বগুড়ার সোনাতলায় একটি স্কুলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বিরোধের জেরে বিএনপি নেতা ও তাঁর লোকজনের মারধরে আহত যুবদল নেতা রাশেদুল হাসান (২৭) মারা গেছেন। গত ৭ ফেব্রুয়ারি সোনাতলা উপজেলার পাকুল্লা বাজারে রাশেদের ওপর হামলা করেন তোকানী চুকাইনগর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুল হান্নান বাটালু ও তাঁর লোকজন। গত শুক্রবার বিকেলে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রাশেদ মারা যান। রাশেদের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই ওইদিন রাতে তাঁর অনুসারীরা অভিযুক্ত বিএনপি নেতা আব্দুল হান্নান বাটালুর বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেন।
নিহত রাশেদ সোনাতলা উপজেলার পাকুল্লা ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য ও বিএনপির সাইবার ফোর্সের সোনাতলা উপজেলা কমিটির সভাপতি ছিলেন। 
স্থানীয়রা জানান, সোনাতলা পাকুল্লা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি গঠন নিয়ে বিএনপির দুটি পক্ষ এবং জামায়াতের এক পক্ষে বিরোধ চলছে। এক পক্ষের নেতৃত্ব দিচ্ছেন ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি আব্দুল হান্নান। বাকি দুটি পক্ষের নেতৃত্বে আছেন ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি আলী হাসান নারুন এবং বগুড়া শহর জামায়াতের সাবেক সেক্রেটারি মাজেদুর রহমান জুয়েল। এ নিয়ে বিরোধের জেরে ৭ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় জামায়াত নেতা জুয়েল ও তাঁর কর্মীরা ২৫-৩০টি মোটরসাইকেল নিয়ে পাকুল্লা বাজারে মহড়া দেন। তাদের মোটরসাইকেল বহরে ছিলেন যুবদল নেতা রাশেদ। জুয়েল দলবল নিয়ে ফিরে যাওয়ার পর রাশেদ মোটরসাইকেল নিয়ে পাকুল্লা বাজারে যাওয়ার পথে তাঁর ওপর হামলা করেন হান্নান ও তাঁর লোকজন। রাশেদ মোটরসাইকেল ফেলে একটি বাড়িতে আশ্রয় নিলে সেখানে ঢুকে তাঁকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। পরে এলাকাবাসী রাশেদকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। 
সোনাতলা থানার ওসি মো.

মিলাদুন্নবি বলেন, স্কুলের কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে বেশ কয়েকদিন ধরে সোনাতলায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। তার জেরে রাশেদ নামে ওই যুবদল নেতাকে মারধর করা হয়। রাশেদের মৃত্যুর খবরে শুক্রবার রাতে তাঁর পক্ষের লোকজন বিএনপি নেতা হান্নান ও তাঁর লোকজনের চার-পাঁচটি বাড়ি ভাঙচুর করে। এর আগেই হান্নান ও তাঁর লোকজন বাড়ি থেকে পালিয়ে যান। পাকুল্লা বাজারে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। রাশেদের মৃত্যুর ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: য বদল ন ত ব এনপ র র ল কজন

এছাড়াও পড়ুন:

কুমিল্লায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ৩৫ কিলোমিটারজুটে যানজট

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার নিমশার থেকে দাউদকান্দি পর্যন্ত প্রায় ৩৫ কিলোমিটারজুড়ে যানজট দেখা দিয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন মহাসড়কে চলাচলকারী যাত্রী ও চালকেরা। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি কাভার্ড ভ্যান উল্টে যাওয়ায় আজ বৃহস্পতিবার ভোর থেকে এ যানজট দেখা দেয়। 

হাইওয়ে পুলিশ  জানায়, বৃহস্পতিবার ভোরে মহাসড়কে কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার নূরীতলা এলাকায় একটি কাভার্ড ভ্যান নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায়। ফেনী থেকে রেকার এনে কাভার্ড ভ্যানটি উদ্ধারের কাজ শুরু করে পুলিশ। 

সকাল সাড়ে ১০টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত মহাসড়কে যানজট দেখা গেছে। 

ঢাকাগামী রয়েল পরিবহনের চালক রমিজ উদ্দিন বলেন, সকাল সাড়ে ৮টায় ঢাকার উদ্দেশে রওয়ানা করে বুড়িচংয়ের নিমশার বাজারে যানজটে এক ঘণ্টা বসে থাকতে হয়েছে। ৫ মিনিট গাড়ি চললে ২০ মিনিট বসে থাকতে হয়। এভাবে ১০টা ৪০ মিনিটে চান্দিনায় পৌঁছেছি। এ সময়ে ঢাকার কাছাকাছি থাকার কথা ছিল। 

নিমশার বাজারে আটকে থাকা প্রাইভেট কারের যাত্রী তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ভোর থেকে যানজট অথচ সড়কে হাইওয়ে পুলিশ দেখছি না। 

ইলিয়টগঞ্জ হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রুহুল আমিন বলেন, মহাসড়কের নূরীতলা এলাকায় উল্টে কাভার্ড ভ্যানটি আড়াআড়িভাবে পড়ে ছিল। পরে ঢাকামুখী লেনের বেশ কিছু গাড়ি উল্টো পথে ঢোকায় যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। ফেনী থেকে ক্রেন এনে গাড়িটি উদ্ধার করা হয়েছে। যান চলাচল স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে। 

হাইওয়ে কুমিল্লা রিজিওনের পুলিশ সুপার অতিরিক্ত ডিআইজি মো. খাইরুল আলম সমকালকে বলেন, দুর্ঘটনার কারণেই যানজট দেখা দিয়েছে। দুর্ঘটনা কবলিত কাভার্ড ভ্যানটি উদ্ধার করা হয়েছে। যান চলাচল স্বাভাবিক হচ্ছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ