সাইবার সিকিউরিটি আইনের মামলায় খালাস পাচ্ছে ৯৫% আসামি
Published: 23rd, January 2025 GMT
শিগগিরই খালাস পাচ্ছেন সাইবার সিকিউরিটি আইনে করা মামলার ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ আসামি। এ তথ্য জানিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের আইসিটি নীতি পরামর্শক ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
গতকাল বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগে সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশে আনা পরিবর্তনগুলো তুলে ধরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী, অতিরিক্ত সচিব কামরুন নাহার, উপসচিব মোহাম্মদ ইউসুফ প্রমুখ।
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, গণমাধ্যমসহ সব পেশাজীবীর মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে সুরক্ষা দেবে নতুন অধ্যাদেশ। তবে জামিন আমলযোগ্য হিসেবে চারটি অপরাধকে রাখা হয়েছে। বিচারক চাইলে এই চারটি অপরাধে অপরাধীকে জামিন নাও দিতে পারেন। এটা বিচারকের স্বাধীনতার ওপর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, নতুন অধ্যাদেশে ২৪ ঘণ্টা ইন্টারনেট প্রাপ্তির অধিকার ও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামোর সুরক্ষা নিশ্চিত করা হয়েছে। সাইবার স্পেসে ঝুঁকি মোকাবিলার উদ্যোগ স্পষ্ট ও যৌন হয়রানিকে অপরাধ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। কনটেন্ট ব্লকের দিক থেকে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির কারণে ব্লক করার কারণ জানানোর বাধ্যবাধকতা রাখা, তল্লাশির স্বার্থে জব্দ করা জিনিসপত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আদালতে হাজির করতে হবে এবং জুলাই বিপ্লবের বিপক্ষে কিছু প্রকাশ করা যাবে না– এমন অনুরোধ উপেক্ষা করা হয়েছে। আগামীতেও কোনো সংযোজন-বিয়োজন করার প্রয়োজন হলে তা করা হবে।
গত মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে আইন উপদেষ্টা জানিয়েছিলেন, সাইবার সিকিউরিটি আইনের অধীনে সারাদেশে যত মামলা রয়েছে, সব প্রত্যাহার করা হবে। আগামী সাত দিনের মধ্যে এসব মামলা প্রত্যাহারের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: অপর ধ
এছাড়াও পড়ুন:
জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ইস্যু সমাধান আলোচনার টেবিলেই সম্ভব: সালাহউদ্দ
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, ‘‘জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ইস্যুর সমাধান আলোচনার টেবিলেই সম্ভব।’’
তিনি মনে করেন, আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান এলে যেকোনো অসাংবিধানিক প্রক্রিয়া ঠেকানো যাবে।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘‘আগামী নির্বাচনকে যদি অনিশ্চিত করা হয় বা বিলম্বিত করা হয়, তাহলে তার সুযোগ নেবে ফ্যাসিবাদী বা অসাংবিধানিক শক্তি। এর পরিণতি জাতি অতীতে বহুবার ভোগ করেছে। আমরা আবার সে পরিস্থিতি চাই না।’’
অন্তর্বর্তী সরকারের বৈধতা নিয়ে পৃথক এক প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্টের মতামতের ভিত্তিতেই সাংবিধানিকভাবে এই সরকার গঠিত হয়েছে। রাষ্ট্রপতির রেফারেন্সে দেওয়া সেই মতামত এখনো বহাল আছে। এর বিপরীতে সুপ্রিম কোর্ট কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি। তাই এ বিষয়ে প্রশ্ন তোলা আসলে রাজনৈতিক বক্তব্য, এর কোনো আইনি ভিত্তি নেই।’’
সালাহউদ্দিন আহমদ আরো বলেন, ‘‘যেকোনো সাংবিধানিক আদেশ জারি হলে তা আগামীকাল বা পরশু চ্যালেঞ্জ হতে পারে। আমরা এমন খারাপ নজির জাতির সামনে আনতে চাই না। তাই সমাধানের বিকল্প প্রস্তাব উত্থাপন করেছি। সবাইকে বিবেচনায় নিতে আহ্বান জানাচ্ছি।’’
পিআর পদ্ধতি প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘‘রাজনৈতিক দলের আন্দোলনের অধিকার আছে। তবে পিআর পদ্ধতি চাপিয়ে দেওয়ার বিষয় নয়, শেষ পর্যন্ত জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে।’’
তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘‘পিআর পদ্ধতিতে ঝুলন্ত পার্লামেন্টের ঝুঁকি থেকে যায়। তাতে রাষ্ট্র ও জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণ সম্ভব হয় না। আমরা অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে যেতে পারি না।’’
সালাহউদ্দিন আহমদ আরো বলেন, ‘‘জনগণই হলো সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ। এই দেশের জনগণ মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে এবং বারবার গণতন্ত্রকে সংকট থেকে উদ্ধার করেছে।’’
আগামী সংসদে কিছু মৌলিক বিষয়ে সংশোধনের পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করেন তিনি বলেন, ‘‘আমরা কিছু বিষয়ে ইতোমধ্যে একমত হয়েছি। তবে, ঐকমত্য কমিশনের সনদের ভেতরে যেসব পরিবর্তন হবে, সেগুলোতে অবশ্যই গণভোট নিতে হবে।’’
ঢাকা/আসাদ/রাজীব