দ্বিতীয় স্ত্রী কিরণ রাও-এর সঙ্গে বলিউড অভিনেতা আমির খানের বিবাহবিচ্ছেদ ঘোষণা অবাক করেছিল সবাইকে। এরপর ২৬ বছরের ছোট অভিনেত্রী ফাতিমা সানা শেখের সঙ্গে নাম জড়ায় অভিনেতার। এবার শোনা যাচ্ছে, নতুন প্রেমে মজেছেন আমির খান। শুধু তাই নয়, তৃতীয় বিয়ের জন্যও নাকি তিনি প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, মিস্টার পারফেকশনিস্টের মনে নাকি নতুন কেউ এন্ট্রি নিয়েছে! তবে সেই নারী সিনেমার অঙ্গনের কেউ নন।
কিরনের সাথে ডিভোর্সের ঘোষণা দিয়ে সবাইকে অবাক করে দিয়েছিলেন অভিনেতা। এরপর গুঞ্জন উঠে ফাতিমা সানা শেখের সঙ্গে নাম জড়ায় অভিনেতার। যদিও সেটারও সত্যতা পাওয়া যায়নি। এবার আমিরের সঙ্গে নাম জড়ালো এক রহস্যময়ীর!
ফিল্মফেয়ারের এক খবরে বলা হয়েছে, আমিরের সঙ্গে ওই নারীর সম্পর্ক নাকি বেশ গভীর! বলিউড তারকার নতুন প্রেমিকা বেঙ্গালুরুর বাসিন্দা বলে জানিয়েছে সেই সূত্র।
ফিল্মফেয়ারের প্রতিবেদনে ওই সূত্র জানিয়েছেন, আমিরের রহস্যময় সঙ্গী বেঙ্গালুরুর বাসিন্দা। আমাদের অবশ্যই তাদের গোপনীয়তাকে সম্মান করতে হবে এবং ব্যক্তিগত বিবরণ প্রকাশ করা উচিত নয়। তবে আমি আপনাকে বলতে পারি যে আমির সম্প্রতি ভদ্রমহিলাকে তার পুরো পরিবারের সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন। বৈঠকটি খুব ভাল হয়েছে।
১৯৮৬ সালে ভালোবেসে রীনা দত্তকে বিয়ে করেন আমির। এই দম্পতির দুই সন্তান- জুনায়েদ ও ইরা খান। ইতিমধ্যেই মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন আমির। ছেলেও বলিউডে আত্মপ্রকাশ করেছে। আমির খান ও রিনার বিয়ে ভাঙে ২০০২ সালে।
এরপর ২০০৫ সালে কিরণ রাওকে বিয়ে করেন আমির। তাদের একমাত্র সন্তান আজাদ। ২০২১ সালে বিচ্ছেদের ঘোষণা করেন দুজনে। শেষ হয় আমিদের দ্বিতীয় বিয়েও। যদিও প্রাক্তন দুই স্ত্রীর সঙ্গেই আমিরের সুসম্পর্ক বজায় রয়েছে। কিরণ এখনও আমিরের পরিবারের অংশ। ছেলেকে একসঙ্গে মানুষ করছেন দুজনে। সূত্র: হিন্দুস্থান টাইমস।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আম র খ ন
এছাড়াও পড়ুন:
রোজার আগেই নির্বাচন, এরপর আগের কাজে ফিরে যাবেন
অন্তর্বর্তী সরকার সময়মতো ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, আগামী ফেব্রুয়ারিতে পবিত্র রমজানের আগেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনের পর তিনি তাঁর আগের কাজে ফিরে যাবেন।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভাকে এসব কথা বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ওয়াশিংটন থেকে ভিডিও ফোনকলে অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে কথা বলেন জর্জিয়েভা।
এ সময় তাঁরা বাংলাদেশের চলমান অর্থনৈতিক সংস্কার, আঞ্চলিক পরিস্থিতি এবং আগামী ফেব্রুয়ারিতে সাধারণ নির্বাচনের পূর্ববর্তী চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা করেন।
আলোচনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেন ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা। তিনি বলেন, অধ্যাপক ইউনূস দায়িত্ব গ্রহণের পর বাংলাদেশের অর্থনীতি উল্লেখযোগ্যভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে এবং এই কৃতিত্ব তাঁর নিজের।
অর্থনীতির সংকটকালীন পরিস্থিতি স্মরণ করে আইএমএফ প্রধান বলেন, ‘আপনার অর্জন আমাকে মুগ্ধ করেছে। অল্প সময়ে আপনি অনেক কিছু করেছেন। যখন অবনতির ঝুঁকি অত্যন্ত বেশি ছিল, তখন আপনি দেশের দায়িত্ব নিয়েছেন। আপনি সঠিক সময়ে সঠিক ব্যক্তি।’
ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা বিশেষভাবে বৈদেশিক মুদ্রা বাজারের স্থিতিশীলতা এবং রিজার্ভ পুনরুদ্ধারের জন্য সরকারের সাহসী পদক্ষেপ, বাজারভিত্তিক বিনিময় হার প্রবর্তনের প্রশংসা করেন।
অধ্যাপক ইউনূস বাংলাদেশের এক সংকটময় সময়ে আইএমএফ প্রধানের অবিচল সহায়তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, ‘চমৎকার সহায়তার জন্য ধন্যবাদ।’ তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, গত বছর নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে তাঁদের প্রথম সাক্ষাৎ বাংলাদেশের অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের পথ সুগম করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল।
কথোপকথনে আইএমএফ প্রধান অভ্যন্তরীণ রাজস্ব আয় বৃদ্ধি এবং ব্যাংকিং খাতে গভীর সংস্কার বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, ‘শক্ত অবস্থানে থাকতে হলে সংস্কার অনিবার্য। এটি বাংলাদেশের ইতিহাসের এক অমূল্য মুহূর্ত।’
অধ্যাপক ইউনূস জানান, তাঁর সরকার ইতিমধ্যে ব্যাংকিং খাত পুনর্গঠন এবং রাজস্ব সংগ্রহ জোরদারের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তিনি বলেন, ‘আমরা এক বিধ্বস্ত ও সম্পূর্ণ ভেঙে পড়া অর্থনীতি উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়েছি। কিছু ব্যক্তি আক্ষরিক অর্থে ব্যাগভর্তি টাকা ব্যাংক থেকে নিয়ে পালিয়ে গেছে।’
এ ছাড়া আঞ্চলিক পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা হয়। এর মধ্যে ছিল নেপালে চলমান যুব আন্দোলন এবং আসিয়ানভুক্তির জন্য বাংলাদেশের আকাঙ্ক্ষা। অধ্যাপক ইউনূস আঞ্চলিক কানেক্টিভিটি জোরদারের লক্ষ্যে ঢাকার বৃহৎ অবকাঠামো উদ্যোগ—যেমন নতুন বন্দর ও টার্মিনাল প্রকল্প—সম্পর্কেও অবহিত করেন।
আলোচনাকালে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ এবং অর্থসচিব খায়রুজ্জামান মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।