আইন সংশোধনের মাধ্যমে বীর মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞা ও মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতির সর্বনিম্ন বয়সসীমা নতুন করে নির্ধারণ করা হচ্ছে। রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধাদের (সক্রিয়) পরিচিতি ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ থাকলেও অন্য সবার ক্ষেত্রে পরিচয় হবে ‘মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী’।

এই দুই শ্রেণিতে স্বীকৃতি পাওয়ার ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন বয়স সাড়ে ১২ বছরের পরিবর্তে ১৩ বছর নির্ধারণ করা হচ্ছে। বাদ দেওয়া হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের উজ্জীবিত করা নিয়ে বঙ্গবন্ধুর আহ্বানের বিষয়টিও। এ ছাড়া মুক্তিযুদ্ধের সংজ্ঞা পরিবর্তনের পাশাপাশি পাকিস্তান বাহিনীর সহযোগী হিসেবে রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের ক্রমবিন্যাস পুনর্নির্ধারণ করা হচ্ছে।

এ লক্ষ্যে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) আইন ২০২২ সংশোধনের খসড়া চূড়ান্ত করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। জামুকা থেকে পাঠানো খসড়াটি অধ্যাদেশ আকারে প্রকাশের জন্য চলছে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের চূড়ান্ত পর্যায়ের পর্যালোচনাসহ অন্যান্য প্রস্তুতি। শিগগিরই এটি উপদেষ্টা পরিষদের সভায় অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন হওয়ার কথা। এর পর রাষ্ট্রপতির আদেশের মাধ্যমে অধ্যাদেশ জারি হবে।

খসড়ায় উল্লিখিত নতুন সংজ্ঞা অনুযায়ী, মুক্তিযুদ্ধে সরাসরি অংশগ্রহণকারীরাই হবেন বীর মুক্তিযোদ্ধা। অন্যদিকে দেশের অভ্যন্তরে বা প্রবাসে সংগঠকের ভূমিকা পালন করা, বিশ্ব জনমত গঠনে ভূমিকা রাখা ব্যক্তিরা, মুজিবনগর সরকারের নিয়োগপ্রাপ্ত চিকিৎসক, নার্স ও অন্যান্য সহকারী যারা মুক্তিযুদ্ধে বিভিন্নভাবে সহায়তা করেছেন, তারা মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী হিসেবে স্বীকৃতি পাবেন। 

জানতে চাইলে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক ই আজম বীরপ্রতীক সমকালকে বলেন, ‘রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধাদের আপত্তি রয়েছে, যারা সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়নি তাদেরকে একইভাবে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়ে। তারা চান মুক্তিযোদ্ধা বলতে শুধু সরাসরি যারা যুদ্ধ করেছেন, তাদেরই বোঝানো হোক। এর বাইরে মুক্তিযুদ্ধে যারা ভূমিকা রেখেছেন, তারা অন্য পরিচয়ে পরিচিত হবেন। আমরা বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়েছি। এজন্য মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞায় পরিবর্তন আনা হচ্ছে। আলোচনার ভিত্তিতে মুক্তিযোদ্ধার সর্বনিম্ন বয়সসীমাও পরিবর্তন করা হচ্ছে। এটি প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।’ মুক্তিযুদ্ধের সহযোগীদের ভাতা প্রসঙ্গে ফারুক ই আজম বলেন, ভাতা হিসেবে এখন যা আছে, তারা সেটাই পাবেন। শুধু স্বীকৃতির শ্রেণি পরিবর্তন হবে। এটাই এখন পর্যন্ত সিদ্ধান্ত।

জামুকা আইন সংশোধন-সংক্রান্ত অধ্যাদেশের গেজেট প্রকাশের পর এর আওতায় বিধিমালা প্রণয়ন করা হবে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের গেজেটভুক্তি নিয়ে অনেক তুঘলকি ব্যাপার হয়েছে। জনমনে অনেক প্রশ্ন আছে। অথচ আইনটি কার্যকরে কখনও বিধিমালা করা হয়নি। এজন্য অধ্যাদেশ জারির পর বিধিমালাও প্রণয়ন করা হবে।

জামুকার ৯১তম সভায় গত ২ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞা, বয়সসীমাসহ সংশ্লিষ্ট আইন এবং মুক্তিযোদ্ধাদের গেজেটভুক্তি সংক্রান্ত নির্দেশিকা সংশোধনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর আলোকে প্রণীত খসড়ায় বিদ্যমান আইনের উল্লিখিত দুই ডজনের বেশি বিষয়ে পরিবর্তন, সংযোজন বা প্রতিস্থাপন করা হচ্ছে।

নতুন সংজ্ঞায় যা থাকছে

১৯৭২ সালে মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট গঠনের সময় মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞা নির্ধারণ করা হয়। সংজ্ঞায় বলা হয়, ‘মুক্তিযোদ্ধা বলতে যে কোনো ব্যক্তি, যিনি মুক্তিযুদ্ধে নিয়োজিত মুক্তিবাহিনীর সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।’ কিন্তু ২০১৬ সালের ৬ নভেম্বর এক গেজেটের মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধার নতুন সংজ্ঞা করা হলে এর পরিধি বিস্তৃত হয়। ওই গেজেট অনুযায়ী ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে ‘মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট আইন’ যুগোপযোগী করে জাতীয় সংসদে পাস করে তৎকালীন সরকার। সংজ্ঞায় বলা হয়, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক স্বাধীনতার ঘোষণায় সাড়া দিয়ে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ হতে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ের মধ্যে যে সকল ব্যক্তি বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা অর্জনের লক্ষ্যে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন, তাঁরাই মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে গণ্য হবেন।’ 

সংজ্ঞায় রণাঙ্গনের সশস্ত্র বীর মুক্তিযোদ্ধাদের পাশাপাশি স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল, স্বাধীন বাংলা বেতার কর্মী, মুজিবনগর সরকারের কর্মকর্তা-কর্মচারী, প্রবাসে পেশাজীবী সংগঠক, ভারতে মুক্তিযোদ্ধা ক্যাম্পে প্রশিক্ষণ নেওয়া ব্যক্তি, মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন বাহিনীর সদস্য, পাকিস্তান বাহিনীর দ্বারা নির্যাতিত নারী (বীরাঙ্গনা), মুক্তিযুদ্ধে চিকিৎসা প্রদানকারী চিকিৎসক, নার্সসহ সংশ্লিষ্টদেরও মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এবার সেই সংজ্ঞা পরিবর্তন করে রণাঙ্গনে অংশগ্রহণকারী প্রত্যক্ষ মুক্তিযোদ্ধাদেরই কেবল বীর মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি দেওয়া হচ্ছে। অন্যদের মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু এখানেও নতুন প্রশ্ন রয়েছে। নতুন সংজ্ঞা অনুযায়ী, দেশের অভ্যন্তরে গ্রামেগঞ্জে যুদ্ধের প্রস্তুতি ও অভ্যন্তরীণ প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে যারা যুদ্ধ করেছেন, তাদেরও বীর মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে ১১ উপধারা সংশোধনীতে পরিবর্তিত সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা অর্থ যাহারা ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দের ২৬ মার্চ হইতে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরে গ্রামেগঞ্জে যুদ্ধের প্রস্তুতি ও অভ্যন্তরীণ প্রশিক্ষণ গ্রহণ করিয়াছেন এবং বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা অর্জনের লক্ষ্যে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত হইয়া হানাদার ও দখলদার পাকিস্তানি সশস্ত্র বাহিনী এবং তাহাদের এ দেশীয় সহযোগী রাজাকার, আল বদর, আল শামস, মুসলিম লীগ, জামায়াতে ইসলামী, নেজামী ইসলাম এবং দালাল ও শান্তি কমিটির বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় অংশগ্রহণ করিয়াছেন এইরূপ সকল বেসামরিক নাগরিক এবং সশস্ত্র বাহিনী, মুক্তি বাহিনী, বিএলএফ ও অন্যান্য স্বীকৃত বাহিনী, পুলিশ বাহিনী, ইপিআর, নৌ কমান্ডো, কিলো ফোর্স এবং আনসার সদস্য উক্ত সময়ে যাহাদের বয়স সরকার নির্ধারিত বয়সসীমার মধ্যে, তাহারা বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে গণ্য হইবেন।’

মুক্তিযুদ্ধের সংজ্ঞা 

নতুন আইনে মুক্তিযুদ্ধের সংজ্ঞা পরিবর্তনের প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রতিস্থাপিত ১৩ নম্বর উপধারায় সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, ‘মুক্তিযুদ্ধ অর্থ ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দের ২৬ মার্চ হইতে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত একটি স্বাধীন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসাবে বাংলাদেশের জনগণের জন্য সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার আকাঙ্ক্ষায় হানাদার ও পাকিস্তানি সশস্ত্র বাহিনী এবং তাহাদের সহযোগী রাজাকার, আল বদর, আল শামস, মুসলিম লীগ, জামায়াতে ইসলামী, নেজামী ইসলাম এবং দালাল ও শান্তি কমিটির বিরুদ্ধে যুদ্ধ।’ বিদ্যমান আইনের সংজ্ঞায় বলা রয়েছে, ‘মুক্তিযুদ্ধ অর্থ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক স্বাধীনতার ঘোষণায় সাড়া দিয়া দখলদার ও হানাদার পাকিস্তানি সেনাবাহিনী, জামায়াতে ইসলামী, নেজামে ইসলাম ও মুসলিম লীগ এবং তাহাদের সহযোগী রাজাকার, আল বদর, আল শামস, মুজাহিদ বাহিনী ও পিস কমিটির বিরুদ্ধে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দের ২৬ মার্চ হইতে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত যুদ্ধ।’ দুটি সংজ্ঞা পর্যালোচনায় দেখা যায়, খসড়ায় রাষ্ট্রের নাম ও মূলনীতি পরিবর্তনের পাশাপাশি বঙ্গবন্ধুর অবদান বাতিল এবং পাকিস্তান বাহিনীর দোসর হিসেবে রাজনৈতিক দলগুলোর সহযোগী বাহিনীগুলোর নাম আগে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।

মুক্তিযোদ্ধার বয়সসীমা

বর্তমানে মুক্তিযোদ্ধাদের সর্বনিম্ন বয়স ১২ বছর ৬ মাস। ২০১৮ সালের ১৭ জানুয়ারি এক পরিপত্রের মাধ্যমে ১৯৭১ সালের ৩০ নভেম্বর যেসব মুক্তিযোদ্ধার বয়স ন্যূনতম ১২ বছর ৬ মাস ছিল, তাদের মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে বিবেচনা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে নতুন সংজ্ঞায় মুক্তিযোদ্ধাদের সর্বনিম্ন বয়স ১৩ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে ১৯৭১ সালের ৩০ নভেম্বরের বদলে ২৬ মার্চ মুক্তিযোদ্ধার সর্বনিম্ন বয়সসীমা নির্ধারণ করা হয়। তবে মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তান বাহিনী ও তার দোসরদের দ্বারা নির্যাতিত নারী বা বীরাঙ্গনার ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন বয়সসীমা প্রযোজ্য হবে না বলে খসড়ায় বলা হয়েছে।

মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, দেশে গেজেটভুক্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা ২ লাখ ৮ হাজার ৫০ জন। জীবিত ৯১ হাজার ৯৯৮ জন। খসড়া অনুযায়ী মুক্তিযোদ্ধার নতুন সংজ্ঞা কার্যকর হলে এ নিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে অস্থিরতা দেখা দিতে পারে। সংজ্ঞার আলোকে মুক্তিযোদ্ধার তালিকা যাচাই-বাছাই করা হবে বলেও একাধিক সূত্র জানিয়েছে।

 
এদিকে রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা কত? এ নিয়ে মন্ত্রণালয়ের কয়েকটি শাখায় খোঁজ নিয়ে পূর্ণাঙ্গ তথ্য পাওয়া যায়নি। কেউ কেউ বলছেন এর সংখ্যা দেড় লাখের নিচে হতে পারে। পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কর্মকর্তা সমকালকে বলেন, মুক্তিযোদ্ধার তালিকা যেভাবে ডেটাবেজে লিপিবদ্ধ হয়েছে, তাতে রণাঙ্গনের সক্রিয় মুক্তিযোদ্ধাদের বিষয়টি পৃথক করা সময়সাপেক্ষ। অধ্যাদেশ জারি হলে তখন নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

খসড়া অধ্যাদেশ প্রসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ গবেষক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা হারুন হাবীব সমকালকে বলেন, ‘স্বাধীনতার ৫৩ বছর পর বীর মুক্তিযোদ্ধার নতুন সংজ্ঞা নির্ধারণ কতটুকু যুক্তিসঙ্গত, তা সময়ই নির্ধারণ করবে। রণাঙ্গনের নগণ্য অংশীদার হিসেবে আশা করব বৃদ্ধ বয়সে মুক্তিযোদ্ধারা যেন আর নতুন করে হয়রানি না হন। যদি হয়, তা হবে চরম দুর্ভাগ্যজনক।’ তাঁর মতে, মুক্তিযুদ্ধ জাতির ইতিহাসে মীমাংসিত সত্য, তাই এ বিষয়টি নিয়ে নতুন করে বিতর্ক সৃষ্টির অবকাশ নেই। বাংলাদেশ বহু দল-মতে বিভক্ত হয়ে এগিয়ে যাবে। মত ও মতের অমিলের যৌথ সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠিত হবে– এটাই প্রত্যাশা।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ম ক ত য দ ধ র সহয গ র ২৬ ম র চ সশস ত র ব কর ছ ন র জন য র পর য সরক র ব ষয়ট খসড় য় ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

পিআইবিতে ৩য় থেকে ২০তম গ্রেডে নিয়োগ, পদসংখ্যা ৩৮

প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের (পিআইবি) রাজস্ব খাতে ২৭ ক্যাটাগরির ৩৮টি পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। ৩য় থেকে ২০তম গ্রেডে এসব নিয়োগ দেওয়া হবে। আবেদন শুরু হবে ২ নভেম্বর ২০২৫ তারিখ থেকে।

পদের নাম ও বিবরণ

১. পরিচালক (গবেষণা ও তথ্য সংরক্ষণ)

পদসংখ্যা: ০১

বেতন স্কেল: ৫৬,৫০০-৭৪,৪০০ টাকা (গ্রেড-৩)

বয়সসীমা: ৪০-৪৫ বছর পর্যন্ত। অভিজ্ঞ প্রার্থীর ক্ষেত্রে শিথিলযোগ্য।

২. সহযোগী সম্পাদক

পদসংখ্যা: ০১

বেতন স্কেল: ৫৬,৫০০-৭৪,৪০০ টাকা (গ্রেড-৩)

বয়সসীমা: ৪০-৪৫ বছর পর্যন্ত। অভিজ্ঞ প্রার্থীর ক্ষেত্রে শিথিলযোগ্য।

৩. অধ্যাপক

পদসংখ্যা: ০১

বেতন স্কেল: ৫০,০০০-৭১,২০০ টাকা (গ্রেড-৪)

বয়সসীমা: ন্যূনতম ৪২ বছর।

আরও পড়ুন১০ ব্যাংক ও ১ আর্থিক প্রতিষ্ঠান নেবে ১৮৮০ অফিসার, ফি ২০০৩০ অক্টোবর ২০২৫

৪. সিনিয়র রিসার্চ অফিসার

পদসংখ্যা: ০১

বেতন স্কেল: ৪৩,০০০-৬৯,৮৫০ টাকা (গ্রেড-৫)

বয়সসীমা: ৩০–৪০ বছর।

৫. সহযোগী অধ্যাপক

পদসংখ্যা: ০১

বেতন স্কেল: ৪৩,০০০-৬৯,৮৫০ টাকা (গ্রেড-৫)

বয়সসীমা: ন্যূনতম ৩৮ বছর।

৬. গবেষণাবিশেষজ্ঞ (তথ্যপ্রযুক্তি)

পদসংখ্যা: ০১

বেতন স্কেল: ৪৩,০০০- ৬৯,৮৫০ টাকা (গ্রেড-৫)

বয়সসীমা: ন্যূনতম ৩৮ বছর।

৭. উপপরিচালক (প্রশাসন)

পদসংখ্যা: ০১

বেতন স্কেল: ৩৫,৫০০- ৬৭,০১০ টাকা (গ্রেড-৬)

বয়সসীমা: ৩০–৩৫ বছর।

৮. প্রশিক্ষক

পদসংখ্যা: ০২

বেতন স্কেল: ৩৫৫০০-৬৭০১০ টাকা (গ্রেড-৬)

বয়সসীমা: ৩২ বছর।

৯. জ্যেষ্ঠ গবেষক

পদসংখ্যা: ০১

বেতন স্কেল: ২৯,০০০-৬৩,৪১০ টাকা (গ্রেড-৭)

বয়সসীমা: ৩০–৩৫ বছর।

আরও পড়ুনমেডিকেল ও ডেন্টালে ভর্তির নীতিমালা প্রকাশ, নম্বর কাটাসহ যে যে পরিবর্তন৩০ অক্টোবর ২০২৫

১০. নির্বাহী অফিসার

পদসংখ্যা: ০১

বেতন স্কেল: ২৩০০০-৫৫৪৭০ টাকা (গ্রেড-৮)

বয়সসীমা: ৩৫ বছর পর্যন্ত।

১১. সহকারী প্রশিক্ষক

পদসংখ্যা: ০২

বেতন স্কেল: ২২,০০০- ৫৩,০৬০ টাকা (গ্রেড-৯)

বয়সসীমা: ৩২ বছর পর্যন্ত।

১২. কনিষ্ঠ প্রশিক্ষক

পদসংখ্যা: ০১

বেতন স্কেল: ২২,০০০- ৫৩,০৬০ টাকা (গ্রেড-৯)

বয়সসীমা: ৩২ বছর পর্যন্ত।

১৩. গবেষক

পদসংখ্যা: ০৪

বেতন স্কেল: ২২,০০০- ৫৩,০৬০ টাকা (গ্রেড-৯)

বয়সসীমা: ৩২ বছর পর্যন্ত।

১৪. সহসম্পাদক

পদসংখ্যা: ০১

বেতন স্কেল: ২২,০০০- ৫৩,০৬০ টাকা (গ্রেড-৯)

বয়সসীমা: ৩২ বছর পর্যন্ত।

আরও পড়ুন৪৮তম বিশেষ বিসিএসে আর পদ বাড়ানোর সুযোগ নেই৩০ অক্টোবর ২০২৫

১৫. অংকন শিল্পী

পদসংখ্যা: ০১

বেতন স্কেল: ২২,০০০- ৫৩,০৬০ টাকা (গ্রেড-৯)

বয়সসীমা: ৩২ বছর পর্যন্ত।

১৬. প্রতিবেদক

পদসংখ্যা: ০১

বেতন স্কেল: ২২,০০০- ৫৩,০৬০ টাকা (গ্রেড-৯)

বয়সসীমা: ৩২ বছর পর্যন্ত।

১৭. টেকনিক্যাল সুপারভাইজার

পদসংখ্যা: ০১

বেতন স্কেল: ১৬,০০০- ৩৮,৬৪০ টাকা (গ্রেড-১০)

বয়সসীমা: ৩২ বছর পর্যন্ত।

১৮. সম্পাদনা সহকারী

পদসংখ্যা: ০১

বেতন স্কেল: ১৬,০০০-৩৮,৬৪০ টাকা (গ্রেড-১০)

বয়সসীমা: ৩২ বছর পর্যন্ত।

১৯. সংশোধক

পদসংখ্যা: ০১

বেতন স্কেল: ১১০০০-২৬৫৯০ টাকা (গ্রেড-১৩)

বয়সসীমা: ৩২ বছর পর্যন্ত।

২০. কম্পিউটার অপারেটর

পদসংখ্যা: ০১

বেতন স্কেল: ১১,০০০-২৬,৫৯০ টাকা (গ্রেড-১৩)

বয়সসীমা: ৩২ বছর পর্যন্ত।

২১. ড্রাইভার

পদসংখ্যা: ০১

বেতন স্কেল: ৯৭০০-২৩৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৫)

বয়সসীমা: ৩২ বছর পর্যন্ত।

আরও পড়ুনবিআইডব্লিউটিএতে বড় নিয়োগ, নেবে ২১৪ জন২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

২২. অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক

পদসংখ্যা: ০২

বেতন স্কেল: ৯৩০০-২২৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৬)

বয়সসীমা: ৩২ বছর পর্যন্ত।

২৩. ডেসপাচ রাইডার

পদসংখ্যা: ০১

বেতন স্কেল: ৮৮০০-২১৩১০ টাকা (গ্রেড-১৮)

বয়সসীমা: ৩২ বছর পর্যন্ত।

২৪. অফিস সহায়ক

পদসংখ্যা: ০৭

বেতন স্কেল: ৮২৫০-২০০১০ টাকা (গ্রেড-২০)

বয়সসীমা: ৩২ বছর পর্যন্ত।

২৫. নিরাপত্তা প্রহরী

পদসংখ্যা: ০৭

বেতন স্কেল: ৮,২৫০- ২০,০১০ টাকা (গ্রেড-২০)

বয়সসীমা: ৩২ বছর পর্যন্ত।

২৬. পরিচ্ছন্নতাকর্মী

পদসংখ্যা: ০৭

বেতন স্কেল: ৮,২৫০- ২০,০১০ টাকা (গ্রেড-২০)

বয়সসীমা: ৩২ বছর পর্যন্ত।

আবেদনের নিয়ম

পরীক্ষায় অংশগ্রহণে ইচ্ছুক ব্যক্তি এই ওয়েবসাইটে আবেদনপত্র পূরণ করতে পারবেন।

আবেদন ফি

০১ থেকে ১৮ নং পর্যন্ত পদের আবেদন ফি ২০০ টাকা ও টেলিটকের সার্ভিস চার্জ বাবদ ২৩ টাকাসহ মোট ২২৩ টাকা;

১৯ থেকে ২২ নং পর্যন্ত পদের আবেদন ফি ১০০ টাকা ও টেলিটকের সার্ভিস চার্জ বাবদ ১২ টাকাসহ মোট ১১২ টাকা;

২৩ থেকে ২৬ নং পর্যন্ত পদের আবেদন ফি ৫০ টাকা ও টেলিটকের সার্ভিস চার্জ বাবদ ০৬ টাকাসহ মোট ৫৬ টাকা।

*অনগ্রসর নাগরিক (ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী, শারীরিক প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গ প্রার্থীগণ) সকল গ্রেডের পদের পরীক্ষার ফি বাবদ ৫০ টাকা ও টেলিটকের সার্ভিস চার্জ ৬ টাকাসহ মোট ৫৬ টাকা।

*আবেদনপত্র পূরণের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ফি প্রদান করতে হবে।

আবেদনের সময়সীমা

আবেদনপত্র পূরণ ও পরীক্ষার ফি জমাদান শুরুর তারিখ ও সময়: ২ নভেম্বর ২০২৫, সকাল ১০টা।

আবেদনপত্র জমাদানের শেষ তারিখ ও সময়: ২৩ নভেম্বর ২০২৫, বিকেল ৫টা।

নির্দেশনা

১. চাকরিরত প্রার্থীদের সব শর্ত সাপেক্ষে আবেদনপত্র পূরণের সময় বিভাগীয় প্রার্থীদের ঘরে টিক চিহ্ন দিতে হবে। অন্যদের ক্ষেত্রে এই সব শর্ত প্রযোজ্য নয়।

২. কম্পিউটার অপারেটর পদে ও অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পদের ক্ষেত্রে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীরা শুধু ব্যবহারিক পরীক্ষায় এবং ব্যবহারিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীরাই মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পিআইবিতে ৩য় থেকে ২০তম গ্রেডে নিয়োগ, পদসংখ্যা ৩৮