যুক্তরাষ্ট্রে ফের উড়োজাহাজ দুর্ঘটনা, নিহত ১
Published: 11th, February 2025 GMT
সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন
যুক্তরাষ্ট্রে একের পর এক উড়োজাহাজ দুর্ঘটনা ঘটেই চলেছে। এবার অ্যারিজোনা অঙ্গরাজ্যের স্কটসডেল মিউনিসিপ্যাল এয়ারপোর্টে অবতরণের সময় একটি বাণিজ্যিক জেট রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়লে পার্ক করা আরেকটি উড়োজাহাজের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। সোমবারের (১০ ফেব্রুয়ারি) এই দুর্ঘটনায় অন্তত একজন প্রাণ হারিয়েছেন। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে স্কটসডেল দমকল বিভাগের মুখপাত্র ডেভ ফোলিও জানিয়েছেন, দুর্ঘটনায় আরও অন্তত চার ব্যক্তি আহত হয়েছেন। সংশ্লিষ্ট কর্মীরা তাদের উদ্ধারে সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাচ্ছেন।
রয়টার্সের এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত জানা যায়, আহতদের মধ্যে একজন তখনও দুর্ঘটনার শিকার একটি উড়োজাহাজে আটকা পড়ে ছিলেন। বাকি তিনজনকে নিকটবর্তী হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
ওই সংবাদ সম্মেলনে দুর্ঘটনার কারণ বা এ সংক্রান্ত আর কোনও তথ্য জানাননি ফোলিও।
ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের পক্ষ থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, অবতরণের সময় রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়ে লিয়ারজেট ৩৫এ উড়োজাহাজটি আগে থেকেই পার্ক করে রাখা গালফস্ট্রিম ২০০ জেটের সঙ্গে সংঘর্ষ ঘটায়। দুর্ঘটনার কারণ নিয়ে তদন্ত চলমান আছে।
এই দুর্ঘটনায় মার্কিন বিমান নিরাপত্তা আবারও প্রশ্নবিদ্ধ হলো।
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় পরিবহন নিরাপত্তা বোর্ড বিগত কয়েক সপ্তাহে হয়ে যাওয়া কয়েকটি উড়োজাহাজ দুর্ঘটনার তদন্ত করছে। এরমধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ হচ্ছে রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে যাত্রীবাহী জেট ও সামরিক হেলিকপ্টারের মধ্য আকাশে সংঘর্ষ। ওই ঘটনায় ৬৭ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া, ফিলাডেলফিয়া অঙ্গরাজ্যে একটি মেডিক্যাল জেট দুর্ঘটনায় সাত জন এবং আলাস্কায় আরেকটি উড়োজাহাজ দুর্ঘটনায় ১০ জন নিহত হয়েছেন।
এনজে
.উৎস: SunBD 24
কীওয়ার্ড: দ র ঘটন র দ র ঘটন য়
এছাড়াও পড়ুন:
যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধ করতে কাজ করছে চীন
মাকিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে চুক্তি বাতিলকারী দেশগুলোর জন্য একটি স্পষ্ট বার্তা নিয়ে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বিশ্বজুড়ে কূটনৈতিক প্রচারণা চালাচ্ছেন। আর তার সেই বার্তাটি হচ্ছে- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এমন একটি দাঙ্গাবাজ দেশ, যাকে বিশ্বাস করা যায় না।
শুল্ক স্থগিতাদেশের সময় চীন ছাড়া সবদেশকে বাণিজ্য চুক্তিতে স্বাক্ষর করার জন্য ট্রাম্প যে ৯০ দিনের সময়সীমা দিয়েছেন, সেই সময়ের মধ্যে চীনা কর্মকর্তারা বিদেশী সরকারগুলোকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ঠেলে দেওয়ার জন্য দৌড়ঝাঁপ করছেন। মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট জানিয়েছেন, একবার এই চুক্তিগুলো কার্যকর হয়ে গেলে, তিনি চান মার্কিন মিত্ররা ‘একটি দল হিসেবে চীনের সাথে যোগাযোগ করুক’, যাতে মার্কিন পক্ষ আলোচনায় আরো বেশি সুবিধা পায়।
দক্ষিণ কোরিয়া থেকে শুরু করে ইউরোপীয় ইউনিয়ন পর্যন্ত মার্কিন মিত্ররা নিরাপত্তার জন্য ওয়াশিংটনের উপর নির্ভর করে এবং অর্থনৈতিকভাবে ট্রাম্পকে সন্তুষ্ট করার জন্য তাদের উৎসাহ রয়েছে। অবশ্য চীন আরো সমান তালে শুল্ক যুদ্ধের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। ট্রাম্পের শেষ বাণিজ্য যুদ্ধের পর থেকে বেইজিং মার্কিন রপ্তানি থেকে তার অর্থনীতিকে মুক্ত করার জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছে। দেশটিতে নিবেদিতপ্রাণ এবং সক্রিয় সৈন্য সংখ্যার বিচারে বিশ্বের বৃহত্তম সামরিক বাহিনী রয়েছে।
শি ট্রাম্পের সাথে ফোনে কথা বলতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন এবং তার সরকার ‘পাল্টাপাল্টি’ শুল্ক বাতিলের দাবি জানাচ্ছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র জোর দিয়ে বলছে যে, অন্য পক্ষ, অর্থাৎ চীনকে উত্তেজনা কমানোর প্রথম পদক্ষেপ নিতে হবে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যানের মাধ্যমে, চীন নিজেকে নিয়মভিত্তিক ব্যবস্থার একজন চ্যাম্পিয়ন হিসেবে উপস্থাপন করছে এবং অন্যান্য দেশকে ওয়াশিংটনের বিরুদ্ধে বেইজিংয়ের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানাচ্ছে।
সাংহাইয়ের ফুদান বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর আমেরিকান স্টাডিজের পরিচালক উ জিনবো বলেন, “এটি কেবল চীন-মার্কিন সম্পর্কে নয়। এটি আসলে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য এবং অর্থনৈতিক ব্যবস্থা সম্পর্কে।”
গত বছর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রাজনীতিবিদদের সাথে দেখা করার জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেওয়া উ জানান, অন্যান্য সরকারেরও বুঝতে হবে বেইজিংয়ের প্রচেষ্টা তাদের উপকার করেছে।
তিনি বলেন, “যদি চীন আমেরিকার বিরুদ্ধে না দাঁড়াত, তাহলে আমেরিকা কীভাবে তাদের ৯০ দিনের বিরতি দিত। চীনের উপর শুল্ক আরোপের ফলে ট্রাম্প অন্যান্য দেশের উপর শুল্ক আরোপ বন্ধ করার জন্য আবরণ পেয়েছেন। তাদের এটা উপলব্ধি করা উচিত।”
চীনের শীর্ষ কূটনীতিক ওয়াং ই সোমবার ব্রাজিলে অনুষ্ঠিত ব্রিকস ব্লকের দেশগুলোকে ট্রাম্পের দাবি প্রতিহত করার জন্য বেইজিংয়ের সাথে যোগ দিতে আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, “আপনি যদি নীরব থাকেন, আপস করেন এবং পিছু হটতে চান, তাহলে এটি কেবল বুলিকে আরো আক্রমণাত্মক হয়ে উঠতে সাহায্য করবে।”
তার এই বক্তব্যের কয়েক ঘন্টা পরে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইংরেজি সাবটাইটেলসহ একটি ভিডিওতে ওয়াশিংটনকে ‘সাম্রাজ্যবাদী’ শক্তি হিসেবে চিহ্নিত করে। সেখানে দাবি করা হয়েছে, গত শতাব্দীতে জাপানি রপ্তানি সীমিত করার মার্কিন পদক্ষেপ তোশিবার মতো কোম্পানিগুলোকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।
ওয়াং ই বলেছেন, “একজন ধর্ষকের কাছে মাথা নত করা ঠিক তৃষ্ণা নিবারণের জন্য বিষ পান করার মতো, এটি কেবল সংকটকে আরো গভীর করে তোলে। চীন পিছু হটবে না যাতে দুর্বলদের কণ্ঠস্বর শোনা যায়।”
ঢাকা/শাহেদ