢেউ আর উত্তাল সমুদ্রে যাদের ভয় নেই, যাদের স্মার্টফোন আর গেজেটে আসক্তি নেই, যারা অবারিত উন্মুক্ত স্থানে বসবাস করতে আগ্রহী এবং যারা অ্যাডভেঞ্চারাস তাদের জন্য এ রিসোর্টটি উপযুক্ত। মোট কথা, এ রিসোর্টে প্রকৃতির আসল রূপ দেখার অফুরন্ত সুযোগ পাওয়া যায়। অভূতপূর্ব অভিজ্ঞতা পেতে জীবনে একবার হলেও যেতে পারেন মিউজিক ইকো রিসোর্টে। ততটা আধুনিক সুযোগ-সুবিধা না থাকা সত্ত্বেও প্রকৃতি উপভোগ করার জন্য সত্যিকারের প্রকৃতিপ্রেমীরাই সেখানে যান। 
ছেঁড়াদ্বীপ-সংলগ্ন এ রিসোর্টের দু’দিকেই সমুদ্র। চারদিকে রয়েছে ম্যানগ্রোভ আর কেয়া গাছের বাউন্ডারি। রিসোর্টের ভেতরে আছে অসংখ্য বৃক্ষরাজি। মনে হবে একটা অরণ্যে ঢুকেছেন। রিসোর্টের মূল ফটক থেকে বেরিয়েই স্যান্ডি বিচ। এর পূর্বদিকে রয়েছে নয়নাভিরাম ম্যানগ্রোভ। স্থানীয়রা তাই এ কর্নারকে ‘সুন্দরবন’ বলে ডাকেন। 
জোয়ার-ভাটায় এর দৃশ্যপট একেবারেই আলাদা। পশ্চিমে অর্থাৎ পেছনের ফটক দিয়ে বের হলে মনকাড়া রক বিচ। যেন সিক্রেট বিচ; যেখানে বসে সান্ধ্যকালীন চা-নাশতা খেতে খেতে সূর্যাস্ত উপভোগ করা যায় অনায়াসে।
এখান থেকে ১০ মিনিটে হেঁটে ছেঁড়াদ্বীপ যাওয়া যায়। পরিবেশবান্ধব কনটেইনার হাউস ও তাঁবু ঘরে থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। মেনু দেখে খাবার অর্ডার করা ছাড়াও রয়েছে দৈনন্দিন খাবারের প্যাকেজ। অভিজ্ঞ রাঁধুনির কাঠের চুলায় সামুদ্রিক মাছের স্বাস্থ্যকর রেসিপি এবং সুস্বাদু বারবিকিউয়ের আসল স্বাদ পাওয়া যাবে এখানে। নারিকেলবীথির তলায় বসে খাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। মনে হবে যেন প্রকৃতির সবুজ ছাতার নিচে বসে খাচ্ছেন, নিজের বাড়িতেই আড্ডা দিচ্ছেন।
এখানে ক্রিকেট, ব্যাডমিন্টন খেলা ছাড়াও লোকাল বোটে চড়ে অর্থের বিনিময়ে মাছ শিকারের ব্যবস্থা রয়েছে। চাইলে ছেঁড়াদ্বীপে ঘুরতে আসা পর্যটক আগে থেকে অর্ডার করে সকাল, দুপুর বা রাতের খাবারও খেতে পারবেন। 
এ পয়েন্ট থেকেই সূর্যোদয়-সূর্যাস্ত দুটোই দেখা যায়। এখানে সমুদ্রের শো শো গর্জন, কেয়া আর নারিকেল পাতার মর্মর ধ্বনি, পাখির ঐকতান সৃষ্টি করে মায়াবী সুর। সুরের অবাধ সাগরে কাটান দিন-রাত। 
খুব বেশি মানুষের আনাগোনা নেই এখানে। যারা নিরিবিলি ও নির্জন পরিবেশে সময় কাটাতে চান, এ রিসোর্ট তাদের জন্য আদর্শ। চাইলে (সম্পূর্ণ প্রাইভেসি নিয়ে) ছোট-বড় গ্রুপ, যে কোনো ফ্যামিলি, করপোরেট পার্টির ক্ষেত্রে পুরো রিসোর্ট ভাড়া নেওয়া যাবে। এ ক্ষেত্রে অগ্রিম বুকিং কনফার্ম করে যেতে হবে। রুম ভাড়া (২ জনের জন্য) ৪ হাজার টাকা এবং তাঁবু ঘর ভাড়া ৩ হাজার টাকা। 
লোকেশনটি খুঁজে পাওয়াও খুব সহজ। সেন্টমার্টিন দ্বীপে জাহাজ ঘাটে নেমে যে কাউকে বললেই হবে ‘সুন্দরবন যাব’। তাহলে আর কোনো লোকেশন জানার দরকার নেই। স্থানীয় বাহনে আধা ঘণ্টার যাত্রায় দ্বীপের অনেকটাই সৌন্দর্য দেখতে দেখতে আপনি পৌঁছে যাবেন দ্বীপের শেষ রিসোর্ট দক্ষিণ-পশ্চিম কর্নার ‘মিউজিক ইকো রিসোর্টে’। v

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

কড়া নজরদারি সুন্দরবন সীমান্তে

দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুন্দরবন জলসীমানা প্রায় দেড়শো কিলোমিটার। ভারতীয় প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, এ সীমানা দিয়ে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বাড়তি তৎপরতা নেওয়া হচ্ছে। খবর আনন্দবাজারের।

খবরে বলা হয়েছে, নদী ও বনভূমি এলাকায় সীমান্ত বরাবর বিএসএফ মোতায়েন আছে। ভাসমান বর্ডার আউটপোস্ট, বঙ্গোপসাগর অংশে কোস্ট গার্ডের নজরদারি চলছে। ড্রোন, সেন্সর ও ক্যামেরা, কিছু জায়গায় নাইট ভিশন ক্যামেরা ব্যবহার করা হচ্ছে। পাশাপাশি, পুলিশের তরফেও উপকূল এলাকায় দিনরাত নজরদারি চলছে।

উপকূল থানাগুলোর পক্ষ থেকে নদীপথে নিয়মিত টহল দেওয়া হচ্ছে। রাতেও উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে নজর রাখা হচ্ছে। নদীপথে কোনো জলযান দেখলেই তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। মৎস্যজীবীদের পরিচয়পত্রও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। নদী বা সমুদ্রে এখন মাছ ধরার উপরে নিষেধাজ্ঞা চলছে। মৎস্যজীবীদের জলযান চলাচল করার কথা নয়। তাই জলযান দেখলেই তল্লাশি চলছে। বাংলাদেশি জাহাজগুলোতেও পুলিশ তল্লাশি চালাচ্ছে।

সুন্দরবন পুলিশ জেলার সুপার কোটেশ্বর রাও নালাভাট বলেন, আগেও উপকূলবর্তী এলাকায় পুলিশের নজরদারি চলত। এখন বাড়তি জোর দেওয়া হচ্ছে। দু’বেলা নদী ও স্থলপথে পুলিশের টহল বৃদ্ধি পেয়েছে। নাকা চেকিং হচ্ছে। চলছে তল্লাশিও।

উত্তর ২৪ পরগনাতেও উপকূল এলাকায় নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। নিরাপত্তা বেড়েছে জল ও স্থলসীমান্তে। জল, ভূমি ও আকাশে অত্যাধুনিক ইজ়রাইল রাডারের মাধ্যমে নজরদারি চালাচ্ছে সীমান্তরক্ষী বাহিনী।

ইতোমধ্যে ভারতীয় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা দফতর জানিয়েছে, বাংলাদেশের আকাশ ব্যবহার করে ভারতকে আক্রমণ করতে পারে সশস্ত্র সংগঠনগুলো। ফলে সুরক্ষা বাড়াতে বিএসএফের তৎপরতা শুরু হয়েছে। বসিরহাট মহকুমার স্বরূপনগর থেকে হিঙ্গলগঞ্জের হেমনগর কোস্টাল থানা পর্যন্ত ৯৪ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে। তার মধ্যে ৫০ কিলোমিটার জলসীমান্ত। স্থলসীমান্ত ৪৪ কিলোমিটার। সীমান্ত সুরক্ষায় অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রের খবর।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সুন্দরবনের মধুসহ ২৪ পণ্য পেল জিআই সনদ
  • সুন্দরবনে হরিণ শিকারে যাওয়া ব্যক্তির লাশ উদ্ধার, মৃত্যুর কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা
  • ‘তোর সময় শেষ’ লেখা চিঠির সঙ্গে কাফনের কাপড় পাঠিয়ে সাংবাদিককে হুমকি
  • কড়া নজরদারি সুন্দরবন সীমান্তে
  • সৌন্দর্যের সন্ধানে সুন্দরবনের গহীনে : দ্বিতীয় পর্ব
  • সুন্দরবনে অস্ত্রসহ বনদস্যু আটক
  • উপকূল রক্ষা বাঁধে ভয়াবহ ধস, প্লাবনের আশঙ্কা সুন্দরবন তীরবর্তী জনপদে