Samakal:
2025-11-03@07:19:49 GMT

ব্যক্তি ও ব্যবসায় তথ্য সুরক্ষা

Published: 19th, January 2025 GMT

ব্যক্তি ও ব্যবসায় তথ্য সুরক্ষা

সারাবিশ্বে প্রতিনিয়ত ছড়াচ্ছে ডিজিটাল পরিষেবার পরিসর। বিপরীতে গুরুত্ব বাড়ছে ডিজিটাল মাধ্যমে গোপনীয়তা ও সুরক্ষার। সামাজিক যোগাযোগের সবকটি প্ল্যাটফর্ম আগের যোগাযোগের ধরন পুরোপুরি বদলে দিয়েছে। নিত্যনতুন উদ্ভাবন যুক্ত করেছে বাড়তি স্বাচ্ছন্দ্য ও সুরক্ষা।
নিত্যযোগাযোগে ব্যবহার হচ্ছে বহুমাত্রিক অ্যাপ। তবে সবাই এখন এমন অ্যাপ ব্যবহারের দিকেই ঝুঁকছেন, যেখানে ব্যক্তিগত তথ্যের গোপনীয়তা ও সুরক্ষা অগ্রাধিকার পায়। নির্বাচিত কয়েকটি অ্যাপের মধ্যে ইমো গ্রাহকের নিরাপত্তা, গোপনীয়তা ও সুরক্ষা নিশ্চিতে ধারাবাহিক উদ্যোগ নিয়ে কাজ করছে।
ইতোমধ্যে অ্যাপটি বেশ কিছু আধুনিক ফিচার উন্নয়ন করেছে, যা গ্রাহককে রিয়েল টাইম সুরক্ষা দেয়। অ্যাপের এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন (ইটুইই) ফিচার বার্তাকে বিশেষ সুরক্ষা দেবে। অন্যদিকে নিশ্চিত করবে কনটেন্ট প্রেরক ও প্রাপকের উদ্দেশ করে পাঠানো বার্তা। ব্যক্তিজীবন বা পেশাগত প্রয়োজনে ফিচারটি সময়োপযোগী ও বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।
চ্যাট ও ফোনকলের জন্য অ্যাপে রয়েছে বিশেষ কিছু প্রাইভেসি ফিচার। যেমন– টাইম মেশিন, ডিসঅ্যাপিয়ারিং মেসেজ, ব্লক স্ক্রিনশট ও ব্লক স্ক্রিন রেকর্ডিং।
টাইম মেশিন
তথ্যের সংবেদনশীলতা সময়ের গুরুত্বের সঙ্গে বদলে যায়। এমন ধারণার ওপর ভিত্তি করে টাইম মেশিন ফিচার আনা হয়। উল্লিখিত ফিচার দিয়ে বার্তা প্রেরক ও প্রাপক উভয়েই পুরোনো কথোপকথন পুনরায় দেখতে পারবেন। প্রয়োজনে তা যে কোনো সময় মুছে ফেলতে পারবেন।
ডিসঅ্যাপিয়ারিং
অন্যদিকে, ডিসঅ্যাপিয়ারিং মেসেজ ফিচারে গ্রাহক বার্তার জন্য নির্দিষ্ট টাইম সেট করতে পারবেন। নির্ধারিত সময় শেষ হলে বার্তাটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে মুছে যাবে। বার্তা বিনিময়ে নির্দিষ্ট কনটেন্ট কতক্ষণ থাকবে, তা নিয়ন্ত্রণ করার সুযোগ দেয় ও গোপনীয়তা নিশ্চিত হয়। চ্যাট ও ফোনকলের সময় কেউ যেন স্ক্রিনশট নিতে না পারে বা রেকর্ড করতে না পারে, তা নিশ্চিত করবে ব্লক স্ক্রিনশট ও ব্লক স্ক্রিন রেকর্ডিং ফিচার। অ্যাপের উল্লিখিত তিনটি ফিচার গোপনীয়তা ও সুরক্ষায় গ্রাহক শঙ্কা দূর করে বলে ইমো ফিচার উন্নয়ন বিভাগ সূত্রে জানানো হয়।
বর্তমান সময়ে ই-কমার্স পরিষেবায় ব্যক্তিতথ্য, অর্থ ও আর্থিক লেনদেনে অবাধে ডিজিটাল তথ্যবিনিময়ের অন্যতম মাধ্যম হয়ে উঠেছে উল্লিখিত অ্যাপ।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

সত্য মিথ্যা যাচাই না করে শেয়ার করবেন না, মেসেজটা তৃণমূলে ছড়িয়ে দিন: সিইসি

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, 'আমাদের একটা অভ্যাস হয়ে গেছে একটা নেতিবাচক সংবাদ দেখলেই যাচাই-বাছাই না করে শেয়ার করে দেওয়া হয়। অত্যন্ত ভিত্তিহীন সংবাদও আমরা শেয়ার করে দেই।'

সিইসি বলেন, 'দয়া করে সত্য মিথ্যা যাচাই না করে শেয়ার করবেন না। এই মেসেজটা তৃণমূলে ছড়িয়ে দিন। তথ্যটা যেন আগে যাচাই করে তারপরে শেয়ার করেন।'

আজ সোমবার রাজধানীর ভাটারায় আনসার গার্ড ব্যাটালিয়নে (এজিবি) এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এসব কথা বলেন সিইসি। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় ভুয়া সংবাদের প্রচার ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অপপ্রয়োগ রোধে করণীয় সম্পর্কে তিনি এসব কথা বলেন।

থানা আনসার কোম্পানি/প্লাটুন সদস্যদের আনসার মৌলিক প্রশিক্ষণের (৪র্থ ধাপ) সমাপনী উপলক্ষে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিইসি।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কোনো সংবাদ দেখা মাত্রই নাগরিকদের যাচাইবাছাই করতে আহ্বান জানান সিইসি। নিশ্চিত হওয়ার আগে শেয়ার না করতে বলেন তিনি।

জাতীয় নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মধ্যে আনসার ভিডিপির ভূমিকাকে মূল শক্তি বলে উল্লেখ করেন সিইসি। তিনি বলেন, 'এনারাই অধিক সংখ্যায় নিয়োজিত থাকেন। এবং আমাদের হিসেব করতে গেলে প্রথম এদেরকেই হিসেব করতে হয় যে, কতজন আনসার ভিডিপি সদস্য আমরা মোতায়েন করতে পারব। মূল কাজটা আঞ্জাম (সম্পাদন) দিতে হয় কিন্তু আনসার এবং ভিডিপির সদস্যদের।'

অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ। নির্বাচনকালীন জনগণের নিরাপত্তা, ভোট কেন্দ্রের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখা এবং সুষ্ঠুভাবে ভোট গ্রহণে আনসার বাহিনী সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিয়ে কাজ করছে বলে জানান তিনি। নির্বাচনে দেশজুড়ে প্রায় ৬ লাখ আনসার ও ভিডিপি সদস্য দায়িত্বপালন করবেন বলেন মহাপরিচালক।

অনুষ্ঠানে মহড়ায় ঢাকা মহানগর আনসারের চারটি জোনের অধীন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ৩২০ জন আনসার ও ভিডিপি সদস্য অংশ নেন।  আনসার গার্ড ব্যাটালিয়নের সদস্যরা টহল, দায়িত্ব বণ্টন ও জরুরি প্রতিক্রিয়া অনুশীলনে অংশ নেন।

মহড়ায় ভোটকেন্দ্রে নির্বাচনী সরঞ্জামাদি নিরাপদে পৌঁছে দেওয়া, ভোটারদের শৃঙ্খলাবদ্ধভাবে ভোট প্রদানে সহায়তা, জাল ভোট প্রতিরোধ, প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা এবং সেনা, বিজিবি, র‍্যাব ও পুলিশের সঙ্গে দ্রুত সমন্বয়ের প্রস্তুতি নেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি সদর দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন জোনের অধিনায়ক এবং প্রশিক্ষণ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ