সুন্দরবনে শিকারিদের পেতে রাখা ফাঁদে আটকে মারা যাওয়া একটি হরিণ ও প্রায় ১৬ কেজি হরিণের মাংস উদ্ধার করেছে বন বিভাগ। একই অভিযানে উদ্ধার করা হয়েছে ৪৮০টি হরিণ শিকারের ফাঁদ।

রোববার বিকেলে পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের কদমতলা স্টেশনের পাশে এই উদ্ধার অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানের নেতৃত্ব দেন কদমতলা স্টেশন অফিসার সোলায়মান হোসেন।

বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, নিয়মিত টহলের সময় বনরক্ষীরা সুন্দরবনের কদমতলা স্টেশনের এক কিলোমিটার দূরবর্তী এলাকায় হরিণের মাংস উদ্ধার করেন। পাশের এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে ফাঁদে আটকে মৃত একটি হরিণও পাওয়া যায়। এরপর আরও ৪৮০টি নাইলনের দড়ি দিয়ে তৈরি দামন ফাঁদ উদ্ধার করা হয়।

স্টেশন অফিসার সোলায়মান হোসেন জানিয়েছেন, উদ্ধারকৃত মাংসসহ মৃত হরিণ আদালতে পাঠানো হয়েছে। শিকার চক্রের সদস্যদের চিহ্নিত করতে স্থানীয়দের সহায়তা নেওয়া হচ্ছে। বন আইনে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হবে বলে জানান তিনি।

প্রসঙ্গত, গত ২৮ ও ২৯ জানুয়ারি পশ্চিম সুন্দরবনের চুনকুড়ি ও মীরগাং টহল ফাঁড়ির সদস্যরা পৃথক দুটি অভিযানে একটি জীবিত ও একটি মৃত হরিণ উদ্ধার করেছিল। শিকারিরা ফাঁদ পেতে হরিণ শিকার করলেও বনরক্ষীদের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায়।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: শ ক র আটক স ন দরবন

এছাড়াও পড়ুন:

সুন্দরবনের ভারতীয় অংশের বিএসএফের হাতে আটক ১৯ বাংলাদেশি মৎস্যজীবী

অবৈধভাবে ভারতীয় জলসীমায় প্রবেশের অভিযোগে ১৯ জন বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে গ্রেপ্তার করেছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ।

বিএসএফ সূত্রে জানানো হয়েছে, সুন্দরবনের ভারতীয় অংশের উত্তাল নদীতে দীর্ঘক্ষণ ধাওয়া করে তাদের আটক করা হয়।  ধৃত মৎসজীবীরা বাংলাদেশের বরিশাল বিভাগের ভোলা জেলার পুরালিয়া গ্রামের বাসিন্দা। মাছ ধরার ট্রলার ও জালসহ তাদেরকে আটক করা হয়। 

আরো পড়ুন:

কলকাতায় সম্মিলিত সেনা সম্মেলন উদ্বোধন নরেন্দ্র মোদির

অবৈধ অভিবাসীদের প্রতি নরম হওয়ার দিন শেষ: ট্রাম্প

বিএসএফ জানায়, রবিবার সীমান্তের সুন্দরবন অংশে রুটিন টহল দেয়ার সময় গোসাবা রেঞ্জের বাঘমারি জঙ্গল এলাকায় বাংলাদেশি অবৈধ ট্রলারের উপস্থিতি নজরে আসে বিএসএফ জওয়ানদের। বিএসএফ জওয়ানদের পেট্রোল বোট ট্রলারটির কাছে যাওয়ার চেষ্টা করতেই ট্রলারটি পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। দ্রুততার সঙ্গে ট্রলারের পিছু ধাওয়া করা হয়। দীর্ঘক্ষণ ধাওয়া করে পরবর্তীতে পাকড়াও করা হয় বাংলাদেশি ট্রলারটিকে। অবৈধ অনুপ্রবেশ এর অভিযোগে আটক করা হয় এতে থাকা ১৯ জন বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে। বাজেয়াপ্ত করা হয় ট্রলারটি।

বিএসএফ আরো জানায়, আটকের পর দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্তরা অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগের বিপরীতে কোনো যুক্তিসঙ্গত কারণ দেখাতে পারেনি। ফলে জিজ্ঞাসাবাদের পরে তাদের স্থানীয় সুন্দরবন কোস্টাল থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। আজ সোমবার তাদের আলিপুর আদালতে তোলা হবে।

ঢাকা/সুচরিতা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ‘ছুটে গিয়ে দেখি, একটি হরিণ ঝুলছে শিকারির ফাঁদে’
  • সুন্দরবনের ভারতীয় অংশের বিএসএফের হাতে আটক ১৯ বাংলাদেশি মৎস্যজীবী