কার্বন ডাই-অক্সাইড থেকে তৈরি হবে জ্বালানি, চলবে গাড়ি
Published: 20th, February 2025 GMT
পৃথিবীতে বায়ুদূষণের পরিমাণ দিন দিন বেড়েছে চলেছে। আর তাই বৈশ্বিক কার্বন-দূষণের পরিমাণ কমাতে দীর্ঘদিন ধরেই বিকল্প জ্বালানির উৎস আবিষ্কারের জন্য কাজ করছেন বিজ্ঞানীরা। এবার বায়ুমণ্ডলে থাকা কার্বন ডাই-অক্সাইড থেকে গাড়ি চালাতে সক্ষম জ্বালানি তৈরির জন্য বিশেষ ধরনের যন্ত্র তৈরি করেছেন যুক্তরাজ্যের কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল বিজ্ঞানী। তাঁদের দাবি, সৌরবিদ্যুতে চলা যন্ত্রটি বায়ুমণ্ডলে থাকা কার্বন ডাই-অক্সাইডকে সিনথেসিস গ্যাস বা সিনগ্যাসে রূপান্তর করতে পারে, যা কাজে লাগিয়ে গাড়ি ও উড়োজাহাজও চালানো যাবে।
নতুন যন্ত্রের বিষয়ে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী সায়ান কর জানান, কার্বন ডাই-অক্সাইড একটি ক্ষতিকর গ্রিনহাউস গ্যাস। বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের পেছনে দায়ী এই গ্যাসকে দরকারি রাসায়নিক পদার্থে পরিণত করা যেতে পারে। উদ্ভাবিত যন্ত্রটি বিশেষ ফিল্টারের মাধ্যমে রাতে বাতাস থেকে কার্বন ডাই-অক্সাইড সংগ্রহ করে। এরপর দিনের বেলা সূর্যের আলো কাজে লাগিয়ে রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে সিনগ্যাস উৎপন্ন করে। এই গ্যাস পেট্রলের বিকল্প হিসেবে কাজ করতে পারে। সিনগ্যাস রাসায়নিক ও ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্য তৈরি করতেও ব্যবহার করা যেতে পারে।
বিজ্ঞানী অধ্যাপক এরউইন রেইসনার বলেন, আমরা যেসব পণ্যের ওপর নির্ভর করি, তা তৈরির জন্য জীবাশ্ম জ্বালানি খনন করা হয় ও পোড়ানো হয়। তার পরিবর্তে আমরা সরাসরি বাতাস থেকে আমাদের প্রয়োজনীয় সব কার্বন ডাই–অক্সাইড পেতে পারি ও পুনরায় ব্যবহার করতে পারি। আমরা একটি সার্কুলার ইকোনমির কাঠামো গড়ে তুলতে পারি।
নেচার এনার্জি সাময়িকীতে প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যন্ত্রটি মূলত বায়ুমণ্ডল থেকে কার্বন ডাই–অক্সাইড টেনে নিয়ে সিনথেসিস গ্যাস বা সিনগ্যাসে রূপান্তর করতে পারে। সৌরবিদ্যুতে চলায় যন্ত্রটি ব্যবহারের জন্য কোনো ধরনের ব্যাটারির প্রয়োজন হয় না। বর্তমানে ব্যবহৃত বিভিন্ন কার্বন সংগ্রহের প্রযুক্তির বিকল্প হতে পারে যন্ত্রটি। আর তাই কেমব্রিজ এন্টারপ্রাইজের সহায়তায় এই প্রযুক্তি বাণিজ্যিকীকরণের জন্য চেষ্টা করছেন বিজ্ঞানীরা।
সূত্র: ইনডিপেনডেন্ট
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
স্বামীকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি, স্ত্রীসহ কারাগারে ৬
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে স্বামীকে অপহরণ করে ৪ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগে স্ত্রীসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
শনিবার (২ আগস্ট) দুপুরে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বাদল কুমার চন্দ তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
গ্রেপ্তার ছয়জন হলেন— মির্জাপুর উপজেলার গোড়াই ইউনিয়নের মীর দেওহাটা গ্রামের নাজিম উদ্দিনের ছেলে হাসান মোল্লা (৩৪), মৃত আতোয়ার হোসেনের ছেলে ইমরান হোসেন (২৫), একই এলাকার রহিম সিকদারের ছেলে জহিরুল ইসলাম (২৪), কোদালিয়া গ্রামের খোরশেদ আলীর ছেলে মো. রানা (২০), বহুরিয়া ইউনিয়নের বহুরিয়া গ্রামের মঙ্গল সিকদারের ছেলে আরিফ (৩৩) এবং গাজীপুরের কালিয়াকৈর থানাধীন তালচানা গ্রামের আলকেসের মেয়ে আকলিমা বেগম (৪০)। তাদের মধ্যে আকলিমা অপহরণের শিকার রহিম মিয়ার স্ত্রী।
আরো পড়ুন:
সোহাগ হত্যা মামলা: গ্রেপ্তার আরো ২
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সব থানায় চালু হচ্ছে অনলাইন জিডি
শুক্রবার (১ আগস্ট) সন্ধ্যায় মির্জাপুর উপজেলার গোড়াই ইউনিয়নের পালপাড়া গ্রাম থেকে অপহৃত রহিম মিয়াকে উদ্ধার করা হয়। এ সময় সেখান থেকে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তবে, অপহরণে নেতৃত্ব দেওয়া রাকিব হোসেন (১৮) পালিয়ে যায়। পুলিশ তাকে ধরতে অভিযান চালাচ্ছে। পুলিশ
জানিয়েছে, একই ইটভাটায় কাজ করার সময় আব্দুর রহিমের সঙ্গে গ্রেপ্তার আকলিমার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একপর্যায়ে তারা বিয়ে করেন। ইটভাটায় উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ হওয়ার পর আব্দুর রহিম নিজ এলাকায় চলে যান। সেখানে তার আরেক স্ত্রী আছেন।
ছয়-সাত মাস ধরে যোগাযোগ না করায় আব্দুর রহিমকে শায়েস্তা করার ফন্দি আঁটেন আকলিমা। ফোন করে তাকে মির্জাপুরে আসতে বলেন তিনি। মির্জাপুরে আকলিমার ভাড়া বাসায় আসার পরপরই রাকিব হোসেনের নেতৃত্বে অন্যরা আব্দুর রহিমকে মারধর করেন এবং গোড়াই পালপাড়ার একটি বাড়িতে নিয়ে জিম্মি করেন। এর পর তার স্বজনদের কাছে ফোন করে ৪ লাখ টাকা দাবি করা হয়। জিম্মি আব্দুর রহিমের স্বজনরা ৯৯৯ এ ফোন করে বিষয়টি পুলিশকে জানালে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় তাদের অবস্থান নির্ণয় করে দ্রুত অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়।
মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম জানিয়েছেন, গ্রেপ্তারকৃতদের দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়। আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
ঢাকা/কাওছার/রফিক