রমজান ও গরমের মৌসুমে এসির তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রিতে রাখতে হবে, না হলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন
Published: 17th, February 2025 GMT
আসন্ন পবিত্র রমজান ও গরমের মৌসুমে শীতাতপনিয়ন্ত্রিত যন্ত্রের (এসি) তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার ওপরে রাখার অনুরোধ জানিয়েছেন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। এ অনুরোধ উপেক্ষা করা হলে বিদ্যুতের সংযোগ বিচ্ছিন্ন কিংবা আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও তিনি জানান।
আজ সোমবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে নিজ মন্ত্রণালয়–সম্পর্কিত আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন উপদেষ্টা। সেখানেই তিনি এ কথাগুলো বলেন।
বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে এ অনুরোধ করা হয়েছে উল্লেখ করে উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল বলেন, এতে দুই হাজার থেকে তিন হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সাশ্রয় করা যাবে। বিষয়টি নিয়মিত নজরদারি করবে বিদ্যুৎ বিভাগের বিশেষ দল। যদি দেখা যায় অনুরোধ উপেক্ষা করা হয়েছে, কেউ অনুরোধ রাখছে না, তাহলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এমনকি বিদ্যুতের সংযোগও বিচ্ছিন্ন করা হতে পারে।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, শীতাতপনিয়ন্ত্রিত যন্ত্রের তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার ওপরে রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে উপদেষ্টা পরিষদের সবার কাছে চিঠি দেওয়া হচ্ছে। সচিবালয়ের বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে এ চিঠি দেওয়া হবে। আর মানুষের বাসাবাড়ির বিষয়ে সাংবাদিকদের মাধ্যমে উপদেষ্টা এ অনুরোধ জানান।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
মসজিদে ঢুকে হামলা ও ভাঙচুর, থানায় অভিযোগ
শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে একটি মসজিদে ঢুকে ভাঙচুর ও মুসল্লিদের ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে নেশাগ্রস্ত তিন ব্যক্তির বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় রবিবার (২ নভেম্বর) সকালে মসজিদ কমিটির সভাপতি আশরাফ আলী বাদী হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
শনিবার (১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার পোড়াগাঁও ইউনিয়নের বারোমারী বাজার এলাকার উত্তর বাতকুচি ফরেস্ট অফিস সংলগ্ন বাইতুল নূর জামে মসজিদে হামলা ও আসবাবপত্র ভাঙচুরের ঘটনাটি ঘটে।
আরো পড়ুন:
মুন্সীগঞ্জে প্রতিপক্ষের গুলিতে যুবক নিহত
লাকসামে অস্ত্রের মুখে এতিমখানার ৫ গরু লুট, আহত ৮
লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার উত্তর বাতকুচি গ্রামের জহুর উদ্দিনের তিন ছেলে ফরহাদ মিয়া, রুবেল মিয়া ও ফারুক মিয়া নেশাগ্রস্ত অবস্থায় মসজিদে প্রবেশ করেন। তারা ইমাম শফিকুল ইসলামের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আজ থেকে এই মসজিদে আর আযান দেওয়া যাবে না। আমাদের অনুমতি ছাড়া আর আযান হবে না।’ ইমাম এই কথার প্রতিবাদ করলে তারা তাকে ভয়ভীতি দেখান। আত্মরক্ষার্থে ইমাম পালিয়ে গেলে অভিযুক্তরা মসজিদের মাইক সেট, বৈদ্যুতিক বোর্ড, টিনের বেড়াসহ অন্যান্য জিনিসপত্র ভাঙচুর করেন।
এসময় হাবিবুর রহমান ও কাজল মিয়া নামে দুই মুসল্লি বাঁধা দিতে গেলে তাদেরকেও মারধর করেন নেশাগ্রস্তরা। স্থানীয়রা এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যান। পরে আহতদের উদ্ধার করে নালিতাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
মসজিদ কমিটির সভাপতি মো. আশরাফ আলী বলেন, “এই ঘটনার খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করি এবং এ নিয়ে থানায় একটি লখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। আমরা এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।”
এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্তদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের পাওয়া যায়নি।
নালিতাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সোহেল রানা বলেন, “মসজিদে ঢুকে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ঢাকা/তারিকুল/মাসুদ