Samakal:
2025-08-02@05:33:29 GMT

নারী কারুশিল্পীদের জীবন

Published: 15th, February 2025 GMT

নারী কারুশিল্পীদের জীবন

নারীরা এখন অবসরে নেই। সাংসারিক কাজের ফাঁকে তারা নিপুণ হাতে বিভিন্ন কারুপণ্য তৈরিতে ব্যস্ত। নিখুঁতভাবে শৈল্পিক চিত্র ফুটিয়ে তুলছেন শিল্পকর্মে। এমন চিত্র দেখা যায় নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে মাসব্যাপী কারুশিল্প মেলা ও লোকজ উৎসবে। বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন আয়োজিত মাসব্যাপী এ মেলা শুরু হয় গত ১৮ জানুয়ারি। উৎসবের অন্যতম আকর্ষণ কর্মরত কারুশিল্প প্রদর্শনী। এ প্রদর্শনীতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে দক্ষ নারী কারুশিল্পীরা এসেছেন।
মেলা ঘুরে দেখা যায়, বিশাল মাঠজুড়ে চারু-কারুশিল্পীদের হাতে তৈরি নানা পণ্যের প্রদর্শনীর স্টল। তাদের ৩২টি স্টলসহ মোট ১০০টি স্টল নিয়ে এবার আয়োজন করা হয়েছে লোকজ মেলার। বাঁশ, বেত, কাঠ, শোলা, মাটি, তামা, কাঁসা, পিতলের তৈরি পণ্যসহ পাটজাত দ্রব্য, নকশিকাঁথা, জামদানি কাপড়, শীতলপাটি ও শতরঞ্জির পসরা সাজিয়ে বসেছেন চারু-কারুশিল্পীরা।
এ কারুশিল্প প্রদর্শনীতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন ২২ জন নারীশিল্পী। পুরুষের পাশাপাশি নারী কারুশিল্পীরা তৈরি করছেন নজরকাড়া সব পণ্য। উৎসবে আসা দর্শনার্থীরা মুগ্ধ হচ্ছেন এসব মনোরম কারুপণ্য দেখে।
কথা হয় নকশিকাঁথা শিল্পী হোসনে আরার সঙ্গে। তিনি জানান, দীর্ঘদিন ধরে কারুশিল্পী হিসেবে এ মেলায় অংশগ্রহণ করে আসছেন। তাঁর বাড়ি সোনারগাঁ পৌরসভার গোয়ালদী গ্রামে। তিনি নকশিকাঁথার পাশাপাশি সুই-সুতার সূক্ষ্ম কাজ করা পাঞ্জাবি, থ্রিপিস, শাড়ি, রুমাল, কুশন কভারসহ বিভিন্ন ধরনের জিনিস তৈরি করেন। এ বছর মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন আজীবন পুরস্কার পেয়েছেন। এ কারুশিল্পীর সহকারী হিসেবে কাজ করেন তাঁর মেয়ে আসমা। তিনি জানান, বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন তাঁকে নকশিকাঁথার প্রশিক্ষক হিসেবে নিয়োগ করেছে। একসময় তিনিও প্রশিক্ষণার্থী ছিলেন। তাঁর শিক্ষক ছিলেন হাসনা হেনা। হোসনে আরা এ ফাউন্ডেশনে ‘নকশিকাঁথার মাঠ’ নামে এক প্রকল্প থেকে নকশিকাঁথার প্রশিক্ষণ নেন।
বাঁশের ছোট্ট একটি যন্ত্র। এতে লম্বা ও আড়াআড়িভাবে লাগানো হয়েছে পাটের সুতা। পাশেই দেখা গেল কাপড়ের সাদা ও রঙিন সুতা। একজন নারী বাঁশের যন্ত্রের ওপর থাকা পাটের সুতার ভেতরে উলের সুতা ঢুকিয়ে দিচ্ছেন। যন্ত্রটি একটু একটু করে নড়ছে। এভাবেই তৈরি হচ্ছে শতরঞ্জি। রংপুর থেকে উৎসবে এসেছেন ঐতিহ্যবাহী শতরঞ্জি কারুশিল্পী বিউটি বেগম। তিনি এ মেলায় ১৯৯৬ সাল থেকে আসছেন। 
সোনারগাঁর নকশি হাতপাখার কারুশিল্পী হিসেবে লোকজ মেলায় অংশ নিয়েছেন বাসন্তী রানী সূত্রধর। তিনি জানান, এ মেলায় কর্মরত কারুশিল্পী হয়ে অংশ নেওয়া তাঁর জন্য গৌরবের। যান্ত্রিক জীবনে এখন তালপাতার হাতপাখার কদর কমে গেছে। এখন এ পাখা আর কেউ ব্যবহার করেন না। নকশি হাতপাখা এখন ঐতিহ্য। তাদের তৈরি হাতপাখা কেউ কিনলে তাঁর ভালো লাগে।  
বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের পরিচালক কাজী মাহবুবুল আলম বলেন, ‘দেশীয় ঐতিহ্য ও কারুশিল্পীদের পুনরুজ্জীবিত করার জন্যই এ উৎসবের আয়োজন করা হয়। ভবিষ্যতে লোকজ উৎসবে নারী কারুশিল্পীদের আরও বেশি প্রাধান্য দেওয়া হবে।’ v

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: নকশ ক

এছাড়াও পড়ুন:

‘কাঁচামিঠে ফলের ছড়া’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন

রাজধানীর বাংলা মোটরের বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে শিশুসাহিত্যিক অমিত কুমার কুণ্ডুর শিশুতোষ ছড়ার বই ‘কাঁচামিঠে ফলের ছড়া’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন ও প্রকাশনা উৎসব হয়েছে।

শুক্রবার (১ আগস্ট) বিকেল ৫টায় অনুষ্ঠানের আয়োজনে ছিল বইটির প্রকাশনা সংস্থা পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স লিমিটেড।

শিক্ষাবিদ, গবেষক ও কলামিস্ট সৈয়দ মো. গোলাম ফারুকের সভাপতিত্বে প্রকাশনা উৎসবে প্রধান অতিথি ছিলেন সাহিত্যিক রফিকুর রশীদ। এছাড়া অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাহিত্যিক ও সাংবাদিক দন্ত্যস রওশন, লোকসংস্কৃতিবিদ তপন বাগচী, শিশুসাহিত্যিক সঙ্গীতা ইমাম, কথাসাহিত্যিক মনি হায়দার। অনুষ্ঠানে বক্তারা বইটির বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।

আরো পড়ুন:

নদী স্মৃতিনির্ভর সংকলন গ্রন্থ ‘আমার নদী’ প্রকাশিত 

রাজশাহীতে বইপড়ায় কৃতিত্বের পুরস্কার পেল ২৩০৩ শিক্ষার্থী

প্রধান অতিথির আলোচনায় রফিকুর রশীদ বলেন, “১২৪টি ফলের ওপর লেখা এই বইয়ের ছড়াগুলো কেবল পাঠকের রসাস্বাদনই করাবে না, শিশু শিক্ষামূলক এই ছড়াগুলো রসোত্তীর্ণও বটে।”

তিনি দেশের প্রকাশকদের অংশগ্রহণের ওপর জোর দিয়ে বলেন,“প্রকাশকদের বেশি বেশি এরকম প্রকাশনা উৎসব আয়োজন করা উচিত।”

বইটির ব্যতিক্রমী আকৃতির দিকে ইঙ্গিত করে দন্ত্যস রওশন বলেন, “পাঠক তৈরির প্রয়াসেই পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স এমন ক্ষুদ্রাকৃতির ও নতুন নতুন সাইজের বইয়ের ধারণা বাজারে আনছে। এটা সাধুবাদ পাওয়ার যোগ্য।”

শিক্ষাবিদ সৈয়দ মোহাম্মদ গোলাম ফারুক বলেন, “শিক্ষার দুটো দিক রয়েছ।একটি হলো ট্রাডিশনাল, যা আমরা পড়েছি, আপনারাও পড়েন। আরেকটি  হলো জাঁ জ্যাক রুশোর পদ্ধতি। তিনি বলেছে, প্রকৃতির সঙ্গে শেখা।রবীন্দ্রনাথ যা বিশ্বভারতীর মাধ্যমে করিয়ে দেখিয়েছেন।অমিত কুমার কুণ্ডুর ছড়ার বইটি সে রকমই।এর মাধ্যমে প্রকৃতির সান্নিধ্য লাভ করবে শিশুরা ও ওরা শিখবে। এরকম বই প্রকাশ করার জন্য প্রকাশকে ধন্যবাদ। আমাদের প্রকাশকদের এ ধরনের বই বেশি বেশি করতে হবে।”

কাঁচামিঠে ফলের ছড়া বইটির পাতায় পাতায় দেশি-বিদেশি বিচিত্র ফলের পরিচয়, পুষ্টিগুণ ও স্বাস্থ্য উপকারিতা নান্দনিক অলংকরণে ছন্দে-ছড়ায় তুলে ধরা হয়েছে। বইটি থেকে ছড়া আবৃত্তি করে বাচিক শিল্পী জান্নাতুল ফেরদৌস মুক্তা।

অনুষ্ঠান শেষে ছিল মৌসুমী ফল দিয়ে অতিথিদের অ্যাপায়নের ব্যবস্থা।

ঢাকা/এসবি

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মোশাররফ করিমের ২৪ মিনিটের সিনেমা যুক্তরাষ্ট্রের উৎসবে
  • ১১ নাটক নিয়ে শিল্পকলায় চলছে ‘জুলাই পুনর্জাগরণ নাট্যোৎসব’
  • চুয়েটে দিনভর তারুণ্যের ‘তর্ক-যুদ্ধ’
  • ‘কাঁচামিঠে ফলের ছড়া’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন
  • জুলাইয়ের ১১ নাটক নিয়ে শিল্পকলায় উৎসব
  • ১৬ কোটি টাকায় সারা দেশে ফুটবলের তিন টুর্নামেন্ট
  • দুদিনের সফরে কলকাতায় ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু
  • ভৌতিক গল্প নিয়ে কানাডায় নুহাশ
  • তাহলে তো স্পন্সর নিয়ে প্রোগ্রাম করলেই চাঁদাবাজি: সালাউদ্দিন