যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন ঘোষিত স্বেচ্ছা পদত্যাগ কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন দেশটির কেন্দ্রীয় সরকারের প্রায় ৭৫ হাজার কর্মী। ইউএস অফিস অব পার্সোনেল ম্যানেজমেন্টের একজন মুখপাত্র গতকাল বুধবার এ তথ্য জানান।

কেন্দ্রীয় সরকারের আকার কমিয়ে সরকারি ব্যয় হ্রাসে নানা পরিকল্পনা করছেন ট্রাম্প। এমনই এক পরিকল্পনায় ২৩ লাখ বেসামরিক কর্মীর অনেককে বাদ দিতে চান তিনি। এ লক্ষ্যে প্রণোদনার বিনিময়ে কর্মীদের স্বেচ্ছায় পদত্যাগের ওই প্রস্তাব (বাইআউট কর্মসূচি) দেওয়া হয়েছে। এ বিপুলসংখ্যক জনশক্তিকে তিনি অকার্যকর ও তাঁর বিরুদ্ধে পক্ষপাতদুষ্ট বলে অভিযোগ করেছেন।

স্বেচ্ছা পদত্যাগ কর্মসূচির বাইরেও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বিভিন্ন সরকারি সংস্থাকে ব্যাপকভাবে কর্মী ছাঁটাই করার প্রস্তুতি গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন। সে অনুযায়ী চাকরির নিরাপত্তা না থাকায় এরই মধ্যে কয়েকটি সংস্থা সম্প্রতি তাদের নিয়োগ দেওয়া কর্মীদের ছাঁটাই করেছে।

স্বেচ্ছা পদত্যাগ কর্মসূচির বাইরেও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বিভিন্ন সরকারি সংস্থাকে ব্যাপকভাবে কর্মী ছাঁটাই করার প্রস্তুতি গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন। সে অনুযায়ী চাকরির নিরাপত্তা না থাকায় এরই মধ্যে কয়েকটি সংস্থা সম্প্রতি তাদের নিয়োগ দেওয়া কর্মীদের ছাঁটাই করেছে।

একাধিক সূত্র বলেছে, কয়েকটি সংস্থার কর্মকর্তাদের ৭০ শতাংশ পর্যন্ত কর্মচারী ছাঁটাইয়ের প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে।

এদিকে নিজেদের সদস্যদের প্রতি ট্রাম্পের প্রস্তাব গ্রহণ না করার আহ্বান জানিয়েছে শ্রমিক ইউনিয়নগুলো। তারা বলেছে, ট্রাম্পের কথা রাখার বিষয়ে আস্থা রাখা যায় না।

প্রস্তাবে স্বেচ্ছা পদত্যাগের বিনিময়ে আগামী অক্টোবর পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মীদের কোনো কাজ না করেই নিয়মিত বেতন ও অন্যান্য সুবিধা প্রদানের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। তবে এ প্রতিশ্রুতি অকাট্য না–ও হতে পারে। সরকারি ব্যয়সংশ্লিষ্ট বর্তমান আইনগুলোর মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ১৪ মার্চ। যেসব কর্মী স্বেচ্ছা পদত্যাগ কর্মসূচি গ্রহণ করবেন না, ওই সময়ের পর তাঁদের বেতন ও অন্যান্য সুবিধা পাওয়ার কোনো নিশ্চয়তা নেই। এমনকি তখন চাকরিচ্যুতির শিকার হতে পারেন তাঁরা।

আরও পড়ুনযুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল কর্মচারীদের স্বেচ্ছায় পদত্যাগ নিয়ে ট্রাম্পের প্রস্তাব স্থগিত করলেন আদালত০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর ট্রাম্প তাঁর প্রশাসনে যুক্ত করা নতুন বিভাগ ‘ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট ইফিশিয়েনসি’র প্রধান করেছেন ইলন মাস্ককে। এ ধনকুবের যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় বাজেটের এক লাখ কোটি ডলার সাশ্রয় করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। গত বছর এ বাজেটের আকার ছিল ৬ লাখ ৭৫ হাজার কোটি ডলার। সরকারি কর্মচারীদের বেতন বাবদ ব্যয় হয় বাজেটের ৫ শতাংশের কম।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: কর ম দ র ট ই কর কর ছ ন সরক র গ রহণ

এছাড়াও পড়ুন:

গাজীপুরে এটিএম বুথে ধর্ষণের অভিযোগ, অভিযুক্ত পলাতক

গাজীপুরের শ্রীপুরে অধিক বেতনের চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে এক নারী পোশাক শ্রমিককে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে একটি এটিএম বুথের নিরাপত্তা প্রহরীর বিরুদ্ধে।

সোমবার (১৬ জুন) সকালে ওই নারী শ্রমিকের বাবা বাদী হয়ে শ্রীপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন। 

রবিবার (১৫ জুন) সকালে শ্রীপুর উপজেলার মুলাইদ গ্রামের এমসি বাজার এলাকায় তালহা স্পিনিং মিল সংলগ্ন একটি ব্যাংকের এটিএম বুথে এই ধর্ষণের ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ ।

ভুক্তভোগী নারী স্থানীয় একটি কারখানায় ৬ হাজার টাকা বেতনে কাজ করতেন। অভিযুক্ত নিরাপত্তা প্রহরী মো. লিটন (৩৫) তালহা স্পিনিং মিল সংলগ্ন বুথে দায়িত্ব পালন করতেন। 

লিটন ময়মনসিংহ জেলার পাগলা থানার ডুবাইল গ্রামের মৃত আব্দুল আউয়ালের ছেলে। বর্তমানে তিনি মুলাইদ গ্রামের আতাব উদ্দিনের বাড়িতে ভাড়া থাকেন এবং ফাস্ট সলিউশন লিমিটেড নামের একটি নিরাপত্তা নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের অধীনে চাকরি করতেন।

থানায় দায়ের করা অভিযোগ থেকে জানা যায়, এটিএম বুথে টাকা তোলার সূত্র ধরে এই নারী শ্রমিকের সঙ্গে পরিচয় হয় লিটনের। একপর্যায়ে লিটন ভুক্তভোগীকে ১২ হাজার টাকা বেতনের চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে রবিবার সকালে তার বাবার মোবাইলে ফোন করে ডেকে আনেন। সকাল ৬টার দিকে বুথে গেলে লিটন তাকে ভেতরে একটি ছোট কক্ষে বসিয়ে রাখেন এবং জানান যে, নতুন চাকরির উর্ধ্বতন কর্মকর্তা এসে তার সাক্ষাৎকার নেবেন।

ভিকটিমের বাবা দুইবার মেয়ে চাকরির বিষয়ে খোঁজ নিলে লিটন জানান, চিন্তার কিছু নেই, সব ঠিক আছে। তাকে বাড়ি পাঠিয়ে দেব। এরপর আনুমানিক সকাল ১০টার দিকে লিটন কক্ষে ঢুকে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে এবং তাকে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। বাড়ি ফেরার পথে মেয়ে তার বাবাকে ঘটনাটি জানায়।

ঘটনার বিষয়ে ফাস্ট সলিউশন লিমিটেডের সুপারভাইজার মো. হানিফের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি মোবাইল রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

শ্রীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আবদুল বারিক জানান, অভিযোগ পাওয়ার পরপরই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এবং অভিযুক্ত লিটন পলাতক থাকায় তাকে গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হচ্ছে। দ্রুতই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিনি আরো জানান, ভিকটিমের স্বাস্থ্য পরীক্ষা গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সম্পন্ন করা হয়েছে।

ঢাকা/রফিক/টিপু  

সম্পর্কিত নিবন্ধ