ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ, পিএলসি’র পৃষ্ঠপোষকতায়, বাংলাদেশ ল্যাক্রোস অ্যাসোসিয়েশনের আয়োজনে এবং এশিয়া ল্যাক্রোস ইউনিয়নের সহযোগিতায় আজ শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি, ২০২৫) থেকে শুরু হয়েছে ‘ওয়ালটন প্রথম জাতীয় পুরুষ ও নারী ল্যাক্রোস চ্যাম্পিয়নশিপ-২০২৫।’ দুই বিভাগে আটটি দলের অংশগ্রহণে বাফুফের আর্টিফিসিয়াল টার্ফে তিনদিন ব্যাপী এই প্রতিযোগিতা চলবে রোববার পর্যন্ত।

সকালে প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠান ওয়ালটনের অ্যাডভাইজর (স্পোর্টস) এফ.

এম. ইকবাল বিন আনোয়ার (ডন), অ্যাডিশনাল এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর মো. রবিউল ইসলাম মিলটন ও জাপান হতে আমন্ত্রিত প্রধান প্রশিক্ষক মাসুমি জিন্ন (সিইও, এশিয়া প্যাসিফিক ল্যাক্রোস ইউনিয়ন)। এ সময় বাংলাদেশ ল্যাক্রোস অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

আরো পড়ুন:

ওয়ালটন প্রথম জাতীয় নারী ও পুরুষ ল্যাক্রোস প্রতিযোগিতা শুক্রবার শুরু

ওয়ালটনে ‘কল সেন্টার এক্সিকিউটিভ’ পদে চাকরি

উদ্বোধনী দিনে অংশগ্রহণকারী পুরুষ ও নারী বিভাগের রাউন্ড রবিন লিগের বেশ কয়েকটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। পুরুষ বিভাগের উদ্বোধনী ম্যাচে বাংলাদেশ পুলিশ ০৯-০২ গোলে হারায় ঢাকা জেলা ক্রীড়া সংস্থাকে। নারী বিভাগের উদ্বোধনী ম্যাচে ঢাকা জেলা নারী দল ০৬-০২ গোলে হারায় নারায়ণগঞ্জ নারী দলকে। পরবর্তী খেলায় শরীয়তপুর নারী দল ০৫-০০ গোলে নারায়ণগঞ্জ নারী দলকে এবং ঢাকা জেলা নারী দল ০২-০০ গোলে স্যান্ড এঞ্জেলস নারী দলকে হারায়। 

আগামীকাল শনিবার দিনব্যাপী সকল দলের মধ্যকার রাউন্ড রবিন লিগের বাকি খেলা অনুষ্ঠিত হবে।

প্রথমবারের মতো আয়োজিত এই প্রতিযোগিতায় পুরুষ বিভাগে চারটি ও নারী বিভাগে চারটি দল অংশ নিয়েছে। পুরুষ বিভাগের দলগুলো হলো— বাংলাদেশ পুলিশ, ঢাকা জেলা ক্রীড়া সংস্থা, স্যান্ড অ্যাঞ্জেল ক্লাব ও জিসান স্পোর্টিং ক্লাব। নারী বিভাগে রয়েছে— নারায়ণগঞ্জ জেলা, স্যান্ড অ্যাঞ্জেল ক্লাব, ঢাকা জেলা ক্রীড়া সংস্থা ও শরীয়তপুর জেলা ক্রীড়া সংস্থা।

উভয় বিভাগের খেলা রাউন্ড রবিন লিগ পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হবে। শীর্ষে থাকা দুটি দল ফাইনালে মুখোমুখি হবে। সিক্স-এ-সাইড এই প্রতিযোগিতার উভয় বিভাগের চ্যাম্পিয়ন ও রানার্স-আপ হওয়া দলকে ট্রফি ও মেডেল দেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, ল্যাক্রোস একটি আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির স্বীকৃত জনপ্রিয় ও প্রাচীন খেলা যা বিশ্বের শতাধিক দেশে খেলা হয়। নর্থ আমেরিকায় সৃষ্ট ল্যাক্রোস খেলাটির বহু শতাব্দীর আকর্ষণীয় ইতিহাস ও ঐতিহ্য রয়েছে। আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি আগামী ২০২৮ লস অ্যাঞ্জেলস অলিম্পিকেও অন্তর্ভূক্ত করেছে ল্যাক্রোস খেলাটিকে। এর ফলে পুনরায় বিশ্ব অলিম্পিক মঞ্চে ফিরেছে ল্যাক্রোস।

ল্যাক্রোস একটি দ্রুতগতির শক্তি প্রদর্শনী ও শৃঙ্খলার খেলা। যেটাকে ফুটবল ও হকি সমন্বিত খেলার সাথে তুলনা করা যায়। ল্যাক্রোস সাধারণ তিনটি বিভাগে খেলা হয়ে থাকে। ১০-এ সাইড বা ফিল্ড ল্যাক্রোস, ৬-এ সাইড বা সিক্সেস বক্স ল্যাক্রোস এবং নারী ল্যাক্রোস। আধুনিক অলিম্পিকে ৬-এ সাইড ল্যাক্রোস প্রচলিত রয়েছে।

দুটি বিভাগের নিয়ম কানুন, মাঠের আকৃতিতে কিছুটা ভিন্নতা রয়েছে। ১০-এ সাইড ল্যাক্রোসে উভয় দলে ১০ জন করে খেলোয়াড় থাকে। তার মধ্যে ৩ জন ডিফেন্স, ৩ জন মিডফিল্ড, ৩ জন অফেন্সিভ ও ১ জন গোলরক্ষক। মাঠের আকৃতি একটি আয়তক্ষেত্রকার, যেটি ১১০ মিটার লম্বা এবং ৬০ মিটার প্রস্থ। মাঠের সাইডলাইন চারদিকে সাদা রং দিয়ে চিহ্নিত করা থাকে এবং মাঠের দুই প্রান্তে ক্রসবার দ্বারা সংযুক্ত দুটি উলম্ব গোল পোস্ট থাকে। অন্যদিকে ৬-এ সাইড ল্যাক্রোসে দুই দলে ৬ জন করে খেলোয়াড় থাকে এবং অল্প সময় ধরে তুলনামূলক ছোট আকৃতির মাঠে খেলা হয়।

১০-এ সাইড ম্যাচটি ১৫ মিনিট করে ৪টি কোয়ার্টারে বিভক্ত হয়ে ৬০ মিনিটে খেলা হয়। অন্যদিকে ৬ সাইড ম্যাচটি একটি ছোট মাঠে ৮ মিনিট করে চার কোয়ার্টারে ৩২ মিনিটে খেলা হয়। ১০-এ সাইডে প্রথম এবং দ্বিতীয় কোয়ার্টার, তৃতীয় এবং চতুর্থের কোয়ার্টারে মধ্যকার ২ মিনিটের ব্যবধানে খেলা শুরু করতে হবে। দ্বিতীয় কোয়ার্টারের পরে ১০ মিনিট হাফ-টাইম বিরতির অতিরিক্ত সময় ধরা হয়।

উভয় দলের খেলোয়াড়দের সাথে সাধারণত প্লাস্টিক বা ফাইবারের তৈরি স্টিক থাকে যা দ্বারা খেলোয়াড়রা বল নিক্ষেপ, একে অপরের মধ্যে পাস বিনিময় এবং বল রিসিভ করার ক্ষেত্রে ব্যবহার করে থাকে। বলটি মূলত রাবার দিয়ে তৈরি, এর পরিধি ৭.৭৫ ইঞ্চি ও ৮ ইঞ্চি এবং ওজনে ৫ আউন্স এর মত, যা সাদা বা কমলা রংয়ের হয়ে থাকে।

দুই দলেরই প্রতিপক্ষের গোলবারের মধ্যে স্কোর বা গোল করার লক্ষ্য থাকে। আবার একে অপরকে (ডিফেন্স) বাধা দিয়ে নিজেদের গোলপোস্ট সুরক্ষিত করার চেষ্টাও করে। গোলরক্ষক ছাড়া অন্য খেলোয়াড়রা হাত দিয়ে বল স্পর্শ বা যেকোন দিকে লাখি মারা, অবৈধ আচরণ বিধিনিষেধ সাপেক্ষে পেনাল্টি হিসেবে গণ্য হয়।

প্রতিটি দলের জন্য ৩০ সেকেন্ড সুযোগ থাকে গোল করার। এর মধ্যে গোল না দিতে পারলে বলটি প্রতিপক্ষ দলের কাছে চলে যাবে এবং তারা ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে গোল করার সুযোগ পাবে। চতুর্থ কোয়ার্টার শেষে যে দল সর্বোচ্চ সংখ্যক গোল করবে তাকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। গোলের সমতা হলে ২-মিনিট বিরতির পরে, ওভারটাইমে ৮ মিনিট করে সময় যোগ করে খেলায় বিজয়ী নির্ধারণ করা হয়।

ঢাকা/আমিনুল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গ ল কর প রথম

এছাড়াও পড়ুন:

সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ পুনর্বিবেচনার সুযোগ রয়েছে কিছু কিছু জায়গায়: আইন উপদেষ্টা

‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫’ নিয়ে উদ্ভূত পরিস্থিতি পর্যালোচনায় সরকার গঠিত কমিটির প্রধান আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেছেন, তাঁর কাছে মনে হয়েছে, অবশ্যই কিছু কিছু জায়গায় অধ্যাদেশটির পুনর্বিবেচনার সুযোগ রয়েছে। এ নিয়ে আজ বিকেলে পর্যালোচনা কমিটি বৈঠকে বসবে।

আজ সোমবার সচিবালয়ে এক অনুষ্ঠান শেষে এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইন উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।

আসিফ নজরুল বলেন, ‘আমি তখন (অধ্যাদেশটি অনুমোদনের সময়) বিদেশে ছিলাম। আমি আইনটি প্রণয়নের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত ছিলাম না। তো পরবর্তীকালে যখন আমি আইনটি দেখেছি, তারপর আমার কাছে মনে হয় যে, অবশ্যই এটা পুনর্বিবেচনার সুযোগ রয়েছে কিছু কিছু জায়গায়।’

আরও পড়ুনসচিবালয়ে আবারও বিক্ষোভ কর্মচারীদের৩৪ মিনিট আগে

সরকার কোনো অসৎ উদ্দেশ্যে অধ্যাদেশটি করেনি বলে উল্লেখ করেন আইন উপদেষ্টা। তিনি বলেন, তিনি শুধু একটা কথা বলতে পারেন, সরকার কোনো অসৎ উদ্দেশ্যে আইনটি করেনি। অসৎ উদ্দেশ্যে করা না হলেও কোনো আইনে এমন বিধান থাকতে পারে, যেটা যাঁরা আইনের সাবজেক্ট, তাঁদের কাছে মনে হতে পারে, তাঁরা বিড়ম্বনা ও হয়রানির শিকার হতে পারেন।

এ প্রসঙ্গে আসিফ নজরুল বলেন, ‘সেটি আমরা স্বীকার করি যে, এ রকম সম্ভাবনা এই আইনে থাকতে পারে।’

পর্যালোচনা কমিটির প্রধান আইন উপদেষ্টা জানান, কমিটি আজ বিকেল চারটায় বৈঠকে বসে সরকারি কর্মচারীরা যেসব দাবি দিয়েছেন, সেগুলোর কী কী বিবেচনা করা হবে, কীভাবে করা হবে, তা ঠিক করা হবে। ঠিক করার পর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব কমিটি একটি প্রতিবেদন উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে তুলবে। কমিটি শুধু প্রতিবেদন দেবে। কমিটি সিদ্ধান্ত দেওয়ার মালিক না।

এ রকম পরিস্থিতিতে ধৈর্য ধরে কর্মসূচি দেওয়ার জন্য আন্দোলনরত সরকারি কর্মচারীদের প্রতি অনুরোধ জানান আইন উপদেষ্টা। তিনি বলেন, কমিটির কাজ যদি পছন্দ না হয়, তাহলে (কর্মসূচি) দেন। সরকারি কাজে যেন ব্যাঘাত না হয়, সেটি লক্ষ্য রাখার জন্য কর্মচারীদের প্রতি অনুরোধ করেন তিনি।

‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫’ বাতিলের দাবিতে পবিত্র ঈদুল আজহার আগে থেকে বেশ কিছু দিন ধরে আন্দোলন করে আসছেন সচিবালয়ে কর্মরত বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মচারীরা। তাঁরা বিক্ষোভ, কর্মবিরতি ও স্মারকলিপি দেওয়ার মতো কর্মসূচি পালন করেছেন।

ঈদের ছুটি শেষে অফিস খোলার এক দিন পর আজ সোমবার আবার সচিবালয়ের ভেতরে বিক্ষোভ করছেন আন্দোলনকারী কর্মচারীরা। বিক্ষোভ শেষে আজ সরকারের আরও তিন উপদেষ্টার কাছে তাঁদের স্মারকলিপি দেওয়ার কথা রয়েছে।

সরকার ঈদের ছুটি শুরু আগে আগে ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫’ নিয়ে উদ্ভূত পরিস্থিতি পর্যালোচনায় আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের নেতৃত্বে উচ্চপর্যায়ের একটি কমিটি গঠন করে। অধ্যাদেশটি বাতিলের দাবিতে সচিবালয়ের কর্মচারীদের আন্দোলনের মুখে এ কমিটি গঠন করে সরকার। কমিটির সদস্য হিসেবে আছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান এবং মন্ত্রিপরিষদ সচিব শেখ আবদুর রশীদ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ পুনর্বিবেচনার সুযোগ রয়েছে কিছু কিছু জায়গায়: আইন উপদেষ্টা
  • সচিবালয়ে আবারও বিক্ষোভ কর্মচারীদের
  • ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যাকাউন্টিংয়ে মাস্টার্স, সিজিপিএ ২.৫ হলেই আবেদন
  • আজ টিভিতে যা দেখবেন (১৬ জুন ২০২৫)
  • ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি সেরা
  • আজ টিভিতে যা দেখবেন (১৫ জুন ২০২৫)
  • অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে আরও যাঁরা পেয়েছেন ‘দ্য কিংস ফাউন্ডেশন পুরস্কার ২০২৫’
  • সৌদি আরবের ৫০ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার সুযোগ, আবেদনের শেষ তারিখ আজ 
  • আজ টিভিতে যা দেখবেন (১৪ জুন ২০২৫)
  • মুহাম্মদ ইলিয়াসের তাবলিগি দর্শন