সোনারগাঁয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষে ৫ জন নারী আহত হয়েছেন। বুধবার সকালে বারদী ইউনিয়নের চেঙ্গাকান্দি গ্রামে জমি সংক্রান্ত বিরোধে এ ঘটনা ঘটে।

আহতদের সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এসময় বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়েছে। এ ঘটনা উভয় পক্ষ সোনারগাঁ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।

জানা যায়, উপজেলার বারদী ইউনিয়নের চেঙ্গাকান্দি গ্রামের আব্দুল বারেকের সাথে পার্শ্ববর্তী ইয়ানুছ মিয়ার দীর্ঘদিন ধরে ৮ শতাংশ জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। এ বিরোধের জের ধরে তাদের মধ্যে আদালতে মামলা মোকদ্দমা চলছে। 

বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকালে আব্দুল বারেকের লোকজন ওই জমিতে টিনের সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করতে যায়। এক পর্যায়ে ইয়ানুছের নেতৃত্বে আব্দুল হালিম, আলী আজগর, রাসেল, আসিফসহ ২০-২৫জনের একটি দল দেশীয় অস্ত্র দা, টেঁটা, বল্লম, লোহার রড, চাইনিজ কুড়াল নিয়ে হামলা করে। 

এক পর্যায়ে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। আব্দুল বারেকের বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাট করে ইয়ানুছের লোকজন। সংঘর্ষে বারেক পক্ষের হোসনে আরা, রুনা আক্তার ও হাবিজা বেগম ও ইয়ানুছ পক্ষের সূর্য্যবান বিবি, পারভীন বেগম আহত হয়। আহতদের সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। 

এ ঘটনায় আব্দুল বারেক পক্ষের তার ছেলে আমির হোসেন ও ইয়ানুছ পক্ষের ইয়ানুছ মিয়া বাদী হয়ে সোনারগাঁ থানায় পৃথক দুটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।

সোনারগাঁ থানায় দায়ের করা অভিযোগের বাদি মো.

আমির হোসেন বলেন, ক্রয়সূত্রে মালিক হয়ে দীর্ঘদিন ধরে ৮ শতাংশ জমি ভোগ দখল করে আসছি। হঠাৎ ইয়ানুছ ও তার লোকজন ওই জমি দাবি করে। ওই জমি নিয়ে একাধিকবার শালিস বৈঠকের আয়োজন করা হলেও তারা উপস্থিত হন না। গতকাল বুধবার সকালে টিনের সীমানা প্রাচীর দিতে গেলে অতর্কিত হামলা করে ভাংচুর ও লুটপাট করে। এসময় তাদের তিনজন নারী আহত হন। 

ইয়ানুছ মিয়ার দাবি, আমাদের জমি তারা দীর্ঘদিন ধরে দখলে রেখেছেন। আমাদের এ জমির পক্ষে দলিল পত্র রয়েছে। তারা জোরপূর্বক দখলে রাখতে চাইছে। জমিতে টিনের বেড়া দিতে আসলে আমরা বাধা দিয়েছি। এ ঘটনায় তাদের দুই নারী আহত হয়েছে। 

সোনারগাঁ থানার ওসি মোহাম্মদ আব্দুল বারী বলেন, হামলা ভাংচুর ও সংঘর্ষের ঘটনায় উভয় পক্ষ অভিযোগ দায়ের করেছেন। তদন্ত করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: স ঘর ষ ন র য়ণগঞ জ দ য় র কর স ঘর ষ এ ঘটন

এছাড়াও পড়ুন:

কুলিয়ারচরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাস খাদে, ৩০ যাত্রী আহত

কিশোরগঞ্জ-ভৈরব মহাসড়কে যাত্রীবাহী একটি বাস খাদে পড়ে ৩০ জন আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে মহাসড়কের আগরপুর বাসস্ট্যান্ডের কাছে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রাইম পরিবহন নামের একটি বাস ৩০-৩৫ জন যাত্রী নিয়ে শেরপুর থেকে সিলেট যাচ্ছিল। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাত ১টার দিকে বাসটি মহাসড়কের আগরপুর বাসস্ট্যান্ডের কাছে পূর্ব জগৎচর নামক স্থানে একটি গাছের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে খাদে পড়ে যায়।

দুর্ঘটনায় আহতদের মধ্যে রাতে ৯ জনকে ভাগলপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। 

আহতদের বরাত দিয়ে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের একজন নার্স জানান, যাত্রীদের মধ্যে কয়েকজন শেরপুর থেকে আসেন। তারা প্রয়োজনীয় উপকরণসহ ছাগল নিয়ে সিলেট মাজারে যাচ্ছিলেন।

হাসপাতালে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর্তমানে হারিছ মিয়া (৫৫) নামে এক যাত্রী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার স্বজন ফজর আলী (৫০) বলেন, তিনি কিশোরগঞ্জের যশোদল গ্রামে আত্মীয়ের বাসায় বেড়াতে এসেছিলেন। রাতে তিনি কিশোরগঞ্জ থেকে বাসে উঠেন। সুনামগঞ্জের বাড়িতে ফিরছিলেন তিনি। বাকিরা আজ সকালে চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছেন।

এ ব্যাপারে ভৈরব হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাহাবুর রহমান বলেন, রাতে দুর্ঘটনার পর আমরা ঘটনাস্থলে এসে যাত্রী ও তাদের মালামাল উদ্ধার করি এবং বুঝিয়ে দেই। কম বেশি সব যাত্রীই আহত হয়েছেন বলে তিনি জানান।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নরসিংদীতে তিন গাড়ির সংঘর্ষ, নিহত ১
  • চক্ষুবিজ্ঞান হাসপাতালে কেউ নিচ্ছেন চিকিৎসা, কেউ করাচ্ছেন পরীক্ষা
  • ১৭ দিন পর কাটলো অচলাবস্থা, চক্ষু হাসপাতালে সেবা চালু
  • ১৭ দিন পর কাটলো অচলাবস্থা, চক্ষু হাসপাতালে পূর্ণাঙ্গ সেবা চালু
  • সিদ্ধিরগঞ্জে প্রবাসী স্বামীর বাড়িতে স্ত্রীর তালা
  • রাজধানীতে ছিনতাইকারীর ছুরিতে দু’জন আহত
  • কুলিয়ারচরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাস খাদে, ৩০ যাত্রী আহত
  • আহমেদাবাদে দুর্ঘটনাস্থলে নরেন্দ্র মোদী, আহতদের দেখতে গেলেন হাসপাতালে 
  • ধর্ষণের শিকার শিশুটির চিকিৎসার দায়িত্ব নিলেন বিএনপি নেতা অমিত