আরো দুটি প্রতিষ্ঠান পেল পরিবেশবান্ধব কারাখানার সনদ
Published: 25th, January 2025 GMT
দিন যতই যাচ্ছে, বাংলাদেশে গ্রিন ফ্যাক্টরি বা পরিবেশবান্ধব সবুজ কারখানা ততই বাড়ছে। এবার আরো দুটি প্রতিষ্ঠান পেলো পরিবেশবান্ধব কারখানার সনদ। ফলে, দেশে পরিবেশবান্ধব কারখানার সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ২৩৫টিতে।
শনিবার (২৬ জানুয়ারি) তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) এ তথ্য জানিয়েছে।
নতুন স্বীকৃতি পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলো হলো—গাজীপুরের বাহাদুরপুরের টিএম জিন্স লিমিটেড এবং রাজধানীর দক্ষিণখানের ফায়দাবাদ আজমেরি কম্পোজিট নিট লিমিটেড। টিএম জিন্স লিমিটেডের কারখানা ৮১ নম্বর পেয়ে প্লাটিনাম সনদ এবং আজমেরি কম্পোজিট নিট লিমিটেডের কারখানা ৬৩ নম্বর পেয়ে গোল্ড সনদ অর্জন করেছে।
বিজিএমইএর তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের শীর্ষ ১০০টি পরিবেশবান্ধব কারখানার মধ্যে অর্ধেকের বেশি কারখানা বাংলাদেশে। এ তালিকায় সর্বশেষ যোগ হয়েছে দুটি প্রতিষ্ঠান। এ দুটিসহ বাংলাদেশের ২৩৫টি লিড প্রত্যায়িত কারখানার মধ্যে ৯৪টি প্লাটিনাম রেটেড, ১২৭টি গোল্ড রেটেড, ১০টি সিলভার রেটেড এবং ৪টি সার্টিফাইড কারখানা।
যুক্তরাষ্ট্রের ইউএস গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিল (ইউএসজিবিসি) ‘লিড’ নামে পরিবেশবান্ধব স্থাপনার সনদ দিয়ে থাকে। লিডের পূর্ণাঙ্গ রূপ— লিডারশিপ ইন অ্যানার্জি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ডিজাইন। এ সনদ পেতে হলে একটি প্রকল্পকে ইউএসজিবিসির তত্ত্বাবধানে নির্মাণ থেকে উৎপাদন পর্যন্ত বিভিন্ন বিষয়ে সর্বোচ্চ মান রক্ষা করতে হয়।
লিড সনদের জন্য নয়টি শর্ত পরিপালনে মোট ১১০ পয়েন্ট আছে। এর মধ্যে ৮০ পয়েন্টের ওপরে হলে ‘লিড প্লাটিনাম’, ৬০ থেকে ৭৯ হলে ‘লিড গোল্ড‘, ৫০ থেকে ৫৯ হলে ‘লিড সিলভার‘ এবং ৪০ থেকে ৪৯ পয়েন্ট হলে ‘লিড সার্টিফায়েড‘ সনদ পাওয়া যায়।
লিড সনদপত্রের জন্য যোগ্যতা অর্জন করা সহজ কাজ নয়। এর জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিনিয়োগ প্রয়োজন। বাংলাদেশের আরো ৫০০টি কারখানা লিড প্রত্যায়িত হওয়ার প্রক্রিয়ায় আছে।
ঢাকা/নাজমুল/রফিক
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
নারায়ণগঞ্জে কারখানায় বিস্ফোরণ, দগ্ধ ৩
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলায় মঞ্জু টেক্সটাইলে এন্ড ডাইং কারখানায় গ্যাস লাইন লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ ঘটেছে। এতে কারখানার দুই নিরাপত্তাকর্মীসহ তিন জন দগ্ধ হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১ মে) সকাল পৌনে ৯টার দিকে উপজেলার তারাবো পৌরসভার কাজীপাড়া এলাকায় কারখানায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। দগ্ধরা হলেন, সিকিউরিটি ইনচার্জ আব্দুল হান্নান, গার্ড কবির হোসেন ও সিনিয়র অফিসার সাইফুল ইসলাম।
কারখানার সুপারভাইজার মিজানুর জানান, নাইট ডিউটি শেষে সকাল ৮টার দিকে শ্রমিকরা চলে যাওয়ার ঠিক পরপরই তিতাস গ্যাস সংযোগের আরএমএস রুমে গ্যাসের অতিরিক্ত চাপে বিকট শব্দে একটি দেয়াল ধসে পড়ে এবং আগুন ধরে যায়। এ সময় নিরাপত্তাকর্মীসহ তিনজন দগ্ধ হন। বিস্ফোরণ ও আগুনের তীব্রতায় আশপাশের লোকজন আতঙ্কিত হয়ে রাস্তায় বেরিয়ে আসে।
আরো পড়ুন:
গাজীপুরে বিস্ফোরণে একই পরিবারের ৫ জন দগ্ধ, সবার অবস্থা আশঙ্কাজনক
মাইক্রোবাসে বিস্ফোরণ, অল্পের জন্য বেঁচে গেলেন ৫ ছাত্রনেতা
তিনি জানান, কারখানায় দায়িত্বে থাকা টেকনিশিয়ান ও অন্যান্য নিরাপত্তাকর্মীরা দ্রুত গ্যাসের চাবি বন্ধ করে নিজেরাই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে দগ্ধ তিনজনকে দ্রুত রাজধানীর জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়। আগুনে কারখানার কিছু কাপড় ও আসবাবপত্র পুড়ে গেছে।
নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল আরেফিন জানান, আগুন লাগার খবর পেয়ে ইউনিট সেখানে যায়। তবে তার আগেই কারখানার লোকজন আগুন নিভিয়ে ফেলে। বিস্ফোরণ ও আগুনের কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিয়াকত আলী বলেন, ‘‘খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। শুনেছি তিনজন দগ্ধ হয়েছেন এবং তাদের ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
ঢাকা/অনিক/বকুল