নদী-পাহাড়-বন রক্ষায় ডিসিদের যেসব নির্দেশনা দিলেন উপদেষ্টা
Published: 18th, February 2025 GMT
দেশের নদী, পাহাড় ও বন রক্ষায় জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) সুস্পষ্ট নির্দেশনা দিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। পাহাড় কাটার ক্ষেত্রে মালিকের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দেন তিনি। বনাঞ্চল সংরক্ষণে মধুপুর শালবনের সীমানা চিহ্নিতকরণ, অবৈধ দখলমুক্তকরণ ও সংরক্ষিত বন এবং নদী ও জলাশয়ের রেকর্ড সংশোধনের বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন উপদেষ্টা।
পরিবেশ উপদেষ্টা, সড়কের পাশে পাহাড়ের ঢালে সংরক্ষিত বন ঘোষিত এলাকায় কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের ৫১ একরের আবাসন প্রকল্পটি বাতিলের নির্দেশনা প্রদান করেন। তিনি বনের জায়গায় স্থাপিত রাজা কাশিমের শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ড উচ্ছেদের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ডিসি সম্মেলনে বক্তব্য দানকালে তিনি এসব দিকনির্দেশনা দেন।
পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, শতবর্ষী, প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী বৃক্ষ চিহ্নিত করে সংরক্ষণ করতে হবে। নদীর তালিকা ধরে প্রতিটি জেলায় অন্তত একটি নদী দখল ও দূষণমুক্ত করার উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। পাশাপাশি, সমুদ্র সৈকত, হাওড়, দ্বীপ ও বনাঞ্চলে পর্যটন নিয়ন্ত্রণে সুনির্দিষ্ট নির্দেশিকা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করতে হবে।
তিনি উল্লেখ করেন, বালু ও পাথর উত্তোলনের আগে অবশ্যই পরিবেশ অধিদফতরের ছাড়পত্র নিতে হবে। দূষণবিরোধী অভিযানে পর্যাপ্ত ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ এবং প্রয়োজনে যৌথ বাহিনীর সহায়তা গ্রহণের ওপরও তিনি জোর দেন। দূষণকারী শিল্পপ্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণের নির্দেশ দেন এবং বন্যপ্রাণী সংক্রান্ত অভিযোগ গুরুত্বের সঙ্গে গ্রহণের আহ্বান জানান।
হাতি-মানুষ দ্বন্দ্ব নিরসনে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ, পরিবেশ অপরাধীদের তালিকা প্রণয়ন, পরিবেশ স্বেচ্ছাসেবীদের তালিকা তৈরি এবং পরিবেশ পদক ও বৃক্ষরোপণ পদকের জন্য ব্যক্তি ও সংস্থা নির্বাচন করার বিষয়ে তিনি দিকনির্দেশনা দেন।
রিজওয়ানা হাসান বলেন, ইটভাটার বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে এবং পলিথিন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ও বাজারে ক্রাশ প্রোগ্রাম পরিচালনা করতে হবে। বিকল্প ব্যবস্থার অংশ হিসেবে বেসরকারি সংস্থার মাধ্যমে পুরাতন কাপড়ের ব্যাগ তৈরি করে তা প্রচলনের উদ্যোগ নিতে হবে।
তিনি সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক মুক্ত করার নির্দেশনা দেন এবং যানবাহনের হর্ন নিয়ন্ত্রণে সচেতনতামূলক কার্যক্রম গ্রহণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড.
অধিবেশনে উপস্থিত বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকরা নিজ নিজ অধিক্ষেত্রের পরিবেশ, বন ও পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সমস্যার উল্লেখ করেন। উপদেষ্টা প্রতিটি বিষয় বিবেচনা করার আশ্বাস দেন।
পরে সাংবাদিক সম্মেলনে পরিবেশ উপদেষ্টা সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/এনএইচ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপদ ষ ট ব যবস থ গ রহণ র পর ব শ
এছাড়াও পড়ুন:
‘সড়ক নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন ছাড়া সড়ক সংস্কার সম্ভব নয়’
সড়ক নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন ছাড়া সড়ক সংস্কার সম্ভব নয় বলে দাবি করেছেন আহ্ছানিয়া মিশন ইয়ুথ ফোরাম ফর হেলথ অ্যান্ড ওয়েলবিং।
সোমবার (২৮ এপ্রিল) রাজধানীর শ্যামলীতে প্রতিষ্ঠানটির সভাকক্ষে গ্লেবাল সেইফ সিস্টেম অ্যাপ্রোচ-বিষয়ক তরুণদের জন্য কর্মশালায় এই দাবি উঠে আসে।
তরুণরা বলেন, দেশে রোডক্র্যাশে (সড়ক দুর্ঘটনা) আহত ও নিহতের সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। দেশের সাম্প্রতিক অর্থনীতিতে রোডক্র্যাশে আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে জিডিপির প্রায় ২.৫ শতাংশ।
আরো পড়ুন:
সেলফি তুলতে গিয়ে ট্রেনের ধাক্কায় নবদম্পতি নিহত
সড়ক দুর্ঘটনায় ঝালকাঠি জেলা পরিষদের প্রকৌশলী নিহত
অন্যদিকে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার মতে, ৫-২৯ বছর বয়সিদের মৃত্যুর অন্যতম কারণ রোডক্র্যাশ। তাই রোডক্র্যাশ রোধে সড়ক নিরাপত্তায় সংস্কার ভাবনা এখন সময়ের দাবি বলে মন্তব্য করেছেন আহ্ছানিয়া মিশন ইয়ুথ ফোরাম ফর হেলথ এন্ড ওয়েলবিং।
তারা বলেন, বর্তমান সরকার দেশের বিভিন্ন সংস্কারের কাজ হাতে নিয়েছে। এই সংস্কার কাজের মধ্যে সড়কে সবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সড়ক নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট নীতিমাল প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন অন্তর্ভুক্ত করা প্রয়োজন।
আহ্ছানিয়া মিশনের অ্যাডভোকেসি অফিসার মনোয়ারুল ইসলামের সঞ্চালনায় এবং উপ-পরিচালক মো. মোখলেছুর রহমানের উপস্থিতিতে কর্মশালায় বাংলাদেশ ডিবেট ফেডারেশেনের সাধারাণ সম্পাদক ইশতিয়াক ইমন সড়কে গতিসংক্রান্ত সেশন পরিচালনা করেন। পাশাপশি আহ্ছানিয়া মিশনের প্রকল্প সমন্বয়কারি শারমিন রহমান সড়ক নিরাপত্তা আইনের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আলোচনা করেন।
এসময় আহ্ছানিয়া মিশন ইয়ুথ ফোরাম ফর হেলথ এন্ড ওয়েলবিং-এর সমন্বয়কারী মারজানা মুনতাহা আসন্ন ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে তরুণদের মাধ্যমে প্রচার-প্রচারণা বিষয়টি নিয়ে গুরুত্বারোপ করেন। পাশাপাশি, সড়ক নিরাপত্তা আইন প্রণয়নের দাবিতে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
কর্মশালায় বিভিন্ন ইয়ুথ ফোরামের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/হাসান/রাসেল