অমর একুশে বইমেলায় প্রকাশিত হয়েছে কথাসাহিত্যিক, কবি ও সাংবাদিক রাশেদ মেহেদীর নতুন উপন্যাস ‘দ্য জার্নালিস্ট’। গত ১১ ফেব্রুয়ারি বইটি মেলায় প্রকাশ করে অক্ষর প্রকাশনী। সাংবাদিকতাকে উপজীব্য করে ‘দ্য জার্নালিস্ট’ উপন্যাসটি লেখা হয়েছে। উপন্যাসটির কাহিনি আবর্তিত হয়েছে বাংলাদেশে সংবাদমাধ্যমের কর্মপরিবেশ, কর্মক্ষেত্রের রাজনীতি, পেশাদার সাংবাদিকের টিকে থাকার লড়াই এবং জাতীয় পর্যায়ে সাংবাদিকতার চ্যালেঞ্জিং বিষয়গুলো নিয়ে।

উপন্যাসটির বুনন শুরু হয় সাংবাদিক সুমিত হককে নিয়ে। সুমিত হক হঠাৎ করেই সংবাদ শিরোনাম হলেন। তাকে ঘিরে একটি ভিডিও চিত্র দেশজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। সাংবাদিক সমাজে তো বটেই, ঘরে-ঘরে আলোচনার বিষয়বস্তু হয়ে উঠলেন সুমিত হক। শুধু টেলিভিশনের হেড অব নিউজের পদ নয়, দেশ ছাড়ার সিদ্ধান্তও নিতে হলো তাকে। সেই চাঞ্চল্যের মধ্যেই খুন হলেন একটি জাতীয় দৈনিকের একজন জেলা প্রতিনিধি রূপালি বণিক। সেই খুনের ঘটনার ওপর অনুসন্ধানী রিপোর্টের জন্য সেই জেলা শহরে পাঠানো হলো আর একজন তুখোড় রিপোর্টার কল্যাণ কবীরকে।

সেই রিপোর্ট করতে গিয়ে অভূতপূর্ব অভিজ্ঞতার মাঝে দুই পাশে দুই মানবীর ছায়ামূর্তি উদভ্রান্ত করে তোলে কল্যাণকে। শেষ পর্যন্ত উঁচু পাহাড়ের গভীর খাদের সামনে দাঁড়াতে হলো তাকে। সামনে বিশাল জলপ্রপাত ছুটে চলেছে পাহাড়ের শরীর বেয়ে নিচের দিকে। পেছনে খাদের দিকে তাকালে দেখা যায় গভীর জঙ্গল। সেই পাহাড়ের চূড়া থেকে কল্যাণ কবীর নিরুদ্দেশ হওয়ার আগে টেলিভিশন চ্যানেলের বার্তা কক্ষে আবার হাসিমুখে এসে দাঁড়ান সুমিত হক। বার্তাকক্ষজুড়ে তখন আবছা আঁধার। এডিটিং প্যানেলে তরুণ এক শিক্ষানবিশ রিপোর্টার সে সময় এক টুকরো আলোর সামনে দাঁড়িয়ে টের পান, তার মুখ বাঁধা, কণ্ঠ দেয়ার শক্তি নেই তার.

..।

উপন্যাসটির লেখক রাশেদ মেহেদী বলেন, এ উপন্যাসের প্রতিটি চরিত্র কাল্পনিক। বাস্তবের কোনো চরিত্র বা ঘটনার সঙ্গে উপন্যাসের কাহিনির কোনো সম্পর্ক নেই। আশা করি, পাঠকমহলে সাড়া পাবে উপন্যাসটি।

১১০ পৃষ্ঠার ‘দ্য জার্নালিস্ট’ এর প্রচ্ছদ করেছেন সোহানুর রহমান অনন্ত। বইমেলায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, স্টল নম্বর-৩০। বিশেষ কমিশন ছাড়ে বইটি মূল্য ১৯০ টাকা। উপন্যাসটি উৎসর্গ করা হয়েছে সাংবাদিকতার বাতিঘর হিসেবে খ্যাত দুই সাংবাদিক তোয়াব খান ও গোলাম সারওয়ারকে।

কথাসাহিত্যিক, কবি ও সাংবাদিক রাশেদ মেহেদী স্কুলজীবন থেকেই লেখালেখি করেন। বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় তার ছোটগল্প, কবিতা ও প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। ২০১২ সালে তার প্রথম উপন্যাস ‘গনি আদমের ক্যাম্পাস’ প্রকাশিত হয়। ১৯৯৮ সালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্ষণবিরোধী আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে লেখা এই উপন্যাসটি পাঠক মহলে সমাদৃত হয়। এরপর প্রকাশিত হয় আরও দু’টি উপন্যাস ‘রাজপথের মহাকাব্য’ ও ‘কংক্রিটের কালোবিড়াল’।

এ ছাড়া অনলাইন সাহিত্য সাময়িকী লিটবাংলায় ডটকমে তার লেখা বাংলায় প্রথম সাইবার পাঙ্ক থ্রিলার ‘থ্রি চিয়ার্সমেটাভার্স’ প্রকাশিত হয়েছে। পিডিএফ ফরমেটে তার একমাত্র কাব্যগ্রন্থ ‘ফেসবুকে দেখি চাঁদ’ ২০২৪ সালে বইমেলায় প্রকাশিত হয়েছে। এ কাব্যগ্রন্থের ভূমিকা লিখেছেন বাংলা কবিতার জীবন্ত কিংবদন্তি কবি নির্মলেন্দু গুণ।

রাশেদ মেহেদীর পেশা সাংবাদিকতা। বর্তমানে তিনি দেশের প্রথম রিয়েল টাইম বাইলিংঙ্গুয়াল (বাংলা ইংরেজি) ভিউজ পোর্টাল ‘ভিউজ বাংলাদেশ ডটকমের সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। এর আগে দীর্ঘ প্রায় ২৮ বছরের সাংবাদিকতা জীবনে দৈনিক সংবাদ, দৈনিক ভোরের কাগজ, দৈনিক জনকণ্ঠ, একুশে টেলিভিশন এবং সমকালে কাজ করেছেন।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: বইম ল উপন য স ব দ কত বইম ল

এছাড়াও পড়ুন:

প্রাইভেট পড়ে ফেরার পথে দুই স্কুলছাত্রীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ, গ্রেপ্তার ১

রাজবাড়ীর পাংশায় প্রাইভেট পড়ে বাড়ি ফেরার পথে দুই স্কুলছাত্রীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় গতকাল রোববার রাতে পুলিশ একজনকে গ্রেপ্তার করেছে।

ভুক্তভোগী দুই ছাত্রীর মা ও বাবা গতকাল পৃথকভাবে বাদী হয়ে ধর্ষণের অভিযোগে পাংশা থানায় দুটি মামলা করেন। এতে হাসমত আলী (২২) ও শিহাব মণ্ডল (২০) নামের দুই তরুণকে আসামি করা হয়। তাঁদের বাড়ি উপজেলার কসবামাজাইল ইউনিয়নে। মামলা করার পর পুলিশ রাতে অভিযান চালিয়ে শিহাবকে গ্রেপ্তার করে।

ভুক্তভোগী দুই স্কুলছাত্রী স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী। তাদের একজনের বয়স ১৪ বছর এবং অপরজনের বয়স ১৫ বছর।

মামলার এজাহার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গতকাল বেলা ১১টার দিকে বিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের কাছে প্রাইভেট পড়া শেষে দুই বান্ধবী একসঙ্গে বাড়ি ফিরছিল। পথে উপজেলার কসবামাজাইল ইউনিয়নের বনগ্রাম এলাকায় পৌঁছালে তাদের পথ রোধ করে হাসমত ও শিহাব। ধারালো ব্লেড বের করে স্কুলছাত্রী দুজনকে জিম্মি করে রাস্তার অদূরে একটি পানের বরজে জোর করে নিয়ে যান তাঁরা। সেখানে পৃথক স্থানে নিয়ে ধর্ষণ করেন ওই দুই তরুণ। বিষয়টি কাউকে না জানাতে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে চলে যান তাঁরা।

গতকাল রাতে পাংশা মডেল থানায় মামলা করতে আসা ভুক্তভোগী দুই স্কুলছাত্রীর পরিবার জানায়, হাসমত ও শিহাব ওই দুই স্কুলছাত্রীকে মাঝেমধ্যে উত্ত্যক্ত করতেন। এ ঘটনায় দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি দাবি করেন।

পাংশা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন গতকাল রাত পৌনে ১২টার দিকে প্রথম আলোকে বলেন, ‘অষ্টম শ্রেণির দুই শিক্ষার্থীর মধ্যে একজনের মা এবং অপরজনের বাবা বাদী হয়ে রোববার রাতে হাসমত আলী ও শিহাব মণ্ডলকে আসামি করে পৃথক দুটি মামলা করেন। রাতেই আসামি শিহাব মণ্ডলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অপর আসামি হাসমতকে গ্রেপ্তারে পুলিশ মাঠে কাজ করছে।

ওসি সালাহ উদ্দিন আরও বলেন, গ্রেপ্তার শিহাব পুলিশের কাছে ধর্ষণের অভিযোগ স্বীকার করেছেন। তাঁর পোশাকেও ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে। তাঁকে সোমবার রাজবাড়ীর আদালতে পাঠানো হবে। দুই স্কুলছাত্রীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য প্রয়োজনী পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • চট্টগ্রামে করোনায় আক্রান্ত এক ব্যক্তির মৃত্যু
  • আমি কারো সঙ্গে পাল্লা দিতে আসিনি: অপু বিশ্বাস
  • হামজাদের কোচিং স্টাফ বাড়ছে
  • ব্যক্তিগত মুহূর্ত নিয়ে অসুস্থ প্রতিযোগিতা, স্পষ্ট বার্তা দিলেন অপু
  • ব্যক্তিগত মুহূর্ত নিয়ে অসুস্থ প্রতিযোগিতায় আমি নেই: অপু বিশ্বাস
  • শালবনে ছেচরা কই ও পাটখই
  • কালিয়াকৈরে বিএনপির দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ায় আটক ২ নেতা, পরে ছাড়া পেলেন একজন
  • আমি গর্বিত আমি একজন মুসলিম: আমির খান
  • প্রাইভেট পড়ে ফেরার পথে দুই স্কুলছাত্রীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ, গ্রেপ্তার ১
  • অনলাইন মার্কেটপ্লেস এখন হোয়াটসঅ্যাপে