শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মানহীন সনদ শুধু বেকারত্ব বাড়াচ্ছে: আসাদুজ্জামান ফুয়াদ
Published: 10th, February 2025 GMT
আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেছেন, ‘বাংলাদেশে ৫৩ বছরে কোনো রাজনৈতিক দলই সমস্যা সমাধানের রাজনীতি করেনি। কারণ যে শিক্ষাব্যবস্থা আমাদের জাতিকে দক্ষ জনশক্তি করে উন্নত করে বিশ্বের বুকে তুলে ধরবে, সেই শিক্ষাব্যবস্থা এখন বেকার তৈরির আঁতুড়ঘরে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের যোগ্যতার সার্টিফিকেট এখন রাজনৈতিক দলের লিফলেটে পরিণত হয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মানহীন সনদ শুধু বেকারত্ব বাড়াচ্ছে।’
আজ সোমবার বিকেলে নেত্রকোনা শহরের ছোটবাজার এলাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে এক জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এবি পার্টি নেত্রকোনা জেলা শাখা এ জনসভার আয়োজন করে।
সভায় আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেন, একজন অনার্স-মাস্টার্স পাস শিক্ষার্থীর পেছনে সরকারের ৫ থেকে ৬০ লাখ টাকা খরচ করতে হয়। অথচ সেই নাগরিকেরা যখন বিদেশে যাওয়ার জন্য ইমিগ্রেশনে উপস্থিত হন, তখন তাঁকে প্রবাসী বলে অপমান করা হয়। এ জন্য শিক্ষাব্যবস্থাসহ সবকিছু সংস্কার করতে হবে। আর তৃতীয় ধারার রাজনীতির মাধ্যমে বাংলাদেশকে সম্মানিত করার রাজনীতি বিনির্মাণ প্রয়োজন।
নেত্রকোনাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের কৃষকদের বিভিন্ন সমস্যা তুলে ধরে এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক বলেন, দেশে সবচেয়ে বড় নীরব সিন্ডিকেটের শিকার কৃষকেরা। কম দামে কৃষিপণ্য কিনে কোল্ড স্টোরেজের মালিকেরা চড়া দামে বিক্রি করছেন। এমনকি তাঁরা কোল্ড স্টোরেজের সংরক্ষণ চার্জও দ্বিগুণ করেছেন, যা ২৪–এর বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের স্বার্থবিরোধী।
ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা ও তাঁর দল আওয়ামী লীগ গত ১৬ বছরে দুর্নীতি-লুটপাট আর চাঁদাবাজির মাধ্যমে যে অপশাসন কায়েম করেছিল, সে রকম চিন্তা নিয়ে এখনো কেউ কেউ চাঁদাবাজি ও নানা ধরনের দুর্নীতি করছেন বলে মন্তব্য করেন আসাদুজ্জামান। তিনি বলেন, তারা যদি ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ থেকে শিক্ষা না নেয়, তাদের পরিণতিও ফ্যাসিস্টদের মতোই হবে। এই নতুন স্বাধীন বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন, বৈষম্যহীন সমাজব্যবস্থা কায়েম ও দেশকে অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী করার জন্য এবি পার্টি লড়াই-সংগ্রাম করে যাবে। এবি পার্টির পতাকাতলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে পরিচ্ছন্ন রাজনীতিতে অংশ নেওয়ার জন্য সবার প্রতি আহ্বানও জানান তিনি।
এবি পার্টির নেত্রকোনা জেলার আহ্বায়ক আবদুল মান্নানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন দলের বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও জামালপুর জেলা আহ্বায়ক ছানোয়ার হোসেন, সহকারী প্রচার সম্পাদক রিপন মাহমুদ, যুব পার্টির কেন্দ্রীয় সহদপ্তর সম্পাদক আমানুল্লাহ রাসেল, নেত্রকোনা জেলার সদস্যসচিব মাহমুদুল হাসান চৌধুরী, যুগ্ম সদস্যসচিব তারেক রহমান, যুব পার্টির আহ্বায়ক আবদুর জলিল, জামালপুর পৌরসভার আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম, এবি যুব পার্টির আহ্বায়ক শিহাব ইসলাম প্রমুখ।
ছানোয়ার হোসেন তাঁর বক্তব্যে বলেন, হাঁটি হাঁটি পা পা করে এবি পার্টি আজ বিভাগের প্রতিটি জেলায় তার বিস্তার তৈরি করছে, যা আওয়ামী ফ্যাসিবাদীদের আমলে কোনোভাবেই সম্ভব ছিল না। হত্যা, গুম, খুন গণহত্যা ও লুটপাটের যে রাজনীতি গত ১৬ বছর ধরে চলেছিল, তা শুধু দেশকেই ডোবায়নি বরং ফ্যাসিবাদীদেরও রাজনীতির কবর রচিত করেছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব যবস থ র জন ত র র জন
এছাড়াও পড়ুন:
১০ ও ১১ মে সিটি ব্যাংকের সব সেবা বন্ধ থাকবে
ডেটা সেন্টার স্থানান্তরের কাজ সম্পন্ন করতে লেনদেনসহ সব ধরনের ব্যাংকিং কার্যক্রম দুই দিন বন্ধ রাখবে সিটি ব্যাংক। আগামী ৯ মে রাত ১২টা থেকে ১১ মে রাত ৮টা পর্যন্ত সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ রাখতে ব্যাংকটিকে সম্মতি দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গতকাল বুধ বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব অফসাইট সুপারভিশন থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের এ–সংক্রান্ত আদেশে বলা হয়েছে, ডেটা সেন্টার স্থানান্তর কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য আগামী ৯ মে রাত ১২টা থেকে ১১ মে রাত ৮টা পর্যন্ত সব ধরনের ব্যাংকিং কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ রাখতে সিটি ব্যাংককে সম্মতি দেওয়া হলো।
১৯৮৩ সালে যাত্রা শুরু করা সিটি ব্যাংকের গ্রাহক গত বছর শেষে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩২ লাখে। ২০০৭ সালে ব্যাংকটির গ্রাহক ছিল ৬৮ হাজার। ব্যাংকটির কর্মকর্তার সংখ্যা এখন ৫ হাজার ৩২১ জন। দেশের সবচেয়ে বেশি সাত লাখ ক্রেডিট কার্ড গ্রাহক রয়েছে সিটি ব্যাংকের। ব্যাংকটির ক্রেডিট কার্ডের ঋণের পরিমাণ প্রায় ১ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। গত বছর শেষে ব্যাংকটির আমানত বেড়ে হয়েছে ৫১ হাজার ৪২০ কোটি টাকা। আর ঋণ ছিল ৪৪ হাজার ৪৯৮ কোটি টাকা। গত বছর শেষে হাজার কোটি টাকা মুনাফার মাইলফলক ছুঁয়েছে সিটি ব্যাংক। ব্যাংকটি গত বছর শেষে সমন্বিত মুনাফা করেছে ১ হাজার ১৪ কোটি টাকা। ২০২৩ সালে ব্যাংকটির সমন্বিত মুনাফার পরিমাণ ছিল ৬৩৮ কোটি টাকা। সেই হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে ব্যাংকটির মুনাফা ৩৭৬ কোটি টাকা বা ৫৯ শতাংশ বেড়েছে।