গোপালগঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের দফায় দফায় সংঘর্ষ
Published: 16th, February 2025 GMT
প্রথম বর্ষের এক ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করার অভিযোগে গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (গোবিপ্রবি) মার্কেটিং বিভাগ ও ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে।
রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ৩টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনের গেট আটকিয়ে দুই বিভাগের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (গোবিপ্রবি) মার্কেটিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আল-আমিন ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের প্রথম বর্ষের এক নারী শিক্ষার্থীকে উত্ত্যক্ত করাকে কেন্দ্র করে মার্কেটিং ও ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের প্রথম বর্ষের এক ছাত্রীকে মার্কেটিং বিভাগের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আল-আমীন শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে মোবাইল করে প্রেম নিবেদন করেন এবং তাকে রুমের বাইরে আসতে জোরাজুরি করেন। এতে ওই ছাত্রী ভয় পেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।
এ ঘটনায় ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের কয়েকজন শিক্ষার্থী ক্ষিপ্ত হয়ে আল আমিনকে গোপালগঞ্জ মেডিকেল কলেজের সামনে রাত ২টায় মারধর করে গুরুতর আহত করেন। পরে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এদিকে, আল-আমীনকে মারধরের ঘটনার বিচার চেয়ে রবিবার দুপুর ১২টার দিকে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেন মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা। পরে দুপুর ২টার দিকে ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করার বিচার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন। সেখানে তারা আল-আমীনের শাস্তি দাবি করেন।
বিষয়টি জানতে পেরে দুপুর ৩টার দিকে ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের কয়েকজন শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিতে এলে মার্কেটিং বিভাগের কিছু শিক্ষার্থী তাদের মারধর করেন বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। এ নিয়ে দুই বিভাগের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এক পর্যায়ে মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা একাডেমিক ভবনের গেট আটকিয়ে ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের অবরুদ্ধ করেন।
এ বিষয় মার্কেটিং বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সোহেল হোসেন বলেন, “আমরা একাডেমিক ভবনের দুই পাশে অবস্থান নিচ্ছিলাম। আমাদের যারা লাইব্রেরির দিকে গেটে ছিল তাদের উপর ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থীরা উপর থেকে ইট ও কাঠের টুকরা নিক্ষেপ করে। ফেস টু ফেস ওভাবে সংঘর্ষ হয়নি।”
তিনি বলেন, “মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থীর সঙ্গে ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ওই মেয়ের সঙ্গে প্রেম ছিল। ওই মেয়ে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলে ম্যানেজমেন্ট বিভাগের পোলাপান ওই ছেলেকে পরিকল্পিতভাবে ডেকে নিয়ে মারধর করে।”
তবে ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০২০-২১ বিভাগের শিক্ষার্থী আবুল কালাম বলেন, “ম্যানেজমেন্ট বিভাগের এক ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করার কারণে দুই গ্রুপের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। এর একপর্যায়ে মারামারিও হয়। এরই জেরে মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা আমাদের পরীক্ষা দিতে যেতে বাধা দেয় এবং আমাদের তালা দিয়ে অবরুদ্ধ করে রাখে।”
সংঘর্ষের বিষয়ে কথা বলতে প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক ড.
ঢাকা/রিশাদ/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গ প লগঞ জ বর ষ র স ঘর ষ ম রধর
এছাড়াও পড়ুন:
জরুরি পরিস্থিতিতে প্রাথমিক চিকিৎসা
প্রতিনিয়ত জরুরি পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয় আমাদের। অনেক সময় ভ্রান্ত ধারণায় পড়ে এ পরিস্থিতিতে আরও বড় ধরনের ভুল করে ফেলি আমরা। সে ক্ষেত্রে জরুরি পরিস্থিতিতে কী করবেন আর কী করবেন না, তা জেনে রাখা ভালো।
যেমন–
পুড়ে গেলে : গরম তেল পড়ে হোক বা আগুনে পুড়ে, আমরা সঙ্গে সঙ্গে পোড়া স্থানে পেস্টের আস্তরণ দিই। অনেকে ডিম ভেঙে দেন, কেউ বা লাগান চুন। এগুলো ক্ষতিকর। পুড়ে গেলে ঠান্ডা পানির ধারা রাখতে পারেন ১০ মিনিট; অন্য কোনো কিছু নয়।
ব্যথা পেলে : হাড় ভাঙলে নড়াচড়া না করে ভাঙা স্থানের দু’পাশে কাঠ দিয়ে বেঁধে হাসপাতালে আনতে হবে।
রক্ত ধুয়ে ফেলা নয় : রক্তপাত হতে থাকলে পরিষ্কার কাপড় বা গজ-ব্যান্ডেজ দিয়ে বেঁধে দিন। বেশি কেটে গেলে বা রক্তপাত ১০ মিনিটের মধ্যে বন্ধ না হলে হাসপাতালে নিতে ভুলবেন না।
নাক দিয়ে রক্ত পড়লে : আক্রান্ত ব্যক্তিকে সামনের দিকে সামান্য ঝুঁকে বসাতে হবে। বাঁ হাতের বুড়ো আঙুল ও অনামিকা দিয়ে নাসারন্ধ্র টানা ১০ মিনিট বন্ধ রাখতে হবে। এ সময় মুখ দিয়ে শ্বাস নিতে হবে। বরফ নাকের ওপরে দেওয়া যেতে পারে। যদি একটানা ১০ মিনিট নাসারন্ধ্র চেপে ধরে রাখার পরও রক্ত বন্ধ না হয়, দ্রুত হাসপাতালে নিতে হবে।
সাপে কাটলে : সাপে কাটার স্থানের কিছু ওপরে আমরা শক্ত বাঁধন দিই। এতে রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে হাত-পা পচে যেতে পারে। বাঁধন দিতে হবে, তবে রশি দিয়ে নয়; গামছা, কাপড় দিয়ে ঢিলে করে বাঁধলেই চলবে।
বিষপানে নয় গোবরপানি : বিষ পান করলে অনেকে গোবরমিশ্রিত পানি পান করিয়ে বমি করার চেষ্টা করেন। এটি ভ্রান্ত ধারণা। যদি বিষপান করা ব্যক্তি অচেতন বা অবচেতন থাকে, তাহলে বমি ফুসফুসে চলে যেতে পারে; যা গুরুতর। বিষপানের এক ঘণ্টার মধ্যে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান।
লেখক : সহকারী অধ্যাপক, ডিপার্টমেন্ট অব ইন্টারভেনশনাল নিউরোলজি, নিনস