ইচ্ছে না করলে দেখবে না, কেন বললেন জয়া
Published: 21st, February 2025 GMT
যেকোনো পোশাকেই মানানসই জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান। দারুণ সব ফ্যাশন সেন্স নিয়ে নিয়মিতই ভক্তদের মুগ্ধ করেন তিনি। এবারও যেন তার ব্যতিক্রম হলো না।
সবুজ ব্লাউজের সঙ্গে লাল বেনারসির চমৎকার এক কম্বিনেশনে ধরা দিলেন তিনি। সঙ্গে ঐতিহ্যবাহী গয়না আর হাতে ছিল ধূপ-ধোঁয়ার আয়োজন। ছবি: ফেসবুক
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চার ছবির কোলাজে মোট ১১টি ছবি পোস্ট করেন জয়া। ছবি: ফেসবুক
ছবিতে দেখা যায়, একটি নদীর পাড়ে অভিনেত্রী। সিঁড়ির পাড়ে আবির ফেলে পা দিয়ে নাড়ছেন, নদীর পানিতেও ডুবিয়েছেন তিনি। ছবি: ফেসবুক
ছবিগুলোর ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘আমি রক্তাক্ত, আমি ব্যথিত; তুমি আমাকে দেখো, ইচ্ছে না করলে দেখবে না। ছবি: ফেসবুক
জয়াকে এমন অবতারে দেখে অনুরাগীদের হরেক রকম মন্তব্য ভেসে আসছে। ছবি: ফেসবুক
কেউ বলছেন, ‘আমার দেখা সেরা সুন্দরী।’ কেউ লিখেছেন, ‘সেই ছোটবেলা থেকে দেখছি, একই রকমের আছেন জয়া আহসান।’ কারো মন্তব্য, ‘১৬ বছরি কন্যা মনে হইতেছে।’ ছবি: ফেসবুক
দুই বাংলার দর্শকপ্রিয় অভিনয়শিল্পী জয়া আহসান এখন নেদারল্যান্ডসে আছেন। সেখানে অনুষ্ঠিত হচ্ছে রটারড্যাম আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব। ছবি: ফেসবুক
জয়া আহসান অভিনীত কলকাতার সিনেমা ‘পুতুল নাচের ইতিকথা’ এই উৎসবে মূল প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছে। ছবি: ফেসবুক
নেদারল্যান্ডস থেকে জয়া আহসান গণমাধ্যমকে বলেন, অনেক দর্শক পুতুল নাচের ইতিকথা দেখেছেন। এখানকার দর্শক পুতুল নাচের ইতিকথা পছন্দ করেছেন। প্রচুর প্রশংসা পেয়েছি। ছবি: ফেসবুক
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
আষাঢ়ের প্রথম দিন আজ
ঝমঝম বৃষ্টি, কর্দমাক্ত পথঘাট, খাল-বিলে থৈ থৈ পানি- এমন দৃশ্যপট সামনে না থাকলেও ভেবে নিতে দোষ কি। কারণ, আজ পহেলা আষাঢ়।
রবি ঠাকুরের ভাষায়— ‘আবার এসেছে আষাঢ় আকাশও ছেয়ে... আসে বৃষ্টিরও সুবাসও বাতাসও বেয়ে...’।
অবশ্য একেবারে নিরাশ করেনি আষাঢ়। রাজধানীতে সকাল থেকেই আকাশে মেঘের আনাগোনা আর কোথাও হালকা বৃষ্টি জানান দিচ্ছে প্রকৃতিতে বর্ষার আগমন। বর্ষার আগমন যেন স্বস্তি-শান্তি ও আনন্দের। তীব্র গরমে হাঁসফাঁস নগরবাসীর জীবনে এক আনন্দের বার্তা।
বাংলার প্রকৃতিতে আলাদা বৈশিষ্টময় বর্ষা ঋতুর আজ যাত্রা শুরু হলো।
বলা হয়, গ্রীষ্মের খরতাপের ধূসর নাগরিক জীবন আর রুদ্র প্রকৃতিতে প্রাণের স্পন্দন জাগায় বর্ষা। জ্যৈষ্ঠের প্রচণ্ড খরতাপে রুক্ষ প্রকৃতি সজীব হয়ে উঠবে বর্ষার বর্ষণের মৃদঙ্গ-ছোঁয়ায়, এটাই যে সকল বাঙালির চাওয়া।
আষাঢ়ের রিমঝিম বৃষ্টি গ্রীষ্মের ধুলোমলিন জীর্ণতাকে ধুয়ে ফেলে গাঢ় সবুজের সমারোহে প্রকৃতি সাজে পূর্ণতায়। রঙিন হয়ে পুকুর-বিলে ফোটে শাপলা-পদ্ম। বর্ষা ঋতু তার বৈশিষ্ট্যের কারণে স্বতন্ত্র। বর্ষার প্রবল বর্ষণে নির্জনে ভালোবাসার সাধ জাগে, চিত্তচাঞ্চল্য বেড়ে যায়। বর্ষার নতুন জলে স্নান সেরে প্রকৃতির মনও যেন নেচে ওঠে। ফুলে ফুলে শোভিত হয় প্রকৃতি। তাই বর্ষাবিহীন বাংলাদেশ ভাবাই যায় না।
বর্ষা বাঙালি জীবনে নতুন প্রাণসঞ্চারকারী। বৃষ্টিস্নাত কদম ফুলের সৌন্দর্য্য যে দেখেছে, মুগ্ধ নয়নে চেয়ে না থেকে পারেনি। এর বর্ণনায় পল্লীকবি জসীমউদদীন লিখেছেন- ‘বনের ঝিয়ারি কদম্বশাখে নিঝঝুম নিরালায়, / ছোট ছোট রেণু খুলিয়া দেখিছে, অস্ফুট কলিকায়।’
বৃষ্টি হলে গ্রামের নদী নালা পুকুরে জল জমে থৈ থৈ করে। বর্ষা আনন্দ-বেদনার সারথী। সবুজের সমারোহে, মাটিতে নতুন পলির আস্তরণে বর্ষা আনে জীবনেরই বারতা।
উন্নয়নের নামে চলমান প্রাণ-প্রকৃতি ধ্বংসের প্রক্রিয়া বন্ধের দাবি নিয়ে প্রতি বছরের মতো এ বছরও বর্ষা ঋতুকে বরণ করে নিতে ‘বর্ষা উৎসব’ আয়োজন করেছে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী।
রবিবার (১৫ জুন) আষাঢ়ের প্রথমদিনে বাংলা একাডেমির নজরুল মঞ্চে এ উৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সকালে সুর-সংগীতে প্রকৃতি-বন্দনার মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে উৎসবের কর্মসূচি।
ঢাকা/টিপু