সুন্দরবন থেকে অবৈধভাবে হরিণ শিকার করে মাংস নিয়ে ফিরছিল শিকারির দল। বনের খাল ধরে তাঁদের নৌকা এগোচ্ছিল লোকালয়ের দিকে। এমন সময় সেখানে হাজির হন আগে ওত পেতে থাকা বনরক্ষীরা। তাঁদের দেখে নৌকার থাকা মাংসে ফেলে খালের মধ্যে লাফিয়ে সাঁতরে বনের গহিনে পালিয়ে যান হরিণশিকারিরা।

পরে নৌকা থেকে ৯০ কেজি হরিণের মাংস উদ্ধার করেন সুন্দরবনের খাঁশিটানা বন টহল ফাঁড়ির বনরক্ষীরা। বৃহস্পতিবার সকালে খুলনার কয়রার সুন্দরবনের ছেড়ারখাল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

গহিন বন থেকে উদ্ধার করা হরিণের মাংস নিয়ে লোকালয়ে ফিরতে দুপুর গড়িয়ে যায়। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে কয়রার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, উদ্ধার হওয়া হরিণের মাংস আদালতে আনা হয়েছে। আদালত ভবনের পেছনে গর্ত খোড়া হচ্ছে। পাশে দাঁড়িয়ে আছেন কয়েকজন বনকর্মী। তাঁরা জানালেন, আদালতের নির্দেশে হরিণের মাংস কেরোসিন তেল মাখিয়ে মাটিতে পুঁতে ফেলা হচ্ছে।

সুন্দরবনের খাঁশিটানা টহল ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো.

আনোয়ার হোসেন জানালেন, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে কয়েকজন বনরক্ষীকে নিয়ে তিনি সেখানে অভিযান চালান। তবে তাঁদের দেখেই মাংস ফেলে পালিয়ে যান শিকারিরা।

সুন্দরবনের কাশিয়াবাদ ফরেস্ট স্টেশন কর্মকর্তা মো. সাদিকুজ্জামান বলেন, ‘সুন্দরবনের যে এলাকা থেকে হরিণের মাংস উদ্ধার হয়েছে, সেটি আমার স্টেশনের আওতাধীন খাঁশিটানা বন টহল ফাঁড়ির এলাকা। ওই এলাকায় হরিণশিকারিদের উৎপাত বেশি। তবে আগের তুলনায় এখন বন্য প্রাণী শিকার কমে এসেছে। আজও হরিণের মাংস জব্দের ঘটনায় বিকেলে কয়রা জ্যেষ্ঠ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বন্য প্রাণী নিধন আইনে মামলা হয়েছে। আদালতের নির্দেশে মাংস মাটিতে পুঁতে ফেলা হয়েছে। হরিণ নিধনে জড়িত ব্যক্তি ও হরিণের মাংস ক্রেতাদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।’

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: স ন দরবন র

এছাড়াও পড়ুন:

সুন্দরবনের ভারতীয় অংশের বিএসএফের হাতে আটক ১৯ বাংলাদেশি মৎস্যজীবী

অবৈধভাবে ভারতীয় জলসীমায় প্রবেশের অভিযোগে ১৯ জন বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে গ্রেপ্তার করেছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ।

বিএসএফ সূত্রে জানানো হয়েছে, সুন্দরবনের ভারতীয় অংশের উত্তাল নদীতে দীর্ঘক্ষণ ধাওয়া করে তাদের আটক করা হয়।  ধৃত মৎসজীবীরা বাংলাদেশের বরিশাল বিভাগের ভোলা জেলার পুরালিয়া গ্রামের বাসিন্দা। মাছ ধরার ট্রলার ও জালসহ তাদেরকে আটক করা হয়। 

আরো পড়ুন:

কলকাতায় সম্মিলিত সেনা সম্মেলন উদ্বোধন নরেন্দ্র মোদির

অবৈধ অভিবাসীদের প্রতি নরম হওয়ার দিন শেষ: ট্রাম্প

বিএসএফ জানায়, রবিবার সীমান্তের সুন্দরবন অংশে রুটিন টহল দেয়ার সময় গোসাবা রেঞ্জের বাঘমারি জঙ্গল এলাকায় বাংলাদেশি অবৈধ ট্রলারের উপস্থিতি নজরে আসে বিএসএফ জওয়ানদের। বিএসএফ জওয়ানদের পেট্রোল বোট ট্রলারটির কাছে যাওয়ার চেষ্টা করতেই ট্রলারটি পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। দ্রুততার সঙ্গে ট্রলারের পিছু ধাওয়া করা হয়। দীর্ঘক্ষণ ধাওয়া করে পরবর্তীতে পাকড়াও করা হয় বাংলাদেশি ট্রলারটিকে। অবৈধ অনুপ্রবেশ এর অভিযোগে আটক করা হয় এতে থাকা ১৯ জন বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে। বাজেয়াপ্ত করা হয় ট্রলারটি।

বিএসএফ আরো জানায়, আটকের পর দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্তরা অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগের বিপরীতে কোনো যুক্তিসঙ্গত কারণ দেখাতে পারেনি। ফলে জিজ্ঞাসাবাদের পরে তাদের স্থানীয় সুন্দরবন কোস্টাল থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। আজ সোমবার তাদের আলিপুর আদালতে তোলা হবে।

ঢাকা/সুচরিতা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ‘ছুটে গিয়ে দেখি, একটি হরিণ ঝুলছে শিকারির ফাঁদে’
  • সুন্দরবনের ভারতীয় অংশের বিএসএফের হাতে আটক ১৯ বাংলাদেশি মৎস্যজীবী