চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শুরুতে বড় ধাক্কা খেল নিউজিল্যান্ড। পেসার লকি ফার্গুসন ডান পায়ের চোটের কারণে আসর থেকে ছিটকে গেছেন। তার জায়গায় দলে ডাক পেয়েছেন কাইল জেমিসন। সংযুক্ত আরব আমিরাতের আইএল টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে খেলতে গিয়ে চোট পান ফার্গুসন। এ কারণে পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত ত্রিদেশীয় সিরিজে খেলতে পারেননি। পরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে মাঠে নামলেও পুরনো চোটই তার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলার স্বপ্ন ভেঙে দেয়।

নিউজিল্যান্ড কোচ গ্যারি স্টেড ফার্গুসনের ছিটকে যাওয়ায় হতাশা প্রকাশ করে বলেন, ‘লকির জন্য সত্যিই খারাপ লাগছে। সে আমাদের বোলিং ইউনিটের গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিল। বড় টুর্নামেন্টের অভিজ্ঞতা তার কাজে লাগত। আমরা তার দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি।’

চলতি সপ্তাহেই আরেক পেসার বেন সিয়ার্স ইনজুরির কারণে দল থেকে ছিটকে যান। এবার সেই তালিকায় যোগ দিলেন ফার্গুসনও। তার পরিবর্তে দলে আসা জেমিসন সর্বশেষ ওয়ানডে খেলেছেন ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে মিরপুরে বাংলাদেশের বিপক্ষে। প্রায় এক বছর পর আবারও জাতীয় দলে ফিরলেন এই ডানহাতি পেসার।

উদ্বোধনী ম্যাচে স্বাগতিক পাকিস্তানের মুখোমুখি হবে নিউজিল্যান্ড। চোট সমস্যা মোকাবিলা করেও দলটি ভালো কিছুর আশা করছে।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

লামিনে ‘মেসি’ ইয়ামাল

১৭ বছর বয়সী ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো: ১৯ ম্যাচ, ৫ গোল, ৪ গোলে সহায়তা।

১৭ বছর বয়সী লিওনেল মেসি: ৯ ম্যাচ, ১ গোল, গোলে সহায়তা নেই।

১৭ বছর বয়সী লামিনে ইয়ামাল: ১০০ ম্যাচ, ২২ গোল, ৩৩ গোলে সহায়তা।

মেসি–রোনালদোর সঙ্গে তুলনা নয়, লামিনে ইয়ামালের শুরুটা বোঝাতে এই পরিসংখ্যান হাজির করেছে টিএনটি স্পোর্টস। ধূমকেতুর মতো শুরু হলেও ধূমকেতুর মতোই মিলিয়ে যাওয়ার পাত্র তিনি নন।

বার্সেলোনার এস্তাদি অলিম্পিক লুইস কোম্পানিসে  গত রাতের ম্যাচটি স্মরণ করতে পারেন। ৬ গোলের থ্রিলার, যেখানে বার্সেলোনা–ইন্টার মিলান সেমিফাইনাল প্রথম লেগের ‘ক্লাসিক’ লড়াই ৩–৩ গোলে অমীমাংসীত। দুই দলের হয়েই ‘সুপার হিরো’ ছিলেন বেশ কজন। ইন্টারের যেমন ডেনজেল ডামফ্রিস ও মার্কাস থুরাম, বার্সার তেমনি রাফিনিয়া, ফেরান তোরেসরা। কিন্তু সবাইকে ছাপিয়ে ঠিকই রবির কিরণের মতো আলো দিয়েছেন এক কিশোর—লামিনে ইয়ামাল নাসরাউয়ি এবানা। সংক্ষেপে লামিনে ইয়ামাল।

আরও পড়ুন৬ গোলের থ্রিলারে বার্সেলোনা–ইন্টার সেয়ানে সেয়ানে টক্কর৮ ঘণ্টা আগে

২৪ মিনিটে ইয়ামালের করা গোলটির প্রসঙ্গে পরে আসা যাবে। যেভাবে খেলেছেন তাতে গোলটি না করলেও লোকে কাল রাতে তাঁর পারফরম্যান্স মনে রাখতেন। পরিসংখ্যান বলছে ১০২টি টাচ, একটি গোল, ২টি গোল হওয়ার মতো পাস, ৬টি শট (পোস্টে মেরেছেন দুবার) এবং ১০টির মধ্যে ৬টি সফল ড্রিবলিং।

কিন্তু পরিসংখ্যানে এ তথ্য নেই—মাঠে ডান প্রান্তকে ইয়ামাল ফাইনালে ওঠার হাইওয়ে বানিয়ে যতবার কাট–ইন করে ইন্টারের বক্সে ঢুকেছেন, সেটা আসলে ইতালিয়ান ক্লাবটির রক্ষণের জন্য দুঃস্বপ্নের। প্রতিবারই মৌমাছির মতো ছেঁকে ধরা হয়েছে ইয়ামালকে। কিন্তু আটকানো কি সম্ভব হয়েছে? রাত থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিওগুলো ভাসছে। সেসব আসলে ইয়ামালের পায়ের কারুকাজে ইন্টারের রক্ষণকে স্রেফ খোলামকুচির মতো উড়িয়ে দেওয়ার ভিডিও।

ইয়ামাল কত ভয়ংকর সেটা এই এক ছবিতেই পরিস্কার। সবাই ছেঁকে ধরেও তাঁকে আটকাতে পারেননি

সম্পর্কিত নিবন্ধ