জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, হঠকারিতা, ফ্যাসিবাদ দুনিয়া ও আখিরাতে কারো জন্য কল্যাণকর নয়। আওয়ামী লীগ শাসনামলে জামায়াত নেতাকর্মীরা ধরপাক‌ড়ের কার‌ণে স্বজনের জানাজা‌তেও যোগ দিতে পারতেন না।

শুক্রবার রাজধানীর মগবাজারে জামায়া‌তের সা‌বেক এমপি আসমা খাতুনের স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

জামায়াত আমির বলেন, একটি সময় আপনজনকে বিদায় দিতে পারব না, বিদায় নিতে পারব না, সবার সঙ্গে দোয়াও করতে পারব না- এমন ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছিল। এমন পরিবেশ যেন আর ফিরে না আসে। সেই দুঃস্বপ্নের সময়গুলো থেকে গোটা জাতি যেন শিক্ষা নিতে পারি। এই পথে আর যেন কেউ পা না বাড়ায়।

তি‌নি বলেন, আসমা খাতুন আন্তরিক ও নিষ্ঠাবান ছিলেন। তিনি যা বিশ্বাস করেছেন তাই বলেছেন ও করেছেন। তিনি যে যুগে সংগঠনের হাল ধরেছিলেন, সে যুগে তিনিই হাল ধরার মতো ছিলেন। মাত্র দশজনকে নিয়ে কেন্দ্রীয় সংগঠনের কাজ শুরু করেছিলেন তিনি। এখন এই সংখ্যা ৪৩ হাজার। 

আসমা খাতু‌নের প‌রিবার আওয়ামী লীগ আমলে মজলুম ছিল অ‌ভি‌যোগ ক‌রে শফিকুর রহমান ব‌লে‌ছেন, আসমা খাতুনের মৃত্যুর পর তার সন্তানদের দেশে আশার সুযোগ ও পরিস্থিতি ছিল না। তারা মা-বাবাকে দেখার সুযোগ পাননি। এই শহরে থেকেও পরিস্থিতির কারণে আসমা খাতু‌নের জানাজায় শরিক হতে পারিনি। 

আসমা খাতু‌নের বড় ছেলে নিয়াজ মাখদুমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জামায়াতের সেক্রেটারি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, নির্বাহী পরিষদ সদস্য সাইফুল আলম খান মিলন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমির নুরুল ইসলাম বুলবুল প্রমুখ।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: জ ম য় ত ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

রামগড়ে ভ্যাকসিন দেয়ার পর অর্ধশত গরু-ছাগলের মৃত্যু 

খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলার লামকুপাড়া এলাকায় উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে ভ্যাকসিন দেয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রোগাক্রান্ত গরু ও ছাগল মারা গেছে। গত ১৫ দিনে চারটি গরু ও প্রায় অর্ধশত ছাগলের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত খামারিদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার (১ মে) দুপুরে এলাকা পরিদর্শন করে মৃত পশুর ময়নাতদন্ত ও রোগাক্রান্ত পশুর নমুনা সংগ্রহ করেছেন প্রাণিসম্পদ বিভাগের চট্টগ্রাম থেকে আসা মেডিকেল টিমের সদস্যরা। তারা এলাকায় এসে খামারিদের সঙ্গে কথা বলেন। পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করেন।

চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালকের পক্ষে ৬ সদস্যের তদন্ত টিমের নেতৃত্ব দেন চট্টগ্রাম জেলা ভেটেনারি কর্মকর্তা ডা. সাহব উদ্দিন।

আরো পড়ুন:

গোপালগঞ্জে মহাজনী সুদের চাপে শ্রমিকের মৃত্যু, দাবি পরিবারের

নোয়াখালীর মাদরাসায় শিক্ষার্থীর মৃত্যু, পরিবারের দাবি হত্যা 

স্থানীয়রা খামারিরা জানান, উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের পশু চিকিৎসকের পরামর্শে সরকারি ভ্যাকসিন দেয়ার পর এ ঘটনা ঘটেছে। খামারিরা মনে করছেন, এ সব ভ্যাকসিনে সমস্যা ছিল অথবা একই সিরিঞ্জে সবগুলো পশুকে ভ্যাকসিন দেয়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। 

ভ্যাকসিন দেওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পশুর অতিরিক্ত জ্বর, চামড়ায় গুটি ও ক্ষতের সৃষ্টি হয়। ২৪ ঘণ্টা যেতে না যেতে গরু ও ছাগল মারা যায়। কোনো চিকিৎসায় আর বাঁচানো যাচ্ছে না।

প্রাণিসম্পদ বিভাগের পক্ষ থেকে মৃত পশু মাটিচাপা দেয়া এবং আক্রান্ত পশুকে অন্য পশু থেকে আলাদা রাখার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত খামারিরা সরকারের কাছে ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েছেন।

ঢাকা/রূপায়ন/বকুল 

সম্পর্কিত নিবন্ধ