Samakal:
2025-05-01@13:56:27 GMT

অহেতুক পেইনকিলার নয়

Published: 20th, January 2025 GMT

অহেতুক পেইনকিলার নয়

চিকিৎসকরা একটা জিনিস বারবার বলে থাকেন, যেটি আমরা সবাই শুনেছি। তা হলো, অকারণে মুড়ি-মুড়কির মতো পেইনকিলার খাওয়া, বা পেনইকিলারের অভ্যাস তৈরি করে ফেলা একেবারেই উচিত নয়। এর কারণ কী, সেটি এবার জেনে নেওয়া যাক।
প্রথমত, মানুষের শরীর এবং মস্তিষ্ক এমনভাবে তৈরি, যে কোনো একটা পদার্থের দ্বারা যদি ক্রমাগত তাকে আঘাত করা হয়, তাহলে শরীরও নিজেকে তেমনভাবে সইয়ে নেয়। সে আঘাত তার গা-সওয়া হয়ে যায়। পেইনকিলারও যদি ক্রমাগত খেতে থাকি, তাহলে শরীরের ব্যথা সহ্য করার ক্ষমতা বেড়ে যায়। অর্থাৎ, যে ব্যথা আগে তিনটে পেইনকিলারে কমে যেত, ক্রমাগত খেতে খেতে দেখা যায়, সেই একই ব্যথায় ছটা পেইনকিলারেও কাজ হচ্ছে না। এগুলো সবই হয় রিসেপ্টর মডিফিকেশনের ফলে। নিউরাল পাথওয়েগুলো অ্যাডজাস্ট হয়ে যাওয়ার জন্য। এসবের ফলে নির্দিষ্ট ডোজে তার কার্যকারিতা দেখাতে পারে না। ডাক্তারি পরিভাষায় একে বলে, ‘রেজিস্ট্যান্স টু দি অ্যানালজেসিক এফেক্ট অব পেইনকিলারস’। দরকারের সময় পেইনকিলার খেলেও যে কাজ হয় না, এটি তার বড় কারণ।
দ্বিতীয়ত, কেউ যদি দীর্ঘ সময় ধরে পেইনকিলার খান, তাহলে তার কিডনির ওপর খুব খারাপ প্রভাব পড়ে। দেখা গেছে, এ রকম ক্ষেত্রে অনেক সময় কিডনিতে অ্যাকিউট টিউবুলার নেক্রোসিস বা অ্যাকিউট ইন্টারস্টিশিয়াল নেফ্রাইটিস এই জাতীয় রোগ হয়। কারণ, দীর্ঘদিন ধরে পেইনকিলার খেয়ে যাওয়ার ফলে অনেক সময়ই তা পর্যাপ্ত পরিমাণে কিডনি থেকে বেরতে পারে না। কিডনিতেই জমে থাকে। ফলে কিডনির এমন ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়, যার জন্য পরে ডায়ালাইসিস নিতে হতে পারে। কিডনির সাময়িক ক্ষতি, যা পরে দীর্ঘমেয়াদি হতে পারে এর অন্যতম বড় কারণ কিন্তু পেইনকিলার। এটি বেশি খেলে লিভারও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। অর্থাৎ লিভার খারাপ হয়ে যাওয়ার প্রবণতা, ক্রনিক লিভার ডিজিজ বা অ্যাকিউট হেপাটিক ইনজুরি হতে পারে। অনেক সময়ই দেখা গেছে, অতিরিক্ত পেইনকিলার খাওয়ার জন্য অ্যাকিউট হেপাটিক ফেইলুর হয়ে গেছে। পেইনকিলার লিভারকে এতটাই চাপ দিয়েছে, লিভার ফেইল করেছে। লিভার এবং কিডনির ওপর পেইনকিলারের যে একটা অদ্ভুত খারাপ প্রভাব পড়তে পারে, এর জন্যও ইচ্ছামতো, বিনা প্রেসক্রিপশনে পেইনকিলার খাওয়া একদম চলবে না। এটা সত্যি, যে কিছু ক্ষেত্রে রোগীকে পেইনকিলার না দিয়ে উপায় থাকে না চিকিৎসকদের। কাকে কোন পেইনকিলার, কতটা ডোজে দেবেন সেটি একমাত্র চিকিৎসকই ঠিক করে দেবেন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

খেলার মাঠে নুসরাত ফারিয়া, ব্যক্তিত্বের খুঁজে পূজা চেরি

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তারকারা বেশির ভাগ সময়ই সরব থাকেন। প্রকাশ করেন তাদের কাজের খবরসহ ব্যক্তি জীবনের নানা ঘটনা। কখনো কখনো সেগুলোই বৈচিত্র্য হয়ে ধরা দেয় ভক্তদের কাছে। একনজরে দেখে নিতে পারেন ফেসবুকের পাতা থেকে তারকাদের মনের কথা।

টেবিল টেনিস খেলার তিনটি ছবি শেয়ার করে অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়া লিখেছেন, ‘নতুন কিছুর জন্য প্রস্তুতি চলছে।’

পূজা চেরি লিখেছেন, ‘যে জায়গায় নিজের ব্যক্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায় না, সে জায়গা এড়িয়ে চলাই ভালো আমি মনে করি।’

অভিনেত্রী কাজী নওশাবা লিখেছেন, ‘শিল্পীদের উপর হামলা কোনভাবেই মেনে নেওয়া যাবে না! সঠিক নিরাপত্তা মনোনয়ন করুন।’

সামনে কেক নিয়ে অভিনেত্রী বর্ষা লিখেছেন, ‘যখন আমি আমার জন্মদিনের কেক খাই।’

নতুন ফটোশুটের তিনটি ছবি শেয়ার করে অভিনেত্রী মৌসুমী হামিদ লিখেছেন, ‘কালো সবসময়ই অভিজাত’।

স্ত্রীর বেবি সাওয়ারে তোলা কয়েকটি ছবি পোস্ট করেছেন ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’খ্যাত নির্মাতা কাজল আরেফিন অমি। সঙ্গে জুড়ে দিয়েছেন ভালোবাসার চিহ্ন।

স্বামী সন্তানের সঙ্গে ছবিটি পোস্ট করে সংগীতশিল্পী টিনা রাসেল লিখেছেন, ‘আমার পুরা দুনিয়া।’

কালো পাঞ্জাবি নিজের তিনটি ছবি শেয়ার করে অভিনেতা সজল লিখেছেন, ‘কালো সব সময়ই ভালো।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • খেলার মাঠে নুসরাত ফারিয়া, ব্যক্তিত্বের খোঁজে পূজা চেরি
  • খেলার মাঠে নুসরাত ফারিয়া, ব্যক্তিত্বের খুঁজে পূজা চেরি