ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় একই পরিবারের দুইজনকে পিটিয়ে আহত
Published: 14th, February 2025 GMT
নড়াইলের লোহাগড়ায় ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় বখাটেদের হামলার শিকার হয়েছেন এক ছাত্রীর বাবা ও দাদী। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপজেলার মৌলভী ধানাইড় গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চাচই গ্রামের শুকুর মোল্যার ছেলে নাহিদ মোল্যা দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় সিডি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণির এক ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করে আসছিল। এ নিয়ে ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাবা ফরিদ ভূঁইয়া অভিযুক্ত নাহিদের বাবা শুকুর মোল্যাকে অভিযোগ করলে তারা আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠে।
এরই জেরে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নাহিদ মোল্যা, নাইম মোল্যা ও তাদের সঙ্গে আরও ৮-১০ জন যুবক ফরিদ ভূঁইয়ার বাড়িতে হামলা চালায়। তারা লাঠিসোটা, লোহার রড ও হাতুড়ি নিয়ে ফরিদ ভূঁইয়া ও তার বৃদ্ধা মা ডালিয়া বেগমকে বেধড়ক মারধর করে। আহতদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
ফরিদের স্ত্রী রুমা বেগম জানান, হামলাকারীরা তার স্বামী ও শাশুড়িকে চুল ধরে টেনে-হেঁচড়ে মারধর করেছে এবং তাকেও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেছে। তিনি আরও জানান, নাহিদ মোল্যা দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় বখাটেপনা করে বেড়াচ্ছে, কিন্তু উপযুক্ত শাস্তি না পাওয়ায় সে আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।
এ ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত নাহিদ মোল্যা ও তার বাবা শুকুর মোল্যা পলাতক রয়েছেন। স্থানীয় ইউপি সদস্য ইউসুফ মিয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মেয়েলি ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাচই গ্রামের কয়েকজন যুবক ফরিদ ভূঁইয়ার বাড়িতে হামলা চালিয়েছে।
লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশিকুর রহমান জানান, এ ঘটনায় এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
শিশু ছাত্রীকে যৌন নির্যাতন, মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা
ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার উত্তমপুর গুচ্ছগ্রাম এলাকায় দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ুয়া এক ছাত্রীকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে আদর্শগ্রাম নূরানী মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা ও শিক্ষক শাহাদাৎ হোসেনের বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) বিকালে মাদ্রাসায় কোচিংয়ে পড়তে গেলে শিক্ষক শাহাদাৎ হোসেন ওই শিক্ষার্থীর উপর যৌন নির্যাতন চালান বলে জানিয়েছেন শিশুটির মা।
শিশুটির পরিবার ও স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার বিকেলে বৃষ্টি হওয়ায় মাদ্রাসার কোচিংয়ে মাত্র চারজন শিক্ষার্থী উপস্থিত হয়। তাদের মধ্যে দুইজনকে ছুটি দিয়ে দুইজনকে মাদ্রাসায় রেখে দেন শিক্ষক শাহাদাৎ হোসেন। তাদের মধ্যে একজন ছেলে ও ভুক্তভোগী ছিল মেয়ে। শিক্ষক শাহাদাৎ হোসেন ছেলেটিকে কৌশলে মাদ্রাসার রুম ঝাড়ু দিতে পাঠিয়ে দেন। মেয়েটিকে তার কোলের উপর বসিয়ে অশালীন আচরণ করেন। মাদ্রাসার পাশের ভবনের কক্ষ থেকে একটি মেয়ে সেই দৃশ্য দেখে ফেলেন।
আরো পড়ুন:
অপারেশনের পর শিশুর মৃত্যু: তদন্ত কমিটি গঠন, থানায় মামলা
বানরের সহযোগিতায় ধর্ষণের হাত থেকে বাঁচলো শিশু
পরে শিক্ষক শাহাদাৎ হোসেন ওই শিশুকে মাদ্রাসায় তার বিশ্রাম কক্ষে নিয়ে যৌন নির্যাচন চালান। এ সময় শিশুটি চিৎকার করলে তাকে ট্যাবলেট খাইয়ে দিয়ে মুখের ভিতরে কাপড় ঢুকিয়ে আবারো যৌন নির্যাচন চালান। এরপর কক্ষটি তালা দিয়ে অন্যত্র চলে যান। শিশুটি চিৎকার করলে অপর শিক্ষার্থী তালা খুলে তাকে বাইরে বের করে আনে।
এ ঘটনা জানাজানি হলে স্থানীয়রা ক্ষিপ্ত হয়ে মাদ্রাসায় ভাঙচুর চালায়। এর আগেও শাহাদাৎ হোসেন কয়েকবার শিশু শিক্ষার্থীর সঙ্গে অশালীন আচরণ করেছেন বলে স্থানীয়রা জানান।
শিক্ষক শাহাদাৎ হোসেন তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, পূর্বশত্রুতার জের ধরে তাকে ফাঁসাতে এবং প্রতিষ্ঠানটি শেষ করে দেয়ার জন্য ষড়যন্ত্র চলছে।
রাজাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন জানান, খবর পেয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ঢাকা/অলোক/বকুল