যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে নারায়ণগঞ্জে পালিত হয়েছে মুসলমান ধর্মাবল্মীদের জন্য সৌভাগ্য ও ক্ষমার রাত পবিত্র শবে বরাত। মহান আল্লাহ তায়ালার রহমত লাভের আশায় ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা ইবাদত বন্দেগি করছেন। 

সন্ধ্যার পর থেকেই জেলার প্রতিটি মসজিদে মুসল্লিরা নফল ইবাদত, কোরআন তেলাওয়াত, জিকির-আসকার করছেন। পাশাপাশি মসজিদে বয়ান শুনেছেনও মুসল্লিরা। 

অন্যদিকে কবরস্থানগুলোতে অনেকেই ভীড় করেছেন। চলে যাওয়া স্বজনদের রূহের মাগফেরাত কামণায় করেছেন দোয়া। 

এদিকে, পবিত্র শবে বরাত উপলক্ষে মসজিদ ও কবরস্থানগুলোতে আলোকসজ্জা করা হয়েছে। রাতব্যাপী মুসল্লীদের ইবাদত বন্দেগির জন্য মসজিদগুলোতে বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে।

এছাড়াও মুসল্লীদের কবর জিয়ারতের কথা মাথায় রেখে নগরীর মাসদাইর সিটি কেন্দ্রীয় কবরস্থান ও পাইকপাড়া কবরস্থানেও শবে বরাত উপলক্ষে সংস্কার ও আলোকসজ্জা করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, হিজরি বর্ষের শাবান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাত সৌভাগ্যের রজনী। মহিমান্বিত এ রাতে মহান রাব্বুল আলামিন তাঁর বান্দাদের ভাগ্য নির্ধারণ করেন। ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা এ রাতে মহান আল্লাহর রহমত ও নৈকট্য লাভের আশায় নফল নামাজ, কোরআন তিলাওয়াত, জিকির-আজগারসহ বিভিন্ন ইবাদত বন্দেগী  করে থাকেন। 
  
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ কবরস থ ন মসজ দ

এছাড়াও পড়ুন:

ছুটি শেষে ব্যাংক ও শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হচ্ছে কাল

ঈদুল আজহা উপলক্ষে একটানা ১০ দিন বন্ধের পর আগামীকাল রোববার ব্যাংক ও শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হচ্ছে। এর ফলে দীর্ঘ ছুটির পর আবারও স্বাভাবিক ধারায় ফিরতে যাচ্ছে আর্থিক খাত। বন্ধের এই সময়ে অনলাইন ও এটিএম বুথের মাধ্যমে অর্থ লেনদেনের সুযোগ থাকলেও শেয়ারবাজারে কোনো লেনদেন হয়নি।

আর্থিক খাত–সংশ্লিষ্টরা বলছেন, স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে নিকট অতীতে এক টানা ১০ দিন ব্যাংক ও শেয়ারবাজারে লেনদেন বন্ধের নজির নেই। ব্যাংক বন্ধ থাকায় ব্যবসা–বাণিজ্যেও একধরনের স্থবিরতা নেমে এসেছে। বন্ধের এ সময়ে লেনদেন করতে গিয়ে ব্যাংক গ্রাহকদের নানা ভোগান্তি পোহাতে হয়। কারণ, এ সময়ে অনেক গ্রাহক এটিএম থেকে প্রয়োজনীয় সেবা পাননি। বেশির ভাগ ব্যাংক তাদের নিজেদের গ্রাহক ছাড়া অন্য ব্যাংকের গ্রাহকদের জন্য এটিএম সেবা সীমিত করে দিয়েছিল। এ কারণে এটিএম থেকে অনেকে টাকা তুলতে পারেননি। তবে অনলাইন বা ইন্টারনেটনির্ভর লেনদেন চালু ছিল।

এদিকে করোনাভাইরাসের মহামারির ছুটির পর শেয়ারবাজারে টানা ১০ দিন লেনদেন বন্ধ ছিল। এতে শেয়ারবাজারে কোনো কার্যক্রম চলেনি। তবে এ নিয়ে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে খুব বেশি আক্ষেপ ছিল না। কারণ হিসেবে বিনিয়োগকারীরা বলছেন, এমনিতে শেয়ারবাজারে দীর্ঘদিন ধরে দরপতন হচ্ছে। তাতে প্রায় প্রতিদিনই আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ছিলেন বিনিয়োগকারীরা। লেনদেন বন্ধ থাকায় সেই ক্ষতি হয়নি। এ ছাড়া ১০ দিন সরকারি ছুটি থাকায় বিনিয়োগকারী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের মধ্যে এ নিয়ে খুব বেশি ক্ষোভ দেখা যায়নি।

ঈদুল আজহা উপলক্ষে ৫ থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত সরকারি ও সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে একটানা ১০ দিন বন্ধ ছিল। এ কারণে বন্দর থেকে আমদানি পণ্যও খুব বেশি খালাস হয়নি। তবে বন্ধের মধ্যে আমদানি–রপ্তানি কার্যক্রম সচল রাখতে চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যক্রম চালু ছিল। তবে অন্য সব অফিস আদালত ছুটির আমেজে থাকায় বন্দর দিয়ে আমদানি করা পণ্য খুব বেশি খালাস করেনি। এ কারণে বন্দরে আমদানি পণ্যের কনটেইনারের সংখ্যাও বেড়ে যায়।

এদিকে ছুটি শেষে আগামীকাল ব্যাংক ও শেয়ারবাজারে স্বাভাবিক লেনদেন চালু হবে। এদিন সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলবে ব্যাংকের লেনদেন। আর শেয়ারবাজারে সকাল ১০টা থেকে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত একটানা লেনদেন চলবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বিএনপি কি জামায়াতকে চাপে রাখার কৌশলে
  • সোনারগাঁ উপজেলা জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের কমিটি গঠন
  • ৮নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের উদ্যোগে জিয়াউর রহমানের শাহাদাৎ বার্ষিকী পালন
  • পাশাপাশি খোঁড়া হচ্ছে মা-ছেলের কবর, সেই দৃশ্য কাঁদাচ্ছে এলাকার মানুষকে
  • আড়াইহাজারে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের কমিটি গঠন
  • ঈদের ছুটি শেষে ব্যাংক খুলেছে, ভিড় নেই তেমন
  • দুই বন্ধু ও দুটি স্বপ্নের বিদায় 
  • সরকারি হিসাবের চেয়ে করোনায় মৃত্যু ছিল বেশি
  • ছুটি শেষে ব্যাংক ও শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হচ্ছে কাল
  • দেশে ফিরেছে ব্যবসায়ী রাকিব ও পাইলট সাইফুজ্জামানের মরদেহ