বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে আগারগাঁও চক্ষু হাসপাতালের সামনের সড়কে অবরোধ করে অবস্থান নিয়েছেন জুলাইয়ের ছাত্র-জনতার আন্দোলনে অংশ নিয়ে চোখের বিভিন্ন সমস্যায় ভুগতে থাকা ব্যক্তিরা। শনিবার সন্ধ্যা ৬টার পর থেকেই আহতরা রাজধানীর আগারগাঁওয়ের জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হসপিটাল প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ শুরু করেন। রাত ১১টার দিকে তারা সড়কে নেমে আসেন।

সিঙ্গাপুর থেকে আসা চিকিৎসকদলের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করে বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছেন আন্দোলনে আহত দুই শতাধিক ব্যক্তি। শনিবার চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে ভর্তি থাকা এবং অন্য হাসপাতালের চিকিৎসাধীন আহতরা সিঙ্গাপুর থেকে আসা চিকিৎসকদের দেখাতে আসেন। আহতরা বলেন, বিদেশি চিকিৎসকরা সবার অবস্থা ভাল বলছে, তাহলে আমরা কেন চোখে দেখতে পাচ্ছি না। তারা শুধু বলছে, অল আর ওকে, অল ফাইন।
সন্ধ্যার পর থেকে আগারগাঁওয়ে বিক্ষোভ হচ্ছে জানতে পেরে আহত অনেকেই রাজধানীর বাসাবাড়ি থেকেও এসেছেন। রাত পৌনে ১২টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সরকারের ঊর্ধ্বতন কেউ আহতদের সঙ্গে দেখা করতে আসেননি। তবে স্বাস্থ্য বিষয়ক কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে নাহিদা বুশরা ইতি, জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় নেতা ডা.

মাহমুদা মিতু ও ডা. মনিরসহ কয়েকজন দেখা করতে এসেছেন।

শেরে বাঙলা নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম আযম সমকালকে বলেন, বিদেশে চিকিৎসা করতে যাওয়ার দাবিতে প্রায় একশ আহত ব্যক্তি আগারগাঁও সড়ক অবরোধ করেছেন। তারা বিক্ষোভ করছেন। পুলিশ সদস্যদের নিয়ে ঘটনাস্থলে আছি।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: জ ল ই গণহত য আহত

এছাড়াও পড়ুন:

ট্রেনের ছাদে ভ্রমণকালে বৈদ্যুতিক লাইনের নেটের আঘাতে নিহত ১, আহত ৫

টাঙ্গাইলে ট্রেনের ছাদে অবৈধভাবে ভ্রমণের সময় বৈদ্যুতিক সঞ্চালন লাইনের নেটের সঙ্গে ধাক্কা লেগে একজন নিহত ও পাঁচজন আহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত ব্যক্তির নাম রিপন আলী (৩৭)। তিনি রাজশাহীর পবা উপজেলার কালিয়ানপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। আহতদের মধ্যে অজ্ঞাতপরিচয়ের এক ব্যক্তি টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

রেলওয়ে পুলিশের টাঙ্গাইল ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হারুন অর রশীদ জানান, ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী আন্তনগর সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেনটি বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে টাঙ্গাইল স্টেশনে পৌঁছানোর পর ছাদে রক্তাক্ত অবস্থায় ছয়জনকে পাওয়া যায়। আহত যাত্রীরা পুলিশকে জানান, তাঁরা ঢাকা থেকে ট্রেনের ছাদে উঠেছিলেন। টাঙ্গাইল স্টেশনে পৌঁছানোর ১৫–২০ মিনিট আগে রেলপথের ওপর দিয়ে অতিক্রম করা একটি বৈদ্যুতিক সঞ্চালন লাইনের নিচের নেটের সঙ্গে ধাক্কা লেগে তাঁরা আহত হন।

আহত ছয়জনকে পুলিশ উদ্ধার করে টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১০টার দিকে রিপন আলীর মৃত্যু হয়। আহতদের মধ্যে আশরাফুলকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। আহত আমিরুল ইসলাম (২৫), আলিম (২৫) ও ফয়সাল (২৭) চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। অজ্ঞাতপরিচয়ের এক কিশোর (১৫–১৬) এখনো টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন। দুপুরে গিয়ে দেখা যায়, তার হাতে ব্যান্ডেজ বাঁধা অবস্থায় শুয়ে আছে। কর্তব্যরত নার্স জানান, ছেলেটি কথা বলতে পারছে না।

এদিকে নিহত রিপন আলীর রাজশাহীর বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। আজ শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে কালিয়ানপাড়া গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, বাড়ির ভেতরে স্বজন ও প্রতিবেশীরা আহাজারি করছেন। বাইরে রিপনের দাফনের জন্য কবর খোঁড়া হচ্ছে, কেউ বাঁশ কাটছেন।

রিপনের বাবা ইসরাফিল হোসেন জানান, রিপন ঢাকার একটি ইলেকট্রনিকস কোম্পানিতে চাকরি করত। কয়েক মাস আগে চাকরি ছেড়ে দিয়ে নতুন কাজ খুঁজছিল। গত বুধবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে কাউকে কিছু না বলে বাড়ি থেকে বের হয়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় টাঙ্গাইল হাসপাতাল থেকে রিপনের মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে তার ছোট ছেলের ফোনে যোগাযোগ করা হয়। তখনই তাঁরা জানতে পারেন, রিপন ট্রেন দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সব কমিটি পুনর্বহাল
  • সিলেটে বাস-প্রাইভেটকার সংঘর্ষ, বাবা-মেয়ে নিহত
  • সিলেটে পাথরবাহী ট্রাক্টরচাপায় পর্যটক নিহত, আহত ৫
  • ক্রিকেট ম্যাচের দায়িত্ব পালন করতে যাওয়ার সময় দুর্ঘটনা, আহত ২৭ নারী পুলিশ সদস্য
  • ট্রেনের ছাদে ভ্রমণকালে বৈদ্যুতিক লাইনের নেটের আঘাতে নিহত ১, আহত ৫