Samakal:
2025-06-16@08:43:39 GMT

নারী কারুশিল্পীদের জীবন

Published: 15th, February 2025 GMT

নারী কারুশিল্পীদের জীবন

নারীরা এখন অবসরে নেই। সাংসারিক কাজের ফাঁকে তারা নিপুণ হাতে বিভিন্ন কারুপণ্য তৈরিতে ব্যস্ত। নিখুঁতভাবে শৈল্পিক চিত্র ফুটিয়ে তুলছেন শিল্পকর্মে। এমন চিত্র দেখা যায় নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে মাসব্যাপী কারুশিল্প মেলা ও লোকজ উৎসবে। বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন আয়োজিত মাসব্যাপী এ মেলা শুরু হয় গত ১৮ জানুয়ারি। উৎসবের অন্যতম আকর্ষণ কর্মরত কারুশিল্প প্রদর্শনী। এ প্রদর্শনীতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে দক্ষ নারী কারুশিল্পীরা এসেছেন।
মেলা ঘুরে দেখা যায়, বিশাল মাঠজুড়ে চারু-কারুশিল্পীদের হাতে তৈরি নানা পণ্যের প্রদর্শনীর স্টল। তাদের ৩২টি স্টলসহ মোট ১০০টি স্টল নিয়ে এবার আয়োজন করা হয়েছে লোকজ মেলার। বাঁশ, বেত, কাঠ, শোলা, মাটি, তামা, কাঁসা, পিতলের তৈরি পণ্যসহ পাটজাত দ্রব্য, নকশিকাঁথা, জামদানি কাপড়, শীতলপাটি ও শতরঞ্জির পসরা সাজিয়ে বসেছেন চারু-কারুশিল্পীরা।
এ কারুশিল্প প্রদর্শনীতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন ২২ জন নারীশিল্পী। পুরুষের পাশাপাশি নারী কারুশিল্পীরা তৈরি করছেন নজরকাড়া সব পণ্য। উৎসবে আসা দর্শনার্থীরা মুগ্ধ হচ্ছেন এসব মনোরম কারুপণ্য দেখে।
কথা হয় নকশিকাঁথা শিল্পী হোসনে আরার সঙ্গে। তিনি জানান, দীর্ঘদিন ধরে কারুশিল্পী হিসেবে এ মেলায় অংশগ্রহণ করে আসছেন। তাঁর বাড়ি সোনারগাঁ পৌরসভার গোয়ালদী গ্রামে। তিনি নকশিকাঁথার পাশাপাশি সুই-সুতার সূক্ষ্ম কাজ করা পাঞ্জাবি, থ্রিপিস, শাড়ি, রুমাল, কুশন কভারসহ বিভিন্ন ধরনের জিনিস তৈরি করেন। এ বছর মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন আজীবন পুরস্কার পেয়েছেন। এ কারুশিল্পীর সহকারী হিসেবে কাজ করেন তাঁর মেয়ে আসমা। তিনি জানান, বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন তাঁকে নকশিকাঁথার প্রশিক্ষক হিসেবে নিয়োগ করেছে। একসময় তিনিও প্রশিক্ষণার্থী ছিলেন। তাঁর শিক্ষক ছিলেন হাসনা হেনা। হোসনে আরা এ ফাউন্ডেশনে ‘নকশিকাঁথার মাঠ’ নামে এক প্রকল্প থেকে নকশিকাঁথার প্রশিক্ষণ নেন।
বাঁশের ছোট্ট একটি যন্ত্র। এতে লম্বা ও আড়াআড়িভাবে লাগানো হয়েছে পাটের সুতা। পাশেই দেখা গেল কাপড়ের সাদা ও রঙিন সুতা। একজন নারী বাঁশের যন্ত্রের ওপর থাকা পাটের সুতার ভেতরে উলের সুতা ঢুকিয়ে দিচ্ছেন। যন্ত্রটি একটু একটু করে নড়ছে। এভাবেই তৈরি হচ্ছে শতরঞ্জি। রংপুর থেকে উৎসবে এসেছেন ঐতিহ্যবাহী শতরঞ্জি কারুশিল্পী বিউটি বেগম। তিনি এ মেলায় ১৯৯৬ সাল থেকে আসছেন। 
সোনারগাঁর নকশি হাতপাখার কারুশিল্পী হিসেবে লোকজ মেলায় অংশ নিয়েছেন বাসন্তী রানী সূত্রধর। তিনি জানান, এ মেলায় কর্মরত কারুশিল্পী হয়ে অংশ নেওয়া তাঁর জন্য গৌরবের। যান্ত্রিক জীবনে এখন তালপাতার হাতপাখার কদর কমে গেছে। এখন এ পাখা আর কেউ ব্যবহার করেন না। নকশি হাতপাখা এখন ঐতিহ্য। তাদের তৈরি হাতপাখা কেউ কিনলে তাঁর ভালো লাগে।  
বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের পরিচালক কাজী মাহবুবুল আলম বলেন, ‘দেশীয় ঐতিহ্য ও কারুশিল্পীদের পুনরুজ্জীবিত করার জন্যই এ উৎসবের আয়োজন করা হয়। ভবিষ্যতে লোকজ উৎসবে নারী কারুশিল্পীদের আরও বেশি প্রাধান্য দেওয়া হবে।’ v

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: নকশ ক

এছাড়াও পড়ুন:

আষাঢ়ের প্রথম দিন আজ

ঝমঝম বৃষ্টি, কর্দমাক্ত পথঘাট, খাল-বিলে থৈ থৈ পানি- এমন দৃশ্যপট সামনে না থাকলেও ভেবে নিতে দোষ কি। কারণ, আজ পহেলা আষাঢ়।

রবি ঠাকুরের ভাষায়— ‘আবার এসেছে আষাঢ় আকাশও ছেয়ে... আসে বৃষ্টিরও সুবাসও বাতাসও বেয়ে...’।

অবশ্য একেবারে নিরাশ করেনি আষাঢ়। রাজধানীতে সকাল থেকেই আকাশে মেঘের আনাগোনা আর কোথাও হালকা বৃষ্টি জানান দিচ্ছে প্রকৃতিতে বর্ষার আগমন। বর্ষার আগমন যেন স্বস্তি-শান্তি ও আনন্দের। তীব্র গরমে হাঁসফাঁস নগরবাসীর জীবনে এক আনন্দের বার্তা। 

বাংলার প্রকৃতিতে আলাদা বৈশিষ্টময় বর্ষা ঋতুর আজ যাত্রা শুরু হলো। 

বলা হয়, গ্রীষ্মের খরতাপের ধূসর নাগরিক জীবন আর রুদ্র প্রকৃতিতে প্রাণের স্পন্দন জাগায় বর্ষা। জ্যৈষ্ঠের প্রচণ্ড খরতাপে রুক্ষ প্রকৃতি সজীব হয়ে উঠবে বর্ষার বর্ষণের মৃদঙ্গ-ছোঁয়ায়, এটাই যে সকল বাঙালির চাওয়া। 

আষাঢ়ের রিমঝিম বৃষ্টি গ্রীষ্মের ধুলোমলিন জীর্ণতাকে ধুয়ে ফেলে গাঢ় সবুজের সমারোহে প্রকৃতি সাজে পূর্ণতায়। রঙিন হয়ে পুকুর-বিলে ফোটে শাপলা-পদ্ম। বর্ষা ঋতু তার বৈশিষ্ট্যের কারণে স্বতন্ত্র। বর্ষার প্রবল বর্ষণে নির্জনে ভালোবাসার সাধ জাগে, চিত্তচাঞ্চল্য বেড়ে যায়। বর্ষার নতুন জলে স্নান সেরে প্রকৃতির মনও যেন নেচে ওঠে। ফুলে ফুলে শোভিত হয় প্রকৃতি। তাই বর্ষাবিহীন বাংলাদেশ ভাবাই যায় না। 

বর্ষা বাঙালি জীবনে নতুন প্রাণসঞ্চারকারী। বৃষ্টিস্নাত কদম ফুলের সৌন্দর্য্য যে দেখেছে, মুগ্ধ নয়নে চেয়ে না থেকে পারেনি। এর বর্ণনায় পল্লীকবি জসীমউদদীন লিখেছেন- ‘বনের ঝিয়ারি কদম্বশাখে নিঝঝুম নিরালায়, / ছোট ছোট রেণু খুলিয়া দেখিছে, অস্ফুট কলিকায়।’

বৃষ্টি হলে গ্রামের নদী নালা পুকুরে জল জমে থৈ থৈ করে। বর্ষা আনন্দ-বেদনার সারথী। সবুজের সমারোহে, মাটিতে নতুন পলির আস্তরণে বর্ষা আনে জীবনেরই বারতা। 

উন্নয়নের নামে চলমান প্রাণ-প্রকৃতি ধ্বংসের প্রক্রিয়া বন্ধের দাবি নিয়ে প্রতি বছরের মতো এ বছরও বর্ষা ঋতুকে বরণ করে নিতে ‘বর্ষা উৎসব’ আয়োজন করেছে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী। 

রবিবার (১৫ জুন) আষাঢ়ের প্রথমদিনে বাংলা একাডেমির নজরুল মঞ্চে এ উৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সকালে সুর-সংগীতে প্রকৃতি-বন্দনার মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে উৎসবের কর্মসূচি।

ঢাকা/টিপু

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কপালে ১৩টি এবং থুতনিতে ৪টি সেলাই করা লাগে
  • দেশের পর এবার বিদেশেও ঈদের সিনেমার মুক্তি
  • বকুলতলায় বৃষ্টির সুর
  • কলকাতায় নতুন সিনেমার শুটিং শুরু করলেন জয়া
  • বর্ষা উৎসবে বন ও পরিবেশ ধ্বংসের প্রতিবাদ, পান্থকুঞ্জ পার্ক রক্ষাসহ কয়েকটি দাবি
  • নাচ-গান-আবৃত্তিতে চারুকলায় বর্ষাবরণ
  • মেঘ-রোদের লুকোচুরির সকালে নাচে-গানে বর্ষাবরণ 
  • মেঘ-রোদের লুকোচুরি সকালে নাচে-গানে বর্ষাবরণ 
  • আষাঢ়ের প্রথম দিন আজ
  • কলিজা ঠান্ডা করে দেওয়া ছবি ‘উৎসব’