চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডে এবারের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় পাসের হার গত চার বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। একইসঙ্গে অকৃতকার্য শিক্ষার্থীর সংখ্যাও রেকর্ড ছাড়িয়েছে। চলতি বছর চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের অধীন স্কুলগুলোতে ৩৯ হাজারেরও বেশি পরীক্ষার্থী ফেল করেছে।

চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এবার ১ হাজার ১৬৪টি স্কুল থেকে ১ লাখ ৪১ হাজার ৩৩ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়। এর মধ্যে ১১ হাজার ৮৪৩ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে। অন্যদিকে, অকৃতকার্য হয়েছে ৩৯ হাজার ২০৭ জন। গত বছর অকৃতকার্য পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ২৪ হাজার ৯৩৫ জন। ২০২৩ সালে এই সংখ্যা ছিল ৩৩ হাজার ১৫২ জন, ২০২২ সালে ১৮ হাজার ৪৭০ জন এবং ২০২১ সালে ১৪ হাজার ৪৬ জন। ফলে চলতি বছর অকৃতকার্যের সংখ্যা গত চার বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। 

বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের ২০২৫ সালের প্রকাশিত এসএসসি পরীক্ষার ফল বিশ্লেষণ করে এ তথ্য জানা যায়।

বোর্ড কর্মকর্তারা জানান, শিক্ষার্থীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি অকৃতকার্যের প্রধান কারণ গত জুলাই-আগস্টের আন্দোলনের কারণে পাঠদান ব্যাহত হওয়া। পাশাপাশি এবার উত্তরপত্র মনিটরিংয়ে কঠোরতা অবলম্বন করা হয়েছে। কোয়ানটিটির চেয়ে কোয়ালিটির ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বোর্ড কর্মকর্তারা।

চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ইলিয়াছ উদ্দিন আহাম্মদ বলেন, ‘‘বর্তমান সরকার আমাদের কঠোরভাবে নির্দেশনা দিয়েছেন যাতে আমরা শিক্ষা ব্যবস্থার সঠিক চিত্রটা তুলে আনি। আমরা এবার সে কাজটিই করেছি৷ খাতা খুব গুরুত্ব দিয়ে মনিটরিং করা হয়েছে যাতে কোনো ত্রুটি-বিচ্যুতি না থাকে।’’

বোর্ডের ফল বিশ্লেষণে দেখা গেছে, এ বছর এক বিষয়ে অকৃতকার্য শিক্ষার্থীর সংখ্যাও অন্যান্য বছরের চেয়ে অনেক বেড়েছে। এ বছর এক বিষয়ে ২৪ হাজার ৬৬৮ জন শিক্ষার্থী অকৃতকার্য হয়েছে। গত বছর এই সংখ্যা ছিল ১৭ হাজার ৭৭০ জন। ২০২৩ সালে ২২ হাজার ৩৯৬ জন, ২০২২ সালে ১৪ হাজার ১৯৪ জন এবং ২০২১ সালে ১২ হাজার ৯৫৬ জন শিক্ষার্থী এক বিষয়ে অকৃতকার্য হয়।

এ বছর পাসের হারেও বড় ধস নেমেছে। পাসের হার ৭২ দশমিক ০৭ শতাংশ। গত বছর ছিল ৮২ দশমিক ৮০ শতাংশ। ২০২৩ সালে পাসের হার ছিল ৭৮ দশমিক ২৯ শতাংশ, ২০২২ সালে ৮৭ দশমিক ৫৩ শতাংশ এবং ২০২১ সালে ৯১ দশমিক ১২ শতাংশ। চলতি বছর ছাত্রী পাসের হার ৭২ দশমিক ১৯ শতাংশ, যা গত চার বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। ছাত্র পাসের হারও ৭১ দশমিক ৯৩ শতাংশে নেমে এসেছে, যা আগের বছরের তুলনায় সর্বনিম্ন।

ঢাকা/রেজাউল//

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর পর ক ষ দশম ক

এছাড়াও পড়ুন:

লুসাইলের মঞ্চে মুখোমুখি মেসির আর্জেন্টিনা ও ইয়ামালের স্পেন

লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনা আবারও দক্ষিণ আমেরিকার সেরা দল হিসেবে নিজেদের অবস্থান পাকাপোক্ত করেছে। ২০২৪ কোপা আমেরিকার শিরোপা জয়ের পর তারা এবার ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়ন স্পেনের মুখোমুখি হতে চলেছে বহুল প্রতীক্ষিত ফাইনালিসিমায়। যেখানে লড়বে দুই মহাদেশের সেরা দুই দল। আর এবার জানা গেল, সেই ঐতিহাসিক ম্যাচের তারিখ ও ভেন্যু।

স্প্যানিশ দৈনিক মার্কা-র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৬ সালের ২৮ মার্চ কাতারের লুসাইল স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে এই মহারণ। এখানেই মেসি তুলেছিলেন তার জীবনের সবচেয়ে বড় ট্রফি, ২০২২ বিশ্বকাপের শিরোপা। সেই একই মাঠে আবারও ফিরছেন তিনি, এবার নতুন এক গৌরবের উদ্দেশ্যে।

আরো পড়ুন:

বার্সেলোনায় পুলিশের সঙ্গে ফিলিস্তিনপন্থিদের সংঘর্ষ, গ্রেপ্তার ৮

বুসকেটসের অবসর ঘোষণা: এক নিঃশব্দ শিল্পীর শেষ অধ্যায়

ইংল্যান্ডের ঐতিহ্যবাহী ওয়েম্বলি কিংবা উরুগুয়ের সেন্টেনারিওর মতো ভেন্যুও আলোচনায় ছিল। তবে শেষ পর্যন্ত আরব বিশ্বের ক্রমবর্ধমান ফুটবল প্রভাব ও অবকাঠামোর মানের কারণে বেছে নেওয়া হয়েছে লুসাইলকে। ভৌগোলিক দিক থেকেও এটি তুলনামূলক নিরপেক্ষ। ইউরোপ ও দক্ষিণ আমেরিকা দুই মহাদেশের সমর্থকদের জন্যই এটি একটি ভারসাম্যপূর্ণ বিকল্প।

যদি সব ঠিক থাকে, তবে এই ফাইনালিসিমা হয়ে উঠবে প্রজন্মের সংঘাতের প্রতীক। এক পাশে থাকবেন লিওনেল মেসি। যিনি ফুটবল ইতিহাসের সর্বকালের সেরাদের একজন। অন্যপাশে মাত্র ১৭ বছর বয়সেই স্পেন ও বার্সেলোনার আলোচিত প্রতিভা লামিনে ইয়ামাল।

বার্সার দুই প্রজন্মের এই লড়াই নিঃসন্দেহে রূপ নেবে ফুটবল ইতিহাসের এক অনন্য অধ্যায়ে। মেসির প্রজ্ঞা, অভিজ্ঞতা আর ইয়ামালের তারুণ্যের ঝলক; লুসাইলের আকাশে ফুটবলের এক মহাকাব্য লিখবে।

ফাইনালিসিমা বা ইউরোপ-দক্ষিণ আমেরিকা নেশনস কাপের ইতিহাস শুরু হয়েছিল ১৯৮৫ সালে। তারপর দীর্ঘ বিরতি শেষে ২০২২ সালে আবারও ফিরে আসে এই প্রতিযোগিতা, যেখানে লিওনেল মেসির নেতৃত্বে ইতালিকে হারিয়ে শিরোপা জেতে আর্জেন্টিনা। এর আগে শুধুমাত্র ফ্রান্স ও আর্জেন্টিনা একবার করে জিতেছিল এই আসর।

এবারের ফাইনালিসিমা তাই আর্জেন্টিনার জন্য ইতিহাস টিকিয়ে রাখার লড়াই। আর স্পেনের জন্য ইতিহাস গড়ার সুযোগ। প্রথমবারের মতো এই টুর্নামেন্টে খেলতে যাচ্ছে ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নরা। যাদের মাঝমাঠের দখলদারিত্ব ও সৃজনশীল আক্রমণ হতে পারে আর্জেন্টিনার জন্য বড় চ্যালেঞ্জ।

মেসিরা যেখানে চায় ফাইনালিসিমার শিরোপা ধরে রেখে নিজেদের আধিপত্য অটুট রাখতে, সেখানে ইয়ামাল ও তার সতীর্থরা ইতিহাসের পাতায় নতুন নাম লেখানোর মিশনে নামবে।

ফুটবল বিশ্ব এখন অপেক্ষায় ২০২৬ সালের মার্চে, সেই লুসাইল স্টেডিয়ামে, যেখানে মেসি একদিন বিশ্বজয়ের আনন্দে কেঁদেছিলেন। সেই একই মঞ্চে হয়তো আবারো লেখা হবে ফুটবলের নতুন মহাকাব্য।

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নির্ঝর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজে ২০২৬ সালে নার্সারি শ্রেণিতে ভর্তি
  • ওডেসার মেয়রের ইউক্রেনীয় নাগরিকত্ব বাতিল করলেন জেলেনস্কি
  • মোংলা বন্দরে ৯ম থেকে ২০তম গ্রেডে চাকরি, ১১৩ পদে নিয়োগ
  • বিনা মূল্যে কেয়ারগিভিং প্রশিক্ষণ কোর্স, আবেদন এসএসসি পাসে
  • ‘হেনী কলেজের টেঁয়া লই চুদুরবুদুর চইলত নঅ’ স্লোগানটি কেন আবার প্রাসঙ্গিক
  • বক্স অফিসে ‘কানতারা টু’ ঝড়: কে কত টাকা পারিশ্রমিক নিলেন?
  • বেক্সিমকোসহ সব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে তদন্তে বিএসইসি
  • বিকাশ থেকে ব্যাংকে টাকা পাঠানোর সেবা চালু হচ্ছে, খরচ হাজারে সাড়ে ৮ টাকা
  • লুসাইলের মঞ্চে মুখোমুখি মেসির আর্জেন্টিনা ও ইয়ামালের স্পেন
  • সেদিন আর্জেন্টিনার জয় প্রাপ্য ছিল, বললেন এমবাপ্পে