প্রথম বর্ষের এক ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করার অভিযোগে গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (গোবিপ্রবি) মার্কেটিং বিভাগ ও ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে।

রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ৩টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনের গেট আটকিয়ে দুই বিভাগের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। 

গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (গোবিপ্রবি) মার্কেটিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আল-আমিন ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের প্রথম বর্ষের এক নারী শিক্ষার্থীকে উত্ত্যক্ত করাকে কেন্দ্র করে মার্কেটিং ও ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের প্রথম বর্ষের এক ছাত্রীকে মার্কেটিং বিভাগের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আল-আমীন শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে মোবাইল করে প্রেম নিবেদন করেন এবং তাকে রুমের বাইরে আসতে জোরাজুরি করেন। এতে ওই ছাত্রী ভয় পেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।

এ ঘটনায় ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের কয়েকজন শিক্ষার্থী ক্ষিপ্ত হয়ে আল আমিনকে গোপালগঞ্জ মেডিকেল কলেজের সামনে রাত ২টায় মারধর করে গুরুতর আহত করেন। পরে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এদিকে, আল-আমীনকে মারধরের ঘটনার বিচার চেয়ে রবিবার দুপুর ১২টার দিকে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেন মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা। পরে দুপুর ২টার দিকে ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করার বিচার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন। সেখানে তারা আল-আমীনের শাস্তি দাবি করেন। 

বিষয়টি জানতে পেরে দুপুর ৩টার দিকে ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের কয়েকজন শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিতে এলে মার্কেটিং বিভাগের কিছু শিক্ষার্থী তাদের মারধর করেন বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। এ নিয়ে দুই বিভাগের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এক পর্যায়ে মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা একাডেমিক ভবনের গেট আটকিয়ে ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের অবরুদ্ধ করেন।

এ বিষয় মার্কেটিং বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সোহেল হোসেন বলেন, “আমরা একাডেমিক ভবনের দুই পাশে অবস্থান নিচ্ছিলাম। আমাদের যারা লাইব্রেরির দিকে গেটে ছিল তাদের উপর ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থীরা উপর থেকে ইট ও কাঠের টুকরা নিক্ষেপ করে। ফেস টু ফেস ওভাবে সংঘর্ষ হয়নি।”

তিনি বলেন, “মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থীর সঙ্গে ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ওই মেয়ের সঙ্গে প্রেম ছিল। ওই মেয়ে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলে ম্যানেজমেন্ট বিভাগের পোলাপান ওই ছেলেকে পরিকল্পিতভাবে ডেকে নিয়ে মারধর করে।”

তবে ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০২০-২১ বিভাগের শিক্ষার্থী আবুল কালাম বলেন, “ম্যানেজমেন্ট বিভাগের এক ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করার কারণে দুই গ্রুপের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। এর একপর্যায়ে মারামারিও হয়। এরই জেরে মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা আমাদের পরীক্ষা দিতে যেতে বাধা দেয় এবং আমাদের তালা দিয়ে অবরুদ্ধ করে রাখে।”

সংঘর্ষের বিষয়ে কথা বলতে প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক ড.

আরিফুজ্জামান রাজীবের সঙ্গে বেশ কয়েকবার যোগাযোগের করা হয়। তিনি একবার কল রিসিভ করে আপাতত বক্তব্য দেবেন না বলে জানান।

ঢাকা/রিশাদ/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গ প লগঞ জ বর ষ র স ঘর ষ ম রধর

এছাড়াও পড়ুন:

৫ দফা দাবিতে জামায়াতের বিক্ষোভ সমাবেশ শুরু

আগামী ফেব্রুয়ারিতে জুলাই সনদের ভিত্তিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানসহ ৫ দফা দাবিতে জামায়াতে ইসলামীর পূর্বঘোষিত বিক্ষোভ সমাবেশ শুরু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টায় রাজধানীর বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ ফটকে এই সমাবেশ শুরু হয়।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করছেন জামায়াতের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমির নুরুল ইসলাম বুলবুল। দলের নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের ও সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারসহ কেন্দ্রীয় ও ঢাকা মহানগর কমিটির নেতারা সমাবেশে বক্তব্য দেবেন। জামায়াতের ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ শাখার উদ্যোগে এ কর্মসূচি পালিত হচ্ছে।

জামায়াত সূত্র জানিয়েছে, সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হবে। মিছিলটি বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ ফটক থেকে বের হয়ে পুরানা পল্টন মোড়, জাতীয় প্রেসক্লাব ও মৎস্য ভবনের পাশ দিয়ে শাহবাগ পর্যন্ত যেতে পারে।

এর আগে গত ১৫ সেপ্টেম্বর জামায়াতের কেন্দ্রীয় কার্যালয় সংলগ্ন আল ফালাহ মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ৫ দফা দাবিতে তিনদিনের কর্মসূচি ঘোষণা করে দলটি।

জামায়াতের দাবিগুলো হলো- জুলাই জাতীয় সনদের ভিত্তিতে আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আয়োজন করা; আগামী জাতীয় নির্বাচনে সংসদের উভয় কক্ষে পিআর পদ্ধতি চালু করা; অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড (সবার জন্য সমান সুযোগ) নিশ্চিত করা; ফ্যাসিস্ট সরকারের সব জুলুম-নির্যাতন, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান করা এবং স্বৈরাচারের দোসর জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা।

একই দাবিতে আগামীকাল ১৯ সেপ্টেম্বর দেশের সব বিভাগীয় শহরে বিক্ষোভ মিছিল এবং ২৬ সেপ্টেম্বর দেশের সব জেলা বা উপজেলায় বিক্ষোভ মিছিল করবে জামায়াতে ইসলামী।

সম্পর্কিত নিবন্ধ