পূবালী ব্যাংকের বার্ষিক ব্যবস্থাপক সম্মেলন
Published: 22nd, February 2025 GMT
সেবার মান বৃদ্ধির মাধ্যমে ব্যবসা সম্প্রসারণে পূবালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপকদের উৎসাহ দেওয়ার লক্ষ্যে সম্প্রতি কক্সবাজারের হোটেল লং বিচ মিলনায়তনে দুই দিনব্যাপী ‘বার্ষিক ব্যবস্থাপক সম্মেলন ২০২৫’ করা হয়েছে।
সম্মেলনে অংশ নেন পূবালী ব্যাংকের ৫০৮টি শাখার ব্যবস্থাপক, সব আঞ্চলিক প্রধান ও প্রধান কার্যালয়ের নির্বাহী কর্মকর্তারা। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে সম্মেলন উদ্বোধন করেন পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান মনজুরুর রহমান এবং সভাপতিত্ব করেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী।
সম্মেলনে পূবালী ব্যাংক পরিচালনা পর্ষদের পরিচালক মনির উদ্দিন আহমদ, হাবিবুর রহমান, এম কবিরুজ্জামান ইয়াকুব, আজিজুর রহমান, মো.
কর্মক্ষেত্রে উৎসাহ বৃদ্ধির লক্ষ্যে ২০২৪ সালে বিশেষ সাফল্যের জন্য ৫১ জন ব্যবস্থাপককে প্রধান অতিথি পদক দেওয়া হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মনজুরুর রহমান উন্নত ও আধুনিক ব্যাংকিং সেবা দেওয়ার মাধ্যমে ব্যাংকের আমানত, অগ্রিম ও আমদানি-রপ্তানি ব্যবসা সম্প্রসারণের আহ্বান জানান।
তিনি প্রতিযোগিতামূলক ব্যাংকিংয়ের ক্ষেত্রে ব্যাংকের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য সবাইকে সততা, নিষ্ঠা ও দক্ষতার সাথে কাজ করার পরামর্শ দেন। শুধু ব্যবসায়িক মুনাফা অর্জন নয়, দেশ ও মানুষের কল্যাণে পূবালী ব্যাংকের অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে বলে তিনি প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
সভাপতির বক্তব্যে ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আলী পূবালী ব্যাংকের ঐতিহ্য, ইতিহাস ও কৃষ্টির দিকে দৃষ্টিপাত করে বলেন, দক্ষ কর্মী বাহিনী, সর্বোচ্চ মানের অনলাইন ব্যাংকিং ব্যবস্থা ও ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে দেশের সর্বাধিক সম্প্রসারিত বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক যুগের সাথে তাল মিলিয়ে আধুনিক ব্যাংকিং সেবা দিয়ে আসছে। বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে সেবা পৌঁছে দিতে পূবালী ব্যাংকের প্রয়াস অব্যাহত থাকবে।
ঢাকা/রফিক
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ইস্যু সমাধান আলোচনার টেবিলেই সম্ভব: সালাহউদ্দ
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, ‘‘জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ইস্যুর সমাধান আলোচনার টেবিলেই সম্ভব।’’
তিনি মনে করেন, আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান এলে যেকোনো অসাংবিধানিক প্রক্রিয়া ঠেকানো যাবে।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘‘আগামী নির্বাচনকে যদি অনিশ্চিত করা হয় বা বিলম্বিত করা হয়, তাহলে তার সুযোগ নেবে ফ্যাসিবাদী বা অসাংবিধানিক শক্তি। এর পরিণতি জাতি অতীতে বহুবার ভোগ করেছে। আমরা আবার সে পরিস্থিতি চাই না।’’
অন্তর্বর্তী সরকারের বৈধতা নিয়ে পৃথক এক প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্টের মতামতের ভিত্তিতেই সাংবিধানিকভাবে এই সরকার গঠিত হয়েছে। রাষ্ট্রপতির রেফারেন্সে দেওয়া সেই মতামত এখনো বহাল আছে। এর বিপরীতে সুপ্রিম কোর্ট কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি। তাই এ বিষয়ে প্রশ্ন তোলা আসলে রাজনৈতিক বক্তব্য, এর কোনো আইনি ভিত্তি নেই।’’
সালাহউদ্দিন আহমদ আরো বলেন, ‘‘যেকোনো সাংবিধানিক আদেশ জারি হলে তা আগামীকাল বা পরশু চ্যালেঞ্জ হতে পারে। আমরা এমন খারাপ নজির জাতির সামনে আনতে চাই না। তাই সমাধানের বিকল্প প্রস্তাব উত্থাপন করেছি। সবাইকে বিবেচনায় নিতে আহ্বান জানাচ্ছি।’’
পিআর পদ্ধতি প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘‘রাজনৈতিক দলের আন্দোলনের অধিকার আছে। তবে পিআর পদ্ধতি চাপিয়ে দেওয়ার বিষয় নয়, শেষ পর্যন্ত জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে।’’
তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘‘পিআর পদ্ধতিতে ঝুলন্ত পার্লামেন্টের ঝুঁকি থেকে যায়। তাতে রাষ্ট্র ও জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণ সম্ভব হয় না। আমরা অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে যেতে পারি না।’’
সালাহউদ্দিন আহমদ আরো বলেন, ‘‘জনগণই হলো সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ। এই দেশের জনগণ মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে এবং বারবার গণতন্ত্রকে সংকট থেকে উদ্ধার করেছে।’’
আগামী সংসদে কিছু মৌলিক বিষয়ে সংশোধনের পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করেন তিনি বলেন, ‘‘আমরা কিছু বিষয়ে ইতোমধ্যে একমত হয়েছি। তবে, ঐকমত্য কমিশনের সনদের ভেতরে যেসব পরিবর্তন হবে, সেগুলোতে অবশ্যই গণভোট নিতে হবে।’’
ঢাকা/আসাদ/রাজীব