যেকোনো ধরনের দুর্বৃত্তায়ন রুখতে বিএনপি কঠোর অবস্থানে রয়েছে। দলের ভেতরে কেউ অপরাধ, অনিয়ম, দুর্নীতি, চাঁদাবাজি কিংবা কোনো অপতৎপরতার সঙ্গে জড়িত থাকলে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সিলেটে বিএনপির কোনো নেতার প্রশ্রয়ে অনুপ্রবেশকারীরা সক্রিয় হলে তাঁদের বিরুদ্ধেও দ্রুত সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আজ রোববার দুপুরে সিলেট নগরের চৌকিদেখী এলাকায় সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদলসহ সহযোগী সংগঠনের যৌথ সভায় বক্তারা এ কথা বলেন।

দুপুর ১২টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত এ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার আবদুল মুক্তাদির। বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘দেশের প্রতিটি খাত ধ্বংস করে দিয়ে গেছে স্বৈরাচার হাসিনা। আগামীর সরকারের জন্য দেশ চালানো হবে এক চ্যালেঞ্জ। কাজেই আগামীতে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকলে দেশে আর ফ্যাসিবাদ ফিরতে পারবে না। তবে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও প্রতিশোধ গ্রহণ করা যাবে না। আমরা বাংলাদেশের মানুষের জন্য ৩১ দফা বাস্তবায়নের মাধ্যমেই সব প্রতিশোধ নেব। ৩১ দফার বাস্তবায়নই বড় প্রতিশোধ।’

যৌথ সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী। স্বাগত বক্তব্য দেন মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস (লোদী)। জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এমরান আহমদ চৌধুরী ও মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরী যৌথভাবে সভা সঞ্চালনা করেন।

সভাপতির বক্তব্যে আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, গণতান্ত্রিক আন্দোলনের পথে যেকোনো ধরনের বাধা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিতে হবে। দলের ভেতরে কেউ এই অপতৎপরতার সঙ্গে জড়িত থাকলে কিংবা কোনো নেতার প্রশ্রয়ে অনুপ্রবেশকারীরা সক্রিয় হলে তাঁদের বিরুদ্ধেও দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

যৌথ সভায় আরও বক্তব্য দেন সিলেট জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) আশিক উদ্দিন, মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক বদরুজ্জামান সেলিম, জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আবদুল আহাদ খান, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মাহবুবুল হক চৌধুরী, মহানগর যুবদলের সভাপতি শাহ নেওয়াজ বখত চৌধুরী, জেলা যুবদলের সভাপতি মোমিনুল ইসলাম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্যসচিব শাকিল মুর্শেদ, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্যসচিব আফসর খান, মহানগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মির্জা সম্রাট হোসেন, মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি সুদীপ জ্যোতি, জেলা ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জুবের আহমদ, মহানগর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বী আহসান, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক দিলোয়ার হোসেন প্রমুখ।

স্বাগত বক্তব্যে রেজাউল হাসান কয়েস বলেন, জনগণের আস্থা নষ্ট হয়, এমন কোনো কাজ করা যাবে না। মানুষের আস্থা ও ভালোবাসা অর্জনে দলের নেতা-কর্মীদের এক থাকতে হবে। বিএনপির বা এর সহযোগী সংগঠনের কেউ অপরাধীদের আশ্রয় দিলে তাঁদের বিরুদ্ধেও কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। স্থানীয় পর্যায়ে পাড়া-মহল্লা কিংবা বাজারভিত্তিক গোষ্ঠী তৈরি করে দলীয় শৃঙ্খলা ব্যাহত করার প্রচেষ্টা বন্ধ করা হবে।

সভায় বক্তারা বলেন, ফ্যাসিস্টদের একেকজন মন্ত্রী, এমপি ও আওয়ামী লীগ নেতার ব্যাংকে লেনদেন পাওয়া যাচ্ছে হাজার কোটি টাকার। তাঁরা গোটা দেশকে, গোটা জাতিকে আওয়ামী লুণ্ঠনের স্বর্গরাজ্য বানিয়েছিলেন। তাঁদের বিরুদ্ধে সজাগ থাকতে হবে। এ ছাড়া বিএনপিকে নিয়ে দেশের ভেতরে-বাইরে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। তবে কোনো ষড়যন্ত্র করে বিএনপিকে দমিয়ে রাখা যাবে না। এ অবস্থায় দলের সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ছ ত রদল র ব এনপ র স ব যবস থ আবদ ল য বদল

এছাড়াও পড়ুন:

টেকনাফে মোটরসাইকেলে বাসের ধাক্কা, নিহত ১

কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কে বাসের ধাক্কায় জকির আহমদ জেকি (৪০) নামে এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। 

শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার হ্নীলা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত জকির আহমদ জেকি হোয়াইক্যং হোয়াব্রাং এলাকার মৃত নাগু সওদাগরের ছেলে।

টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জায়েদ নুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। নিহতের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।

তিনি জানান, ‘পালকি পরিবহন’ নামের একটি যাত্রীবাহী বাস হ্নীলা এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসের সামনে চলে আসে। এতে মোটরসাইকেলটি বাসের নিচে চাপা পড়ে। বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশের লবণ মাঠে উল্টে যায়। সেসময় স্থানীয়রা ছুটে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে হ্নীলা ও টেকনাফের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় জকির আহমদ জেকি মারা যান। 

দুর্ঘটনার খবর পেয়ে হোয়াইক্যং নয়াপাড়া হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার তৎপরতা চালায় এবং সড়কের যান চলাচল স্বাভাবিক করে।

সালাহউদ্দিন নামের এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, “মোটরসাইকেলটি অতিরিক্ত গতিতে চলছিল। হ্নীলা স্টেশন থেকে হোয়াব্রাংয়ের দিকে যাওয়ার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসের সামনে ঢুকে পড়ে, মুহূর্তেই বাসটি উল্টে যায়।”

স্থানীয়দের অভিযোগ, হ্নীলা-টেকনাফ সড়কে বেপরোয়া গতিতে যান চলাচলের কারণে দুর্ঘটনা বেড়ে গেছে। এ জায়গায় ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ ও নজরদারি বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন তারা।

ঢাকা/তারেকুর/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • রাজধানীর দক্ষিণখানে নিজ বাসা থেকে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার
  • নির্বাচনের আগে একটি দল জাতির মধ্যে বিভক্তি সৃষ্টি করতে চায়: সালাহউদ্দিন আহমদ
  • টেকনাফে মোটরসাইকেলে বাসের ধাক্কা, নিহত ১