দু’গ্রুপে সংঘর্ষ, সুজানগরে বিএনপির ১০ নেতাকর্মী বহিষ্কার
Published: 11th, July 2025 GMT
বিএনপি দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় পাবনার সুজানগরে বিএনপি ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের ১০ নেতাকর্মীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে দলীয় প্রাথমিক সদস্য পদসহ সব পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়।
বহিষ্কৃত আট নেতাকর্মী হলেন- সুজানগর উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব শেখ আব্দুর রউফ, সুজানগর পৌর বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মজিবর রহমান খাঁন, উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য কামাল শেখ, সুজানগর পৌর সভার ৬ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সহ-সভাপতি রুহল খাঁ, বিএনপি নেতা লেবু খাঁ, পৌর যুবদলের সদস্য মানিক খাঁ, যুবদল নেতা মনজেদ শেখ, যুবদলকর্মী হালিম শেখ, উপজেলা ছাত্রদল নেতা শেখ কাউসার ও সুজানগর এনএ কলেজ শাখা ছাত্রদলের সভাপতি শাকিল খাঁ।
এদিকে ঘটনার তিন দিন পেরিয়ে গেলেও কোনো মামলা বা কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। প্রকাশ্যে অস্ত্র প্রদর্শন করা হলেও পুলিশ অস্ত্র উদ্ধার করতে পারেনি।
দলীয় সূত্র জানায়, একজন মেয়ের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত বুধবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব শেখ আব্দুর রউফ গ্রুপের সমর্থকরা সুজানগর পৌর বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মজিবর রহমান খানের গ্রুপের সমর্থক সবুজ খানকে ছুরিকাঘাত করে। এ ঘটনার জের ধরে ওইদিন দুপুর আড়াইটার দিকে পৌর বাজারের নন্দিতা সিনেমা হল রোডে উভয় গ্রুপ তুমুল সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। সংঘর্ষে ৭ জন গুলিবিদ্ধসহ উভয় গ্রুপের অন্তত ১৫ জন আহত হন।
সংঘর্ষে আগ্নেয়াস্ত্র, ধারালো অস্ত্র, ককটেল ও লাঠিসোঁটা ব্যবহার করা হয়। এ ঘটনায় গোটা উপজেলায় বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তপ্ত পরিস্থিতি বিরাজ করে। এছাড়াও জনমনে আতঙ্ক দেখা দেয়। ফলে সৃষ্ট এমন পরিস্থিতিতে দলীয় স্বার্থে তথা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে নেতাকর্মীদের বহিষ্কার করা হয়।
এদিকে দলের হাইকমান্ডের এ সিদ্ধান্তকে যথার্থ এবং সময়োযোগী বলে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন বিএনপির শান্তিপ্রিয় নেতাকর্মীসহ সর্বস্তরের জনসাধারণ।
বিএনপি নেতা মজিবর রহমান খান সমকালকে বলেন, ‘শেখ আবদুর রউফ ৫ আগস্টের পর থেকে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে দলকে ডুবিয়েছে। তার বহিষ্কার ঠিক আছে। আমাকে বহিষ্কার করা ঠিক হয়নি। ১৬ বছর বিএনপিকে আমরাই টিকিয়ে রেখেছি। আশা করি, দল আমাদের বিষয়ে বিবেচনা করবে।’
সুজানগর উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব শেখ আব্দুর রউফ হাসপাতালের বিছানায় সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি দলের জন্য জেল খেটেছি। আমাকে হত্যা করার জন্য ফ্যাসিবাদের এজেন্ট হয়ে মজিবর খানরা কাজ করছে। আমাকে মেরে ফেললে এখানে কেউ আর বিএনপি করবে না।’
সুজানগর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক এবিএম তৌফিক হাসান আলহাজ্ব সমকালকে বলেন, বহিষ্কারের বিষয়টি কেন্দ্র করেছে। গুরুতর আহত সদস্যসচিব শেখ আব্দুর রউফকে বহিষ্কারের বিষয়টি দুঃখজনক বলে উল্লেখ করেন।
পাবনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান হাবিব সমকালকে বলেন, দুই পক্ষের ব্যক্তিগত দ্বদ্বের জেরে ঘটনাটি ঘটেছে। এটা রাজনৈতিক কারণে ঘটেনি।
সুজানগর থানার ভারপ্রাপ্ত মো.
তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় এখনো কোনো পক্ষ থেকে থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়নি। ফলে কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেব।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব এনপ ব এনপ র স ন ত কর ম র সদস য র ব এনপ স জ নগর র রহম ন স ঘর ষ উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
উৎসব ঘুরে প্রেক্ষাগৃহে ‘বাড়ির নাম শাহানা’
কৈশোর পেরোনোর আগেই শাহানাবাড়ির মেয়ে দীপার বিয়ে হয়ে যায়। স্বামীর নির্যাতনের জাল ছিঁড়ে নিজের মতো করে বাঁচতে চেয়েছেন তিনি। নব্বইয়ের দশকের পটভূমিতে দীপার বেঁচে থাকার লড়াইয়ের গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে বাড়ির নাম শাহানা।
সত্য কাহিনি অবলম্বনে নির্মিত বাড়ির নাম শাহানায় দীপা চরিত্রে অভিনয় করেছেন আনান সিদ্দিকা। ছবিটি যৌথভাবে প্রযোজনা করেছে কমলা কালেক্টিভ ও গুপী বাঘা প্রোডাকশন্স লিমিটেড।
নির্মাণের বাইরে লীসা গাজী লেখক, নাট্যকর্মী হিসেবে পরিচিত