কয়েক মাস ধরেই চালের বাজার চড়া। শুল্ক কমানো, আমদানিসহ কয়েকটি উদ্যোগ নিলেও বাগে আসছে না চালের দাম। আমদানির খবরে মাঝে দু-এক টাকা কমলেও ফের দাম বাড়ছে। এক মাসের ব্যবধানে মানভেদে বিভিন্ন ধরনের চালের দাম কেজিতে বেড়েছে ২ থেকে ১০ টাকা। তবে বাজারভেদে দামের ক্ষেত্রে কিছুটা তারতম্য দেখা গেছে। এ ছাড়া এখনও চড়া দর রয়েছে মুরগির বাজারে। সবজির বাজারে রয়েছে স্বস্তি।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, বন্যায় ফসল ফলনে যে ক্ষতি হয়েছে, তার কিছুটা প্রভাব পড়েছে বাজারে। তবে চাল আমদানি অব্যাহত রাখতে হবে। ভারতের পাশাপাশি অন্য দেশ থেকে আমদানি বাড়লে দাম কমে আসবে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ের কলমিলতা, সেগুনবাগিচা ও কারওয়ান বাজার ঘুরে এবং ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে। 

নতুন করে সরু, মাঝারি ও মোটা– তিন ধরনের চালের দামই বেড়েছে। খুচরায় প্রতি কেজি সরু বা মিনিকেট চাল মানভেদে ৭৮ থেকে ৮২ টাকা, নাজিরশাইল মানভেদে ৮০ থেকে ৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মাস খানেক আগে মিনিকেট ৬৮ থেকে ৮০ এবং নাজিরশাইলের কেজি ৮০ থেকে ৮৫ টাকা ছিল। 
মাঝারি বা ব্রি-২৮ ও পাইজাম জাতের চালের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬৬ টাকায়। মোটা বা গুটি স্বর্ণা জাতের চালের কেজি কিনতে ক্রেতাকে গুনতে হচ্ছে ৫৪ থেকে ৫৮ টাকা। এক মাস আগে মাঝারি চালের কেজি ৫৮ থেকে ৬৪ এবং মোটা চালের কেজি ৫২ থেকে ৫৫ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। 

তিনটি বাজারে চালের দর যাচাই করে দেখা গেছে, কলমিলতা ও সেগুনবাগিচার তুলনায় কারওয়ান বাজারে দু-এক টাকা কমে কেনা যাচ্ছে। 
কারওয়ান বাজারের মুক্তা রাইস এজেন্সির স্বত্বাধিকারী জালাল আহমেদ সমকালকে বলেন, দুই মাস ধরে দফায় দফায় চালের দাম বেড়েছে। নতুন করে চিকন ও মাঝারি মানের চাল কেজিতে ৫ থেকে ৭ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। ভারতসহ অন্য দেশ থেকে চাল আমদানি বাড়লে দাম কমতে পারে। 
কলমিলতা বাজারের শহিদুল হক বলেন, দাম দুই মাস ধরেই বেশি। এখন আড়তদাররা বলছেন, নতুন করে চাল নিতে হলে দাম আরও বেশি দিতে হবে। 

মুরগির বাজার চড়া, স্থির ডিম
চালের মতো দেড় মাসের বেশি সময় ধরে মুরগির বাজার বাড়তি। প্রতি কেজি ব্রয়লার বিক্রি হচ্ছে ১৯০ থেকে ২০০ টাকায়। আর সোনালি জাতের মুরগির কেজি কিনতে হলে কেজিপ্রতি খরচ পড়বে ৩৩০ থেকে ৩৪০ টাকা। ডিমের বাজার স্থির রয়েছে। ফার্মের প্রতি ডজন ডিম কেনা যাবে ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকায়।

সবজিতে স্তস্তি
প্রতি কেজি বেগুন ৪০ থেকে ৫০, শিম ৩০ থেকে ৫০, কাঁচা পেঁপে ২৫ থেকে ৩০, শসা ২৫ থেকে ৩০, উচ্ছে ও করলা ৫০ থেকে ৬০, মুলা ১৫ থেকে ২০, বরবটি ৫০ থেকে ৬০, গাজর ৪০ থেকে ৪৫ এবং মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৩০ টাকায় কেনা যাচ্ছে। প্রতি পিস ফুল ও বাঁধাকপি মানভেদে ১৫ থেকে ২০ টাকা এবং লাউয়ের পিস কেনা যাবে ৪০ থেকে ৫০ টাকায়। আরও দাম কমেছে আলুর। প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ২৫ টাকায়। তবে গত সপ্তাহের তুলনায় কাঁচামরিচের দর বেড়েছে। গত সপ্তাহে কেজি ৩০ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হলেও গতকাল কেজি ৬০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। পেঁয়াজ কিছুটা বেড়ে কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়।
এ ছাড়া প্রতি কেজি আমদানি করা মসুর ডাল ১০৫ থেকে ১১০ ও দেশি চিকন মসুর ডাল ১৩০ থেকে ১৩৫, মুগডাল ১৬৫ থেকে ১৭০ ও ছোলার কেজি ১২৫ থেকে ১৩০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। মাছের বাজারে তেমন কোনো পরিবর্তন দেখা যায়নি। 

 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব জ রদর ৩০ থ ক আমদ ন

এছাড়াও পড়ুন:

নায়িকা হতে আসিনি, তবে...

গুটি, সুড়ঙ্গ, মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন থেকে ওমর—সব সিনেমা-সিরিজেই প্রশংসিত হয়েছে আইমন শিমলার অভিনয়। অল্প সময়ের উপস্থিতিতেও নিজের ছাপ রাখতে পেরেছেন এই তরুণ অভিনেত্রী। ধূসর চরিত্রেও তিনি সাবলীল, অন্য তরুণ অভিনেত্রীদের থেকে এখানেই আলাদা শিমলা। তবে একটা কিন্তু আছে। এখন পর্যন্ত তাঁর অভিনীত আলোচিত চরিত্রগুলোর সবই চাটগাঁইয়া। শিমলা নিজে চট্টগ্রামের মেয়ে, একটা সময় পর্যন্ত বন্দরনগরীর বাইরে চেনাজানা ছিল সীমিত। এক সিরিজে তাঁর চাটগাঁইয়া ভাষা আলোচিত হওয়ায় পরপর আরও কাজে তাঁকে চাটগাঁইয়া চরিত্রের জন্য ভেবেছেন নির্মাতা।

এ প্রসঙ্গ দিয়েই অভিনেত্রীর সঙ্গে আলাপের শুরু করা গেল। শিমলা জানালেন, এ নিয়ে তাঁর নিজেরও অস্বস্তি আছে। চেষ্টা করছেন ‘চাটগাঁইয়া দুনিয়া’র বাইরে যেতে। সঙ্গে এ–ও জানিয়ে রাখলেন, ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে তাঁর নিজের চরিত্র পছন্দ করে নেওয়ার সুযোগ কমই ছিল।

‘বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই শুটিংয়ের ঠিক আগে জেনেছি চরিত্রটি সম্পর্কে। তখন তো কিছু করার থাকে না। তবে যেসব কাজ করেছি, সবই আলোচিত পরিচালক আর অভিনয়শিল্পীদের সঙ্গে; এ অভিজ্ঞতার মূল্যও কম নয়। শিহাব (শিহাব শাহীন) ভাইয়ের সঙ্গে মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন, কাছের মানুষ দূরে থুইয়া, রবিউল আলম রবি ভাইয়ের সঙ্গে ফরগেট মি নট আমাকে সমৃদ্ধ করেছে। এ ছাড়া (শহীদুজ্জামান) সেলিম ভাইয়ের কথা বিশেষভাবে বলব। সুড়ঙ্গ ও ওমর—দুই সিনেমায় তিনি আমাকে অনেক সাহায্য করেছেন,’ বলছিলেন তিনি।

ঈদে মুক্তি পাওয়া এম রাহিমের সিনেমা জংলিতেও আছেন শিমলা। এ ছবিতে অবশ্য তাঁর চরিত্রটি চাটগাঁইয়া ভাষায় কথা বলে না। সে জন্য সিনেমাটি নিয়ে তিনি বেশি উচ্ছ্বসিত। ‘মুক্তির পর থেকে সিনেমা তো বটেই, আমার অভিনীত চরিত্রটি নিয়ে প্রশংসা পাচ্ছি কিন্তু দুঃখের কথা, আমি নিজেই এখনো দেখতে পারিনি। ব্যক্তিগত ঝামেলা, শুটিংয়ে ব্যস্ততার কারণে সম্ভব হয়নি। শিগগিরই আমার টিমের সঙ্গে দেখতে চাই,’ বলছিলেন তিনি।

আইমন শিমলা

সম্পর্কিত নিবন্ধ