ভারতের মহাকুম্ভ মেলায় ফুলের মালা বিক্রি করতে থাকা বানজারা সম্প্রদায়ের তরুণী মোনালিসা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে "মহাকুম্ভ ভাইরাল গার্ল" হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। সম্প্রতি চলচ্চিত্র পরিচালক সানোজ মিশ্র তাকে তার আসন্ন সিনেমা "দ্য ডায়রি অব মণিপুর"-এ প্রধান চরিত্রে অভিনয়ের প্রস্তাব দিয়েছেন। তার জীবনের সংগ্রাম ও সাফল্য নতুন করে আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে। বানজারা বা বেদে সম্প্রদায়ের মেয়েটি জানতো না তার জীবনের গল্প একদিন সারা দেশে ছড়িয়ে পড়বে এবং এই যাত্রা শুধু তার নিজের নয়, বরং আধুনিক যুগের উপেক্ষিত ও নিপীড়িতদের জন্য এক শক্তিশালী দৃষ্টান্ত হয়ে উঠেছে।

মোনালিসার জন্ম হয়েছিল ভারতের অন্যতম প্রান্তিক জনগোষ্ঠী বানজারা সম্প্রদায়ের এক পরিত্যক্ত প্রান্তিক গ্রামে। তার পরিবার ছিল বেদে সম্প্রদায়ের, যাদের ইতিহাস অনেকটাই অন্ধকার। সমাজের মূলধারা তাদের সবসময় অস্বীকার করেছে। তারা ইতিহাসের পাতায় কখনো স্বীকৃতি পায়নি, বরং উপেক্ষিত ও নিপীড়িত থেকেছে। তাদের জীবন দীর্ঘদিন ধরে দারিদ্র্য, বৈষম্য এবং সামাজিক বঞ্চনার শিকার হয়ে আসছে।

এই সম্প্রদায় একসময় ব্যবসা ও পরিবহন কাজে নিয়োজিত ছিল, কিন্তু ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনামলে ১৮৭১ সালের ক্রিমিনাল ট্রাইবস অ্যাক্ট-এর আওতায় তাদের "অপরাধী জনগোষ্ঠী" হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। সেই সময় থেকে সমাজের মূলধারা তাদের দূরে ঠেলে দেয়, এবং দারিদ্র্যই তাদের জীবনের একমাত্র বাস্তবতা হয়ে দাঁড়ায়। দারিদ্র্য, শিক্ষা ও মৌলিক সুযোগ-সুবিধার অভাবে এই জনগোষ্ঠীর অধিকাংশ মানুষ এখনো জীবনের সঙ্গে সংগ্রাম করে যাচ্ছেন।

মোনালিসা ছোটবেলায় দেখেছিল তার পরিবারকে দারিদ্র্যের শিকার হয়ে কঠোর পরিশ্রম করতে। তাদের দিন কাটতো ভিখারি বা অপরাধী হিসেবে চিহ্নিত হয়ে। এসবের মধ্যে, পড়াশোনার কোনো স্থান ছিল না। তবে মোনালিসা অন্যরকম ছিল। সে জানত, সে অন্য সবার মতো হতে চায় না। তার চোখে ছিল এক নতুন পৃথিবীর স্বপ্ন।

এ বছর মহাকুম্ভ মেলায় মোনালিসা ফুল বিক্রি করতে গিয়েছিল। তার গভীর নীল চোখ এবং স্ফুলিঙ্গের মতো জ্বলতে থাকা ব্যক্তিত্ব সহজেই মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল। কিন্তু তার সুন্দর চেহারা অনেকের দৃষ্টি আকর্ষণ করলেও, তার পরিচয় জানার পর অনেকেই তার কাছ থেকে মালা কিনতে চাইতেন না। তার সম্প্রদায়ের প্রতি সমাজের নেতিবাচক মনোভাব তাকে বারবার অপমানিত করেছে। কিন্তু এই রকম কঠিন পরিস্থিতির মধ্যেও মেয়েটি হাল ছাড়েননি।

একদিন হঠাৎ পরিচালক সানোজ মিশ্রের সঙ্গে দেখা হয় তার। সিনেমা নির্মাতা মিশ্র তার মধ্যে এক বিশেষ কিছু দেখতে পেলেন। মোনালিসা যে এক অনন্য সম্ভাবনার প্রতিচ্ছবি তা স্পষ্ট বুঝতে পেরেছিলেন তিনি। সেই মুহূর্তেই একটি সিনেমায় অভিনয়ের সুযোগ দিলেন।  শুধু তার সৌন্দর্যের কারণে নয়, বরং তার আত্মবিশ্বাস এবং সংগ্রামী মানসিকতার জন্যই তিনি মোনালিসাকে একটি চলচ্চিত্রে অভিনয়ের সুযোগ দেন। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, মিশ্র তাকে শিক্ষার আলোয় নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নেন।

মিশ্র তাকে অক্ষর শেখানো শুরু করলেন। একদিন সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে দেখা যায়, মিশ্র তাকে অক্ষর শেখাচ্ছেন এবং ধীরে ধীরে তিনি লিখতে ও পড়তে শিখছেন। ভিডিওটি খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ল এই ভিডিওটি দেখে অনেকেই তার পড়াশোনার প্রতি আগ্রহের প্রশংসা করেছেন। এই সেই মোনালিসা, যার জীবন ছিল খুব কঠিন, এখন এক নতুন জীবন শুরু করতে যাচ্ছিলেন। তার সংগ্রাম, তার শিক্ষা এবং তার নতুন দৃষ্টিভঙ্গি সারা দেশে আলোচিত হতে লাগল।

আজ, মোনালিসা শুধু মহাকুম্ভ মেলার "ফুল বিক্রেতা" হিসেবে পরিচিত নয়। তিনি হয়ে উঠেছেন একটি প্রতীক, যা কঠিন পরিস্থিতি, দারিদ্র্য, এবং বৈষম্যের মধ্যেও সম্ভব। মোনালিসা শিখিয়েছে যে, জীবনে যদি সঠিক সুযোগ এবং সহায়তা পাওয়া যায়, তাহলে জীবনের এক একটি অধ্যায় বদলে যেতে পারে। সে এখন একজন অভিনেত্রী, একজন শিক্ষার্থী, এবং সবচেয়ে বড় কথা, সে একটি অনুপ্রেরণা। তার জীবনের গল্প শুধু তার নিজের নয়, বরং সকল প্রান্তিক মানুষের জন্য এক নতুন আশার বাতিঘর হয়ে উঠেছে।

মোনালিসার জীবনের সংগ্রাম অনেকাংশে মিল পাওয়া যায় বিশিষ্ট লেখক লক্ষ্মণ গায়কোয়াড়ের সঙ্গে, যিনি বানজারা সম্প্রদায়ের প্রথম শিক্ষিত ব্যক্তিদের একজন। তার আত্মজীবনীমূলক বই "উচ্ছক্কা"-তে তিনি তার জীবনসংগ্রামের কথা তুলে ধরেছেন। তিনি বলেছেন, কীভাবে তার পরিবার ও সমাজ শিক্ষাকে অগ্রহণযোগ্য মনে করত। ছোটবেলায় তিনি স্কুলে যেতে শুরু করলে তার সম্প্রদায়ের মানুষ তাকে অপয়া বলত। তবে গায়কোয়াড় সব প্রতিকূলতা জয় করে পড়াশোনা করেন এবং পরবর্তীতে লেখক ও সমাজকর্মী হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেন। তার বই "উচ্ছক্কা" আজ ভারতের বহু ভাষায় অনূদিত হয়েছে এবং অনেক প্রান্তিক মানুষের কাছে অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে উঠেছে।

আজকের দিনে দাঁড়িয়ে মোনালিসা শুধু নিজের জীবনের পরিবর্তন নয়, বরং সমগ্র বানজারা সম্প্রদায়ের জন্য এক নতুন আশার আলো। তার ভাইরাল হওয়া শুধু তার সৌন্দর্যের কারণে নয়, বরং তার সংগ্রামী জীবনের কারণে মানুষ তাকে গ্রহণ করছে। তার শিক্ষা ও অভিনয়ের পথে যাত্রা আবারও প্রমাণ করে কারো জীবন বদলে দিতে একটি সুযোগ এবং একটি সহানুভূতিশীল হাত যথেষ্ট।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার গল্প ছড়িয়ে পড়ার ফলে অনেকেই এখন বানজারা সম্প্রদায়ের মানুষদের প্রতি নতুন দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে ভাবতে শুরু করেছেন। মোনালিসার গল্প আমাদের মনে করিয়ে দেয় সমাজে যারা উপেক্ষিত, তাদের মধ্যে অজস্র প্রতিভা লুকিয়ে থাকে। তার সংগ্রাম, তার অভ্যন্তরীণ শক্তি, এবং তার শিক্ষা-ভিত্তিক পরিবর্তন একটি বিপ্লব ঘটিয়েছে। আজকের মোনালিসা আর ফুল বিক্রেতা নয়। সে এখন একটি নতুন সম্ভাবনার প্রতীক। তার গল্প একদিন পরিণত হবে অন্যদের জীবন পরিবর্তনকারী গল্পে।

এটি শুধু মোনালিসার গল্প নয়, এটি শিক্ষার শক্তি, আত্মবিশ্বাসের জয়, এবং মানবতার রূপান্তরের গল্প। এই কাহিনী প্রমাণ করে দেয় জীবনে পরিবর্তন আনতে যদি সঠিক সুযোগ ও সহায়তা দেওয়া হয়, তবে একেকটি জীবন হয়ে উঠতে পারে জীবনের সবচেয়ে সুন্দর গল্প।

তাই মোনালিসার নাম আজ একটি পরিচিত নাম। তার সংগ্রামের এই নতুন অধ্যায় অনেকের জীবনে নতুন আলো নিয়ে এসেছে। তার কাহিনী এক জীবন্ত প্রমাণ যে, যে কোনো পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসা সম্ভব, যদি সাথে থাকে সঠিক পথপ্রদর্শক। সঠিক দিকনির্দেশনা ও সহযোগিতা পেলে, বানজারা সম্প্রদায়ের শিশুরাও শিক্ষিত হয়ে উন্নত ভবিষ্যৎ গড়তে পারবে।
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ত র জ বন র জ বন র জ বন র স স ন দর ত র পর র জন য র পর ব একদ ন

এছাড়াও পড়ুন:

পুলিশ কমিশন অধ্যাদেশের খসড়া প্রস্তুত, সচিব কমিটি উপদেষ্টা পরিষদে পাঠাবে

পুলিশ কমিশন অধ্যাদেশ, ২০২৫-এর খসড়া প্রস্তুত করা হয়েছে। দু-এক দিনের মধ্যে অধ্যাদেশের খসড়াটি সচিব কমিটির মাধ্যমে উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদনের জন্য যাবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে।

আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুলের নেতৃত্বে উপদেষ্টাদের সমন্বয়ে একটি কমিটি প্রস্তাবিত পুলিশ কমিশনের কাঠামো ও কার্যক্রমের খসড়া তৈরি করেছে।

খসড়ায় প্রস্তাব করা হয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এই কমিশনের চেয়ারপারসন হবেন। সদস্য থাকবেন একজন অবসরপ্রাপ্ত জেলা জজ; গ্রেড-২ পদমর্যাদার নিচে নন এমন একজন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা; অতিরিক্ত মহাপুলিশ পরিদর্শক পদমর্যাদার নিচে নন এমন একজন অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা; পুলিশ একাডেমির একজন অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ; আইন, অপরাধবিজ্ঞান বিষয়ের একজন কর্মরত বা অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক; ১৫ বছর অভিজ্ঞতা রয়েছে এমন একজন মানবাধিকারকর্মী।

আরও পড়ুনপুলিশকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত রাখতে স্বাধীন কমিশন অপরিহার্য৮ ঘণ্টা আগেকমিশনের চেয়ারপারসন আপিল বিভাগের বিচারপতি এবং সদস্যরা হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতির সমপদমর্যাদার হবেন।

কমিশনের চেয়ারপারসন আপিল বিভাগের বিচারপতি এবং সদস্যরা হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতির সমপদমর্যাদার হবেন। সদস্যরা যোগদানের দিন থেকে চার বছর নিজ নিজ পদে থাকবেন। মেয়াদ শেষে কোনো সদস্য আবার নিয়োগের যোগ্য হবেন না।

অধ্যাদেশের খসড়ায় বলা হয়েছে, পুলিশ কমিশনের নির্দেশ বা সুপারিশ প্রতিপালনে বাধ্যবাধকতার বিষয়ে বলা হয়েছে—এই কমিশন যেকোনো কর্তৃপক্ষ বা সত্তাকে কোনো নির্দেশ দিলে উক্ত কর্তৃপক্ষ বা সত্তা অনধিক তিন মাসের মধ্যে তা বাস্তবায়ন করে কমিশনকে অবহিত করতে হবে। তবে কমিশনের নির্দেশ বা সুপারিশ বাস্তবায়নে কোনো অসুবিধা হলে সে ক্ষেত্রে নির্দেশ বা সুপারিশ পাওয়ার অনধিক তিন মাসের মধ্যে কমিশনকে অবহিত করতে হবে। কমিশন বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করে যে নির্দেশ বা সুপারিশ পাঠাবে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সেই নির্দেশ বা সুপারিশ কমিশন নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বাস্তবায়ন করে কমিশনকে জানাতে হবে।

আরও পড়ুনকোনো দল নয়, পুলিশের আনুগত্য থাকবে আইন ও দেশের প্রতি৯ ঘণ্টা আগেপুলিশ কমিশন গঠনের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্যের পর জুলাই জাতীয় সনদেও এটি অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।

এই কমিশনের সদস্য পদে নিয়োগের সুপারিশ প্রদানের জন্য সাত সদস্যের সমন্বয়ে একটি বাছাই কমিটি গঠন করা হবে। খসড়া অধ্যাদেশে প্রধান বিচারপতির মনোনীত সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের একজন বিচারপতি, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারপারসন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির মনোনীত একজন সরকারদলীয় এবং একজন বিরোধীদলীয় সংসদ সদস্যকে বাছাই কমিটিতে রাখার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। ন্যূনতম পাঁচ সদস্যের উপস্থিতিতে বাছাই কমিটির কোরাম হওয়া ও বাছাই কমিটির বাছাই প্রক্রিয়া শুরুর ৩০ দিনের মধ্যে প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার কথা বলা হয়েছে খসড়া প্রস্তাবে।

আরও পড়ুন‘আওয়ামী পুলিশ, বিএনপি পুলিশ’ তকমা নিয়ে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ কঠিন: সাবেক আইজিপি নুরুল হুদা১৭ ঘণ্টা আগে

পুলিশ কমিশন অধ্যাদেশ খসড়ায় কমিশন প্রতিষ্ঠা, কার্যালয়, সদস্যদের নিয়োগ, মেয়াদ, কমিশনের সদস্য হওয়ার জন্য কারা অযোগ্য, সদস্যদের পদত্যাগ, অপসারণ, পুলিশি কার্যক্রমে দক্ষতা বৃদ্ধি, শৃঙ্খলা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি, নাগরিকের অভিযোগ অনুসন্ধান-নিষ্পত্তি, পুলিশ সদস্যদের সংক্ষোভ নিরসন, পুলিশপ্রধান নিয়োগ, আইন-বিধি, নীতিমালা প্রণয়ন ও গবেষণা বিষয়েও প্রস্তাব রাখা হয়েছে।

পুলিশ কমিশন গঠনের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্যের পর জুলাই জাতীয় সনদেও এটি অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।

আরও পড়ুনমাঝেমধ্যে শুনতে হয়, ‘উনি কি আমাদের লোক’: আইজিপি১৭ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ‘সাংস্কৃতিক জাগরণেই মুক্তি’
  • যদি ঠিক পথে থাকো, সময় তোমার পক্ষে কাজ করবে: এফ আর খান
  • বিবাহবিচ্ছেদ ও খোরপোষ নিয়ে ক্ষুদ্ধ মাহি
  • ফতুল্লায় দুই ট্রাকের মাঝে পড়ে যুবকের মৃত্যু
  • ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে ২০ মামলার আসামি নিহত, গুলিবিদ্ধ ৩
  • পুলিশ কমিশন অধ্যাদেশের খসড়া প্রস্তুত, সচিব কমিটি উপদেষ্টা পরিষদে পাঠাবে
  • নামতে গেলেই চালক বাস টান দিচ্ছিলেন, পরে লাফিয়ে নামেন
  • তানজানিয়ার বিতর্কিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ফের বিজয়ী সামিয়া
  • আমার স্ত্রী খ্রিষ্টধর্ম গ্রহণ করছেন না: জেডি ভ্যান্স
  • নির্বাচন সামনে রেখে সরকারের ৩১ বিভাগকে প্রস্তুতির নির্দেশ ইসির