বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেছেন, গণতন্ত্রের পথে নিতে ‘ভোট দেওয়ার’ জন আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন মানুষ অবিলম্বে দেখতে চায়। তিনি বলেন, মহান ভাষা আন্দোলনের যে ধারাবাহিকতা, ভাষা আন্দোলনের আগে বাংলাদেশের মানুষের স্বাধীনতার যে ইচ্ছা সেই ইচ্ছার যে ধারাবাহিকতা এবং আজকে ২০২৫ সালে এসে মানুষের নতুন প্রজন্মের ভোট দেওয়ার যে আকাঙ্ক্ষা, মানুষের যে প্রত্যাশা সেই প্রত্যাশার প্রতিফলন কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ দেখতে চায়।

বৃহস্পতিবার বিকালে মহান শহীদ দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। রাজধানীর রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন মিলনায়তনে বিএনপির উদ্যোগে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক ভাষা দিবস উপলক্ষে এই আলোচনা সভা হয়।

ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মূল আকাঙ্ক্ষার কথা তুলে ধরে আবদুল মঈন খান বলেন, আজকে বাংলাদেশের মানুষ একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে হস্তান্তর করেছে, দেশ পরিচালনার দায়িত্ব দিয়েছে। এই মানুষের আরও একটি দাবি রয়েছে- সেটি হচ্ছে যে, দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে, আমাদের সমাজকে স্বৈরাচার থেকে একটি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় রূপান্তরিত করতে হবে।

তিনি বলেন, এই দায়িত্ব এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কতটা সঠিকভাবে পালন করছে, কি করছে না এটা বাংলাদেশের মানুষের রাডারে রয়েছে। এটা অস্বীকার করা যাবে না। কারণ বাংলাদেশের মানুষের রক্ত আছে, জবাবদিহিতার জন্য তারা আবার যেকোন সময়ে ফুঁসে উঠতে পারে। এটা সকলকে স্মরণে রাখতে হবে।

ভাষা আন্দোলনসহ স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন এবং ২৪‘র ছাত্র-জনতার বিপ্লবে সকল শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান আবদুল মঈন খান। তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ সব সময় অন্যায়ের প্রতিবাদ করেছে। ভাষা আন্দোলনও প্রতিবাদ করেছে ছাত্র সমাজ। আমি বিশ্বাস করি, ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ‘২৪ এর ছাত্র-জনতার আন্দোলন একই সূত্রে প্রতিথ। সেই সূত্রটি কি? প্রতিবাদ। অন্যায়ের প্রতিবাদ, স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ, আমাদের কথা বলতে না দেওয়ার প্রতিবাদ, আমাদের ভোটের অধিকার ছিনিয়ে নেবার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ। আসুন, এখান থেকে আমরা এই বাংলাদেশকে নতুন করে গড়ে তুলি।

দলের প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, মেজর (অব.

) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, আহমেদ আজম খান, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এএসএম আমানুল্লাহ বক্তব্য রাখেন। এছাড়া আলোচনায় অংশ নেন মহানগর বিএনপি দক্ষিণের আহ্বায়ক রফিকুল আলম মজনু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানি, কৃষক দলের সভাপতি হাসান জাফির তুহিন, যুব দলের সাধারণ নুরুল ইসলাম নয়ন।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব এনপ ব এনপ

এছাড়াও পড়ুন:

কোনও মহামানবকে দায়িত্ব দেওয়ার জন্য মানুষ আন্দোলন করেনি: আমির খসরু

কোনও মহামানবকে বাংলাদেশের দায়িত্ব দেওয়ার জন্য দেশের মানুষ আন্দোলন-সংগ্রাম করেনি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

সোমবার রাজধানীর গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সমমনা দলগুলোর সঙ্গে বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।

তিনি বলেন, কোনও মহামানব কোনও দেশের গণতন্ত্রের সমাধান দেবে তার জন্য দেশের জনগণকে অপেক্ষা করতে হবে, এটা বিশ্বাস করার কারণ নেই।

এদিন বিকেল সাড়ে ৩টায় ন্যাপ ভাসানীর সঙ্গে বৈঠক করে বিএনপি। ন্যাপ ভাসানীর চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আজহারুল ইসলামের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল বৈঠক উপস্থিত উপস্থিত ছিলেন।

পরে বিকাল ৪টা ২০ মিনিটে আমজনতার দলের সঙ্গে বৈঠকে করে বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটি। আমজনতার দলের আহ্বায়ক কর্নেল অব. মিয়া মশিউজ্জামানের নেতৃত্বে ১২ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল বৈঠক উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া বিকেল ৫টা ১০ মিনিটে বাংলাদেশ পিপলস পার্টির সঙ্গে বৈঠক করেন বিএনপির নেতারা।

বিএনপির পক্ষে বৈঠকে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু উপস্থিত ছিলেন।

আল জাজিরাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বক্তব্যের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আমির খসরু বলেন, মানুষ বলতে কারা? আমার বুঝতে একটু অসুবিধা হচ্ছে। বাংলাদেশে প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি, যারা জনগণকে প্রতিনিধিত্ব করছে। যারা রাজনৈতিক দল হিসেবে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে রাস্তায় লড়াই করেছে, আমাদের সঙ্গে যারা রাস্তায় ছিল, ইতোমধ্যে প্রায় ৫০টি দল, পরিষ্কারভাবে ব্যক্ত করেছে ডিসেম্বরের আগেই নির্বাচনের জন্য।

তিনি আরও বলেন, সংস্কারের জন্য যে কথাগুলো বলা হয়, সংস্কারের ব্যাপারে যেখানে ঐকমত্য হবে- সেই সংস্কারগুলো দ্রুত করে নির্বাচন কমিশনকে বলা হোক, নির্বাচনের দিনক্ষণ ঠিক করে রোডম্যাপ দিয়ে ভোটের দিকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য। তো জনগণ বলতে কারা? 

এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, এখন জনগণ বলতে যদি কোনও একটি বিশেষ গোষ্ঠী, সুবিধাভোগী- যারা গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে গিয়ে, জনগণের ভোটাধিকারের বিরুদ্ধে গিয়ে গণতন্ত্রকে সংস্কারের মুখোমুখি করছে! এটা তো কারও বুঝতে অসুবিধা হওয়ার কারণ নেই। ১৬ বছরের যুদ্ধটা ছিল গণতন্ত্রের জন্য, দেশে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনার জন্য, জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য, জনগণের মালিকানা ফিরিয়ে আনার জন্য। যে সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত হবে, তারা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকবে। সেটা যে সরকারই হোক।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ‘মিয়ানমারকে মানবিক করিডোর দেওয়া স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বকে সংকট’
  • মিয়ানমারকে মানবিক করিডর দেওয়ার অধিকার অন্তর্বর্তী সরকারের নেই: সিপিবি
  • সাবেক বিচারপতি খায়রুল হককে গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভ 
  • কোনো মহামানবকে দায়িত্ব দেওয়ার জন্য মানুষ আন্দোলন করেনি: আমীর খসরু
  • কোনও মহামানবকে দায়িত্ব দেওয়ার জন্য মানুষ আন্দোলন করেনি: আমীর খসরু
  • কোনও মহামানবকে দায়িত্ব দেওয়ার জন্য মানুষ আন্দোলন করেনি: আমির খসরু
  • জনগণ গণতন্ত্রের জন‍্য রক্ত দিয়েছে, কোনো মহামানবের প্রতিষ্ঠার জন্য নয়: আমীর খসরু
  • নতুন কর্মসূচি দিল যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক ও ছাত্রদল