সৌন্দর্য ধরে রাখার জন্য ত্বকে পর্যাপ্ত পরিমাণ কোলাজেন উৎপাদন হওয়া প্রয়োজন। কিন্তু আমরা কোনো কোনো প্রসাধনী ব্যবহার করতে গিয়ে কোলাজেন উৎপাদনের উপযোগী পরিবেশ নষ্ট করে ফেলি। ত্বক পরিচর্যায় যেসব প্রসাধনী ব্যবহার করা হয়ে থাকে সেগুলোর বেশিরভাগে কফির উপস্থিতি থাকে। রূপ বিশেষজ্ঞরা বলেন, কফিতে এমন কিছু উপাদান রয়েছে, যা ত্বকের স্তরে জমে থাকা ধুলাবালু পরিষ্কার করতে পারে। এতে আছে অম্লীয় উপাদান যা ত্বকের বন্ধ হয়ে যাওয়া রোমকূপের মুখ খুলে দেয়, ফলে ত্বকও হয়ে উঠে মসৃণ। তবে কফি সমৃদ্ধ প্রসাধনী সবার জন্য ভালো নয়, কসমেটোলজিস্টরা কফি সমৃদ্ধ প্রসাধনী ব্যবহার সম্পর্কে যে বার্তা দিয়েছেন জেনে নিন।

ভারতীয় কসমেটোলজিস্ট শারিফা চউস বলছেন, ‘‘গবেষণায় দেখা গিয়েছে, সানস্ক্রিন এবং চোখের নীচে লাগানোর ক্রিমে কফিতে থাকা উপাদান ত্বকের জন্য ভালো। তিনি বলছেন, সরাসরি কফি ত্বকে লাগালে তা সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে তৈরি দাগ ছোপ কমাতে পারে। এবং এই উপাদান ত্বকের লালচে ভাব দূর করতে এবং বলি রেখা দূর করতে সাহায্য করে। কারণ কফিতে থাকা ক্লোরোজোনিক অ্যাসিড এবং মেলানয়ডিনস নামের দুইটি উপাদান রয়েছে যেগুলো ত্বকের জন্য অত্যন্ত উপকারী।’’

তবে কফি সমৃদ্ধ প্রসাধনী সবার জন্য উপযোগী নয়। শরিফা বলছেন, ‘‘ ত্বককে সুস্থ রাখার এবং তারুণ্য ধরে রাখার জন্য জরুরি যে কোলাজেন, তা কফির অতিরিক্ত ব্যবহারে নষ্ট হয়ে যেতে পারে। যাদের ত্বক শুষ্ক এবং যাদের ত্বক স্পর্শকাতর তাদের ত্বকে সরাসরি কফি ব্যবহার বা কফি আছে এমন প্রসাধনীর ব্যবহার করা ঠিক নয়।’’

আরো পড়ুন:

নাকের ‘ব্ল্যাকহেডস’ দূর করার উপায়

রৌদ্রস্নাত মিমের নজরকাড়া লুক

যাদের ত্বক শুষ্ক তারা কফি সমৃদ্ধ প্রসাধনী এড়িয়ে চলতে পারেন। 

ঢাকা/লিপি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব যবহ র র জন য র করত

এছাড়াও পড়ুন:

রাজশাহীতে পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে সাবেক কাউন্সিলরের মৃত্যু

রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক এক কাউন্সিলরের মৃত্যু হয়েছে। পরিবার বলছে, পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে তিনি মারা যান। তবে পুলিশ বলছে, তারা অন্য কাজে এলাকায় গিয়েছিল, ওই কাউন্সিলরকে ধরতে যায়নি। গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে নগরের দাসপুকুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

মারা যাওয়া ওই কাউন্সিলরের নাম কামাল হোসেন (৫৫)। তিনি নগরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর এবং দাসপুকুর এলাকার বাসিন্দা। একসময় বিএনপির রাজনীতি করতেন। পরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন। তবে দলে তাঁর কোনো পদ–পদবি ছিল না।

গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর কামাল হোসেনের নামে চারটি মামলা হয়। তিনি এলাকায় থাকলেও গা ঢাকা দিয়ে থাকতেন। পরিবারের ধারণা, মামলা থাকায় পুলিশ দেখে ভয় পেয়ে কিংবা হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।

কামালের ছেলে সোহান শাকিল প্রথম আলোকে বলেন, ‘রাতে আমাদের এলাকায় পুলিশ এসেছিল। পুলিশ দেখে আমার বাবা তবজুল হক নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে ঢুকে সিঁড়ি দিয়ে ছাদে উঠতে যান। তখন সিঁড়িতে অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং সেখানেই মারা যান।’

নগরের রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে চারটি মামলা আছে। তিনি আত্মগোপনে থাকতেন। শুনেছি রাতে তিনি মারা গেছেন।’

ওসি বলেন, রাতে দাসপুকুর এলাকায় পুলিশ গিয়েছিল। তবে কামালকে ধরতে যায়নি। পুলিশ গিয়েছিল অন্য কাজে। কিন্তু পুলিশ দেখে পালাচ্ছিলেন কামাল হোসেন। তখন হৃদ্‌রোগে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। লাশ পরিবারের কাছেই আছে। তারা দাফনের ব্যবস্থা করছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ