সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে ১৭ ফেব্রুয়ারি শুরু হওয়া পাঁচ দিনব্যাপী ‘গালফ ফুড-২০২৫’-এ অংশগ্রহণ করেছে বাংলাদেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান এবং বিশ্বস্ত ভোগ্যপণ্য প্রস্তুতকারক সিটি গ্রুপ। বিস্তৃত পণ্যসম্ভার নিয়ে কোম্পানিটি উদ্ভাবন, গুণগত মান ও বৈশ্বিক উপস্থিতি বৃদ্ধির প্রতি তাদের প্রতিশ্রুতি তুলে ধরছে।

২০১৪ সাল থেকে সিটি গ্রুপ সক্রিয়ভাবে তাদের রপ্তানি কার্যক্রম সম্প্রসারণ করছে এবং বর্তমানে ৩০টির বেশি দেশে পণ্য রপ্তানি করছে। গালফ ফুড-২০২৫ কোম্পানির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম, যেখানে নতুন অংশীদার ও গ্রাহকদের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের সুযোগ তৈরি হবে, পাশাপাশি বৈশ্বিক ভোক্তাদের চাহিদা পূরণের প্রতি তাদের প্রতিশ্রুতি তুলে ধরা হবে।

এ বছর সিটি গ্রুপ তিনটি মূল পণ্য বিভাগে গুরুত্ব দিচ্ছে—

১.

উদ্ভাবনী ও প্রিমিয়াম রাস্ক: সিটি গ্রুপ নতুন এক প্রিমিয়াম রাস্ক সিরিজ চালু করছে, যা উদ্ভাবনী স্বাদ ও প্যাকেজিংয়ের সঙ্গে আসছে। এই পরিসরে রয়েছে কেক রাস্ক, এলাচি রাস্ক, মাল্টিগ্রেইন রাস্ক, ঘি রাস্ক, মসলা রাস্ক, প্লেইন রাস্ক ও গারলিক রাস্ক।

২. বিশ্বমানের চা: বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম চা–বাগান থেকে সংগৃহীত সেরা মানের চা সরবরাহ করছে সিটি গ্রুপ। বর্তমানে বিভিন্ন দেশে রপ্তানির পাশাপাশি গালফ ফুড-২০২৫-এ কোম্পানিটি তাদের বিশ্বব্যাপী চা বিতরণ আরও সম্প্রসারণ করতে চায়।

৩. বিস্তৃত রপ্তানি পণ্য পরিসর: সিটি গ্রুপ বিভিন্ন উচ্চমানের পণ্য সরবরাহ করছে, যা বৈশ্বিক ভোক্তাদের বিভিন্ন চাহিদা পূরণে সক্ষম।

দুবাইয়ে পাঁচ দিনব্যাপী আয়োজনে সিটি গ্রুপের বিস্তৃত পণ্যসম্ভার নিয়ে প্রতিষ্ঠানটির বৈশ্বিক উপস্থিতি তুলে ধরছে

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

যশোরে জিআই পণ্য খেজুর গুড় তৈরির রস সংগ্রহে গাছ প্রস্তুতির উদ্বোধন

যশোরের ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য খেজুর গুড় তৈরির রস সংগ্রহের জন্য খেজুরগাছ প্রস্তুতের (রস সংগ্রহের উপযোগী করা) আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ রোববার দুপুরে চৌগাছা উপজেলার হায়াতপুর গ্রামে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহিনুর আক্তার।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর যশোরের উপপরিচালক মোশাররফ হোসেন বলেন, রস-গুড় সংগ্রহের জন্য গত বছরের তুলনায় এ বছর বেশি খেজুরগাছ প্রস্তুত করা হবে। এ বছর জেলায় অন্তত তিন লাখের বেশি গাছ প্রস্তুত করা হবে। যশোরে খেজুরের রস ও গুড়ের ১০০ কোটির বেশি টাকার বাজার রয়েছে। অন্তত ছয় হাজার কৃষক এই পেশায় যুক্ত।

যশোরের খেজুর গুড় জিআই পণ্য হলো যেভাবে

২০২২ সালে চৌগাছার তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (বর্তমানে যশোরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট) ইরুফা সুলতানা খেজুর গুড়ের ঐতিহ্য সংরক্ষণে খেজুর গুড়ের মেলা, গাছিদের প্রশিক্ষণ, গাছি সমাবেশ, গাছিদের সমবায় সমিতি গঠন, খেজুরগাছ রোপণ ও সংরক্ষণের উদ্যোগ নেন। একই বছর জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতির জন্য যশোরের খেজুর গুড়ের আবেদন করেন তিনি। তাঁর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০২৪ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি সেটি জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পায়।

শতকোটি টাকার বাজার ধরতে ব্যস্ত গাছিরা

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, যশোরের প্রায় ছয় হাজার গাছি খেজুরগাছের রস থেকে পাটালি গুড় উৎপাদনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ইতিমধ্যে খেজুরগাছ প্রস্তুতির কাজ শুরু হয়েছে। গাছ প্রস্তুতে ব্যস্ত সময় পার করছেন গাছিরা। খেজুরগাছ সংরক্ষণ, রোপণ, গাছিদের প্রশিক্ষণ, প্রণোদনাসহ নানাভাবে সহযোগিতার মাধ্যমে গুড় উৎপাদন বৃদ্ধি ও বাজার সম্প্রসারণে কাজ করছে কৃষি বিভাগ, জেলা ও উপজেলা প্রশাসন।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর যশোর কার্যালয়ের তথ্যমতে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে যশোর জেলায় খেজুরগাছের সংখ্যা ২৩ লাখ ৩০ হাজার ৬৯৫টি। এর মধ্যে রস আহরণের উপযোগী গাছের সংখ্যা ৩ লাখ ৭ হাজার ১৩০টি। গাছ থেকে ৩ কোটি ৭১ লাখ ৩ হাজার লিটার রস ও ২ হাজার ৭৪২ মেট্রিক টন গুড় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। বাজারদর অনুযায়ী প্রতি লিটার রসের দাম ৩৫ টাকা ও গুড়ের কেজি ৩৪০ টাকা। সেই হিসাবে রস ও গুড়ের বাজার দর ৯৯ কোটি ৬৮ লাখ টাকা।

চৌগাছা উপজেলার চাকলা গ্রামের গাছি আবদুল কুদ্দুস বলেন, ‘আমার দাদা খেজুরগাছের রস থেকে পাটালি গুড় বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। দাদার সঙ্গে বাবাও যুক্ত ছিলেন। বাবার পেশায় আমিও যুক্ত হয়েছি। বাবা আর আমি এবার ৩০০টি খেজুরগাছ থেকে রস-গুড় তৈরির প্রস্তুতি নিচ্ছি। গতবছর ভালো দাম পেয়েছি। এবারও ভালো দাম পাব বলে আশা করি।’

গাছিরা জানান, কার্তিক মাস শুরুর সঙ্গে সঙ্গেই খেজুরগাছ ছেঁটে রস ও গুড় তৈরির প্রস্তুতি শুরু করেন তাঁরা। শীত মৌসুমে এ অঞ্চলের কৃষকদের অন্যতম আয়ের উৎস এটি। এখানকার কারিগরদের দানা পাটালি তৈরির সুনাম রয়েছে। পাটালি ও ঝোলা গুড় তৈরি ছাড়াও চাষিরা শীতের ভোরে ফেরি করে কাঁচা রস বিক্রি করেন। কাঁচা রস প্রতি মাটির ভাঁড় ১৫০-২০০ টাকা, দানা গুড় ৩৫০-৪০০ টাকা আর পাটালি প্রতি কেজি ৪৫০-৬০০ টাকায় বিক্রি হয়।

অনলাইন প্ল্যাটফর্ম কেনারহাটের উদ্যোক্তা তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘গত বছর আমাদের কাছে ভোক্তার চাহিদা ছিল সাড়ে ছয় হাজার কেজি পাটালি গুড়। সরবরাহ করতে পেরেছিলাম দুই হাজার কেজি। প্রাকৃতিক দুর্যোগ, অতিবৃষ্টি, শীত কম হওয়ায় চাহিদা অনুযায়ী পাটালি গুড় সরবরাহ করতে পারিনি। এ বছর ইতিমধ্যে অর্ডার আসতে শুরু করেছে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • চাঁপাইনবাবগঞ্জে পেঁয়াজের দামে সেঞ্চুরি
  • মধ্যস্থতা নিয়ে আদানির প্রস্তাবে রাজি নয় পিডিবি
  • বিশ্বকে ১৫০ বার ধ্বংস করার মতো পারমাণবিক অস্ত্র আমাদের আছে: ট্রাম্প
  • দুই সপ্তাহের মধ্যে তেহরানে সুপেয় পানি ফুরিয়ে যেতে পারে
  • চলন্ত অবস্থায় বৈদ্যুতিক গাড়ি চার্জ করতে সক্ষম সড়ক চালু ফ্রান্সে
  • জ্বালানি খাতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা প্রয়োজন
  • বাজারে আগাম সবজি আসতে দেরি, দাম চড়া
  • নির্বাচনের দিন অমোচনীয় কালি সরবরাহ না হলে ভোট গ্রহণ বন্ধ থাকবে: ছাত্রদল
  • যশোরে জিআই পণ্য খেজুর গুড় তৈরির রস সংগ্রহে গাছ প্রস্তুতির উদ্বোধন
  • টমাহক কত দূরে আঘাত হানতে পারে, রাডারে কেন ধরা পড়ে না