চার বছরের মধ্যে পাসের হার সর্বনিম্ন, অকৃতকার্যের রেকর্ড
Published: 11th, July 2025 GMT
চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডে এবারের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় পাসের হার গত চার বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। একইসঙ্গে অকৃতকার্য শিক্ষার্থীর সংখ্যাও রেকর্ড ছাড়িয়েছে। চলতি বছর চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের অধীন স্কুলগুলোতে ৩৯ হাজারেরও বেশি পরীক্ষার্থী ফেল করেছে।
চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এবার ১ হাজার ১৬৪টি স্কুল থেকে ১ লাখ ৪১ হাজার ৩৩ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়। এর মধ্যে ১১ হাজার ৮৪৩ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে। অন্যদিকে, অকৃতকার্য হয়েছে ৩৯ হাজার ২০৭ জন। গত বছর অকৃতকার্য পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ২৪ হাজার ৯৩৫ জন। ২০২৩ সালে এই সংখ্যা ছিল ৩৩ হাজার ১৫২ জন, ২০২২ সালে ১৮ হাজার ৪৭০ জন এবং ২০২১ সালে ১৪ হাজার ৪৬ জন। ফলে চলতি বছর অকৃতকার্যের সংখ্যা গত চার বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।
বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের ২০২৫ সালের প্রকাশিত এসএসসি পরীক্ষার ফল বিশ্লেষণ করে এ তথ্য জানা যায়।
বোর্ড কর্মকর্তারা জানান, শিক্ষার্থীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি অকৃতকার্যের প্রধান কারণ গত জুলাই-আগস্টের আন্দোলনের কারণে পাঠদান ব্যাহত হওয়া। পাশাপাশি এবার উত্তরপত্র মনিটরিংয়ে কঠোরতা অবলম্বন করা হয়েছে। কোয়ানটিটির চেয়ে কোয়ালিটির ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বোর্ড কর্মকর্তারা।
চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ইলিয়াছ উদ্দিন আহাম্মদ বলেন, ‘‘বর্তমান সরকার আমাদের কঠোরভাবে নির্দেশনা দিয়েছেন যাতে আমরা শিক্ষা ব্যবস্থার সঠিক চিত্রটা তুলে আনি। আমরা এবার সে কাজটিই করেছি৷ খাতা খুব গুরুত্ব দিয়ে মনিটরিং করা হয়েছে যাতে কোনো ত্রুটি-বিচ্যুতি না থাকে।’’
বোর্ডের ফল বিশ্লেষণে দেখা গেছে, এ বছর এক বিষয়ে অকৃতকার্য শিক্ষার্থীর সংখ্যাও অন্যান্য বছরের চেয়ে অনেক বেড়েছে। এ বছর এক বিষয়ে ২৪ হাজার ৬৬৮ জন শিক্ষার্থী অকৃতকার্য হয়েছে। গত বছর এই সংখ্যা ছিল ১৭ হাজার ৭৭০ জন। ২০২৩ সালে ২২ হাজার ৩৯৬ জন, ২০২২ সালে ১৪ হাজার ১৯৪ জন এবং ২০২১ সালে ১২ হাজার ৯৫৬ জন শিক্ষার্থী এক বিষয়ে অকৃতকার্য হয়।
এ বছর পাসের হারেও বড় ধস নেমেছে। পাসের হার ৭২ দশমিক ০৭ শতাংশ। গত বছর ছিল ৮২ দশমিক ৮০ শতাংশ। ২০২৩ সালে পাসের হার ছিল ৭৮ দশমিক ২৯ শতাংশ, ২০২২ সালে ৮৭ দশমিক ৫৩ শতাংশ এবং ২০২১ সালে ৯১ দশমিক ১২ শতাংশ। চলতি বছর ছাত্রী পাসের হার ৭২ দশমিক ১৯ শতাংশ, যা গত চার বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। ছাত্র পাসের হারও ৭১ দশমিক ৯৩ শতাংশে নেমে এসেছে, যা আগের বছরের তুলনায় সর্বনিম্ন।
ঢাকা/রেজাউল//
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর পর ক ষ দশম ক
এছাড়াও পড়ুন:
ব্রাজিলিয়ানের জোড়া গোলে ব্রাজিলের ক্লাবের স্বপ্নচূর্ণ করে ফাইনালে চেলসি
দলবদলে মাত্র ৭ দিন আগে ব্রাইটন থেকে চেলসিতে যোগ দেন হোয়াও পেদ্রো। সেদিনই তাঁকে অন্তর্ভূক্ত করা হয় চেলসির ক্লাব বিশ্বকাপ দলে। তিন দিন পর স্বদেশী ক্লাব পালমেইরাসের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে অভিষেকও হয় তাঁর। সেদিন ৩৬ মিনিট মাঠে থেকে বিশেষ কিছু করতে পারেননি।
পালমেইরাসের বিপক্ষে অভিষেক হলেও গতকাল রাতে ফ্লুমিনেন্সের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়েই প্রথমবারের মতো একাদশে জায়গা পান ২৩ বছর বয়সী পেদ্রো। আর চেলসির হয়ে নিজের দ্বিতীয় ম্যাচেই সুযোগ পেয়ে করেছেন বাজিমাত। শৈশবের ক্লাব ফ্লুমিনেন্সের বিপক্ষে ক্লাব বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে করেছেন জোড়া গোল। তাতে ফ্লুমিনেন্সকে ২–০ গোলে হারিয়ে ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনালে পৌঁছে গেছে চেলসি।
আর এর মধ্য দিয়ে থামল ক্লাব বিশ্বকাপে ফ্লুমিনেন্সের চমক জাগানো অভিযাত্রাও।
ফ্লুমিনেন্সের বিদায়ের মধ্য দিয়ে টানা ১৩ বারের মতো ফিফা আয়োজিত ক্লাব পর্যায়ের টুর্নামেন্টের শিরোপা ইউরোপিয়ান ক্লাবের হাতে থাকা নিশ্চিত হলো। সর্বশেষ ২০১২ সালে চেলসিকে হারিয়ে ক্লাব বিশ্বকাপের শিরোপা জিতেছিল করিন্থিয়ান্স।আগামী রোববার রাতে ফাইনালে চেলসির মুখোমুখি হবে আজ রাতে অপর সেমিফাইনালে পিএসজি ও রিয়াল মাদ্রিদের মধ্যে জয়ী দল।
নিউইয়র্কের মেটলাইফ স্টেডিয়ামে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলেছে চেলসি ও ফ্লুমিনেন্স। তবে আক্রমণ, প্রতি–আক্রমণে জমে ওঠা ম্যাচে ১৮ মিনিটে দুর্দান্ত এক গোলে চেলসিকে এগিয়ে দেন পেদ্রো। আক্রমণে ওঠার একপর্যায়ে বাঁ পাশে ফ্লুমিনেন্স বক্সের কাছাকাছি জায়গায় বল পান পেদ্রো। সেখান থেকেই দূরের পোস্ট তাক করে শট নেন। ফ্লুমিনেন্স গোলরক্ষক ফাবিও ঝাঁপিয়ে পড়েও নাগাল পাননি বলের।
নিজের শৈশবের ক্লাবের বিপক্ষে গোল করে অবশ্য উদ্যাপন করেননি পেদ্রো।
গোল খেয়ে ম্যাচে ফিরতে মরিয়া হয়ে উঠে ফ্লুমিনেন্স। একটু পর মার্ক কুকুরেয়া গোললাইন থেকে বল ফিরিয়ে না দিলে তখনই সমতায় ফিরতে পারত ব্রাজিলিয়ান ক্লাবটি। ৩৬ মিনিটে হ্যান্ডবলের কারণে রেফারি প্রথমে ফ্লুমিনেন্সের পক্ষে পেনাল্টি দিলেও পরে ভিএআর সেটি বাতিল করেছে।
বিরতির পরও একই ধারায় চলতে থাকে লড়াই। ৫৬ মিনিটে ফ্লুমিনেন্সের ঘুরে দাঁড়ানোর রাস্তা একরকম বন্ধই করে দেন ক্লাবটির ঘরের ছেলে পেদ্রো। এনজো ফার্নান্দেজের পাস থেকে বল পেয়ে একক প্রচেষ্টায় এগিয়ে দারুণ এক গোল করেন। এই গোলের পরও উদ্যাপন করেননি পেদ্রো।
আরও পড়ুনক্লাব বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে নায়ক হতে পারেন যাঁরা১৬ ঘণ্টা আগেএরপর ফ্লুমিনেন্স চেষ্টা করেও আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি। তৃতীয়বারের মতো ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছে চেলসি। এর আগে ২০১২ ও ২০২১ সালে ফাইনাল খেলেছে ইংলিশ ক্লাবটি। ২০১২ সালে রানার্সআপ হলেও ২০২১ সালে শিরোপা জিতেছিল তারা।
ম্যাচ শেষে চেলসি কোচ এনজো মারেসকা বলেন, ‘এটা দারুণ অর্জন। মৌসুমটা দারুণ গেল। লিগে সেরা ছিলাম, কনফারেন্স লিগ জিতলাম এবং এখন এই প্রতিযোগিতার ফাইনালে উঠলাম। আমরা দারুণ আনন্দিত। আমরা এখন মৌসুমের শেষ ম্যাচে পৌঁছে গেছি। আশা করি টুর্নামেন্টটা জিততে পারব।’